বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৪ নং লাইন:
'''বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি''' বাংলাদেশের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল।<ref>http://www.ecs.gov.bd/Bangla/nomination_info.php?findcandconst=1{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]] ও তার পরিবার সামরিক বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার হাতে হত্যার শিকার হন। হত্যাকারী কিছু কর্মকর্তা যেমন, ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে লে. কর্নেল) [[খন্দকার আবদুর রশিদ|খন্দকার আব্দুর রশিদ]], কর্নেল [[সৈয়দ ফারুক রহমান]] ও [[বজলুল হুদা|মেজর বজলুল হুদা]] পরবর্তীতে ১৯৮০-এর দশকে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
 
== ইতিহাস ==
== শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা==
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিশেষ বিমানযোগে দেশ ত্যাগ করেন। তারা প্রথমে ইয়াঙ্গুন হয়ে ব্যাংকক যান। সেখান থেকে পাকিস্তান হয়ে লিবিয়ায় আশ্রয় নেন। লিবিয়া থেকে পরবর্তীতে বেশ কয়েকজন খুনিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ১৯৭৫ থেকে ’৯০ সাল পর্যন্ত লিবিয়াকেই নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড ছুড়ে বলে অভিযোগ আছে। শেখ হাসিনা তখন ওই বাসাতেই থাকতেন। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন।
 
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির পৃষ্ঠপোষকতায় লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ ও কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ১৯৮০ সালে গড়ে তোলেন ফ্রিডম পার্টি। তবে শুরু থেকেই লিবিয়ায় তারা দুজনেই ভিআইপি অতিথির মর্যাদা পেতেন। খন্দকার আবদুর রশিদ ত্রিপোলিতে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি গড়ে তোলেন। সেই কোম্পানি গড়ে তোলার জন্য গাদ্দাফি তাকে অর্থ দিয়েছিলেন। আর সৈয়দ ফারুক রহমান লিবিয়ায় জনশক্তি রফতানি কোম্পানি খুলেছিলেন। সেই কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতো লিবিয়ায়।
মামলায় বলা হয় ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
 
ফ্রিডম পার্টিও পরিচালিত হতো মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির টাকায়। এছাড়া বংলাদেশ-লিবিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি গড়ে তোলেন সৈয়দ ফারুক রহমান ও খন্দকার আবদুর রশিদ। ঢাকায় ব্রাদার গাদ্দাফি কিন্ডারগার্টেন স্কুলও খোলা হয়েছিলো। আর গাদ্দাফির লেখা গ্রিন বুক বাংলায় অনুবাদ করে জনসাধারণের মাঝে ফ্রি বিতরণের ব্যবস্থাও করেন এ দুই খুনি।
সাড়ে সাত বছর পর ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়।
 
খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান ও খন্দকার আবদুর রশিদকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য খুনিরাও লিবিয়ায় মিলিত হতেন। লিবিয়ার ত্রিপোলি ছাড়াও বেনগাজিতে বঙ্গবন্ধুর এ দুই খুনির ব্যবসায়িক অফিস ছিলো। সেখানেও অন্যান্য দেশ থেকে খুনিরা নিরাপদে মিলিত হতেন।
আসামিদের মধ্যে গোলাম সারোয়ার, ফ্রিডম সোহেল, জর্জ, মো. শাজাহান বালু, নাজমুল মাকসুদ মুরাদ কারাগারে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন হুমায়ুন কবির, মিজানুর রহমান, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল ও গাজী ইমাম হোসেন। মামলার অপর আসামি সৈয়দ ফারুক রশিদ ও বজলুল হুদার বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে অভিযোগ গঠনের সময় অব্যাহতি দেয়া হয়।
 
অপর চার আসামি সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশিদ, হুমায়ুন কবীর, জাফর আহমদ, রেজাউল ইসলাম খান পলাতক ছিলেন। ২০১৪ সালেই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে আসে। কিন্তু পলাতক থাকা আসামি নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ ইন্টারপোলের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর আবারও ওই আসামিপক্ষ আসামিদের জেরার জন্য সাক্ষীদের রি-কল করা শুরু হয়।
 
২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর এই মামলায় ফ্রিডম পার্টির ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। তবে উচ্চ আদালতে এই মামলাটির মীমাংসা হয়নি এখনো।
 
== ১৯৯০-বর্তমান ==