উয়েফা ইউরোপা লিগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎বহিঃসংযোগ: সম্প্রসারণ
→‎ইতিহাস: সংশোধন
২৬ নং লাইন:
উয়েফা কাপের পূর্বে [[ইন্টার-সিটিস ফেয়ার্স কাপ]] অনুষ্ঠিত হতো, যা ১৯৫৫ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার অংশ ছিল। এই প্রতিযোগিতাটির [[১৯৫৫–৫৮ ইন্টার-সিটিস ফেয়ার্স কাপ|১৯৫৫–৫৮]]-এ আয়োজিত প্রথম সংস্করণে ১১টি দল অংশগ্রহণ করেছিল, যা বেড়ে গিয়ে [[১৯৭০–৭১ ইন্টার-সিটিস ফেয়ার্স কাপ|১৯৭০–৭১]] মৌসুমে আয়োজিত সর্বশেষ সংস্করণে ৬৪টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। এটি ইউরোপীয় ফুটবলের প্রেক্ষাপটে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল যে শেষ পর্যন্ত উয়েফা এটি নিজের অধীনে নিয়ে এসেছিল এবং পরবর্তী মৌসুমে এই প্রতিযোগিতাকে উয়েফা কাপ হিসেবে পুনরায় চালু করে।
 
১৯৭১–৭২ মৌসুমে আয়োজিত প্রথম উয়েফা কাপ প্রতিযোগিতার ফাইনালে [[টটেনহ্যাম হটস্পার ফুটবল ক্লাব|টটেনহ্যাম হটস্পার]] [[উভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ফুটবল ক্লাব|উভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের]] মুখোমুখি হয়েছিল; যেখানে টটেনহ্যাম দুই লেগ শেষে সামগ্রিকভাবে ৩–২ গোলে (প্রথম লেগে ২–১ এবং দ্বিতীয় লেগে ১–১) উলভারহ্যাম্পটনকে পরাজিত করে শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ১৯৭৩ সালে অন্য আরেক ইংরেজ ফুটবল ক্লাব [[লিভারপুল ফুটবল ক্লাব|লিভারপুল]] এই প্রতিযোগিতা জয়লাভের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইংরেজ ক্লাব শিরোপা জয়লাভ করে, উক্ত আসরের ফাইনালে লিভারপুল জার্মান ক্লাব [[বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ]]কে দুই লেগ শেষে সামগ্রিকভাবে ৩–২ গোলে (প্রথম লেগে ৩–০ এবং দ্বিতীয় লেগে ০–২) পরাজিত করেছিল। পরবর্তীতে মনশেনগ্লাডবাখ ১৯৭৫ এবং ১৯৭৯ সালে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং ১৯৮০ সালে পুনরায় রানার-আপ হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে [[ফেইয়ানর্ট]] টটেনহ্যাম হটস্পারকে সামগ্রিকভাবে ৪–২ গোলে (প্রথম লেগে ২–২ এবং দ্বিতীয় লেগে ২–০) পরাজিত করে শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ১৯৭৬ সালে লিভারপুল ফাইনালে [[ক্লাব ব্রুজ কেভি|ক্লাব ব্রুজ]]কে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
 
১৯৮০-এর দশকে, [[আইএফকে গেতেবার্গ]] (১৯৮২ এবং ১৯৮৭) এবং [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]] (১৯৮৫ এবং ১৯৮৬) উভয় ক্লাবই দুই বার করে শিরোপা জয়লাভ করেছিল। অন্যদিকে, [[রয়্যাল স্পোর্টিং ক্লাব আন্ডারলেখট|আন্ডারলেখট]] টানা দুইবার ফাইনালে উঠেছিল, যার মধ্যে প্রথমবার অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে তারা শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং দ্বিতীয়বার টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে পরাজিত হয়েছিল। ১৯৮৯ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতায় ইতালীয় ক্লাবগুলোর আধিপত্য শুরু হয়েছিল, উক্ত আসরে [[দিয়েগো মারাদোনা]]র [[এসএসসি নাপোলি|নাপোলি]] [[ভিএফবি স্টুটগার্ট]]কে পরাজিত করেছিল। টানা দুটি ইতালীয় ক্লাব সম্বলিত ফাইনালের মধ্য দিয়ে ১৯৯০-এর দশক শুরু হয়েছিল; যার মধ্যে ১৯৯২ সালে [[তোরিনো ফুটবল ক্লাব|তোরিনো]] [[এএফসি আয়াক্স|আয়াক্সের]] কাছে [[অ্যাওয়ে গোল নিয়ম|অ্যাওয়ে গোল নিয়মের]] মাধ্যমে ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে [[ইয়ুভেন্তুস ফুটবল ক্লাব|ইয়ুভেন্তুস]] তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতা জয়লাভ করেছিল এবং পরবর্তী বছর [[ইন্টার মিলান]] শিরোপা জয়লাভের মাধ্যমে ইতালিতেই কাপটি ধরে রেখেছিল। ১৯৯৫ সালে পর পর দুই বার উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ ফাইনালের পর পারমা তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে তৃতীয় বারের মতো সর্ব-ইতালীয় ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত করেছিল। উক্ত দশকে কোন ইতালীয় দল ছাড়া একমাত্র ফাইনালটি ছিল ১৯৯৬ সালের ফাইনাল; উক্ত ম্যাচে জার্মান ক্লাব [[ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ|বায়ার্ন মিউনিখ]] ফরাসি ক্লাব [[ফুটবল ক্লাব জিরোঁদেঁ দে বর্দো|বর্দো]]কে দুই লেগ শেষে সামগ্রিকভাবে ৫–১ গোলে (প্রথম লেগে ২–০ এবং দ্বিতীয় লেগে ৩–১) পরাজিত করেছিল। ইন্টার মিলান পরের দুই বছরে ফাইনালে পৌঁছেছিল; যার মধ্যে ১৯৯৭ সালে [[এফসি শালকে ০৪|শালকের]] কাছে পেনাল্টির মাধ্যমে পরাজিত হলেও ১৯৯৯ সালে অন্য এক ইতালীয় ক্লাব [[এসএস লাৎসিয়ো|লাৎসিয়োকে]] ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে পারমা দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছিল, যার পর এই প্রতিযোগিতায় ইতালীয় আধিপত্যের অবসান হয়েছিল।