ফজলে হক খায়রাবাদি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
'''ফজলে হক খায়রাবাদি''' (১৭৯৭<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=Fazle Haq of Khairabad—A Scholarly Rebel of 1857|শেষাংশ=HUSAIN|প্রথমাংশ=IQBAL|তারিখ=1987|সাময়িকী=Proceedings of the Indian History Congress|খণ্ড=48|পাতাসমূহ=355–365|issn=2249-1937|jstor=44141709|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> – ১৮৬১) ছিলেন ১৮৫৭ সালের [[সিপাহি বিদ্রোহ|সিপাহি বিদ্রোহের]] একজন প্রধান ব্যক্তি। তিনি একজন দার্শনিক, লেখক, কবি, ধর্মীয় পন্ডিত ছিলেন। ১৮৫৭ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে [[জিহাদ|জিহাদের]] [[ফতোয়া]] দেয়ার কারণে তাকে স্মরণ করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/TahqeeqUlFatwaFeAbtalItTaghwaByAllamaFazlEHaqKhairAbadi|শিরোনাম=Tahqeeq Ul Fatwa Fe Abtal It Taghwa|শেষাংশ=Allama Fazl E Haq Khair Abadi|প্রথমাংশ=|তারিখ=2015-01-18|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=PLO8mq8aSBkC&pg=PA43&hl=en|শিরোনাম=Ghalib, Gandhi and the Gita|শেষাংশ=Iyer|প্রথমাংশ=Vivek|তারিখ=2012|বছর=|প্রকাশক=Polyglot Publications London|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৪৩|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-9550628-3-4}}</ref>
 
==জীবন==
৬ নং লাইন:
তার পুত্র আবদুল হক রাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে আবেদন ও তারপর ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে পিতার মুক্তির আদেশ জারি করাতে সক্ষম হন। লিখিত মুক্তিনামাসহ তিনি ১৮৬১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি [[পোর্ট ব্লেয়ার]] পৌছান। কিন্তু এসময় অনেক দেরি হয়ে যায়। তিনি পৌছার পর একটি জানাজা দেখতে পান এবং জানতে পারেন যে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেছেন।
 
ইসলামি ধর্মতত্ত্বের পন্ডিত হলেও ফজলে হক খায়রাবাদি একজন সাহিত্যিক ব্যক্তি ছিলেন, বিশেষত উর্দু, আরবি ও ফারসি ভাষায়। [[মির্জা গালিব|মির্জা গালিবের]] অনুরোধে তিনি তার প্রথম [[দিওয়ান (কাব্য)|দিওয়ান]] সম্পাদনা করেন। পান্ডিত্যের জন্য তাকে [[আল্লামা]] বলা হত এবং একজন মহান [[সুফি]] হিসেবে তাকে সম্মান করা হয়। তাকে ইমাম হিকমত ও কালাম (যুক্তি, দর্শন ও সাহিত্যের ইমাম) হিসেবেও সম্বোধন করা হয়। ফতোয়া প্রদানের চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=kl08TgBBxHIC&pg=PA213&hl=en|শিরোনাম=Ali Sardar Jafri|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2001|বছর=|প্রকাশক=Bharatiya Jnanpith|অবস্থান=|পাতাসমূহ=২১৩|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-81-263-0671-8}}</ref>
 
ফজলে হক খায়রাবাদি বুদ্ধিদীপ্তিক ব্যক্তি ছিলেন। মির্জা গালিব ও সমসাময়িক অন্যান্য খ্যাতনামা কবি, লেখক ও বুদ্ধিজীবিদের সাথে তার শাণিত কথোপকথনের বেশ কিছু গল্প রয়েছে।
 
=== দেওবন্দের বিরুদ্ধে ফতোয়া ===
== আজাদী আন্দোলনে ফজলে হক খায়রাবাদি ==
খাইরাবাদি ওয়াহাবী-দেওবন্দী মতবাদ মিথ্যা বলার ক্ষমতা (ইমকান-ই-কিজব) এর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন। [[দারুল উলুম দেওবন্দ|দারুল উলূম দেওবন্দ]], প্রতিষ্ঠাতা রশিদ আহমদ গঙ্গোহি বলেছিলেন যে ঈশ্বরের মিথ্যা বলার ক্ষমতা রয়েছে।<ref name=":0">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.academia.edu/282790/Sufis_Scholars_and_Scapegoats_Rash%C4%ABd_A%E1%B8%A5mad_Gangoh%C4%AB_D._1905_and_the_Deobandi_Critique_of_Sufism|শিরোনাম=Sufis, Scholars and Scapegoats: Rashīd Aḥmad Gangohī (d. 1905) and the Deobandi Critique of Sufism|শেষাংশ=Ingram|প্রথমাংশ=Brannon|সাময়িকী=The Muslim World|খণ্ড=99|পাতাসমূহ=478–501|ভাষা=en|issn=0027-4909}}</ref> এই মতবাদকে ইমকান-ই কিজব বলা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.ca/books?id=GOVvDwAAQBAJ&q=Imkan-i+Kizb#v=snippet&q=Imkan-i%20Kizb&f=false|শিরোনাম=Revival from Below: The Deoband Movement and Global Islam|শেষাংশ=Ingram|প্রথমাংশ=Brannon D.|তারিখ=2018-11-21|প্রকাশক=Univ of California Press|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-520-29800-2}}</ref><ref name=":0" /> এই মতবাদ অনুসারে, ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হওয়ায় ঈশ্বর মিথ্যা বলতে সক্ষম। গঙ্গোহি এই মতবাদকে সমর্থন করেছিলেন যে, মুহাম্মদ পর (ইমকান-ই নাজির) এবং মুহাম্মদ (সা।) এর সমান অন্যান্য নবীদের পরে ঈশ্বরের অতিরিক্ত নবী প্রেরণ করার ক্ষমতা রয়েছে।
ইমামে আহলে সুন্নাত '''আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী ''' ১৮৫৭ সালের [[সিপাহী বিপ্লব]]ের প্রাক্কালে [[ইংরেজ]] বিরােধী ফতােয়া দেওয়ার অভিযােগে আন্দামান দ্বীপে নির্বাসিত হয়েছিলেন।সে দ্বীপে তাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল তার এক হৃদয় বিদারক বর্ণনা এবং উপ মহাদেশে ইংরেজদের ইসলাম বিরােধী কার্যকলাপের এক বাস্তব [[চিত্র]] তুলে ধরে সাথে থাকা কাপনের কাপড়ে কয়লা দিয়ে তিনি এক কিতাব লিখেছিলেন।অবশেষে সারা দুনিয়া ব্যাপী বিশ্বখ্যাত এ জ্ঞান সাধকের কারা নির্যাতনের প্রতিবাদ ও আল্লামা খায়রাবাদী (রাহঃ) এর জ্ঞান প্রতিভার প্রতি আকৃষ্ট উর্ধ্বতন এক ইংরেজ কর্মকর্তার জোর তদবিরে কয়েক বছর পর তাকে বৃটেনের প্রিভি কাউন্সিল মুক্তির নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়। এ মুক্তির নির্দেশ নামা নিয়ে খায়রাবাদী এর ছেলে যখন আন্দামানে গিয়ে উপস্থিত হলেন, দেখলেন আন্দামানবাসীরা একটি জানাজার নামাজে মিলিত হচ্ছেন।উক্ত জানাজায় শরীক হয়ে জানতে পারলেন এটা তার পিতা বিশ্বখ্যাত জ্ঞান সাধক আল্লামা খায়রাবাদী 'র জানাজা।অবশেষে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা অবতারণার পর পিতার কাফনে লিখিত কিতাব খানি নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছিল তাকে।আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী’র শত শত কিতাবের মধ্যে এটিও একটি আলােড়ন সৃষ্টিকারী কিতাব যাতে ব্রিটিশ শাসনের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
 
== আজাদী আন্দোলনে ফজলে হক খায়রাবাদি ==
<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://play.google.com/store/apps/details?id=com.senani.rajnithiradisho&hl=en_US|শিরোনাম=রাজনীতির আড়াইশ বছর - Apps on Google Play|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=play.google.com|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-01-28}}</ref>
ইমামে আহলে সুন্নাত '''আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী ''' ১৮৫৭ সালের [[সিপাহী বিপ্লব]]ের প্রাক্কালে [[ইংরেজ]] বিরােধী ফতােয়া দেওয়ার অভিযােগে [[আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামান দ্বীপে]] নির্বাসিত হয়েছিলেন।সেহয়েছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=p2qFYxtq3GYC&pg=PA34|শিরোনাম=Freedom fighters of India|শেষাংশ=Agrawal|প্রথমাংশ=Lion M. G.|তারিখ=2008|বছর=|প্রকাশক=Gyan Publishing House|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৩৪|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-81-8205-472-1}}</ref> সে দ্বীপে তাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল তার এক হৃদয় বিদারক বর্ণনা এবং উপ মহাদেশে ইংরেজদের ইসলাম বিরােধী কার্যকলাপের এক বাস্তব [[চিত্র]] তুলে ধরে সাথে থাকা কাপনের কাপড়ে কয়লা দিয়ে তিনি এক কিতাব লিখেছিলেন।অবশেষেলিখেছিলেন। অবশেষে সারা দুনিয়া ব্যাপী বিশ্বখ্যাত এ জ্ঞান সাধকের কারা নির্যাতনের প্রতিবাদ ও আল্লামা খায়রাবাদী (রাহঃ) এর জ্ঞান প্রতিভার প্রতি আকৃষ্ট উর্ধ্বতন এক ইংরেজ কর্মকর্তার জোর তদবিরে কয়েক বছর পর তাকে বৃটেনের প্রিভি কাউন্সিল মুক্তির নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়। এ মুক্তির নির্দেশ নামা নিয়ে খায়রাবাদী এর ছেলে যখন আন্দামানে গিয়ে উপস্থিত হলেন, দেখলেন আন্দামানবাসীরা একটি জানাজার নামাজে মিলিত হচ্ছেন।উক্ত জানাজায় শরীক হয়ে জানতে পারলেন এটা তার পিতা বিশ্বখ্যাত জ্ঞান সাধক আল্লামা খায়রাবাদী 'র জানাজা।অবশেষে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা অবতারণার পর পিতার কাফনে লিখিত কিতাব খানি নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছিল তাকে।আল্লামাতাকে। আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী’র শত শত কিতাবের মধ্যে এটিও একটি আলােড়ন সৃষ্টিকারী কিতাব যাতে ব্রিটিশ শাসনের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://play.google.com/store/apps/details?id=com.senani.rajnithiradisho&hl=en_US|শিরোনাম=রাজনীতির আড়াইশ বছর - Apps on Google Play|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=play.google.com|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-01-28}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==