হামিদুজ্জামান খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২৩ নং লাইন:
| website =
}}
'''হামিদুজ্জামান খান''' একজন খ্যাতিমান [[বাংলাদেশী]] শিল্পী ও ভাস্কর। ফর্ম, বিষয়ভিত্তিক ও নিরীক্ষাধর্মী ভাস্কর্যের জন্য তিনি সুপরিচিত। [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] প্রেরণায় নির্মিত ''একাত্তর স্মরণে'' শীর্ষক কাজের জন্য তিনি ভাস্কর হিসেবে ১৯৭৬ সালে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] খ্যাতি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে [[দক্ষিণ কোরিয়া|দক্ষিণ কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের]] রাজধানী [[সিউল|সিউলে]] অলিম্পিক ভাস্কর্য পার্কে ভাস্কর্য স্থাপনের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে পরিচিতি অর্জন করেন।
১৯৫০-এর দশকে ভাস্কর্য [[নভেরা আহমেদ|নভেরা আহমেদের]] মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাস্কর্যে আধুনিক ধারার সূচনা ঘটার পরে হামিদুজ্জামান খান তাঁর স্বকীয় ধারার আধুনিক কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাস্কর্যের প্রসারে অবদান রাখেন। তাঁর ভাস্কর্যে এক্সপ্রেশনিজম বা প্রকাশবাদ, মিনিমালিজম বা অল্পায়নের মত নির্মাণশৈলী লক্ষ্য করা যায়। তিনি ভাস্কর্য হিসেবে আধা-বিমূর্ত ও বিমূর্ত – উভয় ধারাতেই কাজ করেছেন।
ভাস্কর্য ছাড়াও হামিদুজ্জামান খান তাঁর চিত্রকর্মের জন্যেও সুপরিচিত। ১৯৬০-এর দশকে শিল্পাচার্য [[জয়নুল আবেদীন]] জলরঙের চিত্রকর্মের জন্য তাঁকে প্রশংসা করেছিলেন ও উৎসাহ দিয়েছিলেন। এছাড়া ১৯৭৬ সালে প্রখ্যাত ভারতীয় শিল্পী [[মকবুল ফিদা হুসেন]] মুম্বাইতে একটি প্রদর্শনীতে তাঁর ভাস্কর্যের প্রশংসা করেন। হামিদুজ্জামান খানের জলরঙ ও অ্যাক্রিলিক চিত্রকর্মে বিমূর্ত প্রকাশবাদের ধারা লক্ষ্য করা যায়। তাঁর চিত্রকর্মের প্রধান বিষয়বস্ত নিসর্গ ও মানবশরীর।
ভাস্কর্যে অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি [[একুশে পদক]] লাভ করেন। ১৯৭০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। পাঁচ দশকেরও অধিক সময়ের কর্মজীবনে তাঁর শিল্পকর্ম বাংলাদেশ, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, বুলগেরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শিত বা স্থাপিত হয়েছে।
৩৪ নং লাইন:
হামিদুজ্জামান ১৯৪৬ সালে তদানীন্তন [[ব্রিটিশ ভারত]] অধীনস্ত [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]]র (বর্তমান [[বাংলাদেশ]]) বৃহত্তর ময়মনসিংহের [[কিশোরগঞ্জ জেলা]]য় সহশ্রাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সায়েমউদ্দিন খান ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং মাতা রাবেয়া খাতুন ছিলেন একজন গৃহিণী। হামিদুজ্জামান তাঁর তিন ভাইয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। প্রখ্যাত ভারতীয় শিল্পী হেমেন্দ্রনাথ মজুমদারের বাড়ি ছিল সহশ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম গচিহাটায়। হামিদুজ্জামান প্রায়ই সেখানে যেতেন এবং হেমেন্দ্রনাথের চিত্রকর্ম দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। হামিদুজ্জামান প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন তার নিজ গ্রামের সহশ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবং পরে বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে [[নীরদচন্দ্র চৌধুরী]]র ভাইয়ের পুত্র তার সহপাঠী ছিলেন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি স্কেচ করতেন। এসময় তিনি তার দাদার একটি ছবি এঁকেছিলেন যা তার দাদার মুখের আকৃতির সাথে মিলে যায়।<ref name="বহুমাত্রিক শিল্পী">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bd-pratidin.com/various/2015/07/31/96893 |শিরোনাম=বহুমাত্রিক শিল্পী হামিদুজ্জামান খান |কর্ম=[[বাংলাদেশ প্রতিদিন]] |তারিখ=৩১ জুলাই ২০১৫ |সংগ্রহের-তারিখ=২১ মে ২০১৭}}</ref>
মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ভৈরব কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু এই ধরনের পড়াশোনা তার ভালো লাগত না। তাই তিনি পড়াশুনা ছেড়ে সিলেট চলে যান। পরে তার এলাকার পোস্টমাস্টার হামিদুজ্জামানের বাবাকে ছেলের আর্ট কলেজে পড়ার আগ্রহের কথা জানান। তার বাবা তাকে নিয়ে যান [[জয়নুল আবেদীন|শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের]] বাসায়। জয়নুল আবেদীন তাকে আর্ট কলেজে ভর্তি করতে সাহায্য করেন। আর্ট কলেজে হামিদুজ্জামান প্রখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদিন, [[সফিউদ্দিন আহমেদ]], [[আমিনুল ইসলাম (চিত্রশিল্পী)|আমিনুল ইসলাম]] ও [[মুস্তফা মনোয়ার|মুস্তফা মনোয়ারের]] সান্নিধ্য লাভ করেন। জয়নুল আবেদীন হামিদুজ্জামানের জলরঙ-এর কাজের প্রশংসা করতেন এবং তাকে উৎসাহিত করেছিলেন জলরঙে অনুশীলনের জন্যে। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন বার্মার (বর্তমান [[মায়ানমার]]) রাষ্ট্রপতি [[নে উইন]] আর্ট কলেজ পরিদর্শনে এলে জয়নুল আবেদীন তাঁকে হামিদুজ্জামানের অঙ্কিত একটি শিল্পকর্ম উপহার হিসেবে প্রদান করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমান [[চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]) থেকে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এসময় বিশিষ্ট শিল্পী [[আবদুর রাজ্জাক (চিত্রশিল্পী)|আবদুর রাজ্জাকের]] নেতৃত্বে আর্ট কলেজে ভাস্কর্য বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।<ref name=DailySun/>
===দুর্ঘটনা এবং ইউরোপ ভ্রমণ===
ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্র থাকাকালীন ১৯৬৭ সালে হামিদুজ্জামান সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। এতে তাঁর মাথার [[করোটি]] ক্ষতিগ্রস্থ হয়। [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ|ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের]] তৎকালীন প্রধান সার্জন ডা. আছিরউদ্দিনের পরামর্শে ও সহায়তায় তিনি করোটির অস্ত্রোপচারের জন্যে ১৯৬৯ সালে সমুদ্রপথে যুক্তরাজ্যে যাত্রা করেন। [[ডাকার|ডাকারে]] যাত্রাবিরতিকালে হামিদুজ্জামান আফ্রিকান ঐতিহ্যবাহী দারুশিল্প ও মুখোশ দেখে আকৃষ্ট হন। এছাড়া [[কেপটাউন|কেপটাউনের]] পাথুরে পর্বত, ঝর্ণা ও সমুদ্র তাকে আকৃষ্ট করে। যুক্তরাজ্যে পৌছে হামিদুজ্জামান এডিনবরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতাল ত্যাগের পর তিনি প্রায় এক মাস [[এডিনবরা|এডিনবরায়]] অবস্থান করেন। এসময় তিনি [[স্কটিশ জাতীয় জাদুঘর]] এবং এডিনবরায় একটি উদ্যানে বিখ্যাত ভাস্কর [[হেনরি মুর|হেনরি মুরের]] ভাস্কর্য দেখে অভিভূত হন। এরপর লন্ডনে তিনি চারমাস অবস্থান করেন। লন্ডনে হামিদুজ্জামান [[ব্রিটিশ মিউজিয়াম]], [[ভিক্টোরিয়া এন্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়াম]], [[ন্যাশনাল গ্যালারি]] এবং [[টেট গ্যালারি|টেট গ্যালারির]] প্রাচীন ভাস্কর্য, ব্রিটিশ চিত্রশিল্পীদের ছবি ও শিল্পকর্ম দেখেন। টার্নার জন কনস্টেবলের নৈসর্গিক চিত্রকর্ম তাঁকে আকৃষ্ট করে।<ref name=MasterStroke>{{
===ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষালাভ===
হামিদুজ্জামান খান ১৯৭৩ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত সরকারের বৃত্তি অর্জন করেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ সালে উপমহাদেশের প্রখ্যাত [[বারোদা|বারোদার]] [[মহারাজা সাহজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়|মহারাজা সাহজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে]] শিক্ষা লাভ করেন। বারোদায় হামিদুজ্জামান প্রখ্যাত ভারতীয় শিল্পী ও ভাস্কর রাঘব কানেরিয়া, মাহেন্দ্র পান্ডিয়া, শঙ্ক চৌধুরী, কে. জি. সুব্রামানিয়ানের অধীনে শিক্ষালাভ করেন।<ref name=StarMag>{{
১৯৮২ থেকে ১৯৮৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের স্কাল্পচার সেন্টার স্কুল থেকে মেটাল কাস্টিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।<ref name="বহুমাত্রিক শিল্পী"/> এসময় নিউ ইয়র্ক সিটিতে হেনরি মুরের একটি ভাস্কর্য প্রদর্শনী দেখে হামিদ প্রভাবিত হন।<ref name=NewAge1>{{
==কর্মজীবন==
[[File:HK studio 01.jpg|thumb|হামিদুজ্জামান খানের ছবি আঁকার স্টুডিও]]
ভাস্কর্য চর্চার আগে হামিদুজ্জামান খান [[জলরঙ|জলরঙের]] চিত্রকর্ম প্রদর্শন ও বিক্রয় করে খ্যাতি লাভ করেন। আর্ট কলেজের ছাত্র থাকাকালীন হামিদের বেশ কিছু জলরঙের চিত্রকর্ম জয়নুল আবেদীন ক্রয় করেন। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম গ্যালারি 'আর্ট অ্যাসেম্বল গ্যালারি'-তে হামিদের একটি জলরঙের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে তাঁর অনেকগুলো চিত্রকর্ম বিক্রয় হয়। এছাড়া ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত হামিদের অঙ্কিত জলরঙের চিত্রকর্ম নিয়ে ১৯৬৯ সালে [[চট্টগ্রাম ক্লাব|চট্টগ্রাম ক্লাবে]] প্রদর্শনী হয় এবং সেই প্রদর্শনীর সবগুলো চিত্রকর্ম চট্টগ্রাম ক্লাব কিনে নেয়। প্রাপ্ত অর্থ বিদেশে চিকিৎসা লাভের ক্ষেত্রে হামিদকে সাহায্য করে।<ref name=DailySun>{{
===প্রাথমিক কর্মজীবন===
হামিদুজ্জামান ১৯৭০ সালের আগস্ট মাসে চারুকলা ইনস্টিটিউটে ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] সময় হামিদ পাকিস্তান সৈন্যদের প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও ছাড়া পান। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার [[নিউ মার্কেট, ঢাকা|নিউ মার্কেট]] এলাকায় হামিদুজ্জামান অসংখ্য মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। যুদ্ধের নৃসংশতা এবং বাঙালিদের অভাবনীয় দুর্দশা হামিদকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। ফলে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরে প্রথম দুই দশকে ভাস্কর্য হিসেবে তিনি যেসব ভাস্কর্য তৈরি করেছিলেন, সেসবের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় ''একাত্তর স্মরণে'' শিরোনামে নির্মিত হয়। ১৯৭২ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ভাস্কর [[আবদুর রাজ্জাক (চিত্রশিল্পী)|আবদুর রাজ্জাকের]] সাথে তিনি ''[[জাগ্রত চৌরঙ্গী]]'' নামে একটি ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য কাজ করেন। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধার অবয়বকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গাজীপুরে [[
[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি]] আয়োজিত প্রথম জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনীতে হামিদুজ্জামান ব্রোঞ্জ নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় তৈরি ভাস্কর্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং শ্রেষ্ঠ ভাস্কর-এর পুরস্কার অর্জন করেন। তাঁর পুরস্কারজয়ী ভাস্কর্যটির নাম ছিল ''দরজা'', এটি একটি ঘরের দরজার কোণায় পড়ে থাকা যুদ্ধে শহীদ মানবদেহের প্রতিকৃতি।<ref name=NewAge1/>
===১৯৮০ থেকে ২০০০===
বাংলাদেশে হামিদুজ্জামান খান জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি লাভ করেন [[বঙ্গভবন|বঙ্গভবনের]] প্রবেশপথে ফোয়ারায় স্থাপিত ''পাখি পরিবার'' শীর্ষক ভাস্কর্যের মাধ্যমে। ভাস্কর্যের তিনটি পাখি ব্রাশ পাইপ ও শিট দিয়ে তৈরি এবং গোলাকার বেদী মার্বেল পাথরে মোড়ানো। পাখিগুলোর মাথা মিলে মিনারের মত আকৃতি। হামিদ ভাস্কর্যের ফর্ম বক পাখি থেকে নিয়েছিলেন এবং কাজটি করতে তাঁর নয় মাস সময় লেগেছিল। ভাস্কর্যটি স্থাপনের পরে তৎকালীন মন্ত্রি ও সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সেটি পছন্দ করেননি। তাঁরা বলেছিলেন যে সেটি সরিয়ে ফেলা হবে। তবে ফরাসী রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে কাজের প্রয়োজনে এলে ভাস্কর্যটি লক্ষ্য করে করেন এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি [[জিয়াউর রহমান|জিয়াউর রহমানকে]] অবহিত করেন যে সেটি ফ্রান্সের সমকালীন ভাস্কর্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এ ঘটনার পরে হামিদকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ করা হয় এবং মন্ত্রী ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ভাস্কর্যটির প্রশংসা করেন। শিল্প-সমালোচকরা ভাস্কর্যটিকে বাংলাদেশে আধুনিক ভাস্কর্যের শ্রেষ্ঠ উপস্থাপনা বলে আখ্যায়িত করেন। শিল্প সমালোচক [[সৈয়দ আলী আহসান]] তাঁর বইয়ে এই কাজটিকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন।<ref name=DailySun/>
১৯৮১ সালে [[সিলেট|সিলেটের]] জালালাবাদ সেনানিবাসে হামিদের একটি ভাস্কর্য স্থাপিত হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার অবয়বে গঠিত ভাস্কর্যটির নাম ''হামলা''। একই বিষয়বস্তকে কেন্দ্র করে ১৯৮৫ সালে [[বাংলা একাডেমি|বাংলা একাডেমিতে]] ''মুক্তিযোদ্ধা'' শীর্ষক তাঁর আরেকটি ভাস্কর্য স্থাপিত হয়। হামিদের প্রথম একক প্রদর্শনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ গ্যালারিতে ১৯৮২ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রধানত তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্যসমূহ প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীতে প্রচুর জনসমাগম ঘটে এবং শিল্প সমালোচক ও সমঝদাররা প্রদর্শনীটির ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য প্রকাশ করেন।<ref name=NZ>{{
হামিদুজ্জামান খান ১৯৮৮ সালে [[দক্ষিণ কোরিয়া|দক্ষিণ কোরিয়ার]] সিউল অলিম্পিক কমিটি থেকে তাঁর একটি ভাস্কর্য স্থায়ীভাবে স্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ পান। ভাস্কর্যটির নাম ''স্টেপস্ (সিড়ি)''। এটি কপার দিয়ে তৈরি, উচ্চতা ১৩ ফুট।<ref name=way>[http://www.waymarking.com/waymarks/WMD6KG_The_Steps_5066851221_Olympic_Park__Seoul_Korea "The Steps (여정) - Olympic Park - Seoul, Korea - Abstract Public Sculptures on Waymarking.com"].</ref> সিউল অলিম্পিক পার্কের ভাস্কর্য উদ্যানে একশ পঞ্চাশটি দেশের ভাস্কর্যের পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের অংশগ্রহণ হিসেবে স্থান পায়। [[জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়|জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের]] কেন্দ্রীয় পাঠাগারের সম্মুখে ১৯৮৯ সালে হামিদের ''সংশপ্তক'' নামে একটি ভাস্কর্য স্থাপিত হয়। মূল ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১২ ফুট এবং বেদীর উচ্চতা ১৩ ফুট। বেদী লাল ইট দ্বারা নির্মিত এবং মূল ভাস্কর্য ব্রোঞ্জের পাত দিয়ে তৈরি। এতে শত্রুর আঘাতে দেহ থেকে একটি হাত ও একটি পা বিচ্ছিন্ন হওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার অবয়বকে আধুনিক শৈলীতে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা প্রচণ্ড গতিতে ধাবমান, কোন বাঁধাই তাকে আটকাতে পারছে না। ''সংশপ্তক'' বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে।<ref>{{
===২০০০ থেকে বর্তমান===
হামিদুজ্জামান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ভাস্কর্য বিভাগে অধ্যাপক হন ২০০০ সালে। ২০০১ সালে [[ঢাকা সেনানিবাস|ঢাকা সেনানিবাসে]] ''বিজয় কেতন'' নামে হামিদের একটি ভাস্করযয স্থাপিত হয়। এতে একদল মুক্তিযোদ্ধার অবয়ব পরিস্ফুটিত হয়েছে। [[গুলশান|গুলশানের]] ইউনাইটেড ভবনের প্রবেশপথে ''পাখি'' নামে তাঁর একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। ভাস্কর্যে পাখিগুলো বিমূর্ত ধারায় উপস্থাপিত হয়েছে। ২০০৪ সালে ঢাকার আগারগাঁও-এ [[বিশ্বব্যাংক]] দপ্তরে হামিদের একাধিক শিল্পকর্ম স্থাপন করা হয়। দপ্তরের প্রবেশমুখে রিলিফ ভাস্কর্য, ভবনের ভেতরে ১৮টি তৈলচিত্র, টেরাকোটা, মাছের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট ধাতব ভাস্কর্য ও ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। এছাড়া ভবনের ভেতরে অ্যাট্রিয়ামে হামিদের ''ফ্লাইং বার্ড্স (উড়ন্ত পাখি)'' ৫৬ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য স্থাপিত হয়, যার নাম পাখি। এতে বিমূর্ত আঙ্গিকে পাখির অবয়ব বিশিষ্ট একই ধরনের তিনটি ফর্ম ঝুলন্ত ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
২০০৫ সালে [[ঢাকা সিটি কর্পোরেশন]] হামিদুজ্জামানকে [[ফার্মগেট|ফার্মগেটে]] একটি ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য অনুরোধ করে। ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সম্মুখে ''মাছ'' নামে ভাস্কর্যটি স্থাপিত হয়েছে, যাতে স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গিতে তিনটি মাছ উপস্থাপিত হয়েছে। এটি নির্মিত হয়েছে ইস্পাত দ্বারা। ঢাকার [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটার]] প্রাঙ্গনে হামিদুজ্জামানের দুইটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। গাজীপুরে অবস্থিত [[জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়|জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের]] প্রবেশপথে হামিদের ''শিখা'' নামে একটি বিমূর্ত ধারার ভাস্কর্য স্থাপিত হয়। এতে শিক্ষার ফলে মানবিক দ্যুতি ও জ্ঞানের বিকাশ ঘটার ধারণাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৩২ ফুট, প্রস্থে ১৩ ফুট এবং এটি ধাতব নির্মিত।
২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুরোধে হামিদ ''শান্তির পাখি'' নামে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। এটি [[ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ছাত্র-শিক্ষক কেন্দের (টিএসসি)]] সম্মুখে স্থাপিত হয়েছে। ভাস্কর্যটি স্টেইনলেস ইস্পাতে তৈরি এবং এতে একদল পাখি বিমূর্ত আঙ্গিকে একটি তির্যক কলামের উপরে উপস্থাপিত হয়েছে। ২০০৭ সালে হামিদুজ্জামান খান টিকাটুলিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক [[রোজ গার্ডেন|রোজ গার্ডেনকে]] কেন্দ্র ''রোজ গার্ডেন'' শিরোনামে করে একটি বই প্রকাশ করেন। এই বইতে তিনি রোজ গার্ডেন প্রাসাদের বিভিন্ন বিষয়বস্তু কালি-কলম, ক্রেয়ন এবং জলরঙ মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। বইতে ভবনের দেয়ালে কারুকাজ ছাড়াও তিনি চাঁদনী রাতে, বর্ষায়, দিবালোকে বিভিন্ন সময় রোজ গার্ডেন দেখতে কেমন লাগে, প্রাসাদ চত্বরের সাদা সিমেন্টের ভাস্কর্য, গোলাপ বাগানের সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন। ২০১১ সালে মতিঝিলে [[বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন]] প্রাঙ্গনে ''ইউনিটি'' নামে হামিদের একটি ভাস্কর্য স্থাপিত হয়। ইস্পাত দিয়ে নির্মিত ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৩২ ফুট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগ থেকে ২০১২ সালে হামিদ অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]] ''হামিদুজ্জামান খান রেট্রোস্পেকটিভ'' নামে ১৯৬৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তাঁর নির্মিত শিল্পকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনী আয়োজন করে। এতে প্রায় ৩০০টি ভাস্কর্য এবং ২৫টি চিত্রকর্ম উপস্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালে [[গাজীপুর জেলা|গাজীপুরের]] [[কালিয়াকৈর উপজেলা|কালিয়াকৈরে]] হামিদুজ্জামানের কর্মজীবন ও তাঁর পাঁচ দশকের শিল্পসাধনার প্রতি সম্মান জানিয়ে ‘[[হামিদুজ্জামান ভাস্কর্য পার্ক]]’ নামে একটি ভাস্কর্য উদ্যান প্রতিষ্ঠিত হয়।<ref name=PA>{{
২০১৮ সাল অবধি, হামিদের ৩৩টি একক প্রদর্শনী হয়েছে। পাঁচ দশকের অধিক সময়ের কর্মজীবনে হামিদের নির্মাণ করা ১৫০-এর বেশি ভাস্কর্য বাংলাদেশ, ভারত, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপিত বা প্রদর্শিত হয়েছে।
৮২ নং লাইন:
===একক প্রদর্শনী===
* ''একক ভাস্কর্য প্রদর্শনী'', [[বাংলাদেশের দূতাবাস, ওয়াশিংটন, ডি.সি.]], যুক্তরাষ্ট্র, (১৯৮৩).<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://bengalfoundation.org/featured_artist/hamiduzzaman-khan/ |শিরোনাম=Hamiduzzaman Khan |সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-16 |কর্ম=বেঙ্গল ফাউন্ডেশন}}</ref>
* ''An Indigenous Minimalist (অ্যান ইন্ডিজেনাস মিনিমালিস্ট)'', বেঙ্গল গ্যালারি অফ ফাইন আর্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০০২).<ref>{{
* ''Homage to Matter (বস্তুর জন্য শ্রদ্ধার্ঘ্য)'', [[ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ]], ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০০৬).<ref>{{
* ''Recent Sculpture and Other Works (সাম্প্রতিক ভাস্কর্য এবং অন্যান্য কাজ'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০০৬).<ref>{{
* ''The Intimate World of Colour (দ্য ইন্টিমেট ওয়ার্ল্ড অফ কালার্স'', গ্যালারি অফ ফাইন আর্ট, [[বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি]], ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০০৮).<ref>{{
* ''Nocturnal Shades (নকটারনাল শেড্স'', বেঙ্গল গ্যালারি অফ ফাইন আর্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১০).<ref>{{
* ''Time and Beyond (টাইম এন্ড বিয়ন্ড)'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১০).<ref>{{
* ''Watercolours & Sculptures (ওয়াটার কালার এন্ড স্কাল্পচার্স)'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১২).<ref>{{
* ''Earthly Treasures (আর্থলি ট্রেজারস্)'', অ্যাথেনা গ্যালারি, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৪).<ref>{{
* ''Stones (স্টোন্স)'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৪).<ref>{{
* ''Stones-2 (স্টোন্স-২)'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৬).<ref>{{
* ''Of Watercolours, Boats and Faces (অফ ওয়াটার কালার্স, বোট্স এন্ড ফেইসেস)'', শিল্পাঙ্গন গ্যালারি, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৬).<ref>{{
* ''জীবন অন্বেষণে'', [[বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট]], ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৭).<ref>{{
* ''Hamiduzzaman Khan Retrospective (হামিদুজ্জামান খান রেট্রোস্পেক্টিভ'', নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারি, [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]], ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৭).<ref name=retro1>{{
* ''Nocurnal Shades (নকটারনাল শেড্স)'', আবিন্তা গ্যালারি অফ ফাইন আর্টস, ঢাকা, বাংলাদেশ (২০১৮).<ref>{{
* হামিদুজ্জামান খানের প্রাথমিক শিল্পীজীবনের আঁকা জলরঙের প্রদর্শনী, গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৮).<ref>{{
* ''Feeling the Void (ফিলিং দ্য ভয়েড)'', দ্বীপ গ্যালারি, ঢাকা, বাংলাদেশ (২০১৯).<ref>{{
===দলগত প্রদর্শনী===
* ''ওয়ার্ল্ড ইনভাইটেশনাল ওপেন-এয়ার স্কাল্পচার এক্সিবিশন'', সিউল অলিম্পিক পার্ক, [[সিউল]], [[কোরিয়া প্রজাতন্ত্র]], (১৯৮৮).<ref name=NewAge2>{{
* ''Soft Reflections (সফ্ট রিফ্লেকশন্স)'', গ্যালারি কসমস, ঢাকা, বাংলাদেশ (২০১৫).<ref>{{
* ''মানবতার পক্ষে সহিংসতার বিরুদ্ধে চিত্রকর্ম'', গ্যালারি কসমস, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৫).<ref>{{
* ''গ্যালারি কায়ার একাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রদর্শনী'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৫).<ref>{{
* ''Brave Heart (ব্রেইভ হার্ট)'', গ্যালারি কসমস, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৫).<ref>{{
* ''গ্যালারি কায়ার ত্রয়োদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রদর্শনী'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৭).<ref>{{
* ''জলকাব্য'', এজ গ্যালারি, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৭).<ref>{{
* ''বাংলাদেশের সমকালীন ও আধুনিক চিত্রকলা'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০০১৭).<ref>{{
* ''চতুর্থ জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী'', [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি]], ঢাকা, বাংলাদেশ (২০১৮).<ref>{{
* ''গ্যালারি কায়ার চতুর্দশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রদর্শনী'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৮).<ref>{{
* ''Still Life 2018 (স্টিল লাইফ ২০১৮)'', গ্যালারি চিত্রক, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৮).<ref>{{
* ''বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ ফাইন আর্ট এক্সিবিশন ২০১৮'', পার্ক গ্যালারি, ললিতপুর, [[নেপাল]] (২০১৮).<ref>{{
* ''Soaked in Paper (সোক্ড ইন পেপার)'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ (২০১৯).<ref>{{
* ''চারুকলা উৎসব ২০১৯'', জয়নুল গ্যালারি, [[চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]], ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৯).<ref>{{
* ''গ্যালারি কায়ার পঞ্চদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রদর্শনী'', গ্যালারি কায়া, ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০১৯).<ref>{{
* ''Prologue 01 (প্রোলগ ০১)'', ঢাকা গ্যালারি, ঢাকা, বাংলাদেশ (২০১৯).<ref>{{
* ''দলগত জলরঙ প্রদর্শনী'', জয়নুল গ্যালারি, [[চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]], ঢাকা, বাংলাদেশ, (২০২০).<ref>{{
==সম্মাননা==
১২৪ নং লাইন:
* ভাস্কর্যে অবদানের জন্য [[একুশে পদক]], (২০০৬)<ref name=NewAge1/>
* এস এম সুলতান স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, (২০১২)
* জয়নুল সম্মাননা ২০১৯, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (২০১৯)<ref>{{
==চিত্রশালা==
১৩১ নং লাইন:
</gallery>
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা|4}}
{{একুশে পদক বিজয়ী ২০০৬}}
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:খান, হামিদুজ্জামান}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪৬-এ জন্ম]]
|