মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হালনাগাদ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সংশোধন
১ নং লাইন:
'''মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী''' (১৯০৭–১৯৯৬, [[উর্দু ভাষা|উর্দু]] : محمود حسن گنگوہی) ছিলেন একজন [[ভারতীয় জনগণ|ভারতীয়]] ইসলামি পন্ডিত, হানাফি আলেম এবং [[দারুল উলুম দেওবন্দ]] ও [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরের]] প্রাক্তন প্রধান মুফতি। তিনি বিশিষ্ট সাহাবী হযরত [[আবু আইয়ুব আনসারি|আবু আইয়ুব আনসারি রাঃ]] এর বংশধর।<ref name="Gangohi672">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref>
{{তথ্যছক ধর্মীয় জীবনী
|religion=[[ইসলাম]]
১৪ ⟶ ১৩ নং লাইন:
|order=
|parents=
|honorific prefix=মুফতি আজম
|honorific prefix=মুফতি আজম|era=আধুনিক <ref name="Waqf">{{cite web |title=Other Great Ulama of Deoband (Hazrat e Mashaikh) |url=https://dud.edu.in/index.php/en?id=18 |website=dud.edu.in |accessdate=25 April 2020}}</ref>|movement=[[দেওবন্দি]]|education=[[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর]]<br/>[[দারুল উলুম দেওবন্দ]]|denomination=|jurisprudence=[[হানাফি]]|known_for=[[ফতোয়া]] প্রদান|founder=জামিয়া মাহমুদিয়া টেকরপুর|influences=[[হুসাইন আহমদ মাদানি]],[[মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি]]|influenced=[[আবুল কাসেম নোমানী]], [[রহমতুল্লাহ মীর কাসেমী]],[[ইব্রাহিম দেশাই]]|branch=|creed=[[সুন্নি]]|ethnicity=|Madh'hab=হানাফি}}
|era=আধুনিক <ref name="Waqf">{{cite web |title=Other Great Ulama of Deoband (Hazrat e Mashaikh) |url=https://dud.edu.in/index.php/en?id=18 |website=dud.edu.in |accessdate=25 April 2020}}</ref>
|movement=[[দেওবন্দি]]
|education=[[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর]]<br/>[[দারুল উলুম দেওবন্দ]]
|denomination=
|jurisprudence=[[হানাফি]]
|known_for=[[ফতোয়া]] প্রদান|founder=জামিয়া মাহমুদিয়া টেকরপুর
|influences=[[হুসাইন আহমদ মাদানি]], [[মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি]]
|influenced=[[আবুল কাসেম নোমানী]], [[রহমতুল্লাহ মীর কাসেমী]], [[ইব্রাহিম দেশাই]]
|branch=|creed=[[সুন্নি]]
|ethnicity=
|Madh'hab=হানাফি
}}
'''মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী''' (১৯০৭–১৯৯৬, [[উর্দু ভাষা{{lang-ur|উর্দু]] : محمود حسن گنگوہی}}) ছিলেন একজন [[ভারতীয় জনগণ|ভারতীয়]] ইসলামি পন্ডিত, হানাফি আলেম এবং [[দারুল উলুম দেওবন্দ]] ও [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরের]] প্রাক্তন প্রধান মুফতি। তিনি বিশিষ্ট সাহাবী হযরত [[আবু আইয়ুব আনসারি|আবু আইয়ুব আনসারি রাঃ]] -এর বংশধর।<ref name="Gangohi672">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref>
 
== জন্ম ==
''মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী'' ১৩২৫ [[হিজরি সন|হিজরির]] ৮/৯ [[জমাদিউস সানি|জমাদিউল সানি]] মোতাবেক ১৯০৭ সালে [[ভারত|ভারতের]] [[সাহারানপুর জেলা|সাহারানপুর জেলার]] অন্তর্গত গাঙ্গুহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার সম্মানিত পিতা মাওলানা হামেদ হাসান [[মাহমুদুল হাসান|শায়খুল হিন্দের]] শাগরেদ এবং [[রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি|রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহির]] নিকট বায়আত ছিলেন।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/13927/%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%80-%28%E0%A6%B0%E0%A6%B9%29|শিরোনাম=আউলিয়াদের জীবন - হযরত মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী (রহ.)|শেষাংশ=প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=নিজস্ব|ওয়েবসাইট=DailyInqilabOnline|ভাষা=enদৈনিক ইনকিলাব|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02}}</ref>
 
== বংশ পরিচয় ==
২৩ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
 
== শিক্ষাজীবন ==
মুফতিমাহমুদ মাহমুদেরহাসানের প্রাথমিক শিক্ষার সূচনা হয় হযরত [[মাহমুদুল হাসান|শায়খুল হিন্দের]] নিকট হযরত [[রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি|রশিদ আহমেদ গাঙ্গুহীর]] কন্যার বৈঠকখানায়, সেখানে ''হাফেজ করীম বখশের'' নিকট কোরআন কারিম হেফজ করেন। [[কুরআন]] হেফজ শেষ করতে মাত্র সতের লাইন বাকি, এমতাবস্থায় হাফেজ করীম বখশের (যিনি অন্ধ ছিলেন) ইন্তেকালমৃত্যুবরণ হয়ে যায়।করেন। অতঃপর গাঙ্গুহ জামে মসজিদের ইমাম ''হাফেজ আব্দুল করীম'' সাহেবের নিকট হেফজ সমাপ্ত করেন। সে সময় নিজের আগ্রহে [[উর্দু ভাষা|উর্দু ভাষাও]] শিখে নিয়েছিলেন। আর আমদনামা ও বুস্তার কিছু অংশ পড়েছেন ''মাওলানা ফখরুদ্দীন গাঙ্গহীর'' নিকট। ১৩৪১ হিজরীতে [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরে]] ভর্তি হয়ে সরফে মীর এবং নাহুমীর ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শুরু করে মীর যাহেদ গোলাম ইয়াহইয়া, কাযী মুবারক দিওয়ানে হামাসাহ, দিওয়ানে মুতানাব্বী এবং হামদুল্লাহসহ অন্য কিতাবগুলো পড়েন ১৩৪৭ হিজরি পর্যন্ত। ১৩৪৮ হিজরির শাওয়াল মাসে দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হয়ে হেদায়া আখেরাইন এবং মিশকাত শরিফ অধ্যয়ন করেন। ১৩৪৯ হিজরিতে বায়যাভী, আবু দাউদ এবং মুসলিম শরিফ পড়েন। আর ১৩৫০ হিজরিতে শায়খুল ইসলাম [[হুসাইন আহমদ মাদানি]]<nowiki/>র নিকট বুখারি শরিফ ও তিরমিজি শরিফ পড়েন। পরবর্তী বছরে মাজাহেরুল উলুম সাহারানপুরে ভর্তি হয়ে দাওরায়ে হাদিসের সব কিতাব পুনরায় অধ্যয়ন করেন। অতঃপর মাজাহিরুল উলুমেই তাজভীদ এবং কেরাত শাস্ত্র সমাপ্ত করেন।<ref name=":0" />
 
== কর্মজীবন ==
শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হওয়ার পরপরই স্বীয় উস্তাদগণের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমেপরপর ১৩৫১ হিজরির জিলকদ মাসেরজিলকদের ৪ তারিখে [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরে]] মাসিক দশ রুপি বেতনে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ১৩৫৩ হিজরিতে সহকারী [[মুফতি]] হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন । ১৩৭০ হিজরি পর্যন্ত [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরে]] ওই পদে বহাল থাকেন। এ সময়ের মাঝে মীযানুচ্ছরফ থেকে হেদায়া আওয়ালাইন এবং জালালাইন পর্যন্ত সব কিতাবের দরস প্রদান করেন। সে সময় তিনি ''মাওলানা আব্দুর রহমান কামেলপুরী'', ''মাওলানা আবদুল লতিফ'' এবং শাইখুল হাদিস [[মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি|মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভির]] তত্ত্বাবধানে কামালিয়াতের সকল স্তর অতিক্রম করেন এবং শেষ পর্যন্ত যুগশ্রেষ্ঠ ফেকাহবিদ হতে সক্ষম হন।
 
[[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম সাহারানপুরে]] দীর্ঘদিন খেদমতদায়িত্ব পালন করার পর তিনি ১৩৭১ হিজরি থেকে ১৩৮৪ হিজরি পর্যন্ত প্রায় ১৪ বছর যাবত জামেউল উলুম কানপুর মাদরাসায় মুহতামিম, মুফতি ও শায়খুল হাদিসের পদপদে দায়িত্ব অলঙ্কৃতপালন করেন।
 
[[কানপুর|কানপুরবাসীর]] ওপর মুফতি মাহমুদের তাকওয়া, পরহেজগারী বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। জামেউল উলুম কানপুর কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলেন তিনি যেন এই মাদ্রাসায় থাকে। কিন্তু ১৩৮৫ হিজরিতে তিনি [[দারুল উলুম দেওবন্দ|দারুল উলুম দেওবন্দের]] প্রধান মুফতি হিসেবে চলে আসেন। দারুল উলুম দেওবন্দে মুফতি মাহমুদ ফতওয়া প্রদানের কাজ ছাড়াও দীর্ঘদিন পর্যন্ত [[সহীহ বুখারী|সহীহ বুখারীর]] দরস প্রদান করেন। এসব খেদমতের বিনিময়ে তিনি যে বেতন পেতেন, তা কখনো গ্রহণ করতেন না, এর সাথে আরো কিছু মিলিয়ে তিনি তা মাদরাসায় দান করে দিতেন। ১৩৮৬ হিজরিতে তাকে [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরের]] পৃষ্ঠপোষক নির্বাচন করা হয়। <ref name="Gangohi67">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref><ref name="history">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/download/2VolumeBookOnTheHistoryOfDarAlUlumDeoband/HistoryOfTheDarulUloomDeoband-VolumeTwo1981.pdf|শিরোনাম=History of The Dar al-Ulum Deoband (Volume 2)|শেষাংশ=[[Syedসৈয়দ Mehboobমেহবুব Rizwiরিজভী]]|প্রকাশক=Idaraইদারা-e-Ehtemamএহতেমাম, [[Darulদারুল Uloomউলূম দেওবন্দ Deoband|Dar al-Ulumদারুল Deobandউলুম দেওবন্দ]]|পাতা=194|সংগ্রহের-তারিখ=25 April 2020|সংস্করণ=1981}}</ref>
 
== তাসাউফ ==
মুফতি মাহমুদ ছিলেন শায়খুল হাদিস মাওলানা [[মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি|মুহাম্মাদ যাকারিয়া কান্ধলভীর]] উল্লেখযোগ্য খলিফাদের একজন। নিজের বাইআতের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন,
{{উক্তি|text=আমার বাইআতের ঘটনাটি ছিল ১৩৪৯ হিজরিতে। তখন আমি দেওবন্দে পড়তাম। আর আমি যখনই হযরত রায়পুরী এবং হযরত দেহলভীর খেদমতে উপস্থিত হতাম তখন আখেরাতের প্রতি আগ্রহ খুব বেশি হত। আর দুনিয়ার প্রতি অনাগ্রহ বেড়ে যেত। আর যখন জাকারিয়া কান্ধলভীর নিকট যেতাম, তখন স্বীয় গুনাহ এবং দোষগুলো সামনে চলে আসত। আমি মনে করতাম আমার সংশোধন তার দ্বারাই হবে। শায়খকে প্রাধান্য দেওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো, বয়সের বিবেচনায় শায়খ অন্যান্যদের থেকে ছোট ছিলেন, যার দরুন বেশ কিছু সময় হযরতের খেদমতে কাটানোর সুযোগ হয়ে যাবে। অতঃপর আমি শায়খের নিকট বাইআত হওয়ার দরখাস্ত করলাম। তখন তিনি শায়খুল হাদীস [[হুসাইন আহমেদ মাদানি]]র নিকট আমাকে বাইআত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বললেন, ইস্তেখারা করে নাও, অথবা নিযামুদ্দিন,রায়পুর ও থানাভবন সফর কর এবং তিনজনের মজলিসে চুপিসারে বস, অতঃপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর। আমি কোথাও যাইনি। তখন শায়খ আমাকে বাইআত করে নিলেন। বাইআতের পূর্বে ''কছদুস সাবীল'' দেখে জিকির শুরু করেছিলাম। বাইআত হওয়ার পরে শায়খ জিকির ছাড়িয়ে দিয়ে তাসবিহাত বাতলে দিলেন। দীর্ঘ দিন রিয়াযত ও মোজাহাদার পর খেলাফত লাভ করলাম।|sign=|source=}}
শায়খুল হাদিস জাকারিয়া কান্ধলভীর ইন্তেকালের পর তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। [[দারুল উলুম দেওবন্দ|দারুল উলুম দেওবন্দের]] ছাত্তা মসজিদে তাঁর খানকাহ ছিল। খানকাতে রিয়াযাত- মুজাহাদার কাজ করতেন। দেওবন্দ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন জায়গাতে খানকাহ ছিল। এমনি ভাবে [[বাংলাদেশ]], [[পাকিস্তান]], [[আফ্রিকা]], [[লন্ডন]], বিভিন্ন দেশে তাঁর খানকাহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এসব খানকাতে হাজার হাজার আলেম এবং সাধারণ মানুষের ইসলাহী কাজ করতেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/13927/%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%80-%28%E0%A6%B0%E0%A6%B9%29|শিরোনাম=আউলিয়াদের জীবন - হযরত মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী (রহ.)|শেষাংশ=প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=নিজস্ব|ওয়েবসাইট=DailyInqilabOnline|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02}}</ref>
 
শায়খুল হাদিস জাকারিয়া কান্ধলভীর ইন্তেকালের পর তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। [[দারুল উলুম দেওবন্দ|দারুল উলুম দেওবন্দের]] ছাত্তা মসজিদে তাঁর খানকাহ ছিল। খানকাতে রিয়াযাত- মুজাহাদার কাজ করতেন। দেওবন্দ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন জায়গাতে খানকাহ ছিল। এমনি ভাবে [[বাংলাদেশ]], [[পাকিস্তান]], [[আফ্রিকা]], [[লন্ডন]], বিভিন্ন দেশে তাঁর খানকাহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এসব খানকাতে হাজার হাজার আলেম এবং সাধারণ মানুষের ইসলাহী কাজ করতেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/13927/%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%80-%28%E0%A6%B0%E0%A6%B9%29|শিরোনাম=আউলিয়াদের জীবন - হযরত মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী (রহ.)|শেষাংশ=প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=নিজস্ব|ওয়েবসাইট=DailyInqilabOnline|ভাষা=enদৈনিক ইনকিলাব|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02}}</ref>
''মুফতি মাহমুদ'' প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। রমজান পুরোটা ইতিকাফে কাটাতেন প্রতি বছর। এই ইতিকাফ ছিল তাঁর আরেক ইসলাহী মিশন। তাঁর সাথে হাজারো আলেম- উলামা ইতিকাফে শরীক থাকতেন।
 
মুফতি মাহমুদের খলিফাদের মধ্যে [[আবুল কাসেম নোমানী]],[[ইব্রাহিম দেশাই]] ,[[রহমতুল্লাহ মীর কাসেমি]] প্রমুখ উল্ললেখযোগ্য। বাংলাদেশে ওনারতার খলিফাদের মধ্যে রয়েছেন [[নূর হুসাইন কাসেমী]], মুফতি শফিকুল ইসলাম,মুফতি মামুনুর রশীদ, মাওলানা মোস্তাফাসহ অনেকেই। তাঁর খানকাও এখনো বাংলাদেশে বিদ্যমান। <ref name="Gangohi67">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref>
একেক রমজান একেক জায়গায় [[ইতিকাফ|ইতিকাফের]] প্রোগ্রাম থাকত। কখনো [[দেওবন্দ শহর|দেওবন্দ]], কখনো ভারতের অন্য কোন জায়গায়, কখনো আফ্রিকাতে, কখনো বাংলাদেশে ইতিকাফ করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://patheo24.com/%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%ab%e0%a6%a4%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b9/|শিরোনাম=জীবন্ত পাঠাগার মুফতী মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী রহ.|তারিখ=2019-09-02|ওয়েবসাইট=Patheo24|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02}}</ref>
 
বাংলাদেশে ১৯৯৫ সনে ঢাকা [[মালিবাগ]] মাদ্রাসায় ইতিকাফ করেছিলেন। প্রায় হাজারের ঊর্ধ্বে আলেম এবং সাধারণ মানুষ শরীক ছিল সে ইতিকাফে। বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় বহু উলামায়ে কেরাম তখন সেখানে ইতিকাফে অংশ গ্রহন করে ছিলেন।
 
মুফতি মাহমুদের খলিফাদের মধ্যে [[আবুল কাসেম নোমানী]],[[ইব্রাহিম দেশাই]] ,[[রহমতুল্লাহ মীর কাসেমি]] প্রমুখ উল্ললেখযোগ্য। বাংলাদেশে ওনার খলিফাদের মধ্যে রয়েছেন [[নূর হুসাইন কাসেমী]], মুফতি শফিকুল ইসলাম,মুফতি মামুনুর রশীদ, মাওলানা মোস্তাফাসহ অনেকেই। তাঁর খানকাও এখনো বাংলাদেশে বিদ্যমান। <ref name="Gangohi67">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref>
 
== বাংলাদেশ সফর ==
ভক্ত ও শাগরিদদের অনুরোধে তিনি ৪ বার [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] আগমন করেন। বিগত ১৯৯৬৯৯৬ সালে [[রমজান|মাহে রমজানে]] বাংলাদেশে তার সর্বশেষ সফর হয়েছিল। তখন তিনি ঢাকার মালিবাগ মাদরাসার জামে মসজিদে এক মাসব্যাপী কয়েক হাজার দেশি ও বিদেশি ভক্ত ও মুরিদদেরকে সাথে নিয়ে জিকির, তালকীন ও [[ইতিকাফ|এতেকাফ]] করেন।
 
তিনি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[ঢাকা|ঢাকার]] [[নবাবগঞ্জ উপজেলা, ঢাকা|নবাবগঞ্জ]] থানার টিকরপুরে আল জামিয়াতুল মাহমুদিয়া টিকরপুর মাদরাসাটির ভিত্তিপ্রস্তর নিজের হাতে স্থাপন করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের ৬টি দ্বীনি মাদরাসা এবং মালিবাগ মাদ্রাসা ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার প্রধান দুটি খানকাহও তার নেসবতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/14833/%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%80-(%E0%A6%B0%E0%A6%B9)|শিরোনাম=আউলিয়াদের জীবন - হযরত মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী (রহ.)|শেষাংশ=নিজস্ব প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=অবদান পরিচ্ছেদ|তারিখ=|কর্ম=DailyInqilabOnlineদৈনিক ইনকিলাব|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02|ভাষা=en}}</ref>
 
== বই ==
৫৭ ⟶ ৬৪ নং লাইন:
* মালফুজাতে ফকিহুল উম্মাহ (২ খণ্ড) (উম্মতের ফকীহগণের উপাখ্যান)
* মাওয়ায়েযে ফকিহুল উম্মাহ (৫ খণ্ড) (উম্মতের ফকীহগণের বক্তব্য)
*
* পার্থক্যের সীমানা <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Boundaries of Differences|প্রকাশক=Idara Impex, Jamia Nagar, New Delhi|পাতাসমূহ=184|ভাষা=English|আইএসবিএন=81-7101--683-9}}</ref>
 
== মৃত্যু ==
তিনি ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর, সোমবার, রাত ১১টা ৩০ মিনিটে [[দক্ষিণ আফ্রিকা]] সফরে গিয়ে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজের ইমামতি করেন বর্তমান দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি [[আবুল কাসেম নোমানী]]। হজলডেন থেকে প্রায় ৪ কি.মি. দূরে এলসবার্গে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
 
সকাল সাড়ে ৯টায় তার লাশ জানাজা ঘর থেকে বের করা হয়। হজলডেন থেকে প্রায় ৪ কি.মি. দূরে এলসবার্গে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
 
== আরো দেখুন ==
 
* [[আকাবিরে সিত্তাহ]]
* [[দেওবন্দি ব্যক্তিত্বের তালিকা]]
৭৩ ⟶ ৭৬ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯৬-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯০৭-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মুফতি]]
 
[[বিষয়শ্রেণী:দেওবন্দি]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯৬-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯০৭-এ জন্ম]]