তরফ রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎তথ্য সূত্র: "তথ্য সূত্র" শিরোনামের বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{Infobox former country
[[সিলেট বিভাগ|সিলেট বিভাগের]] বর্তমান [[হবিগঞ্জ জেলা|হবিগঞ্জ জেলায়]] অবস্থিত ঐতিহাসিক '''তরফ রাজ্য''' সিলেট ইতিহাসের অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । গৌড়, লাউড় ও জয়ন্তীয়ার ন্যায় এটিও শ্রীহট্ট বা সিলেটের অন্যতম প্রচীন রাজ্য। মুসলিম বিজয়ের অনেক আগে থেকেই এটি [[ত্রিপুরা]]র সামন্ত রাজ্য ছিল। এই রাজ্যের শেষ হিন্দু রাজার নাম ছিল আচাক নারায়ণ। [[শাহজালাল (আওলিয়া)|শাহ জালাল]] কর্তৃক সিলেট বিজয়ের এক বছর পর (১৩০৪ খ্রিষ্টাব্দ) শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারী [[সৈয়দ নাসির উদ্দীন|সিপাহ্সালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন]] ১২ জন সঙ্গী সাথীদের নিয়ে তরফ অভিযানে যান। সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে এটি বিজিত হয়ে, '''তরফ''' ও বার আউলিয়ার মুলুক নামে পরিচিত হয়। [[সৈয়দ মোস্তফা কামাল]] ও অন্যান্য ঐতিহাসিক গণ নিজ নিজ গ্রন্থে একটি প্রাচীন প্রবাদের সুত্রে লিখেনঃ একসময় তরফ ইসলামি শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক সাধনায় ভূ-ভারতের এক উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রেখেছিল। প্রবাদটি হল এই ; ''জায়গার নাম তরফ/ঘরে ঘরে হরফ''<ref name="সিলেট ভুগল">''সিলেট বিভাগের ভৌগোলিক ঐতিহাসিক রুপরেখা'' [[সৈয়দ মোস্তফা কামাল]]; প্রকাশক: শেখ ফারুক আহমদ, পলাশ সেবা ট্রাস্ট, সিলেট। প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১১; পৃ. ৯২।</ref><ref name="সিলেট বিভাগ">''সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত'': ''প্রধান রাজ্য সমুহ'' নিবন্ধ, মোহাম্মদ মুমিনুল হক, গ্রন্থ প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০০১; পৃষ্ঠা ৪০।</ref><ref name="শ্রীহট্ট">''শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ'', দ্বিতীয় ভাগ, প্রথম খণ্ড, প্রথম অধ্যায়, [[অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি]]; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪।</ref><ref name="ইসায়ী" >Essays on north-east India: By V. Venkata Rao, North Eastern Hill University. Dept. of History, page 70- 75 "the pre-colonial political structure of barak valley ।</ref>।
|native_name = তরফ রাজ্য
|conventional_long_name =
|common_name = তরফ
|era = [[Middle kingdoms of India|ধ্রুপদী]]
|year_start = ১২০০
|year_end = ১৬১০
|image_map = Taraf Map.jpg
|image_map_alt =
|image_map_caption = সৈয়দ মুরাদ আহমেদের করা তরফের মানচিত্র
|capital = রাজপুর <small>(১২০০-১৩০৪)</small>, লস্করপুর <small>(১৩০৪-১৬১০)</small>
|religion = [[হিন্দুধর্ম]] <small>(১২০০-১৩০৪)</small>, [[ইসলাম]] <small>(১৩০৪-১৬১০)</small>
|regional_languages = ফার্সি
|national_languages = [[Bengali language|বাংলা]]
|leader1 = এপিবিষ্ণু <small>(১ম)</small>
|year_leader1 = ১২৪০-১২৫৩
|leader2 = শানদুল
|year_leader2 = ১২৫৩
|leader3 = ভদ্রা জনার্ধন
|year_leader3 = ১২৫৩-১২৬০
|leader4 = আচাক নারায়ণ
|year_leader4 = ১২৬০-১৩০৪
|leader5 = [[সৈয়দ নাসির উদ্দীন]]
|year_leader5 = ১৩০৪
|leader6 = সৈয়দ সিরাজউদ্দীন
|year_leader6 = ১৩৫০ এর দশক
|p1 = গৌড় রাজ্য
|s1 = ত্রিপুরা রাজ্য
|s2 = মুঘল সাম্রাজ্য
|today = {{Flag|বাংলাদেশ}}
}}
 
'''তরফ রাজ্য''' যা পূর্বে '''তুঙ্গাচল''' নামে পরিচিত ছিল,হলো বর্তমান [[সিলেট বিভাগ|সিলেট বিভাগের]] বর্তমান [[হবিগঞ্জ জেলা|হবিগঞ্জ জেলায়]] অবস্থিতঅবস্থিত। ঐতিহাসিকতুঙ্গাচল '''তরফ১১৭০ রাজ্য'''খ্রিস্টাব্দে সিলেটব্রাহ্মণচলের ইতিহাসেরএকটি অতিঅংশে গুরুত্বপূর্ণপরিণত অধ্যায়হন এবং ত্রিপুরা রাজ্যর সাথে যুক্ত হওয়ার কয়েক বছর আগে ১২৫৮ সালে গৌড়ের সাথে পুনরায় যুক্ত হন। গৌড়ের রাজা গৌর গোবিন্দ ১২৬০ সালে পুনরায় তুঙ্গাচলকে তাঁর রাজ্যে যুক্ত করেন। গৌড়, লাউড় ও জয়ন্তীয়ার ন্যায় এটিও শ্রীহট্ট বা সিলেটের অন্যতম প্রচীন রাজ্য। মুসলিম বিজয়ের অনেক আগে থেকেই এটি [[ত্রিপুরা]]র সামন্ত রাজ্য ছিল। এই রাজ্যের শেষ হিন্দু রাজার নাম ছিল আচাক নারায়ণ। [[শাহজালাল (আওলিয়া)|শাহ জালাল]] কর্তৃক সিলেট বিজয়ের এক বছর পর (১৩০৪ খ্রিষ্টাব্দ) শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারী [[সৈয়দ নাসির উদ্দীন|সিপাহ্সালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন]] ১২ জন সঙ্গী সাথীদের নিয়ে তরফতুঙ্গাচল অভিযানে যান।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=GXRuAAAAMAAJ|শিরোনাম=Proceedings of the North East India History Association|শেষাংশ=Session|প্রথমাংশ=North East India History Association|তারিখ=1980|বছর=|প্রকাশক=The Association|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৭৩|ভাষা=en|আইএসবিএন=}}</ref> সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে এটি বিজিত হয়েহয়, এর নামকরণ করেন '''তরফ''' সৈয়দ বারশাহ আউলিয়ারইসরাইল, মুলুকসৈয়দ নামেপীর পরিচিতবাদশাহ হয়।এবং [[সৈয়দ মোস্তফারায়হান কামাল]]আদ-দ্বিনের মতো অন্যান্যলেখকদের ঐতিহাসিকধারন গণকরে নিজএই নিজঅঞ্চলটি গ্রন্থেভারতীয় একটিউপমহাদেশের প্রাচীন প্রবাদের সুত্রে লিখেনঃ একসময় তরফ ইসলামি শিক্ষাইসলামীআধ্যাত্মিকভাষাগত সাধনায়শিক্ষার ভূ-ভারতেরএকটি একবিখ্যাত উল্লেখযোগ্যকেন্দ্র স্থানহিসাবে দখলপরিবর্তিত করে রেখেছিল। প্রবাদটি হল এই ; ''জায়গার নাম তরফ/ঘরে ঘরে হরফ''হয়েছিল।<ref name="সিলেট ভুগল">''সিলেট বিভাগের ভৌগোলিক ঐতিহাসিক রুপরেখা'' [[সৈয়দ মোস্তফা কামাল]]; প্রকাশক: শেখ ফারুক আহমদ, পলাশ সেবা ট্রাস্ট, সিলেট। প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১১; পৃ. ৯২।</ref><ref name="সিলেট বিভাগ">''সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত'': ''প্রধান রাজ্য সমুহ'' নিবন্ধ, মোহাম্মদ মুমিনুল হক, গ্রন্থ প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০০১; পৃষ্ঠা ৪০।</ref><ref name="শ্রীহট্ট">''শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ'', দ্বিতীয় ভাগ, প্রথম খণ্ড, প্রথম অধ্যায়, [[অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি]]; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪।</ref><ref name="ইসায়ী" >Essays on north-east India: By V. Venkata Rao, North Eastern Hill University. Dept. of History, page 70- 75 "the pre-colonial political structure of barak valley ।</ref>।
 
== ভৌগোলিক অবস্থান ==