ইবনে রুশদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণঃ ইবন রুশদের এ নিবন্ধটি একেবারেই অসম্পূর্ণ , এটি ইংরেজি হতে অনুবাদ করে সমৃদ্ধ করছি।
সম্প্রসারণঃ প্রদত্ত নিবন্ধটি বাংলায় অসম্পূর্ণ, তবে বিজ্ঞানের ইতিহাসের গুরুত্ব বিবেচনায় এটি সংশ্লিষ্ট ইংরেজি নিবন্ধ হতে অনুবাদ করছি।
১৬ নং লাইন:
| influenced = [[সিগার ডি ব্রাবান্ত]], [[বোয়েটিয়াস অব ডাসিয়া]], [[থমাস হাহাপগে]], [[ইহা উটের]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.h-net.org/reviews/showrev.cgi?path=227091077594594 |শিরোনাম=H-Net Reviews |প্রকাশক=H-net.org |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2012-10-13 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071009022604/http://www.h-net.org/reviews/showrev.cgi?path=227091077594594 |আর্কাইভের-তারিখ=২০০৭-১০-০৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> [[বারুখ স্পিনোজা]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://carlosfraenkel.com/wordpress/wp-content/uploads/2011/07/Spinoza_on_Philosophy_and_Religion_The_Averroistic_Sources.pdf |শিরোনাম=Spinoza on Philosophy and Religion: The Averroistic Sources |সংগ্রহের-তারিখ=৭ জুলাই ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131203022000/http://carlosfraenkel.com/wordpress/wp-content/uploads/2011/07/Spinoza_on_Philosophy_and_Religion_The_Averroistic_Sources.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=৩ ডিসেম্বর ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
| notable_ideas = ইসলামের সাথে সাংস্কৃতিক হাজার সামঞ্জস্যবিধান
}}আবু ওয়ালিদ মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ ইবন রুশদ(আরবিঃأبو الوليد محمد ابن احمد ابن رشد‎, ১৪ এপ্রিল ১১২৬- ১১ ডিসেম্বর, ১১৯৮) ল্যাটিনকৃত নাম আভিরোস( Latinized: Averroes) একজন [[মুসলিম]] [[আন্দালুস|আন্দালুসীয়]] [[বহুবিদ্যাবিশারদ]] এবং আইনবিদ যিনি [[দর্শন]] দর্মতত্ত্ব[[ধর্মতত্ত্ব]] [[চিকিৎসা বিজ্ঞান|চিকিৎসাবিজ্ঞান]] [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]] [[পদার্থবিজ্ঞান]] [[মনোবিজ্ঞান]] [[গণিত|গনিত]] [[ফিকহ|ইসলামি আইনশাস্ত্র]] এবং [[ভাষাবিজ্ঞান]]<nowiki/>সহ বহু বিষয়ে লিখেছেন।তিনি শতাধিক বই এবং গবেষণাপত্রের রচয়িতা। তার দর্শন সংক্রান্ত কাজের মধ্যে আছে অ্যারিস্টটলের উপর বেশ কিছু ব্যাখ্যাগ্রন্থ, যে কারণে তিনি পাশ্চাত্যে ''ব্যাখ্যাদাতা(The Commentator)'' এবং ''যুক্তিবাদের জনক'' হিসেবে পরিচিত। ইবন রুশদ [[আলমোহাদ খিলাফত|আলমোহাদ খেলাফতের]] রাজসভার চিকিৎসক এবং প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে বহুদিন কাজ করেছেন।
 
তিনি [[কর্দোবা|কর্ডোবা]]<nowiki/>য় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১১২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবারের প্রধান পেশা ছিলো বিচারকার্য—তাঁর পিতামহ ছিলেন শহরের প্রধান বিচারপতি.১১৬৯ সালে তাকে খলিফা আবু ইয়াকুব ইউসুফের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, যিনি ইবন রুশদের প্রতিভায় বিমোহিত হন। তিনি তাঁর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নিয়োজিত হন এবং ইবন রুশদের বিভিন্ন গবেষণা কর্মে সাহায্য করেন। ইবন রুশদ পরবর্তীতে [[সেভিল]] এবং [[কর্দোবা|কর্ডোবায়]] বেশ কয়েকবার প্রধান বিচারপতির পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১১৮২ সালে তিনি রাজ চিকিৎসক এবং কর্ডোবার প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।.১১৮৪ সালে আবু ইউসুফের মৃত্যুর পরেও তাঁর রাজসভার সুদৃষ্টি বজায় থাকে, তবে ১১৯৫ সালে তিনি রাজসভার রোষে পতিত হন। তাঁর প্রতি বেশ কিছু অভিযোগ ছিলো—খুব সম্ভবত এর নেপথ্যে রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত ছিলো—এবং এ কারণে তাঁকে নির্বাসনে পাঠানো হয়।.১১৯৮ সালে, তাঁর মৃত্যুর কিছু দিন পূর্বেই তাঁকে আবার সসম্মানে রাজসভায় ফিরিয়ে আনা হয়।
 
ইবন রুশদ অ্যারিস্টললের মতাদর্শের এক তীব্র সমর্থক ছিলেন; তিনি [[এরিস্টটল|অ্যারিস্টটলের]] মূল শিক্ষা হিসেবে যা বিশ্বাস করতেন তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়াস করেছিলেন। এবং পূর্ববর্তী মুসলিম চিন্তানায়কদের নিওপ্লাটনিস্ট প্রবণতার বিরোধী ছিলেন, যেমন [[আল ফারাবী|আল-ফারাবি]], [[ইবনে সিনা|ইবন সিনা]] প্রমুখদের ব্যাখ্যা। তিনি [[আবু হামিদ আল-গাজ্জালি|আল গাযালি]]<nowiki/>র মতো আশ'আরি ধর্মতত্ত্ববিদ্গণের সমালোচনার বিরুদ্ধে দর্শনের চর্চার সমর্থন করেন। ইবন রুশদ বলেন যে, দর্শোনের চর্চা ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে অনুমোদিত এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতামূলক। তিনি আরো বলেন যে ধর্মীয় বইয়ের কোনো লেখা যখন যুক্তি এবং দর্শ্নের স্পষ্ট বিরোধী হবে তখন তা আক্ষরিকভাবে গ্রহণ না করে রূপকার্থে নিতে হবে। তিনি ইসলামি আইনশাস্ত্র সম্পর্কে ''বিদআত আল-মুজতাহিদ'' লিখেছেন, যা বিভিন্ন মাযহাবের আইনের মধ্যে ভিন্নতা এবং এর নীতি সম্পর্কে আলোচনা করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তিনি [[স্ট্রোক|স্ট্রোকের]] নতুন তত্ত্ব প্রদান করেন এবং প্রথমবারের মতো [[পারকিনসন রোগ|পারকিনসন রোগের]] বর্ণনা দেন। সম্ভবত তিনিই প্রথম ছিলেন যিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে [[অক্ষিপট|রেটিনা]] হচ্ছে আলোক্সংবেদনশীলতার প্রকৃত স্থান। তাঁর চিকিতসাবিজ্ঞানের বই ''আল-কুল্লিয়াত ফি আল-তিব্ব'', যা ল্যাটনে ''কলিজেট'' (''The Colliget'') শিরোনামে অনূদিত হয়েছিলো এবং কয়েক শতক ধরে ইউরোপে শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহৃত হয়েছিলো।
 
<br />
তাঁর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়েছে তাঁর অবস্থানগত, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং ভৌগলিক কারণে। পাশ্চাত্যে ইবন রুশদের পরিচিতির কারণ তাঁর [[এরিস্টটল|অ্যারিস্টটলে]]<nowiki/>র উপর কাজ, যার সিঙ্ঘভাগ পরবর্তীতে [[ল্যাটিন]] এবং [[হিব্রু ভাষা|হিবরু]] ভাষায় অনুদিত হয়েছিল। তাঁর অনুবাদকৃত এসব কর্ম পাশ্চাত্যে [[প্রাচীন গ্রিক দর্শন|গ্রিক দর্শন]] এর উৎসাহ পুনঃজাগরণে ভূমিকা রেখেছিলো, যা রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ইউরোপে জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চার যে বন্ধ্যাকাল ছিলো তা দূরীভূত করে। তাঁর এসব লেখা ল্যাটিন খ্রিষ্টান সমাজে ব্যপক আলোচনা সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম দেয়, আভিরোসবাদ(Averroism) নামে এক দার্শনিক আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। তাঁর জ্ঞানের একতা তত্ত্ব, যা প্রতিটি মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক অভিন্নতা দাবি করে থাকে,ইউরোপে অন্যতম বিতর্কিত এক তত্ত্বে পরিণত হয় । [[ক্যাথলিক গির্জা|ক্যাথলিক চার্চ]] তাঁর মতবাদ সমূহের বিপক্ষে তীব্র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। [[টমাস আকুইনাস|থমাস অ্যাকুইনাসে]]<nowiki/>র পরবর্তী সমালোচনায় এ মতবাদ ইউরোপে তার প্রভাব হারাতে থাকে। <br />
[[File:Colliget Auerrois totam medicinam V00026 00000002.tif|thumb|left|''Colliget'']]