ফালুং গং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৫ নং লাইন:
 
==উৎপত্তি==
ফালুন গং প্রায়শই চীনের আধ্যাত্মিক আন্দোলন [[কিগং]] আন্দোলনের সাথে মিল করা হয়। কিগং একটি আধুনিক আখ্যা যা ধীর গতির ব্যায়াম, ধ্যান, এবং নিয়ন্ত্রিত শ্বাসের সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরনের অনুশীলনকে বোঝায়। 1994 খ্রিস্টাব্দে তিনি নিউইয়র্কের বাসিন্দা ছিলেন এবং এই বিষয়ে অনেক পুস্তক রচনা করেছিলেন। তার মতে এই শরীরচর্চা যে নিষ্ঠা সহকারে করবে তার মধ্যে এক দিব্য প্রশান্তি আসবে ও সে সম্পূর্ণ ভয় শূণ্য হবে। চীনের কমিউনিস্ট নেতারা যোগ বিদ্যাকে ডাইনীবিদ্যা বলে এবং সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর বলে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিল।
ব্যক্তি স্বাধীনতা কে স্বীকার করলে অস্তিত্ব সংকট সূচিত হয় কমিউনিসমের। তাসের ঘরের মত ভেঙে যায়। এই কারনেই তিব্বতে বৌদ্ধ দের নানাভাবে উৎপীড়ন করে চলেছিল। সেখানকার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে তাদের হত্যা করে ।
ঠিক এই উপরক্ত একই কারণে চীনের মাক্সবাদী সরকার 1989 সালের 4 ঠা জুন তিয়েনআনমেন (Tienanmen) চত্বরে হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী ছাত্রকে মেশিনগান দিয়ে গুলি করে ও ট্যাঙ্ক দিয়ে পিসে পৈশাচিক নরমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেছিল।
এবং এই কারণেই 1999 সালের 22 শে জুলাই চীনের কমিউনিস্ট সরকার ফালুন গং আধ্যাত্বিক শরীরচর্চা কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং তার অনুসরণকারীদের ওপর বর্বর দমন-পীড়ন শুরু করে।
ফালুন গং এর মধ্যে মূল তত্ত্ব হলো হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রের কুলকুণ্ডলিনী তত্ত্ব ।শক্তি চক্রের কথা এখানে বলা হয়েছে এবং শক্তি চক্র উদ্দীপিত হলে মানুষের জীবনে আধ্যাত্মিক শক্তির প্রকাশ ঘটে । খুব স্বাভাবিকভাবেই ভারতের সন্ন্যাসীরা কুংফু ক্যারাটে মতো শরীর বিদ্যা গুলির সঙ্গে সঙ্গেই কুলকুণ্ডলিনী জাগরন এর তথ্যও তিব্বতে নিয়ে গিয়েছিলেন ।
তাই লি লিখেছিলেন “শাক্য সিংহ বুদ্ধের কর্মবাদ এবং অন্তিম লক্ষ্য হলো বোধি জ্ঞান লাভ করা এবং ফালুন গং তত্ত্বের ভিত্তি হলো সেই বোধি।”
 
==বিশ্বাস এবং অনুশীলন==