আব্রাহাম লিংকন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ছবি যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্প্রসারণ
৪৪ নং লাইন:
}}
 
'''আব্রাহাম লিংকন''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Abraham Lincoln ''এইব্রাহ্যাম্‌ লিংকন্‌'') (জন্ম: [[ফেব্রুয়ারি ১২|১২ ফেব্রুয়ারি]], ১৮০৯ - মৃত্যু: [[এপ্রিল ১৫|১৫ এপ্রিল]], ১৮৬৫) [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] ১৬তম রাষ্ট্রপতি। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রথম রাষ্ট্রপতি, এবং ১৮৬১ হতে ১৮৬৫ খ্রীস্টাব্দসাল পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। [[দাস প্রথা]]র চরম বিরোধী <ref>"[I]n his short autobiography written for the 1860 presidential campaign, Lincoln would describe his protest in the Illinois legislature as one that 'briefly defined his position on the slavery question, and so far as it goes, it was then the same that it is now." This was in reference to the anti-expansion sentiments he had then expressed. Doris Kearns Goodwin, ''Team of Rivals: The Political Genius of Abraham Lincoln'' (2005) p. 91.</ref><ref>Holzer pg. 232. Writing of the Cooper Union speech, Holzer notes, "Cooper Union proved a unique confluence of political culture, rhetorical opportunity, technological innovation, and human genius, and it brought Abraham Lincoln to the center stage of American politics at precisely the right time and place, and with precisely the right message: that slavery was wrong, and ought to be confined to the areas where it already existed, and placed on the 'course of ultimate extinction... .'"</ref> লিংকন ১৮৬০ সালে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৮৬৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাস প্রথার অবসান ঘটান এবং মুক্তি ঘোষণা ([[:en:Emancipation Proclamation|Emancipation Proclamation]]) এরঘোষণার মাধ্যমে দাসদের মুক্ত করে দেন। দাস প্রথাকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময় তিনি উত্তরাঞ্চলীয় ইউনিয়ন বাহিনীর নেতৃত্ব দেন, এবং দক্ষিণের কনফেডারেট জোটকে পরাজিত করেন। জন [[উইল্‌ক্‌স বুথ]] নামক আততায়ীর হাতে তিনি ১৮৬৫ খ্রীস্টাব্দেরসালের ১৫ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ ও নিহত হন।
 
== প্রাথমিক জীবন ==
আব্রাহাম লিংকন (১২ ফেব্রুয়ারি,১৮০৯ - এপ্রিল ১৫, ১৮৬৫) ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম প্রেসিডেন্ট। ১৮৬১ সালের মার্চে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ১৫ এপ্রিল ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
কেন্টাকিতে জন্মগ্রহণ করা লিংকন গরীব আমেরিকান ফ্রন্টিয়ারে বেড়ে উঠেন। স্বশিক্ষিত হয়ে তিনি ইলিনয়ের আইনজীবী হন।
তার অসাধারণ নেতৃত্ব গুণ,বাগ্মিতা, দূরদর্শীতার বলে তিনি আমেরিকান গৃহযুদ্ধ কালীন সময়েও সফলভাবে সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে সক্ষম হোন।
 
== রাজনৈতিক জীবন ==
কেন্টাকিতে জন্মগ্রহণ করা লিংকন গরীব আমেরিকান ফ্রন্টিয়ারে বেড়ে উঠেন। স্বশিক্ষিত হয়ে তিনি ইলিনয়ের লইয়ার হন। হুইগ পার্টির নেতা হিসেবে তিনি আট বছর রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারনের কাজ করেন এবং পুনরায় তার আইনি কাজে ফিরে যাবার পূর্বে দুই বছর কংগ্রেসে কাজ করেন। ডেমক্রেটিকরা যখন প্রেইরি ল্যান্ডে দাসপ্রথার চালু করে লিংকন রাগান্বিত হয়ে পুনরায় ১৮৫৪ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। নিউ রিপাবলিকান পার্টির নেতা হয়ে উঠেন। তিনি জাতীয়ভাবে নজর কাড়তে সক্ষম হন ১৮৫৮ সালে ডেমোক্রেট নেতা স্টিফেন এ. ডগলাসের সাথে বির্তকে জড়িয়ে। সেবার তিনি হেরে যান। পরে পশ্চিম থেকে প্রার্থীতা নিয়ে ১৮৬০ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা নেন। উত্তরকে হারিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। তিনি জিতে যাবার ফলে দক্ষিণের দাস প্রথার পক্ষ শক্তি বুঝতে পারে যে উত্তরাঞ্চল দক্ষিণের সাংবিধানিক অধিকারকে অস্বীকার করছে যাতে দাস প্রথা চলতে থাকে। তারা ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হবার প্রক্রিয়া শুরু করে যাতে একটি স্বাধীন দেশ গড়তে পারে। ন্যাশনালিজম উত্তরের ক্ষমতাবান শক্তি এবং এটি এই বিচ্ছিন্নতাকে মেনে নেয়নি। এবং স্বাধীনতা বজায় রাখতে নব গঠিত কনফেডারে স্টেটস অব আমেরিকা দক্ষিণের ফোর্ট সুমটারে আক্রমন চালায়। লিংকন স্বেচ্ছাসেবী এবং মিলিশিয়া গঠন করে এবং ইউনিয়ন ধরে রাখতে বিদ্রোহীদের দমন করতে আহ্বান জানায়।
 
== দাসপ্রথা বিলোপ ==
[[File:Lincoln assassination slide c1900 - Restoration.jpg|thumb|লিংকনের গুপ্তহত্যা ]]
১৮৬৩ সালের ১লা জানুয়ারী তিনি আইনত দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেন। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকানরা তা মেনে নিতে পারে নি। তাঁরা বিভক্ত হয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করে আমেরিকাকে বিভক্ত করে। পরবর্তীতে এই অভ্যন্তরীণ বিরোধ গৃহযুদ্ধের সূচনা করে। ১-৩ জুলাই তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভানিয়ার গেটিসবার্গে  এই গৃহযুদ্ধে প্রায় আট হাজার মানুষ নিহত হয়। ১৯ নভেম্বর ১৮৬৩ সালে এক স্মরণসভায় আব্রাহাম  একটি সংক্ষিপ্ত ও দুনিয়া কাঁপানো ভাষণ দেন। মাত্র দুই মিনিটে ২৭২ শব্দের এই বিখ্যাত ভাষণটি গেটিসবার্গ স্পিচ। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ।
 
এই ভাষণের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক হলো মাত্র একটি বাক্যে গণতন্ত্রের নিখুঁত সংজ্ঞা দিয়েছেন লিংকন। তার ভাষ্যমতে, '''''‘গণতন্ত্র হলো জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা সরকার,''''' '''''জনগণের জন্য সরকার’'''''। [[File:Lincoln assassination slide c1900 - Restoration.jpg|thumb|লিংকনের গুপ্তহত্যা ]]
 
== তথ্যসূত্র ==