যৌন বিকৃতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
শাকিল আহসান (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
শাকিল আহসান-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে আফতাবুজ্জামান-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১ নং লাইন:
{{শিরোটীকা|বিশেষ দ্রষ্টব্য: [[উইকিপিডিয়া:চিকিৎসা দাবিত্যাগ|উইকিপিডিয়া কোনো চিকিৎসা-সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদানকারী ওয়েবসাইট নয়]]}}
{{copyedit|নিবন্ধের বাংলা পরিভাষাগুলির অগ্রাধিকার প্রদান আবশ্যক}}
{{Infobox medical condition (new)
| name = যৌন বিকৃতি
২১ ⟶ ১৯ নং লাইন:
| deaths =
}}
'''যৌন বিকৃতি''' বা মনোরোগ বিজ্ঞানের ভাষায় '''প্যারাফিলিয়া''' ({{Lang-en|Paraphilia}}; যা গ্রিক παρά (''প্যারা'') "পাশে" এবং φιλία (''-ফিলিয়া'') "বন্ধুত্ব, প্রেম" থেকে এসেছে) বলতে এমনসব যৌনকর্মকাণ্ডের প্রতি আকর্ষণ এবং/অথবা সেই সকল কর্মকাণ্ডের সংঘটন বোঝায় যেগুলো 'স্বাভাবিক' নয়।<ref name="DSMTR">{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = American Psychiatric Association | লেখক-সংযোগ = American Psychiatric Association | শিরোনাম = [[Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders|Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders-IV (Text Revision)]] | পাতাসমূহ = [http://books.google.ca/books?id=3SQrtpnHb9MC&pg=PA566 566–76] | তারিখ = June 2000 | প্রকাশক = American Psychiatric Publishing, Inc. | অবস্থান = Arlington, VA, USA | আইএসবিএন = 978-0-89042-024-9 | ডিওআই = 10.1176/appi.books.9780890423349 }}</ref> চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যৌন বিকৃতিকে মানসিক রোগ বা বৈকল্য হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়ে থাকে। কোন কোন [[যৌন প্রবৃত্তি|যৌনক্রিয়া]] স্বাভাবিক (বা অস্বাভাবিক) তা নির্ধারিত হয় তিনটি পর্যায়ে। এগুলো হলো (ক) সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি (খ) [[ধর্ম]] এবং (গ) স্থানীয় [[আইন]]।<ref>Gay, p. 148</ref><ref>Fenichel, p. 328</ref> যেহেতু ধর্ম ব্যতীত বাকী দুটি নিয়ামক চলমান বা পরিবর্তশীল, তাই সার্বিকভাবে যৌন বিকৃতির সঙ্গার্থও পরম বা চূড়ান্ত নয়। উদাহরণস্বরূপ, [[সমকাম]] যৌন বিকৃতি হিসেবে সকল দেশের আইনে এক সময় অবৈধ ছিল;<ref>Peter Gay, ''Freud: A Life for our Time'' (London 1988) p. 145–6</ref> কিন্তু ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত অনেকগুলি দেশে সমকাম একটি আইনসিদ্ধ যৌনক্রিয়া হিসেবে স্বীকৃত হয়। যদিও [[পায়ুকাম]]ের ফলে [[পায়ুপথ]]ের ব্যথা এবং ক্ষতির কারণে পায়ুকামকে 'ক্ষতিকর যৌনতা' বা 'অনিরাপদ যৌনতা' হিসেবে দেখা হয় এখনো।<ref>{{cite web|url=https://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/0092623X.2011.533567?src=recsys&journalCode=usmt20|title=Defining Paraphilia in DSM-5: Do Not Disregard Grammar|website=tandfonline.com|author=Andrew C. Hinderliter|date=7 January 2011}}</ref>
 
==সংজ্ঞা==
যৌন বিকৃতি (যেটি একসময় '''কামুকতা''' বা '''লুইচ্চামি''' হিসেবেও পরিচিত ছিলো এবং এটাকে অন্যভাবে স্বাভাবিক যৌনতা থেকে বিচ্যুতি ঘটাও বলা হতো) হচ্ছে এমন একপ্রকার যৌনতা যা একজন মানুষের কোনো একটি জিনিস দেখে, কোনো এক বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়লে, মলমূত্র দেখে বা কোনো গাছ বা পশুপাখি বা মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী দেখে যৌন উত্তেজনা ওঠা।<ref name="DSMTR">{{বই উদ্ধৃতি | লেখক = American Psychiatric Association | লেখক-সংযোগ = American Psychiatric Association | শিরোনাম = [[Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders|Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders-IV (Text Revision)]] | পাতাসমূহ = [https://books.google.com/books?id=3SQrtpnHb9MC&pg=PA566 566–76] | তারিখ = June 2000 | প্রকাশক = American Psychiatric Publishing, Inc. | অবস্থান = Arlington, VA, USA| আইএসবিএন = 978-0-89042-024-9| ডিওআই = 10.1176/appi.books.9780890423349 }}</ref> সাধারণত এই ধরনের যৌন উত্তেজনা বা যৌনতাকে 'সেক্সুয়াল ফেটিশিজম' বলে। যৌনবিদরা 'আনইউযুয়াল সেক্সুয়াল ইন্টারেস্টস' এবং এই যৌন বিকৃতিকে একই ধরনের বলে অভিহিত করেন, যেমনঃ কোনো ব্যক্তি একটি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছেন, এখন তিনি যদি কোনো বৃক্ষকে দেখে যৌন-উত্তেজনা লাভ করেন তাহলে সেটা হবে 'আনইউযুয়াল সেক্সুয়াল ইন্টারেস্ট' বা অসচরাচর যৌন আগ্রহ বা যৌন বিকৃতি।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম = How Anomalous Are Paraphilic Interests?|ইউআরএল = https://link.springer.com/article/10.1007/s10508-014-0325-z|সাময়িকী = Archives of Sexual Behavior|তারিখ = 2014-06-20|issn = 0004-0002|পাতাসমূহ = 1241–1243|খণ্ড = 43|সংখ্যা নং = 7|ডিওআই = 10.1007/s10508-014-0325-z|প্রথমাংশ = Christian C.|শেষাংশ = Joyal}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম = The Journal of Sexual Medicine - Volume 12, Issue 2 - February 2015 - Wiley Online Library|ইউআরএল = http://onlinelibrary.wiley.com/doi/10.1111/jsm.2015.12.issue-2/issuetoc|ডিওআই = 10.1111/jsm.2015.12.issue-2 | খণ্ড=12|সাময়িকী=The Journal of Sexual Medicine}}</ref> বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই কারণ যৌন বিকৃতিকে মানসিক বিকৃতির কাতারে ফেলা হবে নাকি এমনি কোনো সাধারণ রোগের কাতারে ফেলা হবে নাকি এটাকে কোনো রোগই ধরা হবেনা কারণ এতে তো একজন মানুষের কোনো ক্ষতি হয়না। যুক্তরাষ্ট্রের [[আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এ্যাসোসিয়েশন]] (এপিএ) 'ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়্যাল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার্স' (ডিএসএম) এবং আন্তর্জাতিকভাবে চিকিৎসাবিদ্যায় ব্যবহৃত 'ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস' (আইসিডি) তে যৌন বিকৃতির কোনো পরম বা চূড়ান্ত বা পরিষ্কার সংজ্ঞা নেই।
 
যৌন বিকৃতি কত প্রকার এটা সঠিকভাবে বলা মুশকিল, আবার অন্যদিকে ভারতের এক গবেষণায় ৫৪৯ রকমের যৌন বিকৃতির তালিকা পাওয়া গেছে।<ref name="aggrawal">{{বই উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ=Anil | শেষাংশ=Aggrawal | শিরোনাম=Forensic and Medico-legal Aspects of Sexual Crimes and Unusual Sexual Practices | প্রকাশক=[[CRC Press]] | অবস্থান=Boca Raton | বছর=2009| আইএসবিএন=1-4200-4308-0 }}</ref> ২০১৩ সালের ১৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের এপিএ 'ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়্যাল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার্স-৫' (ডিএসএম-৫) নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং ওখানে মাত্র ৮ প্রকারের যৌন উত্তেজনাকে যৌন বিকৃতির তালিকাভুক্ত করা হয়েছিলো।<ref name="DSM-5, intro">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders | সংস্করণ = Fifth | অধ্যায় = Paraphilic Disorders | সম্পাদক = American Psychiatric Association | বছর = 2013 | প্রকাশক = American Psychiatric Publishing | পাতাসমূহ = 685–686}}</ref> যৌন বিকৃতির অনেক শ্রেণীবিভাগ এবং উপশ্রেণীবিভাগ আছে যদিও সব যৌন-গবেষক সবগুলোকে যৌন বিকৃতি বলেননি।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Maser | প্রথমাংশ = JD | বছর = 2002 | ইউআরএল = http://download.journals.elsevierhealth.com/pdfs/journals/0193-953X/PIIS0193953X02000345.pdf | শিরোনাম = Spectrum concepts in major mental disorders | সাময়িকী = Psychiatric Clinics of North America| খণ্ড = 25 | সংখ্যা নং = 4 | পাতাসমূহ = xi–xiii |নামের-তালিকার-বিন্যাস=vanc| লেখক২ = Akiskal HS | লেখক-প্রদর্শন = 1 | pmid = 12462854 | ডিওআই=10.1016/S0193-953X(02)00034-5}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |vauthors=Krueger RF, Watson D, Barlow DH | শিরোনাম = Introduction to the Special Section: Toward a Dimensionally Based Taxonomy of Psychopathology | সাময়িকী = Journal of Abnormal Psychology | খণ্ড = 114 | সংখ্যা নং = 4 | পাতাসমূহ = 491–3 | বছর = 2005 | pmid = 16351372 | pmc = 2242426 | ডিওআই = 10.1037/0021-843X.114.4.491 | ইউআরএল = http://content.apa.org/journals/abn/114/4 }}</ref>
৩১ ⟶ ২৯ নং লাইন:
যৌন বিকৃতি শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে সঠিকভাবে কিছু বলা যায়না, কারণ যৌনতা নিয়ে মানব সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি যুগে যুগে পাল্টেছে, তাছাড়া একটি যৌনতাকে সব মানুষের অস্বাভাবিক নাও লাগতে পারে, যেমনঃ কোনো মানুষ যদি তার সঙ্গীর মলদ্বারের গন্ধ শোঁকেন তাহলে এই প্রবৃত্তিকে অনেকেই যৌন বিকৃতি বলবেন কারণ মলদ্বার দিয়ে মল বের হয় বা পায়খানার গন্ধ প্রায়ই থাকে আবার অনেকে বলবেননা কারণ এতে যৌনানন্দ আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://blogs.scientificamerican.com/guest-blog/sick-people-smell-bad-why-dogs-sniff-dogs-humans-sniff-humans-and-dogs-sometimes-sniff-humans/|শিরোনাম=Sick People Smell Bad: Why Dogs Sniff Dogs, Humans Sniff Humans, and Dogs Sometimes Sniff Humans|ওয়েবসাইট=blogs.scientificamerican.com|লেখক=Rob Dunn|তারিখ=15 January 2012|সংগ্রহের-তারিখ=9 November 2017}}</ref> নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী যৌনবিজ্ঞানী জন উইলিয়াম মানি (১৯২১-২০০৬) সর্বপ্রথম ইংরেজি শব্দ 'প্যারাফিলিয়া'কে জনপ্রিয় করেন 'অসচরাচর যৌন আগ্রহ'র জন্য একটি আলাদা শব্দ রাখার জন্য।<ref name="wiederman2003">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Weiderman |প্রথমাংশ=M. |বছর=2003 |শিরোনাম=Paraphilia and Fetishism |সাময়িকী=The Family Journal |খণ্ড=11 |সংখ্যা নং=3 |পাতাসমূহ=315–321 |ডিওআই=10.1177/1066480703252663 }}</ref><ref name="bullough1995">{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Bullough | প্রথমাংশ = VL | বছর = 1995 | ইউআরএল = http://www2.hu-berlin.de/sexology/GESUND/ARCHIV/LIBRO.HTM | শিরোনাম = Science in the Bedroom: A History of Sex Research | পাতা = 281 | প্রকাশক = [[Basic Books]] | আইএসবিএন = 978-0-465-07259-0 | সংগ্রহের-তারিখ = ২ নভেম্বর ২০১৭ | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20061022080700/http://www2.hu-berlin.de/sexology/GESUND/ARCHIV/LIBRO.HTM | আর্কাইভের-তারিখ = ২২ অক্টোবর ২০০৬ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref><ref name="moser2001">{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Moser | প্রথমাংশ = C | বছর = 2001 | অধ্যায় = Critiques of conventional models of sex therapy | সম্পাদক = Kleinplatz PJ | শিরোনাম = New directions in sex therapy: innovations and alternatives | প্রকাশক = [[Taylor & Francis|Psychology Press]] | আইএসবিএন = 978-0-87630-967-4}}</ref><ref name="mccammon2004">{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = McCammon | প্রথমাংশ = S |লেখক২=Knox D |লেখক৩=Schacht C | বছর = 2004 | শিরোনাম = Choices in sexuality | পাতা = 476 | প্রকাশক = Atomic Dog Publishing | আইএসবিএন = 978-1-59260-050-2 }}</ref> তিনি প্যারাফিলিয়াকে 'সমাজবিরোধী এবং অপ্রয়োজনীয় যৌনতা' বলে আখ্যায়িত করেন।<ref name="money1990">{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Money | প্রথমাংশ = J | লেখক-সংযোগ = John Money | বছর = 1990 | শিরোনাম = Gay, Straight, and In-Between: The Sexology of Erotic Orientation | প্রকাশক = [[Oxford University Press]] | আইএসবিএন = 978-0-19-506331-8 | পাতাসমূহ = [https://books.google.com/books?id=nCvBoIr4eTYC&pg=PA139#v=onepage&q&f=false 139]}}</ref> মার্কিন মনঃরোগবিশেষজ্ঞ গ্লেন গ্যাবার্ড (১৯৪৯ সালে জন্ম) মানি এবং আরেক যৌনবিজ্ঞানী উইলহেল্ম স্টিকেলের যৌন বিকৃতির সংজ্ঞাপ্রদানকে ভুল বলেন, তিনি বলেন যৌন বিকৃতিকে আলাদাভাবে বলা যায়না, কোনো যৌনতাই আদতে বিকৃতি নয় যতক্ষণ না ঐ যৌনতা নিজেকে এবং/বা সঙ্গীর কোনো শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করে।<ref name="gabbard2007">{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Gabbard | প্রথমাংশ = GO | বছর = 2007| শিরোনাম = Gabbard's Treatments of Psychiatric Disorders| প্রকাশক = American Psychiatric Press | আইএসবিএন = 978-1-58562-216-0 }}</ref>
 
অস্ট্রীয় যৌনবিদ ফ্রেডরিখ সলোমন ক্রস ১৯০৩ সালে জার্মান ভাষায় প্যারাফিল নামের একটি শব্দের প্রচলন ঘটান যৌন বিকৃতি বোঝানোর জন্য, ১৯১৩ সালে শব্দটি ইংরেজি ভাষায় প্যারাফিলিয়া নামে ঢুকে যায়, মার্কিন যৌনবিদ উইলিয়াম জে. রবিনসন (১৮৬৭-১৯৩৬) ফ্রেডরিখ ক্রসের উদাহরণ টেনে শব্দটি চালু করেন।<ref name="janssen">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Janssen|প্রথমাংশ=D.F.|বছর=2014|শিরোনাম=How to "Ascertain" Paraphilia? An Etymological Hint|কর্ম=Archives of Sexual Behavior, 43(7), 1245–1246|ইউআরএল=https://dx.doi.org/10.1007/s10508-013-0251-5}}</ref> মনোবিজ্ঞানী [[সিগমুন্ড ফ্রয়েড]]েরফ্রয়েডের অনুসারী অস্ট্রীয় মনোবিজ্ঞানী উইলহেল্ম স্টিকেল ১৯২০ এর দশকে জার্মান শব্দটি খুব বহুল ভাবে ব্যবহার করেছিলেন।<ref name="stekel">{{বই উদ্ধৃতি| শেষাংশ = Stekel | প্রথমাংশ = W | লেখক-সংযোগ = Wilhelm Stekel | বছর = 1930 | শিরোনাম = Sexual Aberrations: The Phenomenon of Fetishism in Relation to Sex | সংস্করণ = translated from the 1922 original German | অনুবাদক = S. Parker | প্রকাশক = Liveright Publishing }}</ref> শব্দটি আসে গ্রীক প্যারা যার অর্থ পাশে এবং ফিলিয়া থেকে যার অর্থ বন্ধুত্ব, প্রেম।
 
উনবিংশ শতকের শেষের দিকে মনোবিজ্ঞানী এবং মনঃরোগবিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন প্রকারের যৌন বিকৃতির সংজ্ঞা এবং শ্রেণীবিভাগ বানানো শুরু করেন কারণ তারা রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় 'পায়ুকাম আইন'<ref name="dailey1989 ">Dailey, Dennis M. (1989). ''The Sexually Unusual: Guide to Understanding and Helping.'' Haworth Press {{ISBN|978-0-86656-786-2}}, pp. 15-16</ref> ও 'কামুকতা আইন'<ref name="purcell2006">{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Purcell | প্রথমাংশ = CE |লেখক২=Arrigo BA | বছর = 2006 | শিরোনাম = The psychology of lust murder: paraphilia, sexual killing, and serial homicide | প্রকাশক = [[Academic Press]] | আইএসবিএন = 978-0-12-370510-5 | পাতা = 16}}</ref> থেকে ব্যতিক্রম কিছু দেখাতে চাচ্ছিলেন। [[আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক এ্যাসোসিয়েশন]] (এপিএ) দ্বারা তৈরি ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়্যাল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার্স - ৩ (১৯৮০) তে যৌন বিকৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দ প্যারাফিলিয়ার পরিবর্তে 'সেক্সুয়াল ডিভায়েশন' বা লুইচ্চামি শব্দটি ব্যবহার করা হয়, ওটির পরপর দুটি সংস্করণে।<ref>Laws and, O'Donohue (2008) p. 384</ref> ১৯৮১ সালে 'আমেরিকান জার্নাল অব সাইকিয়াট্রি' নামক ম্যাগাজিনে যৌন বিকৃতিকে অস্বাভাবিক, অসচরাচর এবং অপ্রয়োজনীয় যৌনতা বলে আখ্যায়িত করে বলা হয়ঃ<ref name="AJP">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ১ = Spitzer | প্রথমাংশ১ = R. L. | শিরোনাম = The diagnostic status of homosexuality in DSM-III: A reformulation of the issues | সাময়িকী = The American Journal of Psychiatry | খণ্ড = 138 | সংখ্যা নং = 2 | পাতাসমূহ = 210–215 | বছর = 1981 | pmid = 7457641 | ডিওআই=10.1176/ajp.138.2.210}}</ref>
*মানুষ নয় এমন কোনো প্রাণীর বা কোনো উদ্ভিদের প্রতি যৌন-আকর্ষণ আসা
*কোনো যৌনকর্মের মাধ্যমে নিজেকে বা নিজের সঙ্গীকে শারীরিক বা মানসিক কষ্ট দেওয়া
*অপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষদের প্রতি যৌন উত্তেজনা আসা
===সমকামিতা===
একসময় সমকামিতাকে লুইচ্চামি বা কামুকতা হিসেবে ধরা হত।<ref name="hutchinson">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Hutchinson | প্রথমাংশ = GE | বছর = 1959 | শিরোনাম = A speculative consideration of certain possible forms of sexual selection in man | সাময়িকী = [[American Naturalist]] | খণ্ড = 93 | সংখ্যা নং = 869 | পাতাসমূহ = 81–91 | ডিওআই = 10.1086/282059 }}</ref> [[সিগমুন্ড ফ্রয়েড]] এবং তার সহযোগীরা সমকামিতা এবং যৌন বিকৃতিকে একই কাতারে ফেলতেন, তারা ভাবতেন সমকামিতা হচ্ছে মানুষের মনঃযৌন সমস্যা যেটার সাথে '[[ইডিপাস কমপ্লেক্স]]' এর সম্পর্ক আছে।<ref name="Lacan, Jacques. Le Séminaire. Livre IV. La relation d'objet, 19566-57. Ed. Jacques-Alain Miller. Paris: Seuil, 1991. p. 201">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ১ = Karpman | প্রথমাংশ১ = B. | শিরোনাম = The sexual psychopath | সাময়িকী = Journal of the American Medical Association | খণ্ড = 146 | সংখ্যা নং = 8 | পাতাসমূহ = 721–726 | বছর = 1951 | pmid = 14832048 | ডিওআই=10.1001/jama.1951.03670080029008}}</ref> অনেক আগে থেকেই সভ্য সমাজে সমকামিতা লুইচ্চামি বা কামুকতার কাতারে পড়ত এবং স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্যান্য যৌনতাকেও একই শ্রেণীতে ফেলা হত, তবে বিংশ শতাব্দী থেকে ঐরূপ ধ্যান-ধারণায় পরিবর্তন আসতে শুরু করেছিলো কিন্তু সিগমুন্ড প্রথাবাদী মতবাদকেই তার গবেষণা লব্ধ ফল হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন।<ref name="hutchinson"/><ref name="Lacan, Jacques. Le Séminaire. Livre IV. La relation d'objet, 19566-57. Ed. Jacques-Alain Miller. Paris: Seuil, 1991. p. 201"/><ref name="kafka1996">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Kafka | প্রথমাংশ = MP | বছর = 1996 | শিরোনাম = Therapy for Sexual Impulsivity: The Paraphilias and Paraphilia-Related Disorders | সাময়িকী = Psychiatric Times | খণ্ড = 13 | সংখ্যা নং = 6}}</ref><ref name = Cantor2012>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ১ = Cantor | লেখক-সংযোগ = James Cantor | প্রথমাংশ১ = J. M. | শিরোনাম = Is Homosexuality a Paraphilia? The Evidence for and Against | সাময়িকী = Archives of Sexual Behavior | খণ্ড = 41 | সংখ্যা নং = 1 | পাতাসমূহ = 237–247 | বছর = 2012 | pmid = 22282324 | pmc = 3310132 | ডিওআই = 10.1007/s10508-012-9900-3 }}</ref>
 
বিশ শতকের মাঝখান দিকে, মনঃরোগবিশেষজ্ঞরা লুইচ্চামিকে শ্রেণীবিভক্ত করেন সমকামিতাকে শীর্ষে রেখে, ঐ শ্রেণীবিভাগে ১৯৭৪ সালে [[আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক এ্যাসোসিয়েশন]] (এপিএ) সমকামিতাকে যৌন বিকৃতি বা মনোবিকৃতি বা লুইচ্চামির তালিকা থেকে বাদ দেয়, সমকামিতাকে সকল প্রকার বিকৃতির বিভাগ থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন মনঃরোগবিশেষজ্ঞ মার্টিন কাফকা বলেনঃ 'সমকামিতা, যেটা একসময় যৌনতার একটি অস্বাভাবিক রূপ এবং লুইচ্চামি হিসেবে বিবেচিত হত, এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক যৌনতা বলে পরিগণিত হয়।'<ref name="kafka1996"/>
 
[[সিগমুন্ড ফ্রয়েড]] যদিও পরে সমকামিতার বিরোধিতা করা বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি সকল মানুষের মধ্যেই সমকাম প্রবণতা একটু হলেও থাকে বলে উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, 'সমকামিতা কোনো লজ্জার ব্যাপার নয়'।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.lettersofnote.com/2009/10/homosexuality-is-nothing-to-be-ashamed.html|শিরোনাম=Homosexuality is nothing to be ashamed of|ওয়েবসাইট=lettersofnote.com|তারিখ=29 October 2009|সংগ্রহের-তারিখ=3 November 2017}}</ref>
 
১৯৩৫ সালে সিগমুন্ড একজন মহিলার চিঠির জবাব দিয়েছিলেন এইভাবেঃ<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.huffingtonpost.com/2015/02/18/sigmund-freud-gay-cure-letter_n_6706006.html|শিরোনাম=Unearthed Letter From Freud Reveals His Thoughts On Gay People|ওয়েবসাইট=huffingtonpost.com|তারিখ=2 February 2016|সংগ্রহের-তারিখ=3 November 2017}}</ref>