উয়েফা ইউরোপা লিগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ইতিহাস: চিত্র
→‎ইতিহাস: চিত্র
৩১ নং লাইন:
১৯৮০-এর দশকে, [[আইএফকে গেতেবার্গ]] (১৯৮২ এবং ১৯৮৭) এবং [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]] (১৯৮৫ এবং ১৯৮৬) উভয় ক্লাবই দুই বার করে শিরোপা জয়লাভ করেছিল। অন্যদিকে, [[রয়্যাল স্পোর্টিং ক্লাব আন্ডারলেখট|আন্ডারলেখট]] টানা দুইবার ফাইনালে উঠেছিল, যার মধ্যে প্রথমবার অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে তারা শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং দ্বিতীয়বার টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে পরাজিত হয়েছিল। ১৯৮৯ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতায় ইতালীয় ক্লাবগুলোর আধিপত্য শুরু হয়েছিল, উক্ত আসরে [[দিয়েগো মারাদোনা]]র [[এসএসসি নাপোলি|নাপোলি]] [[ভিএফবি স্টুটগার্ট]]কে পরাজিত করেছিল। টানা দুটি ইতালীয় ক্লাব সম্বলিত ফাইনালের মধ্য দিয়ে ১৯৯০-এর দশক শুরু হয়েছিল; যার মধ্যে ১৯৯২ সালে [[তোরিনো ফুটবল ক্লাব|তোরিনো]] [[এএফসি আয়াক্স|আয়াক্সের]] কাছে [[অ্যাওয়ে গোল নিয়ম|অ্যাওয়ে গোল নিয়মের]] মাধ্যমে ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে [[ইয়ুভেন্তুস ফুটবল ক্লাব|ইয়ুভেন্তুস]] তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতা জয়লাভ করেছিল এবং পরবর্তী বছর [[ইন্টার মিলান]] শিরোপা জয়লাভের মাধ্যমে ইতালিতেই কাপটি ধরে রেখেছিল। ১৯৯৫ সালে পর পর দুই বার উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ ফাইনালের পর পারমা তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে তৃতীয় বারের মতো সর্ব-ইতালীয় ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত করেছিল। উক্ত দশকে কোন ইতালীয় দল ছাড়া একমাত্র ফাইনালটি ছিল ১৯৯৬ সালের ফাইনাল; উক্ত ম্যাচে জার্মান ক্লাব [[ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ|বায়ার্ন মিউনিখ]] ফরাসি ক্লাব [[ফুটবল ক্লাব জিরোঁদেঁ দে বর্দো|বর্দো]]কে দুই লেগ শেষে সামগ্রিকভাবে ৫–১ গোলে (প্রথম লেগে ২–০ এবং দ্বিতীয় লেগে ৩–১) পরাজিত করেছিল। ইন্টার মিলান পরের দুই বছরে ফাইনালে পৌঁছেছিল; যার মধ্যে ১৯৯৭ সালে [[এফসি শালকে ০৪|শালকের]] কাছে পেনাল্টির মাধ্যমে পরাজিত হলেও ১৯৯৯ সালে অন্য এক ইতালীয় ক্লাব [[এসএস লাৎসিয়ো|লাৎসিয়োকে]] ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে পারমা দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছিল, যার পর এই প্রতিযোগিতায় ইতালীয় আধিপত্যের অবসান হয়েছিল।
 
[[File:2015 UEL Final 2.jpg|left|thumb|250px|upright|২০১৫ সালে শিরোপা জয়ের উল্লাসে সেভিয়া দলের সদস্যরা]]
লিভারপুল ২০০১ সালে তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতা জয়লাভ করেছিল। ২০০২ সালে, [[রটার্ডাম|রটার্ডামের]] [[ডে কুইপ|ডে কুইপে]] তাদের নিজস্ব স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচে [[বরুসিয়া ডর্টমুন্ড]]কে ৩–২ গোলে হারিয়ে ফেইয়ানর্ট ক্লাবের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল। পরবর্তীতে পর্তুগিজ দল [[এফসি পোর্তু|পোর্তু]] ২০০৩ এবং ২০১১ সালের আসরে শিরোপা জয়লাভ করেছিল; যার মধ্যে দ্বিতীয়বার পোর্তু তাদের ঘরোয়া লীগের দল [[এসসি ব্রাগা|ব্রাগা]]কে হারিয়ে জয়লাভ করেছিল। ২০০৪ সালে, [[বালেনসিয়া ক্লাব দে ফুটবল|বালেনসিয়া]] এই প্রতিযোগিতা জয়লাভের মাধ্যমে প্রায় ১৮ বছর পর স্পেনে শিরোপা আনতে সক্ষম হিয়েছিল এবং পরবর্তীতে সেভিয়া ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে টানা দুইবার এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভ করেছিল; যার মধ্যে ২০০৭ সালে সেভিয়া অন্য এক স্পেনীয় ক্লাব [[রিয়াল ক্লাব দেপোর্তিউ এস্পানিওল|এস্পানিওল]]কে পরাজিত করেছিল। সেভিয়ার সাফল্যের মতো, দুই রুশ দল (২০০৫ সালে [[পিএফসি সিএসকেএ মস্কো|সিএসকেএ মস্কো]] এবং ২০০৮ সালে [[ফুটবল ক্লাব জিনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ|জিনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ]]) শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করেছিল। অন্যদিকে ২০০৯ সালে প্রথম ইউক্রেনীয় দল হিসেবে [[ফুটবল ক্লাব শাখতার দোনেৎস্ক|শাখতার দোনেৎস্ক]] শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। ২০০৯–১০ মৌসুমে, উয়েফা ইউরোপা লীগে নামকরণ করার পর আয়োজিত প্রথম তিন মৌসুমের দুটিতেই স্পেনীয় ক্লাব [[আতলেতিকো মাদ্রিদ]] শিরোপা জয়লাভ করেছিল; যার মধ্যে দ্বিতীয়বার তারা তাদের ঘরোয়া লীগের অন্য এক ক্লাব [[অ্যাথলেটিক বিলবাও]]কে ৩–০ গোলে হারিয়েছিল। ২০১৩ সালে, [[চেলসি ফুটবল ক্লাব|চেলসি]] প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপাধারী হিসেবে পরবর্তী বছর উয়েফা কাপ অথবা ইউরোপা লীগ শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ২০১৪ সালে, সেভিয়া পেনাল্টিতে [[স্পোর্ট লিসবোয়া বেনফিকা|বেনফিকা]]কে পরাজিত করে আট বছরে তাদের তৃতীয় কাপ জয়লাভ করেছিল। এর এক বছর পরে, ২০১৫ সালে, সেভিয়া তাদের চতুর্থ উয়েফা কাপ অথবা ইউরোপা লীগ শিরোপা জয়লাভ করে এবং অভূতপূর্ব এক কৃতিত্বের গড়ার মাধ্যমে তারা ২০১৬ সালের ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে পঞ্চম শিরোপা জয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে সফল দলে পরিণত হয়েছে।