হীরালাল চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎প্রণোদিত প্রজনন পদ্ধতি: বানান সংশোধন করা হল
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩০ নং লাইন:
===প্রণোদিত প্রজনন পদ্ধতি===
 
ব্যারাকপুরের কেন্দ্রে থাকার সময়ই তিনি লক্ষ্য করেন - গঙ্গার ধারে ইটভাটায় জোয়ারের জলে ভেসে আসা পেটফোলা মাছ ধরে টিপে দিতেই ওভাল শেপের স্বচ্ছ ডিম বেরিয়ে আসছে এবং কয়েক ঘন্টা এক পাত্রে রাখার পর জীবনের সঞ্চার প্রত্যক্ষ হচ্ছে - এই লক্ষ্যটিই – হীরালালকে ‘প্রণোদিত প্রজনন প্রক্রিয়া’ সম্পর্কেপ্রক্রিয়া’সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনার দিকে আকৃষ্ট করে।
কটকের মৎস্য গবেষণাগারে সিনিয়ার রিসার্চ অ্যাসিস্টান্ট হিসাবে মাছের এন্ডোক্রাইনোলজি ও ফিজিওলজির উপর দীর্ঘ নয় বৎসর গবেষণা করার পর ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ই জুলাই কার্প প্রজাতির মাছের প্রণোদিত প্রজনন পদ্ধতিতে সাফল্য লাভ করেন যা প্রাণীবিজ্ঞানে প্রথম সারির এক মৌলিক কাজ হিসাবে পরিগণিত হয়। এর আগে পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও এই প্রক্রিয়ায় মৎস্য প্রজনন সম্ভব হয় নি। আজ যেমন রুই-, কাতলা-, মৃগেল-বাটা-খয়রা, বাটাখয়র ও গ্রাসকাপ প্রজাতির মাছের প্রজনন সম্ভব হয়েছে, তেমনই কই-,পাবদা-,মাগুর সহ বহু মাছের প্রণোদিত প্রজননও করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর এই গবেষণার ফলস্বরূপ আজকে মাছচাষি এক সঙ্গে সমবয়সিসমবয়সী সুস্থ ডিমপোনা তার প্রয়োজনমতো যে কোনো সময়ে চাষের জন্য পেয়ে যাচ্ছেন। জাপানের খ্যাতনামা মৎস্যবিজ্ঞানী ডাঃ কে. কুরোনুমা হীরালালকে ‘প্রণোদিত প্রজননের জনক’ (father of induced breeding) বলে অভিহিত করেন। হীরালাল কেবল প্রণোদিত প্রজননেরই জনক নন, পরবর্তীতে তিনি পুকুরে মৎস্যোৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবিড় মিশ্রচাষের (মিশ্রচাষ হল একই পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির পৃথক পৃথক জলস্তরে পৃথক পৃথক খাদ্যাভ্যাসে থাকা মাছের বহুগুণ উৎপাদন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া) দিশা প্রদর্শক।
 
এ ছাড়াও তিনি কার্প প্রজাতির বারো রকমের নতুন শংকরীকরণশঙ্করীকরণ, আঁতুড় পুকুরের ডিমপোনা কোন কোন পোকার দ্বারা আক্রান্ত ও তার প্রতিকার এবং বিজ্ঞানসম্মত ভাবে আঁতুড় পুকুর পালনের পদ্ধতির উপায় বিশদে দেখিয়েছেন।।দেখিয়েছেন।<ref name = ":0"></ref>
১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে অবসর পর জাতিসংঘের এফএও (Food and Agricultural Organisation) এর উপদেষ্টা হয়ে সুদান, নাইজেরিয়া, ফিজি, লাওস, ফিলিপাইনস, মায়ানমার সহ বহু বিশ্বের দেশে কাজ করেছেন, তাঁর তিন দশকের অভিন্নতা ও প্রযুক্তিগত বুদ্ধিমত্তা মৎস্য উৎপাদনে ও জলজ পালন বিষয়ে সম্যক নিজানজ্ঞান সেদেশের মানুষদের সামনে পরিস্ফুট করেছেন । সেই সাথে তাঁদের অত্যন্ত প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। হীরালাল চৌধুরী ফিলিপিনসে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার ফিশারিজ উন্নয়ন কেন্দ্রের বা এসইএফডিইসি(SEAFDEC) র আঞ্চলিক সমন্বকারীসমন্বয়কারী ( রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর) ও সহকারী অধিকর্তা ছিলেন (১৯৭৬-৭৯)। ফিলিপিনসের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাকোয়াকালচারের পরিদর্শক বিজ্ঞানী ছিলেন।(১৯৮৫-৮৮)।<ref name=":1"People in Aquaculture’></ref>
 
হীরালাল চৌধুরী ভারতে “প্রণোদিত প্রজননের জনক” হিসাবে আখ্যা লাভ ছাড়াও দেশে-বিদেশের বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছ্নহয়েছেন নিজের কর্মসাফল্যে। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে চন্দ্রকলা হোরাস্মৃতি স্বর্ণ পদকস্বর্ণপদক, আমেরিকার অবার্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ‘গামা-সিগমা-ডেল্টা গোল্ডেন কিকী পুরস্কার , 'রফি আহমেদ কিদওয়াই' পুরস্কার লাভ করেন। দেশের বেসামরিক পুরস্কার পাননি তিনিবটে, তবে ভারত সরকার তাঁর যুগান্তকামী ‘প্রণোদিত প্রজনন পদ্ধতি’ উদ্ভাবনের দিনটি স্মরণে রেখে ১০ জুলাই দিনটিকেতারিখ ‘জাতীয় মৎস্যচাষী দিবস’বা ‘ন্যাশনাল ফিস্ ফার্মার্স ডে’ হিসাবে ঘোষণা করেছেন।১৯৯৮করেছেন। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর মৎস্যবিনিজান্মৎস্যবিজ্ঞানে সারাজীবনের অবদান ও সেবার জন্য সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে।<ref name= “:3">{{cite news|Personal news=Hiralal Choudhuri(1921-2014)|url=https://www.researchgate.net/publication/271201611_Hiralal_Chaudhuri_1921-2014_-_PERSONAL_NEWS}}</ref>
 
==সম্মাননা==