আতশবাজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rahatil Ashikin (আলোচনা | অবদান)
হালনাগাদ করা হল, বানান সংশোধন, বিষয়বস্তু যোগ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১০ নং লাইন:
মূলত চারটি প্রাথমিক রূপ আছে আতশবাজি্র, যথা: শব্দ, আলো, ধোঁয়া এবং ভাসমান উপকরণ। এগুলি রঙিন শিখা যেমন লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনি এবং সিলভার সহ নানান রঙের ঝলক (বৈদ্যুতিক স্পার্কের ন্যায়) সৃষ্টি করতে সক্ষম। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, খেলা এবং বহু সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আতশবাজির ব্যবহার হয়।
আতশবাজিগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য হ'ল একটি কাগজ বা কার্ডের নির্মিত টিউব যার ভেতরে থাকে দহনযোগ্য উপাদান, প্রায়শই ব্যবহৃত হয় পাইরোটেকনিক স্টার, যা বর্নিল আলোয়ে বিস্ফোরিত হয় ।স্কাইরকেট ফায়ারওয়ার্কের একটি সাধারণ রূপ, যদিও প্রথমে তা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল। যদিও বর্তমানে এটিকে আতশবাজির মূল উপাদান হিসাবে ধরা হয়।
 
আতশবাজি ছিল মূলত চীনের উদ্ভাবন। আতশবাজি করার একটি সাংস্কৃতিক অনুশীলন হ'ল অশুভ আত্মা কে ভয় দেখানো। [[চীনা নববর্ষ]] এবং মধ্য-শরৎ চাঁদ উত্সব এর মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এবং উত্সবগুলি তখনও ছিল এবং এখনও এমন সময় যখন আতশবাজি গ্যারান্টিযুক্ত দর্শনীয় স্থান ছিল। চীন বিশ্বের বৃহত্তম আতশবাজি প্রস্তুতকারক এবং রফতানিকারক দেশ।
==ইতিহাস==
[[File:Ming Dynasty Jin Ping Mei fireworks.jpg|thumb|left|
[[মিং রাজবংশ]] উপন্যাসের ১৬২৮-১৬৪৩ সংস্করণ থেকে একটি আতশবাজি প্রদর্শনের উদাহরণ।<ref name="Science and Civilisation in China">{{citeবই bookউদ্ধৃতি|firstপ্রথমাংশ=Joseph|lastশেষাংশ=Needham|yearবছর=1986|publisherপ্রকাশক=[[Cambridge University Press]]|titleশিরোনাম=Science and Civilisation in China, Volume 5: Chemistry and Chemical Technology, Part 7: Military Technology: The Gunpowder Epic|isbnআইএসবিএন=0-521-30358-3|pageপাতা=140}}</ref>]]
[[File:RoyalFireworks.jpg|thumb|left|1749 সালে ইংল্যান্ডের লন্ডন, [[টেম্‌স নদী]]-এর পাড়ে রাজকীয় আতশবাজি প্রদর্শনীর একটি নকশাকাটা কাপড়ের চিত্র]]
[[File:A firework display for Muḥammad Sháh, portrayed seated and leaning against a bolster..jpg|thumb|right|মুহাম্মদ শাহের জন্য একটি আতশবাজি প্রদর্শনী]]
[[File:Preparing Firework.jpg|thumb|সায়ান ক্যাসেল, জার্মানীতে আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছে]]
 
আতশবাজীর শুরুটা চীন থেকেই।.<ref>Gernet, Jacques (1962). ''Daily Life in China on the Eve of the Mongol Invasion, 1250–1276''. Translated by H.M. Wright. Stanford: Stanford University Press. Page 186. {{ISBN|0-8047-0720-0}}.</ref> নানান অনুষ্ঠানে চীনাদের আতসবাজির ব্যাবহার করার প্রমানপ্রমাণ রয়েছে।<ref name="temple-r">Temple, Robert K.G. (2007). ''The Genius of China: 3,000 Years of Science, Discovery, and Invention'' (3rd edition). London: André Deutsch, pp. 256–266. {{ISBN|978-0-233-00202-6}}</ref> ধীরে ধীরে আতশবাজি কেন্দ্রিক শিল্প গুলো স্বাধীন পেশায় পরিনত হতে থাকে এবং এই পেশায় সংশ্লিষ্টদের সম্মানের চোখে দেখা হতো।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Hutchins|firstপ্রথমাংশ=Paul|titleশিরোনাম=The secret doorway: Beyond imagination|yearবছর=2009|publisherপ্রকাশক=Imagination Publishing|isbnআইএসবিএন=978-0-9817123-3-8|pageপাতা=27}}</ref> চীনা জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করে যে আতশবাজি মন্দ '''আত্মা''' কে তাড়িয়ে দিতে এবং ভাগ্য এবং সুখ আনতে সক্ষম।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.cctv.com/program/civilization/20040923/101792.shtml|titleশিরোনাম= Lidu Fireworks|last1শেষাংশ১= |first1প্রথমাংশ১= |last2শেষাংশ২= |first2প্রথমাংশ২= |dateতারিখ= |websiteওয়েবসাইট= cctv.com|publisherপ্রকাশক= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=28 December 2014}}</ref>
 
হান রাজবংশ চলাকালীন (২০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ২২০ খ্রিস্টাব্দ), লোকেরা উচ্চ শব্দ সহ একটি বিস্ফোরণ তৈরি করতে বাঁশের কান্ডকে আগুনের মধ্যে ছুঁড়ে মারত।<ref name=frcrk/> পরবর্তী সময়ে, বারুদ ব্যবহার করা হতো এসব শব্দ তৈরি করার জন্য।<ref name=frcrk/> এই বিস্ফোরিত বাঁশের ডাল "বাওঝু" (爆竹) বা or ''বোগান'' (爆竿)নামে পরিচিত ছিল এবং যা বিনিময়যোগ্য ছিল। <ref name=frcrk/> সম্ভবত দ্বাদশ এবং সম্ভবত একাদশ শতাব্দীর মধ্যে '' বাওঝাং '' (爆 仗) শব্দটি বিশেষত আতশবাজী দেখাতেন যারা তাদের বোঝাতে ব্যবহৃত হতো।<ref name=frcrk>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|firstপ্রথমাংশ=Joseph|lastশেষাংশ=Needham|yearবছর=1986|publisherপ্রকাশক=[[Cambridge University Press]]|titleশিরোনাম=Science and Civilisation in China, Volume 5: Chemistry and Chemical Technology, Part 7: Military Technology: The Gunpowder Epic|isbnআইএসবিএন=0-521-30358-3|pageপাতা=128–131}}</ref>
 
সং রাজবংশীয় আমলে (৯৬০-১২৭৯) ক্রেতা সাধারণ আতশবাজি বাজার থেকেই কিনতে পারতেন বলে নিদর্শন পাওয়া গেছে।.<ref name="gernet1962">Gernet, Jacques (1962). ''Daily Life in China on the Eve of the Mongol Invasion, 1250–1276''. Translated by H.M. Wright. Stanford: Stanford University Press, pp. 186. {{ISBN|0-8047-0720-0}}.</ref> ১১১০ সনে সং সম্রাট “সম্রাট হুইজং” তার রাজদরবারে বিশাল এক আতশবাজির প্রদর্শনির আয়োজন করেছিলেন বলে ইতিহাসবিদেরা বর্ণনা করেন।<ref name="kelly2004">Kelly, Jack (2004). ''Gunpowder: Alchemy, Bombards, and Pyrotechnics: The History of the Explosive that Changed the World''. New York: Basic Books, Perseus Books Group, page 2.</ref> ১২৬৪ সালের এক নথি প্রমানপ্রমাণ করে যে “সম্রাজ্ঞী দোয়াগের” –এর সম্মান স্বরূপ তার পুত্র সং সম্রাট লিজং এক ভোজনের দাওয়াতে রকেটের আদলে বানানো একটি আতশবাজির প্রদর্শন করেন, যা সম্রাজ্ঞী দোয়াগের কে চমকে দেয়। <ref>Crosby, Alfred W. (2002), ''Throwing Fire: Projectile Technology Through History''. Cambridge: Cambridge University Press. {{ISBN|0-521-79158-8}}. Pages 100–103.</ref> যুদ্ধের ক্ষেত্রে রকেট হিসাবে ব্যবহার সাধারণ ছিল, যেমনটি হিউলংজিং লিউ বোয়েন (১৩১১–১৩৭৫) এবং জিয়াও ইউ দ্বারা সংকলিত (ফ্লা.সি. ১৩৫০–১৪১২) দ্বারা প্রমাণিত।<ref>Needham, Volume 5, Part 7, 489–503.</ref> ১২৪০ সালে আরবরা চীন থেকে বন্দুক এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিল। হাসান আল-রম্মাহ নামে একজন সিরিয়ান রকেট, আতশবাজি এবং ইত্যাদি সম্পর্কিত ঘটনা নিয়ে লিখেছিলেন। তিনি আতশাবজিকে “চীনা ফুল” হিসাবে প্রকাশ করেন।<ref name="temple-r"/><ref name="kellyj">Kelly, Jack (2004). ''Gunpowder: Alchemy, Bombards, & Pyrotechnics: The History of the Explosive that Changed the World''. Basic Books, page 22. {{ISBN|0-465-03718-6}}.</ref>
আতশবাজি ১৪’শ শতকে ইউরোপে প্রস্তুত শুরু হলেও তা জনপ্রিয় হয়ে উঠে ১৭’হ শতকে।<ref name=Ullmann>{{Ullmann|author=T. T. Griffiths, U. Krone, R. Lancaster|title=Pyrotechnics|year=2017|doi=10.1002/14356007.a22_437.pub2}}</ref><ref name="ssec">[https://web.archive.org/web/20160106154801/https://ssec.si.edu/stemvisions-blog/evolution-fireworks "The Evolution of Fireworks"], Smithsonian Science Education Center. ssec.si.edu.</ref><ref name="werret-181"/> পিটার দ্য গ্রেট এর রাষ্ট্রদূত লেভ ইজমেলভ একবার চীন থেকে রিপোর্ট করেছিলেন যে, "তারা এমন আতশবাজি তৈরি করতে সক্ষম যা ইউরোপের কেউ কখনও দেখেনি।"<ref name="werret-181">{{citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Werrett|firstপ্রথমাংশ=Simon|titleশিরোনাম=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|yearবছর=2010|publisherপ্রকাশক=The University of Chicago Press|locationঅবস্থান=Chicago|isbnআইএসবিএন=978-0-226-89377-8|pageপাতা=181}}</ref> 1758 সালে, জেসুইট ধর্মপ্রচারক পিয়ের নিকোলাস লে চেরন ডি'আইঙ্কারভিলি যিনি সেই সময়ে বেইজিং এ বসবাস করতেন, তিনি প্যারিস অফ সায়েন্সেস বইটিতে লিখেছেন কীভাবে বিভিন্ন ধরণেরধরনের চাইনিজ আতশবাজি তৈরি করা হত ঐ সময়ে, যা লেখার পাঁচ বছর পরে প্রকাশিত হয়।<ref name="werret-183">{{citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Werrett|firstপ্রথমাংশ=Simon|titleশিরোনাম=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|yearবছর=2010|publisherপ্রকাশক=The University of Chicago Press|locationঅবস্থান=Chicago|isbnআইএসবিএন=978-0-226-89377-8|pageপাতা=183}}</ref><ref name="werret-183"/> অ্যামাডি-ফ্রেঞ্চোইস ফ্রেজিয়ার তার সংশোধিত রচনা ''Traité des feux d'artice pour le spectacle '' (ফায়ার ফায়ারসে ট্রিটসিস) ১৭৪৭ সালে প্রকাশ করেছিলেন,<ref name=werret-144>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Werrett|firstপ্রথমাংশ=Simon|titleশিরোনাম=Fireworks: Pyrotechnic arts and sciences in European history|yearবছর=2010|publisherপ্রকাশক=The University of Chicago Press|locationঅবস্থান=Chicago|isbnআইএসবিএন=978-0-226-89377-8|pagesপাতাসমূহ=144–145}}</ref> যাতে আতশবাজিকে তাদের সামরিক ব্যবহারের চেয়ে বিনোদনমূলক এবং আনুষ্ঠানিক কাজে বেশি ব্যবহারের প্রমানপ্রমাণ মেলে। আইস-লা-চ্যাপেলের শান্তি চুক্তি উদযাপনের জন্য ১৭৪৯ সালে, জর্জ ফ্রিডেরিক হ্যান্ডেল রচনা করেন ''মিউজিক ফর রয়েল ফায়ারওয়ার্ক্স'', যা আগের বছর, ১৭৪৮ এ বছর ঘোষণা করা হয়েছিল।
''উনিশ শতক এবং আধুনিক রসায়ন আবিষ্কারের পূর্বে আতশবাজি ছিল তুলনামূলক নিস্তেজ এবং মৃদু।''১৭৮৬ সালে বার্থোলেট আবিষ্কার করে যে পটাসিয়াম ক্লোরেটের সাথে জারণের ফলে বেগুনী রঙ তৈরি করা সম্ভব। পরবর্তীতে আবিষ্কৃত হয় যে বেরিয়াম, স্ট্রন্টিয়াম, তামা এবং সোডিয়ামের ক্লোরেটের সাথে জারণগুলির ফলেও উজ্জ্বল বর্ণ বিশিষ্ট ফুলকি সৃষ্টি হয়। ধাতব ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়ামের [আইসুলেশন] আরও একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসাবে চিহ্নিত হয় কারণ এই ধাতুগুলিো তীব্র রৌপ্য আলো উৎপন্ন করতে পারত।
==আতশবাজিতে ব্যাবহৃত উপাদান==
আতশবাজির গুলিতে রঙগুলি সাধারণত '' 'পাইরোটেকনিক স্টার' '' দ্বারা উত্পন্ন হয় – বলে এদের 'স্টার (তারা)' বলে ডাকা হয় - যা জ্বললে তীব্র আলো তৈরি করে। তারার মধ্যে পাঁচটি মৌলিক ধরণেরধরনের উপাদান রয়েছে.
 
* একটি '''জ্বালানী'''
৩৬ নং লাইন:
 
আরও কিছু সাধারণ পাইরোটেকনিক কলারেন্ট (রঙ-উত্পাদনকারী যৌগ) এখানে সারণীযুক্ত রয়েছে। ফায়ারওয়ার্কে ব্যবহৃত যৌগের রঙ, একই রঙের শিখা পরীক্ষা এর বর্ণের মতো হবে। রঙিন শিখা তৈরি করে এমন যৌগই কিন্তু আতশবাজির রঙ করার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়। তবে আইডিয়াল কালারান্টগুলি খাঁটি, তীব্র বর্ণের সৃষ্টি করতে সক্ষম।
স্পার্ক (অগ্নিস্ফুলিঙ্গ) এর রঙ লাল / কমলা, হলুদ / সোনালি এবং সাদা / রূপাতে সীমাবদ্ধ। দ্যুতিময় যেকোনো যৌগের আলোক নির্গমন পরিক্ষার মাধ্যমে যা বর্ণনা করা সম্ভব।<ref>{{citation |url=https://books.google.com/books?id=e4GOAIA8HaEC&pg=PA49 |title=Pyrotechnic Spark Generation |author1=Kenneth L. Kosanke |author2=Bonnie J. Kosanke |pages=49–62 |journal=Journal of Pyrotechnics |isbn=978-1-889526-12-6 |year=1999 }}</ref> ধতব যৌগ থেকে নির্গত আলোককে '''কৃষ্ণ বিকিরণ''' বলে। এছাড়া নিম্ন স্ফুটনাংক বিশিষ্ট ধাতু সমূহ ঘন-সন্নিবেশিত আলো উৎপন্ন করতে পারে।<ref name=spark>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১=Lederle |first1প্রথমাংশ১=Felix |last2শেষাংশ২=Koch |first2প্রথমাংশ২=Jannis |last3শেষাংশ৩=Hübner |first3প্রথমাংশ৩=Eike G. |titleশিরোনাম=Colored Sparks |journalসাময়িকী=European Journal of Inorganic Chemistry |dateতারিখ=21 February 2019 |volumeখণ্ড=2019 |issueসংখ্যা নং=7 |pagesপাতাসমূহ=928–937 |doiডিওআই=10.1002/ejic.201801300}}</ref> এটি ধাতুর দহন সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যের দরুন হয়ে থাকে।
{| class="wikitable"
|-
৮৩ নং লাইন:
|}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বিনোদন]]
{{আলাপ পাতা}}
{{অনলাইন এডিটাথন/২০২০/বিশেষ এডিটাথন}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বিনোদন]]