ভূমেন্দ্র গুহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন:
| চিত্রের_আকার = 220px
| স্থানীয়_নাম =
| জন্ম_তারিখ = [[২ আগস্ট]], [[১৯৩৩]] খ্রিস্টাব্দ
| জন্ম_স্থান = বিলাসপুর, [[মধ্য প্রদেশ]] [[ভারত]]
| মৃত্যু_তারিখ =
১৫ নং লাইন:
}}
 
'''ভূমেন্দ্র গুহ''' একজন বাঙালি কবি যিনি [[জীবনানন্দ দাশ|কবি জীবনানন্দ দাশের]] পাণ্ডুলিপি পাঠোদ্ধার ও প্রকাশের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন ভারতের একজন নামকরা শৈল্যচিকিৎসাবিদ। [[কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ|কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের]] হৃদশল্য চিকিৎসা বিভাগের এককালের প্রধান কবি ভূমেন্দ্র গুহ পরিচিত ছিলেন অধ্যাপক ড. বি.এন. গুহরায় নামে। তাঁর পিতৃপ্রদত্ত পূর্ণনাম ভূমেন্দ্রনাথ গুহরায়। তবে [[পশ্চিম বঙ্গ|পশ্চিম]] ও [[বাংলাদেশ|পূর্ব বাংলার]] সাহিত্যের জগতে তিনি কবি ভূমেন্দ্র গুহ নামে পরিচিত হয়েছিলেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা এগারো । কিন্তু কালক্রমে তাঁর কবি-পরিচয় ছাপিয়ে ‘জীবনানন্দ গবেষক’ এই পরিচয়টিই ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে গিয়েছিল।<ref name="kaliokalam.com">[http://www.kaliokalam.com/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%BE/ কবি ভূমেন্দ্র গুহ : একটুখানি পরিচিতি]</ref>
 
== জন্ম শিক্ষা ও জীবন ==
১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে আগস্ট মাসের ২ তারিখ ভারতের মধ্য প্রদেশে বিলাসপুর-এ তাঁর জন্ম হয়েছিল। জীবনানন্দেরই মতো পৈত্রিক সূত্রে তিনি বরিশালেরই মানুষ। পিতামহ সতীশচন্দ্র গুহরায়ের আদিনিবাস ছিল অবিভক্ত ভারতের বরিশাল জেলার [[স্বরূপকাঠি|স্বরূপকাঠি উপজেলার]] মৈষাণী গ্রামে। তিনি ছিলেন মুনিনাগ গ্রামের জমিদারপুত্র, কিন্তু ভাগ্যের ফেরে স্বপরিবারচ্যুত হয়ে জেলেসমাজের একজন হয়ে গিয়েছিলেন।
 
ভূমেন্দ্র গুহ’র বাবা নগেন্দ্রনাথ গুহরায় রেল কোম্পানিতে চাকুরি করতেন। বদলির চাকুরি, ফলে নানা স্কুলে পড়তে হয়েছে ভূমেন্দ্র গুহকে, তবে ম্যাট্রিক পাশ করেছেন কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনের ছাত্র হিসেবে। [[বঙ্গবাসী কলেজ]] থেকে আইএসসি করার পর ডাক্তারি পড়েছিলেন [[ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজে]]। ১৯৫৭’য় ডাক্তারি পাশের পর তিনি শল্যচিকিৎসায় মাস্টার্স করেছেন; পরে বিশেষভাবে বক্ষদেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, হৃৎপিণ্ড ও ভাসকুলার সার্জারিতে এম.সি-এইচ।
৩০ নং লাইন:
১৯৫৪য়, অক্টোবরের এক শীতার্ত মধ্যরাত-উত্তীর্ণ সময়ে ট্রামের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যুকালে তাঁর প্রকাশনা বলতে ৫টি কাব্যগ্রন্থ এবং শ্রেষ্ঠ কবিতায় অন্তর্ভুক্ত ১৬২টি কবিতা এবং বিভিন্ন সাময়িক পত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আরো শত খানেক কবিতাও কয়েকটি প্রবন্ধ-নিবন্ধ। জীবদ্দশায় কোন প্রবন্ধ গ্রন্থ প্রকাশ করে যান নি জীবনানন্দ দাশ। ২১টি উপন্যাস একং শতাধিক ছোট গল্প রচনা করলেও একটিও ছাপতে দেননি কোথাও। ট্রাংকে তালা-চাবি এঁটে সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলেন হাজার হাজার কবিতা, গল্প-উপন্যাসের খাতা ও ডায়েরি। প্রায় তিরিশ হাজার পাতার অপ্রকাশিত লেখা রেখে গিয়েছিলেন জীবনানন্দ শত-শত রুলটানা এক্সারসাইজ খাতায় । এই সব শত-শত রুলটানা এক্সারসাইজ খাতা খুঁজে খুঁজে পড়ে পড়ে, ভারি পাওয়ারের চশমায় না কুলোলে আতশি কাচের সাহায্য নিয়ে, জীবনানন্দের জড়ানো অনতিস্পষ্ট হস্তাক্ষরের প্রতিরোধ উপেক্ষা ক’রে অগণিত অপ্রকাশিত কবিতা, গল্প, উপন্যাস পাঠোদ্ধার ক’রে যিনি প্রকাশ করবার ব্যবস্থা করে যাচ্ছিলেন কবি ভূমেন্দ্র গুহ । <ref>[http://www.deshebideshe.com/home/printnews/58769 সাক্ষাৎকারে ভূমেন্দ্র গুহ ]</ref>
 
পঞ্চাশের দশকের শুরুতে নিজেদের সাহিত্যের ছোটকাগজ “ময়ূখ”-এর জন্য কবিতা সংগ্রহ করতে গিয়ে জীবনানন্দ দাশের সঙ্গে যে পরিচয় হয়েছিল, তারই সূত্র ধ’রে কবির মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ভূমেন্দ্রর । কার্যত জীবনানন্দের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত রচনা সংবলিত ট্রাংকভর্তি অসংখ্য লেখার খাতা তাঁরই অধিকারে সংরক্ষিত ছিল দীর্ঘ কাল। সেগুলোর অধিকাংশ পাঠোদ্ধার করে তিনি প্রকাশযোগ্য পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কাব্য [[রূপসী বাংলা]] এবং জীবনানন্দের সপ্তম কাব্য সংকলন [[বেলা অবেলা কালবেলা]], তাঁর প্রথম প্রবন্ধসংকলন [[কবিতার কথা]] এবং সর্বপ্রথম প্রকাশিত উপন্যাস [[মাল্যবান]]-এর মুদ্রণযোগ্য পাণ্ডুলিপি- সবই ভূমেন্দ্র গুহ’র হাতে তৈরী। কলকাতার প্রতিক্ষণ পাবলিকেশনস ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ১২ খণ্ডের [[জীবনানান্দ সমগ্র]] প্রকাশ শুরু করেছিল ভূমেন্দ্র গুহেরই কপি করা বিবিধ পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতে। অপ্রকাশিত কবিতার সংকলন [[হে প্রেম তোমাকে ভেবে ভেবে]], [[ছায়া-আবছায়া]], উপন্যাস [[সফলতা-নিষ্ফলতা]] এবং ২০১২ তে প্রকাশিত [[অপ্রকাশিত শেষ ১৪টি গল্প ও ২টি উপন্যাস]] এবং ১৪ খণ্ডে প্রকাশিত পাণ্ডুলিপির কবিতা (সহায়তা করেছিলেন বর্তমানের বিশেষ জীবনানন্দ গবেষক গৌতম মিত্র) ইত্যাদিরও পশ্চাৎ কারিগর তিনি।
 
ভূমেন্দ্র গুহ কেবল লেখার খাতা থেকে মুদ্রণযোগ্য পাণ্ডুলিপিই প্রস্তুত করেন নি, তিনি জীবনানন্দের অনেক লেখার খাতাকে চির অবলুপ্তির হাত থেকে বাঁচিয়েছেন; ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত লেখার খাতাগুলো সযত্নে আগলে রেখেছিলেন নিজের টানে, যত দিন না চাকরিসূত্রে কলকাতার বাইরে চলে যাওয়ার ডাক এসেছিল।<ref>[http://www. name="kaliokalam.com"/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%BE/ কবি ভূমেন্দ্র গুহ : একটুখানি পরিচিতি]</ref>
 
==কাব্যকৃতি==
৬১ নং লাইন:
 
পরিণত বয়সে কেমন কবিতা লিখতেন ভূমেন্ত্র গুহ, তা নিচের উদ্ধৃতি থেকে বোঝা যাবে:
<blockquote>“তুমি আমাকে প্রেমের কথা বলবে, আমি কামনা করতে থাকি, এবং গোপন অপরাধে নিঃশেষিত হয়ে যাই। পরিবর্তে তোমার দেবীর মতো দু’টি হাত আমার উদ্বুদ্ধ শরীরটিকে খুঁজে নেয়, আমি দেখি। তুমি তোমার অনাগত একমাত্র সন্তানটির কথা গভীর উদ্বেগের ভিতর উচ্চারণ করো। তার জন্য পূজাবেদিটির সর্বাঙ্গে ধান রাখো, ফুল রাখো, বিল্বপত্র রাখো, কদলীখ- রাখো, ততোধিক রাখো প্রচুর নবীন দূর্বাঘাসের আচ্ছাদন, যাতে তোমার তৃণাস্তীর্ণ মৌল বেদিটিকে পদ্মপাতার ভঙ্গিমায় ঠিক চিনে নিতে পারি। তুমি আমার জন্য সমুদ্রমন্থনের আনুষঙ্গিক বিষপানের স্মৃতি পুনর্জীবিত করে তোলে।”</blockquote><ref>[http://www. name="kaliokalam.com"/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%BE/ কবি ভূমেন্দ্র গুহ : একটুখানি পরিচিতি]</ref>
 
==প্রকাশনা==
===কাব্য===
ভূমেন্দ্র গুহ’র তাঁর কবিতাগ্রন্থগুলোর নাম এরকম রেখেছিলেন: “যম”, “ঋতুচক্র”, “পিতামহ”, “উত্তরপুরুষ”, “এই সব দিনাতিপাত”, “এই মাত্র”, “ভালো থাকুন”,“ঢের দিন বেঁচে থাকা হল”, “এককালের বসতবাড়িটি”, “বেলা-শেষের অতি-কথন”, ও “অন্ত-কবিতা”।
 
এছাড়া তিনি ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করে গেছেন “শ্রেষ্ঠ কবিতা”। ২০১৫’য় তাঁর প্রয়াণের কিছু আগে রাহুল পুরকায়স্থের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কবিতাসমগ্র যার প্ররচ্ছদনাম ভূমেন্দ্র গুহ’র কবিতা”। “শ্রেষ্ঠ কবিতা” তাঁকে এনে দিয়েছিল রবীন্দ্র পুরস্কার, ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ।
 
===গদ্য===
৭৪ নং লাইন:
==পুরস্কার ও স্বীকৃতি==
==মৃত্যু==
ক্যান্সারে ভুগছিলেন ভূমেন্দ্র গুহ, কিন্তু কাউকে বলেন নি। নিঃশব্দে মৃত্যুবরণ করলেন ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে, ঘুমের ভেতর। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=এখন শ্মশানের নিকটের নদীর কাছে ভূমেন্দ্রদা |ইউআরএল=http://www.prothom-alo.com/art-and-literature/article/722095/%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ নভেম্বর ২০১৬ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170424065805/http://www.prothom-alo.com/art-and-literature/article/722095/%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE |আর্কাইভের-তারিখ=২৪ এপ্রিল ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> <ref>[http://bangla.bdnews24.com/neighbour/article1074703.bdnews কবি-গবেষক ভূমেন্দ্র গুহর মৃত্যু]</ref>
 
==তথ্যসূত্র==