ভূত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
42.110.241.19-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Md Minhaz Uddin Majumder-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১১ নং লাইন:
 
বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতিতে ভূতের অস্তিত্ব বিশ্বাস করা হয়। আবার কিছু ধর্মে করা হয় না, যেমন ইসলাম এবং ইহুদী ধর্মে। এসব ধর্মাবলম্বীদের মতে মানুষের মৃত্যুর পর তার আত্মা চিরস্থায়ীভাবে পরলোকগমন করে আর ইহলোকে ফিরে আসে না।
 
* '''ভূত আছে তার সাপেক্ষে বৈজ্ঞানিক যুক্তি'''
* লেখা - উদিত রানা দাস
*
 
লেখা-উদিত রানা দাস
 
অধিকাংশ ঐতিহাসিক এবং বিজ্ঞানীদের মতে টেলিপ্যাথি ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আবিষ্কৃত হতে পারে।
 
টেলিপ্যাথি হচ্ছে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে বার্তা প্রেরণের মাধ্যম যেখানে কোনো সাধারণ মাধ্যম অথবা শরীরের বাহ্যিক অঙ্গ ব্যবহার করা হয় না।
 
কিন্তু এখানে ব্যবহার হয় আত্মার, অর্থাৎ এক ব্যাক্তির আত্মা এর সাথে অন্য ব্যাক্তির  আত্মা এর যোগমাধ্যম, যেটা আমাদের  বিজ্ঞান এখনো এর কোনো যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে পারেনি যে কি করে টেলিপ্যাথি হচ্ছে কিন্তু তারা এটা মানতে বাধ্য হয়েছে যে টেলিপ্যাথি বাস্তবে হয় আর হচ্ছে ও।
 
তাহলে আপনাদের কাছে আমি দুট প্রশ্ন আপাততঃ রাখছি,
 
1. টেলিপ্যাথি প্রমাণ করে আত্মা আছে, তাহলে দেহ মরার পর আত্মা কোথায় যায়?
 
<nowiki>#</nowiki>Astral_Travel, হয়তো অনেকেই এই শব্দটার সাথে পরিচিত বা নাও হতে পারেন।
 
সংক্ষেপে বলে রাখি, শরীর থেকে নিজের আত্মাকে বের করে বাস্তব জগতে ঘুরে বেড়ানো বা অন্য জগতে পদার্পণ, তাকে বলে Astral Travel।
 
যেটা প্রাচীনকালের যোগীরা করতে সক্ষম ছিল কিন্তু এগুলো এখন খুব একটা পাওয়া না গেলে ও, এটা নিয়ে বিদেশে রিসার্চ করা হয়, পড়ানো হয়। [কারণ আমরা আমাদের ভারতীয় যোগ বিদ্যাকে কোনো দাম দিয়ে থাকি না কিন্তু বিদেশীরা দেয়, আমরা শুধু International Yoga Day Celibate করে থাকি]
 
আর একটা বিশেষ তথ্য দিয়ে রাখি অনেকে মস্তিস্কের উদ্দীপনা চিকিৎসা এবং হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগগুলি যেমন কেটামিন , ফেনসাইক্লাইডিন এবং ডিএমটি থেকে Astral Travel এর অভিজ্ঞতা রোগীদের ক্ষেত্রে রয়েছে । সহজ ভাষাই বললে আপনারা অনেকেই নিউজ চ্যানেল এ দেখে থাকবেন যে এরকম অনেক রিসার্চ হয় যেখানে কিছু রোগী তারা দেহ থেকে বেরিয়ে অনেক কিছু উপলব্ধি করে তার দেহে প্রবেশ করে। তাদের অভিজ্ঞতা গুলো নিয়ে রিসার্চ করা হয়ে থাকে।
 
তো আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন এর ওপর নির্ভর আত্মা যদি বাস্তবে না থাকে বিজ্ঞানের মতে, তাহলে Astral Travel কি ভাবে সম্ভব?
 
তো দুটো প্রশ্ন -
 
1. টেলিপ্যাথি বাস্তব এতে আত্মার ব্যবহার হওয়া সত্ত্বেও বিজ্ঞান এটা এখনো কেনো প্রমাণ করতে পারছে না? বিজ্ঞান এই বিষয় নিয়ে কেনো চুপ?আত্মার অস্তিত্ব মেনে নিতে হবে তাই কি?
 
2. Astral Travel হচ্ছে বা আগে হয়ে থাকতো, সেগুলো বিজ্ঞান কেনো প্রমাণ করতে পারছে না এগুলো ভুল?
 
বিদেশে কেনো এগুলো নিয়ে পড়াশুনা করছে মানুষজন
 
যদি এগুলো ভিত্তিহীন হয় তো?
 
এই টেলিপ্যাথি আর Astral Travel দুটোই ভারতীয় যোগ শাস্ত্রের বিশেষ একটি যোগ বা ধ্যান এর একটি বিশেষ অবস্থা। টেলিপ্যাথি এখন 2020 তে দাঁড়িয়ে করতে পারলে ও, সঠিক জ্ঞান এর ওভাবে Astral Travel এখনও সবার আয়ত্তে আসেনি কিন্তু এর অস্তিত্ব প্রাচীন যোগ শাস্ত্রে পাওয়া যায় আর বর্তমান কালে ওষুধের ওপর নির্ভর করে কিছুটা করার চেষ্টা করছে, তবে অনেক যোগী আছে তারা এগুলো এখনও করতে পারে কিন্তু তারা মানুষের বসতির দূরে বসবাস করে। ভালো ভাবে খুঁজতে গেলে আমাদের নেপাল বা চায়না যেতে হবে, বুদ্ধ মঙক যারা আমাদের ভারতীয় যোগ শাস্ত্র এখনও ব্যবহার করে। (বিজ্ঞানের ভিত্তিতে একটা মানুষ জলের মধ্যে নিশ্বাস না নিয়ে 10 মিনিট এর বেশি থাকতে পারে না কিন্তু একটা বুদ্ধ মঙক 30 মিনিট এর ও বেশি থাকতে পারে, এটা আমাদের ভারতীয় যোগ শাস্ত্র)
 
তো এতো কিছু বলার একটাই উদ্দেশ্য আত্মা আছে মানে মানুষের মৃত্যুর পর নিশ্চয় আত্মা মরতে পারে না। কারণ আত্মা যদি শরীর ছাড়া মরে যেতো তাহলে Astral Travel, Telepathy এর মতো এই জিনিস গুলো হতো না বা করা যেতো না।
 
অর্থাৎ শরীর ছাড়া ও আত্মা বেঁচে থাকতে পারে। তাহলে মরার পরে নিশ্চয় আত্মা আমাদের পরিবেশ মণ্ডল এ ঘুরে বেড়ায়। যাকে আমরা ভূত বলে থাকি।
 
অনেকই বলেন দেখতে পাই না কেনো।
 
তাহলে তাদেরকে আমি একটা ছোট্ট বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তি দিয়ে তাদের কাছ থেকে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর চাই
 
বাচ্চা অর্থাৎ যাদের বয়স 0-7 এর মধ্যে পরে তাদের সবার বেশিরভাগ বাচ্চাদের চোখের দুই ভ্রু এর মাঝে অর্থাৎ যেটাকে আমাদের ভারতীয় যোগ শাস্ত্রের ভাষাই Third Eye পয়েন্ট বলে, সেখানে একটা ব্ল্যাক ব্লন্ক স্পষ্ট থাকে যেটা বয়স বাড়ার সাথে সাথে পূর্ণ হয়ে যায় কিন্তু কুকুরের ক্ষেত্রে সেটা হয় না, ওদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত থেকেই যায়।
 
মূলত বলা যায় তাদের এই Third Eye খোলা থাকে তারা অতিপ্রাকৃত জিনিস অনুভব বা দেখতে পারে। (যেমন ভূমিকম্প হওয়ার আগে Riktar Scale এ কম্পন মাপার আগেই কুকুর বুঝতে পারে, চোর দেখলেই বুঝতে পারে)
 
যদিও এখন অনেক যোগ শেখানোর প্রতিষ্ঠানের দাবি তারা 2 দিনে Third Eye খুলে দেবে, আমি মনে করি সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কারণ এটা অনেক দিনের অনেক বছরে প্র্যাক্টিস এর পর মানুষ সেটা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু কুকুরের ক্ষেত্রে সেটা প্রয়োজন হয় না।
 
তো আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা বলি,  আমাদের বাড়ির কাছেই একটা মাঠে আমি আর আমার পোষা কুকুর ( Lab- Army Dog) দুপুরে মাঠে যায়, ঘুরতে। কিছুক্ষণ মাঠে ঘুরে বেরোনোর পর আমার কুকুরটি মাঠের একটি নির্দিষ্ট স্থানে দিকে তাকিয়ে ভীষণ ভাবে ডাকতে থাকে, কিন্তু সামনে কিছু ছিল না। এটা প্রায় 2_3 মিনিট অবধি চলে, তার পর আমাকে টানতে টানতে বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর থেকে ওই মাঠে ওকে আর নিয়ে যেতে পারিনি।
 
তো এর কি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আপনি দেবেন একটু বলুন।
 
আর উপরের প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর আশা করছি।
 
উপরের বলা টেলিপ্যাথি আর Astral Travel আত্মার অস্তিত্ব প্রমাণ করে, আর আত্মা থাকা মানে, মানুষ শরীরের মৃত্যুর পর আত্মা এর থাকা উচিত, যাকে আমরা ভূত বলে থাকি।
 
তাহলে ভূত আছে।
 
== তথ্যসূত্র ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/ভূত' থেকে আনীত