রুস্তম পাশা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৭ নং লাইন:
==রাজনৈতিক জীবন==
ইব্রাহীম পাশার মৃত্যুদন্ডের পর রুস্তম পাশার পথ সহজ হয়ে যায়। তাকে দিয়ারবেকিরির বেলার বে পদে পদোন্নতি করা হয়। এরপর তাকে একজন উজির পদে নিযুক্ত করা হয় এবং শাহজাদী মিহরিমাহ সুলতানের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়। ১৫৪৪ সালে সুলতান সুলেমান তাকে সাম্রাজ্যের উজিরে আজম পদে অধিষ্ঠিত করেন। রুস্তম পাশা দুই মেয়াদে মোট ১৫ বছর উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ইউরোপ এবং ভারত জুড়ে অসংখ্য বাণিজ্যের চুক্তি করেছিলেন। তবে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহারও করেছেন। রুস্তম পাশাকে শাহজা মুস্তাফার হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গণ্যকিছু ইতিহাসবিদ করাধারণা হয়।করেন। ধারণা করা হয়, রুস্তম পাশা হুররেম সুলতানের সন্তানকে পরবর্তী সুলতান বানানোর জন্য মুস্তাফাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কারণ ১৫৫৩ সালে সাভাবিদ অভিযানকালে সুলতান সুলেমান তার পুত্র মুস্তাফাকে বিদ্রোহের অভিযোগে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন। মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পর সেনাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয় এবং তারা সবাই রুস্তম পাশাকে এর জন্য দোষারোপ করে। এর কারণ ছিলো শাহজাদা মুস্তাফার একজন অনুগত সহচর তাশ্লিজালি ইয়াহিয়া মুস্তাফাকে নির্দোষ এবং রুস্তমকে ষাড়যন্ত্রকারী আখ্যায়িত করে একটি কবিতা লিখেছিলেন। এই অবস্থায় সুলতান সুলেমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রুস্তমকে উজিরে আজম পদ থেকে বহিষ্কৃত করেন এবং তার ভগ্নিপতি কারা আহমেদ পাশাকে তার পদে স্থলাভিষিক্ত করেন।
দুইবছর পর ১৫৫৫ সালে কারা আহমেদ পাশাকেও সুলেমান মৃত্যুদণ্ড দেন এবং রুস্তম পাশাকে পুনরায় উজিরে আজম পদ ফিরিয়ে দেন। যেটি তিনি মৃত্যুর আগপর্যন্ত বহন করেছিলেন। রুস্তম পাশাকে একজন সফল সেরাস্কার ও বলা হয়ে থাকে, তিনি দুটি সাভাবিদ অভিযানই সাফল্যের সাথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রুস্তম পাশার আপন ছোট ভাই সিনান পাশা সাম্রাজ্যের কাপুদান পাশা বা গ্রান্ড এডমিরাল ছিলেন।