বঙ্গানপল্লী রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Banganapalle State" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
 
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক প্রাক্তন মহকুমা|native_name=బనగానపల్లె|p1=|today=[[Andhra Pradesh|আন্ধ্রা প্রদেশ]], [[ভারত]]|stat_pop1=32,279|stat_year1=১৯০১|stat_area1=712|national_motto=|image_coat=|image_flag=Drapeau Banganapalle.png|flag_s1=Flag of India.svg|flag_p1=|s1=India|date_event1=|conventional_long_name=বঙ্গানপল্লী রাজ্য|event1=|event_end=[[Independence of India|ভারতে যোগদান]]|date_end=|year_end=১৯৪৮|event_start=|date_start=|year_start=১৬৬৫|era=|status_text=দেশীয় রাজ্য|nation=[[British India]]|common_name=বঙ্গানপল্লী|footnotes=}}
[[চিত্র:Madras_map_1913.jpg|থাম্ব| ১৯১৩ সালে [[মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী|মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে]] বঙ্গানপল্লী রাজ্যের অবস্থান দেখাচ্ছে ]]
'''বঙ্গানপল্লী রাজ্য''' ছিল [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ রাজ]] আমলে [[ভারত|ভারতের]] অন্যতম [[দেশীয় রাজ্য|দেশীয় রাজ্য]] ছিল। রাজ্যটি ১৬৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর রাজধানী বঙ্গপল্লীতে ছিল । এর শাসকরা ছিলেন [[শিয়া ইসলাম|শিয়া মুসলিম]] এবং শেষ শাসক ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের স্বাক্ষর করেন।<ref>[http://members.iinet.net.au/~royalty/ips/b/banganapalle.html Banganapalle Princely State (9 gun salute)]</ref>
 
== ইতিহাস ==
বঙ্গানপল্লী দুর্গ গ্রামটি ১৬০১ সালে অস্পষ্টতা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, যখন বিজাপুরের সুলতান ইসমাইল আদিল শাহ পূর্ববর্তী শাসক রাজা নন্দ চক্রবর্তীকে বাস্তুচ্যুত করেছিলেন এবং দুর্গ অধিকার করেছিলেন বলে রেকর্ড করা হয়। বেশ কয়েক দশক পরে, বঙ্গানাপল্লী একটি বৃহৎ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল যা বিজাপুরের সুলতান তার বিশ্বস্ত জেনারেল সিদ্দী সাম্বালের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। [[হাবশি|সিঙ্গি]] লোকেদেরকে বঙ্গানপল্লী দুর্গের উল্লেখযোগ্য উন্নতি করার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
 
১৬৬৫ সালে, বিজাপুরের সুলতান আদিল শাহ দ্বিতীয় ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে মুহাম্মদ বেগ খান-ই-রোজবাহানীর কাছে [[জায়গীর|জায়গির]]<nowiki/>কে পুরষ্কার হিসাবে প্রদান করেছিলেন। রোজবাহানী পুরুষ উত্তরাধিকারী ব্যতীত মারা যান, এবং এস্টেটটি তার দত্তক পুত্র মোহাম্মদ বেগ খান নাজম-ই-সানির নিয়ন্ত্রণে যায়, যিনি ফয়েজ আলী খান বাহাদুর নামধারণ করেন। ফয়জ আলী ও তাঁর ভাই ফজল আলী বিজাপুর সুলতানের অধীনে অফিসার ছিলেন এবং সেই ক্ষমতা নিয়ে রোজবাহানির সংস্পর্শে এসেছিলেন। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, ফয়েজ আলী ছিলেন রোজবাহানীর একজনের মেয়ের ছেলে। উভয় ক্ষেত্রেই, উত্তরাধিকারটি কঠোরভাবে আইনীআইনি ছিল না, তবে সময়গুলি খুব অস্থিতিশীল ছিল, এবং আইনের চেয়ে নিয়ন্ত্রণ আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৬৮৬ সালে, [[আওরঙ্গজেব|আওরঙ্গজেবের]] অধীনে [[মুঘল সাম্রাজ্য|মোঘলদের হাতে]] পরাজিত হওয়ার পরে বিজাপুর সালতানাতের পতন হয় । একটি লক্ষণীয় কাকতালীয় বিষয় এই যে, আওরঙ্গজেবের [[দাক্ষিণাত্য মালভূমি|দাক্ষিণাত্যের]] ভাইসরয় মুবারিজ খান আর কেউই ছিলেন না, ছিলেন ফয়েজ আলী খানের মামা। মুবারিজ খানের হস্তক্ষেপে বঙ্গানপল্লী ফয়েজ আলী খানের কাছে সুরক্ষিত হয়েছিল।
 
তবে ফয়েজ আলী খান পুরুষ উত্তরাধিকারী ব্যাতীত মারা যান।
 
বঙ্গানপল্লী ফয়জ আলী খানের বংশধররা প্রথমে [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সাম্রাজ্যের]] জায়গির হিসাবে শাসন করেছিলেন, এবং [[হায়দ্রাবাদ রাজ্য|হায়দরাবাদের]] নিজাম মুঘলদের কাছ থেকে ১৭২৪ সালে [[হায়দ্রাবাদ রাজ্য|হায়দরাবাদের]] জায়গির হিসাবে তার স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরে। ফয়জ আলী খানও পুরুষ উত্তরাধিকারী ব্যতীত মারা যান এবং বঙ্গানপল্লী তার নাতি হুসেন আলী খান উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন। হুসেন আলী খানের শাসনের শেষের দিকে, মহীশুরের হায়দার আলী এই অঞ্চলে তার ক্ষমতা প্রসারিত করেন এবং হুসেন আলী খান হায়দার আলীর প্রতি তাঁর আনুগত্য ঝুকিয়ে দেন। হুসেন আলী খান ১৭৮৩ সালে মারা যান এবং তাঁর অল্প বয়স্ক পুত্র গোলাম মুহাম্মদ আলী ক্ষমতায় বসেন এবং তাঁর চাচা মাধ্যমে শাসন পরিচালানা করেন। এক বছরের ব্যবধানের মধ্যে, হায়দারের উত্তরসূরি [[টিপু সুলতান]] তাদের বঙ্গানপল্লী থেকে তাড়িয়ে দেয়; তারা [[হায়দ্রাবাদ|হায়দরাবাদে]] আশ্রয় নিয়েছিল এবং ১৭৮৯ সালে বঙ্গানপল্লীর দাবিতে পুুুুুনরায় ফিরে এসেছিল। এর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই, চঞ্চলমালার নিকটবর্তী জায়গির বিয়ের মাধ্যমে বঙ্গানপল্লীর নবাবের অধীন হয়েছিল।
 
বঙ্গানপল্লী ১৯ শতকের গোড়ার দিকে [[ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশসমূহ|ব্রিটিশ ভারতের]] [[দেশীয় রাজ্য|দেশীয় রাজ্যে]] পরিণত হয়েছিল। [[মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী|মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির]] ব্রিটিশ গভর্নর দুবার আর্থিক অব্যবস্থার জন্য প্রথমবারের মতো রাজ্য প্রশাসন অধিগ্রহণ করেছিলেন, প্রথমবার ১৮৩২ থেকে ১৮৪৮ এবং দ্বিতীয়বার কয়েক মাসের জন্য ১৯০৫ সালে।
 
১৯০১ সালে, বঙ্গনপল্লী রাজ্যর জনসংখ্যা ছিল ৩২,২৬৪ এবং আয়তন ছিল ৬৬০&nbsp;কিমি² (২৫৫ বর্গ মাইল) )।
 
১৯৪৮ সালে, বঙ্গানপল্লীর শাসক সদ্য স্বাধীন [[ভারত|ভারতকে]] স্বীকৃতি দেন এবং বঙ্গানপল্লীর তৎকালীন [[মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী|মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির]] কর্নুল জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৫৩ সালে, [[কুর্নুল জেলা|কর্নুল জেলা]] সহ মাদ্রাজ রাজ্যের উত্তরের জেলাগুলি [[অন্ধ্রপ্রদেশ|অন্ধ্রের]] নতুন রাজ্য হয়, যা ১৯৫৬ সালে অন্ধ্র প্রদেশে পরিণত হয়
 
=== শাসক ===
আনুমানিক ১৬৬৫ এবং ১৮৭৬ সালের মধ্য বঙ্গানপল্লী রাজ্যের শাসকদের "কিলাদার" উপাধি ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldstatesmen.org/India_princes_A-J.html|শিরোনাম=Indian Princely States before 1947 A-J|ওয়েবসাইট=www.worldstatesmen.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-10}}</ref>
 
==== কিলাদারগণ ====
৩৫ নং লাইন:
** ১২ জুলাই ১৮৪৮ –১৮৪৮ হোসেইন `আলী খান (দ্বিতীয়বার)
** ১৮৪৮ - ৭ অক্টোবর ১৮৬৮ গোলাম মোহাম্মদ `আলী খান দ্বিতীয় (মৃত্যু ১৮৮৬)
** ৭ অক্টোবর ১৮৬৮ - ২৪ জানুয়ারী ১৮৭৬ ফাত `আলী খান
 
*
*
*
*
*
 
== আরো দেখুন ==
{{সূত্র তালিকা}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:শিয়া মুসলিম রাজবংশ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের মুসলিম দেশীয় রাজ্য]]