২০২০ দিল্লি দাঙ্গা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ponirul Panda (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
CommonsDelinker-এর করা 4157184 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে: সর্বশেষ ভালো সংস্করণে ফেরত। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
২৬ নং লাইন:
|arrests= ৬০০<ref name="arrest"/>
}}
২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি [[উত্তর পূর্ব দিল্লি]]তে একের পর এক দাঙ্গা এবং সহিংসতার ঘটনা শুরু হয়, যার ফলে ৪৯ জন নিহত হন যাদের অধিকাংশ ছিলেন হিন্দু। <ref name=Polis/><ref name="Cabinet Security Meeting">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Top Cabinet Security Meeting As 42 Killed In Delhi Clashes: 10 Points |ইউআরএল=https://www.ndtv.com/india-news/delhi-violence-number-of-deaths-rises-to-17-2185746 |সংগ্রহের-তারিখ=26 February 2020 |কর্ম=NDTV.com |তারিখ=26 February 2020}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Northeast Delhi Clashes: Paramilitary out in riot-hit northeast Delhi as toll rises to 13 |ইউআরএল=https://timesofindia.indiatimes.com/city/delhi/paramilitary-out-in-riot-hit-areas-as-toll-rises-to-13/articleshow/74309772.cms |সংগ্রহের-তারিখ=26 February 2020 |কর্ম=Times of India |তারিখ=26 February 2020}}</ref> এবং প্রায় ২০০ জন আহত হন।<ref name=BBC/><ref name="Dead NDTV 25Feb">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=7 Dead In Delhi Clashes; Government Rules Out Calling Army, Say Sources |ইউআরএল=https://www.ndtv.com/india-news/delhi-violence-over-caa-northeast-delhi-tense-day-after-5-killed-in-caa-clashes-amid-donald-trump-vi-2185146 |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |কর্ম=NDTV.com}}</ref> [[নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯|নাগরিকত্ব সংশোধন আইন]], [[জাতীয় নাগরিক পঞ্জী]] (এনআরসি) এবং [[জাতীয় নাগরিক পঞ্জী#জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন|জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধক]] (এনপিআর) সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিল, সেই সময়ে এক বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক কপিল মিশ্র বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য একটি চূড়ান্ত সময় সীমা জারি করে বলেন যে বিক্ষোভ বন্ধ করা না হলে তিনি বিষয়টি নিজের হাতে তুলে নেবেন। তার এই মন্তব্যের পরের দিন [[উত্তর পূর্ব দিল্লি]]তে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যার ফলে পুলিশ এবং বেসামরিক নাগরিক মারা যায়।
 
২৪ ফেব্রুয়ারি জনতা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং হেড কনস্টেবল রতন লাল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় এবং সহিংস সংঘর্ষের কারণে ছয়জন বিক্ষোভকারী মারা যায়।<ref name="The Hindu24"/><ref name="IT Ratan Lal">[https://www.indiatoday.in/india/story/constable-ratan-lal-died-of-bullet-injury-shot-dead-autopsy-report-1650095-2020-02-26 Constable Ratan Lal died of bullet injury not stone-pelting, says autopsy report], India Today, 26 February 2020.</ref>{{efn|প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পাথরের আঘাতে মাথায় আঘাতের কারণে রতন লাল মারা গিয়েছিলেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে একটি গুলি তাঁর শরীরে আটকে রয়েছে<ref name="IT Ratan Lal"/>}} ভজনপুরায় জনতা একটি পেট্রোল পাম্প আক্রমণ করে, আজাদির ('''অনুবাদ''': স্বাধীনতার) স্লোগান দেয় ও পেট্রোল বোমা, লাঠি, অস্ত্র বহন করে এবং উপলব্ধ নগদ টাকা লুটের পরে গাড়ি ও পেট্রোল ট্যাঙ্ক পুড়িয়ে দেয়।<ref name="India Today0227"/><ref name="news1827"/><ref name="theprint27"/> পরে সেই রাতেই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে একটি ভিড় দু'জনকে লাঠি ও পাথর দিয়ে মারধর করে। তাদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।<ref name ="theprint27"/> একটি ভিড় ১৭০ টি গাড়ি সমেত একটি বিশাল পার্কিংয়ের জায়গা আগুনে পুড়িয়ে দেয়।<ref name ="hindustantimes2 March"/>
 
পরের দিন, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে একটি দাঙ্গা শুরু হয়, হিন্দু জাতীয়তাবাদী মুসলিমদেরজনতা মুসলমানদের সম্পত্তি ও বাড়িঘরমসজিদগুলিতে ভেঙেভাঙচুর ফেলাচালিয়ে হয়।গেরুয়া পতাকা বহন করে এবং জয় শ্রী রামকে স্লোগান দেয়।<ref name="TIME">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|লেখক=Rana Ayyub|ইউআরএল=https://time.com/5791759/narendra-modi-india-delhi-riots-violence-muslim/|শিরোনাম=Narendra Modi Looks the Other Way as New Delhi Burns|তারিখ=28 February 2020|সংবাদপত্র=TIME}}</ref><ref name="NYT" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.vice.com/en_us/article/wxepvq/a-hindu-nationalist-mob-torched-this-mans-house-and-trashed-the-mosque-next-door|শিরোনাম=A Hindu Nationalist Mob Torched This Man's House and Trashed the Mosque Next Door|শেষাংশ=Hume|প্রথমাংশ=Tim|তারিখ=2020-02-26|ওয়েবসাইট=Vice}}</ref> দাঙ্গা বেশ কয়েক দিন অব্যাহত ছিল এবং সেখানে সম্পত্তিগুলির ব্যাপক ধ্বংস হয় (যার বেশিরভাগই হিন্দুদেরমুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল)<ref name="NYT" /> - মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়া হয়,<ref name="Mosque burnt">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Delhi Riots: Mosque Set on Fire in Ashok Nagar, Hanuman Flag Placed on Minaret |ইউআরএল=https://thewire.in/communalism/delhi-violence-mosque-set-on-fire-in-ashok-vihar-hanuman-flag-placed-on-top |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |কর্ম=The Wire}}</ref> একটি শিবমন্দিরমন্দির ক্ষতিগ্রস্থ হয়,<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thequint.com/voices/opinion/delhi-communal-riots-hindu-muslim-tension-arson-lyching-delhi-police-modi-amit-shah|শিরোনাম='Delhi Police's Inaction & Action – Both Breached Social Contract'|তারিখ=2020-02-28|ওয়েবসাইট=The Quint|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-01}}</ref> এবং বেশ কয়েকটি স্কুল, দোকান, ঘর এবং যানবাহনে দাঙ্গাকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়;<ref name="BBCJudge"/> সব মিলিয়ে ৪৯ জন নিহত হয়<ref name=Polis/> এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়।<ref name="Livemint26"/> হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই সহিংসতার শিকার হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুরামুসলমানরা তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।শিখদের উপরও হামলা হয়।<ref name="TIME" /><ref name="CBS Riot">
*{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.cbsnews.com/news/new-delhi-riots-leave-35-dead-as-india-balks-at-us-reaction-to-the-religious-violence/|শিরোনাম=New Delhi riots leave 38 dead as India balks at U.S. reaction to the religious violence|কর্ম=cbsnews.com|সংগ্রহের-তারিখ=29 February 2020}}
*{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.theguardian.com/world/2020/feb/28/delhis-muslims-pray-under-armed-guard-after-week-of-riots|শিরোনাম=Delhi's Muslims pray under armed guard after week of riots|তারিখ=28 February 2020|কর্ম=The Guardian|সংগ্রহের-তারিখ=29 February 2020|উক্তি=They killed or burned alive Muslims who could not escape and the victims were largely unprotected by the police. At least 37 people, almost all Muslims, were killed and many others beaten half to death.}}
non- Muslims, were killed and many others beaten half to death.}}
*{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.firstpost.com/india/delhi-riots-police-release-details-of-37-dead-21-succumbed-to-gunshot-wounds-youngest-victim-is-17-and-oldest-70-8094731.html|শিরোনাম=Delhi riots: Police release details of 37 dead; 21 succumbed to gunshot wounds, youngest victim is 17 and oldest 70|তারিখ=27 February 2020|কর্ম=Firstpost|সংগ্রহের-তারিখ=29 February 2020|উক্তি=Of the deceased, 15 were Muslims and 10 were Hindus, while the religious identities of the others is not clear}}</ref>
 
৪৬ ⟶ ৪৫ নং লাইন:
 
২০২০ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি [[উত্তর-পূর্ব দিল্লি জেলা]]র ডিসিপি বেদ প্রকাশ সূর্যর উপস্থিতিতে স্থানীয় বিজেপি নেতা এবং সাবেক
বিধানসভার সদস্য কপিল মিশ্র সিএএবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জনসভায় প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন।{{efn|এর আগে, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর উত্তর পূর্ব দিল্লির সিলামপুর এলাকায় সিএএ-প্রতিবাদের সময় সহিংসতা হয়। ২০২০ সালের৩ জানুয়ারি, ডিসিপি বেদ প্রকাশ সূর্য মিডিয়াকে বলেন যে সিলামপুর এলাকায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা কর্মী এবং যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে এবং এর পরে আর কোন সমাবেশ ও সহিংসতা আশা করা হয়নি।<ref name="aninews.in">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=No gathering expected, adequate security deployed in Seelampur: DCP Ved Prakash |ইউআরএল=https://www.aninews.in/news/national/general-news/no-gathering-expected-adequate-security-deployed-in-seelampur-dcp-ved-prakash20200103131121/ |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |কর্ম=[[Asian News International]] (ANI) |তারিখ=3 January 2020}}</ref>}}<ref name="aninews.in">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=No gathering expected, adequate security deployed in Seelampur: DCP Ved Prakash |ইউআরএল=https://www.aninews.in/news/national/general-news/no-gathering-expected-adequate-security-deployed-in-seelampur-dcp-ved-prakash20200103131121/ |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |কর্ম=[[Asian News International]] (ANI) |তারিখ=3 January 2020}}</ref> [শাহরুখ[কপিল শুক্লামিশ্র]] তিন দিনের সময়ের মধ্যে পুলিশকে জাফরাবাদ ও চাঁদবাগ এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাদের ব্যর্থতার ঘটনায় বিষয়টিকে নিজের হাতে নেওয়ার এবং "শান্তিতে না থাকার" হুমকি দিয়েছিলেন।<ref name="Mishra DNA 2"/><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Kapil Mishra warns cops: Clear road in 3 days... after that we won't listen to you' |ইউআরএল=https://www.hindustantimes.com/cities/kapil-mishra-warns-cops-clear-road-in-3-days-after-that-we-won-t-listen-to-you/story-Ppd9qPXknizVMsaLsFIFTI.html |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |কর্ম=The Hindustan Times |তারিখ=24 February 2020}}</ref> সমাবেশের পরে সদস্য কপিল নিজেই টুইটারে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাঁর সমাবেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিএএ-এর সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে সহিংসতারসহিংস সৃষ্টিসংঘর্ষ শুরু হয়।<ref name="Gambhir 25 Feb" />
{{Quote box
সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা কপিল মিশ্রকে সংঘর্ষের জন্য উদ্বুদ্ধ করার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং তার তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
| quote = "कपिल मिश्रा आग लगा के घर में घुस गया, हम जैसों के बेटे मर रहे हैं" <br>(কপিল মিশ্র আগুন লাগিয়ে তার বাড়িতে ফিরে গেলেন, যখন আমাদের বাচ্চারা মারা যাচ্ছে।)
| source =
| author = -- রাহুল সোলঙ্কির বাবা, দাঙ্গার সময় আক্রমণে মারা যাওয়া এক তরুণ (রাহুল সোলঙ্কি)।<ref name="Jansatta Kapil">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=कपिल मिश्रा आग लगा के घर में घुस गया, हम जैसों के बेटे मर रहे हैं- फूटा पिता का दर्द और गुस्सा |ইউআরএল=https://www.jansatta.com/national/families-dead-say-hate-blame-kapil-mishra-enters-house-fire-rohit-solankis-fathers-pain-anger/1330441/ |সংগ্রহের-তারিখ=26 February 2020 |কর্ম=Jansatta |তারিখ=26 February 2020 |ভাষা=hi}}</ref>
| width = 250px
|align = left
| bgcolor = #E0E6F8
}}
সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা কপিল মিশ্রকে সংঘর্ষের জন্য উদ্বুদ্ধ করার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং তার তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থার জন্য বলেন। ভুক্তভোগীর বাবা রাহুল সোলঙ্কি দাবি করেছেন যে 'কপিল মিশ্র আগুন লাগিয়ে তার বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন, যখন আমাদের বাচ্চা মারা যাচ্ছে'। তিনি আরও বলেন যে কপিল মিশ্রকে গ্রেপ্তার করা এবং থামানো না হওয়া অবধি জনগণ তাদের সন্তানদের হারাতে থাকবে।<ref name="Jansatta Kapil" />
 
বিজেপির [[পূর্ব দিল্লি]]র সাংসদ [[গৌতম গম্ভীর]] বলেন যে "কপিল মিশ্রের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়" এবং তারা কোন দলেরই হোক না কেন সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেন।<ref name="Gambhir 25 Feb"/> দিল্লি বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারি তার পর থেকে (যারা স্লোগান দিয়েছিলেন) বিজেপির পরাজয়ের কারণ হিসাবেদলীয় প্রার্থী কপিল মিশ্রের ঘৃণ্য বক্তৃতাকে দায়ী করেন।<ref name=NYT>
Jeffrey Gettleman, Suhasini Raj, Sameer Yasir, [https://www.nytimes.com/2020/02/26/world/asia/delhi-riots-kapil-mishra.html The Roots of the Delhi Riots: A Fiery Speech and an Ultimatum], ''The New York Times'', 27 February 2020.
</ref>
 
কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্ররোচিত করার অভিযোগে তিনটি অভিযোগ (একটি রিপোর্টের জন্য দুটি পুলিশ অভিযোগ এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন) দায়ের করা হয়। [[আম আদমি পার্টি]]র (এএপি) কর্পোরেটর রেশমা নাদিম প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন এবং দ্বিতীয়টি হাসিব উল হাসান দায়ের করেন। অভিযোগগুলিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে কপিল মিশ্র প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন, জনগণকে উজ্জীবিত করেন এবং তিনি সহিংসতার কারণ। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে কোনও রকমের পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকে।<ref name="Mishra DNA 2" />কিন্তু আদমি পার্টিরই নেতা তহির হোসেন আইবি অফিসারকে হত্যা করে।
 
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কপিল মিশ্র ধারাবাহিক টুইটে লিখেছিলেন যে "সত্য কথা বলার" জন্য এবং সিএএ সমর্থন করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে "বিশাল বিদ্বেষমূলক প্রচার" থেকে তিনি ভয় পান না।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thehindu.com/news/cities/Delhi/defiant-bjp-leader-kapil-mishra-says-did-not-commit-crime-by-supporting-caa/article30920351.ece|শিরোনাম=Delhi violence: Defiant BJP leader Kapil Mishra says did not commit crime by supporting CAA|তারিখ=2020-02-26|কর্ম=The Hindu|সংগ্রহের-তারিখ=2020-02-26|অন্যান্য=PTI|ভাষা=en-IN|issn=0971-751X}}</ref> তিনি ভিডিও টুইট করেন এবং লিখেছিলেন "জাফরাবাদকে খালি করা হয়েছে, সেখানে আর কোনও শাহীন বাঘ হবে না"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.outlookindia.com/website/story/india-news-there-wont-be-another-shaheen-bagh-bjps-kapil-mishra-tweets-video/347872|শিরোনাম='There Won't Be Another Shaheen Bagh': BJP's Kapil Mishra Tweets Video|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=Outlook India|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=2020-02-26}}</ref> পরের দিন, তিনি টুইট করে তার সমালোচকদের লক্ষ্য করেন- যে যারা বুরহান ওয়ানী এবং আফজাল গুরু'কে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে বিবেচনা করেন না, তারা তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি করছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://scroll.in/latest/954376/they-are-calling-me-a-terrorist-bjp-leader-kapil-mishra-hits-out-at-those-demanding-his-arrest|শিরোনাম=‘They are calling me a terrorist’: BJP leader Kapil Mishra hits out at those demanding his arrest|শেষাংশ=Staff|প্রথমাংশ=Scroll|ওয়েবসাইট=Scroll.in|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-02-26}}</ref>
১৪২ ⟶ ১৫০ নং লাইন:
 
দিল্লি ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে যে ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্ব দিল্লির অঞ্চলগুলি থেকে ৪৫ জন ফোন কল করেন এবং তিন জন ফায়ারম্যান আহত হয়। ফোন কল অনুযায়ী আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেওয়ার সময়, ফায়ার ইঞ্জিনকে পাথর দিয়ে আক্রমণ করা হয় এবং দাঙ্গাবাজরা অন্য একটি ফায়ার ইঞ্জিনে আগুন ধরিয়ে দেয়।<ref name="Shoot25Feb" />
অপইন্ডিয়ার প্রতিবেদকরা বলেন যে,
"২৩ বছর বয়সী মনীশ সিং ওরফে রাহুল ঠাকুর, ব্রিজপুরির ৬ নম্বর রাস্তার বাসিন্দা, এস এস সির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দিল্লীতে হিন্দুবিরোধী দাঙ্গা চলাকালীন একদল হিংস্র মুসলিম জনতা তাকে গুলি মেরে হত্যা করে। দুই ভাইয়ের মধ্যে রাহুল ছোট ছিল। তার বড় ভাই অভিষেক বাড়ি থেকে বেরোতে পর্যন্ত সাহস পায়নি। সে কারুর সাথে কথা আগ্রহী নয়। পরিবারটির এখন বিলাপ করার অবস্থা।"
 
যখন অপ ইন্ডিয়া শনিবার ব্রিজপুরিতে রাহুল ঠাকুরের বাড়ি পৌঁছায়, প্রতিবেশীদের তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে দেখে। বাড়ির বাইরে রাহুলের বাবা মাথা ঝুঁকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি আর পি এফে কর্মরত, বর্তমানে পাঞ্জাবে থাকেন।
 
ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বর্ণনা করে যে, “সোমবার চাঁদবাগে যে হিংস্রতা শুরু হয়েছিল তা মুসলিমদের ভিড় বাড়ার সাথে সাথে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছিল। তারা কারাজুর নগর, খাজুরি, জাফরাবাদ আর শিব বিহারে পৌঁছে যায়। যখন সবদিক থেকে ইঁট আর পাথরের আওয়াজ আসতে শুরু করল, প্রত্যেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দেখতে লাগল যে কী চলছে।”
 
প্রত্যক্ষদর্শী আরো বলে, “আমরা সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি। রাহুলও আমাদের সাথে ছিল। তখনি আমরা দেখতে পেলাম যে ব্রিজপুরি মসজিদ থেকে হাজার হাজার মুসলিম আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে হাতে ইঁট আর পাথর নিয়ে। আমরা নিজেদের সামলে নেওয়ার আগেই, একটা বুলেট এসে লাগল রাহুলের গায়ে আর ও পেট চেপে মাটিতে পড়ে গেল।”
 
“মুসলিম জনতাকে আমাদের দিকে আসতে দেখে আমরা তাড়াতাড়ি রাহুলকে তুলে হাসপাতালের দিকে দৌড় দিলাম। কিছুক্ষণ পরে ডাক্তার ওকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন।”, প্রত্যক্ষদর্শী আরো জানায়।
 
রাহুলের মা মমতা দেবী আর বাবা তাঁদের ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। বাইরে যারা বসছিল তাদের সাথে কথা বলে, আমরা যখন রাহুলের মায়ের সাথে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করলাম, তিনি বললেন, ” তোমরা বাড়ি এলে আমার ছেলে রাহুলকেও তোমাদের সঙ্গে নিয়ে এসো।” তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
 
তাঁর গলায় লুকোনো তরুণ ছেলেকে হারানোর ব্যথা আর ক্ষোভের আভাস পেয়ে আমাদের দল দূর থেকেই ফিরে আসে। যে রাহুলকে তিনি আমাদের সাথে দেখতে চাইছিলেন সে আর নেই আমাদের মধ্যে, কারণ একদল ক্ষিপ্র মুসলিম জনতা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে।
 
===২৫ ফেব্রুয়ারি===
১৬৩ ⟶ ১৫৭ নং লাইন:
|ইউআরএল=https://www.bbc.com/news/world-asia-india-51639856 |সংগ্রহের-তারিখ=26 February 2020 |ওয়েবসাইট=BBC |তারিখ=26 February 2020}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Delhi continues to burn over CAA
|ইউআরএল=https://economictimes.indiatimes.com/news/politics-and-nation/delhi-continues-to-burn-over-caa/copies-of-the-koran/slideshow/74315896.cms
|সংগ্রহের-তারিখ=26 February 2020 |ওয়েবসাইট=The Economic Times |তারিখ=26 February 2020}}</ref> একদল উন্মত্ত জনতা [[জয় শ্রীরাম]] ও হিন্দুওঁ কো হিন্দুস্তান (হিন্দুদের হিন্দুস্তান) স্লোগান দিয়ে মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের মতে আক্রমণকারীরা এলাকার বাইরে থেকে এসেছে।<ref name="Mosque burnt"/> গোকুলপুরীর আরেকটি মসজিদেও ভাঙচুর চালানো হয়।<ref name="ThePrint 25 Feb">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Khan |প্রথমাংশ১=Fatima |শিরোনাম=‘Never thought Hindu-Muslim riots are possible in Delhi, we’ve always co-existed peacefully’ |ইউআরএল=https://theprint.in/india/never-thought-hindu-muslim-riots-are-possible-in-delhi-weve-always-co-existed-peacefully/370982/ |সংগ্রহের-তারিখ=26 February 2020 |কর্ম=ThePrint |তারিখ=25 February 2020}}</ref>
 
বেলা তিনটার দিকে হিন্দু ও মুসলিম উন্মত্ত জনতাদের মাঝে সংঘর্ষ হয়।<ref name="Durgapuri" /> সেখানে গুলি ও পাথরের ব্যবহার করা হয়। পুলিশ সংঘর্ষের এক ঘণ্টা পর উপস্থিত জয়। উন্মত্ত জনতার কপালে তিলক আঁকা ছিল ও তারা "জয় শ্রীরাম" ও "হর হর মহাদেব" স্লোগান দিচ্ছিল। মুসলমানদের দোকান ও যানবাহনে ভাঙচুর চালানো হয়।<ref name="Durgapuri">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Bhandari |প্রথমাংশ১=Hemani |শিরোনাম=Up in flames: firing, stone throwing continue... no policeman in sight |ইউআরএল=https://www.thehindu.com/news/cities/Delhi/up-in-flames-firing-stone-pelting-continue-no-policeman-in-sight/article30917600.ece |সংগ্রহের-তারিখ=26 February 2020 |কর্ম=The Hindu |তারিখ=26 February 2020 |ভাষা=en-IN}}</ref>
 
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মাঝে ৭০ জন বন্দুকের গুলিতে আহত হয়েছিল। উত্তর পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা, চাঁদবাগ ও কারোয়াল নগরে লাঠি, রড নিয়ে একদল লোককে মহড়া দিতে দেখা যায়।<ref name="Dead NDTV 25Feb" /> রাত দশটায় উত্তর পূর্ব দিল্লিতে থাকা পুলিশকে লোক দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়।<ref name="Shoot25Feb">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thehindu.com/news/cities/Delhi/delhi-violence-live-updates/article30910539.ece|শিরোনাম=Delhi violence live updates: Shoot at sight orders issued in northeast Delhi|তারিখ=25 February 2020|কর্ম=The Hindu|সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020|ইউআরএল-অবস্থা=live}}</ref>
 
ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর অফিসার অঙ্কিত শর্মার মৃত্যুতে [[আম আদমি পার্টি]]র স্থানীয় নেতা তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ঝামেলা দেখতে গিয়েই ফেরা হল না অঙ্কিতের |ইউআরএল=http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=55639&boxid=36329 |সংগ্রহের-তারিখ=27 February 2020 |প্রকাশক=এই সময়}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=দিল্লির সংঘর্ষে গোয়েন্দা অফিসারের মৃত্যু, চাঁদ বাগে নর্দমায় মিলল দেহ |ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/national/delhi-violence-over-caa-another-cop-reportedly-succumbs-to-injuries-dgtl-1.1114796 |সংগ্রহের-তারিখ=27 February 2020 |প্রকাশক=আনন্দবাজার পত্রিকা |তারিখ=26 February 2020}}</ref>দিল্লী সহিংসতায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।
শিববিহারে দাঙ্গায় ষড়যন্ত্র করেছিল ফয়জুল ফারুক।উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ কারাওয়াল নগরে দাঙ্গাবাজরা নির্মমতার সব সীমা অতিক্রম করেছে। এমনকি টিউশনির পড়াশোনা করে ঘরে ফেরা মেয়েদেরও রেহাই দেয়নি তিনি। দাঙ্গাবাজরা এই মেয়েদের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছিল এবং শ্লীলতাহানিও করেছিল। এক আক্রান্ত মেয়ের মা জানিয়েছেন যে, যে আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ৮ থেকে ৯ জন মেয়ে টিউশনির পড়াশোনা শেষে বাড়ি আসছিল। কোচিং সেন্টারটি বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার দূরে। কয়েক শত দাঙ্গাবাজ পথে থামল। ভুক্তভোগীর মা জানিয়েছেন, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত নিরীহ মেয়েদের ছিঁড়ে ফেলে শারীরিকভাবে শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। মেয়েরা দাঙ্গাবাজদের কাছে মিনতি করেছিল কিন্তু একজনও কথা শোনেনি। অন্য ভুক্তভোগীর মা জানিয়েছেন যে দুর্ঘটনার পর থেকে মেয়েটি হতবাক। তার শরীরে নখের চিহ্ন রয়েছে।
 
বাচ্চা মেয়েটিও বাড়ি থেকে বের হতে চাইছে না। তাকে বাইরে যেতে বললে, সে বলছে দাঙ্গাবাজরা আবার আসবে। ভুক্তভোগীর মা বলেছিলেন যে কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সাথে তার কখনও শত্রুতা ছিল না। তা সত্ত্বেও তিনি মেয়েদের সাথে এমন জঘন্য কাজটি করেছেন। ভুক্তভোগীর মা জানিয়েছেন যে দাঙ্গাবাজরা তাদের হাত থেকে তাদের বই ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। দু’একটি মেয়ে প্রতিবাদ করলে দাঙ্গাবাজরা তাদের চড় মারে এবং নির্যাতন করে। অন্য ভুক্তভোগীর মা বলেছেন যে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে পৌঁছে দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছিল। দাঙ্গাবাজদের সন্ত্রাসের কারণে কোনও পরিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি। দৈনিক ভাস্কর আক্রান্ত পরিবারগুলিকে পুলিশে অভিযোগ করতে বললে তারা জানায় যে তারা এখনও হতবাক। কিছুক্ষণ পর অভিযোগ করতে যাবেন।
 
দুষ্কৃতকারীদের হিংসার সময় বেশ কয়েকটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ব্রিজপুরীর ভিক্টোরিয়া স্কুলে পড়াশোনা করেন। স্কুল বাস পুড়ে যায়।
 
=== ২৬ ফেব্রুয়ারি ===
১৮০ ⟶ ১৬৯ নং লাইন:
 
সেদিন পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এক হাজার, পাঁচশত জরুরি কল করা হয়।<ref name="PCR Calls" /> বেশ কয়েকটি হাসপাতাল থেকে বিলম্বিত ময়না তদন্তের অভিযোগ ওঠে এবং নাগরিক বলে দাবি করা প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দাঙ্গার জন্য কপিল মিশ্রকে দোষারোপ করেন, একজন ব্যক্তি বলেন যে একটি ভিড় পাথর ও তরোয়াল দিয়ে তাদের আক্রমণ করে তাকবীরের জপ করার সময়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://thewire.in/communalism/delhi-riots-gtb-hospital-deaths|শিরোনাম=At GTB Hospital, Families of Delhi Riot Victims Wait for Bodies to Be Released|ওয়েবসাইট=The Wire|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-01}}</ref>
জনৈক ৫১ বছর বয়সী বিনোদ কুমার উত্তরপূর্ব দিল্লির ব্রহ্মপুরী এলাকায় ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত হলেন। তাঁর ২৫ বছর বয়সী ছেলে নীতিন কুমার দারুণ আহত অবস্থায় বাড়ীতে শয্যাশায়ী হয়ে আছেন।
 
দুজনে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বাইকে করে ওষুধের দোকানে যাচ্ছিলেন, এমন সময়ে তাঁরা একদল লোকের হাতে পড়ে যান। তারা দুজনকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এতেই শেষ নয়, সাথে বাইকে আগুনও ধরিয়ে দেয়।
 
বিছানায় শুয়ে সাক্ষাৎকারে নীতিন বলেন, তাঁদের এভাবে আক্রমণের শিকার হওয়ার কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছেন না – কেবল বাইকের হেডলাইটের ওপরে জয় শ্রীরাম স্টিকার লাগানো ছাড়া।
 
সারা ভারতে ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে দুটো মোবাইল ভিডিও, দুটোই ব্রহ্মপুরীর ঘটনার ওপর।
 
প্রথম ভিডিওতে দেখা যাছে তিনজন টুপিধারী বিনোদ কুমারের ডেডবডি নিয়ে রাস্তার ধারে ফেলে দিচ্ছে, অন্যদিকে তার বাইকে আগুন জ্বলে উঠছে।
 
THIS VIDEO WAS SHOT ON NIGHT OF 24 FEB. THE MAN LYING ON ROAD IS VINOD KUMAR. THE INJURED IS HIS SON NITIN. VINOD DIED A COUPLE OF HOURS LATER.
NITIN TELLS ME HE SEES NO REASON FOR UNPROVOKED ATTACK OTHER THAN THE JAI SHRI RAM STICKER ON HIS BIKE. IT'S HIS BIKE THAT'S BURNING PIC.TWITTER.COM/CIBH6FXYVB
 
— SWATI GOEL SHARMA (@SWATI_GS) FEBRUARY 26, 2020
 
 
দ্বিতীয় ভিডিওতে পুড়ে যাওয়া বাইকের সামনে একদল লোককে “আল্লাহু আকবর, নারায়ে তকবির” স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে।
 
যিনি ভিডিও তুলেছেন, তাকে দেখা না দেখা গেলেও তার কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে – “দেখুন, মুসলিমরা হিন্দুদের কি হাল করে ছেড়েছে। মুসলিমরা আমাদের একজন হিন্দু ভাইয়ের লাশ পাঠিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের কি অসীম ক্ষমতা। ব্রহ্মপুরীর এক নম্বর গলির ভিডিও এটা। এই ভিডিও একটা বার্তা পাঠাচ্ছে – লাশ তুলতে গেলে আরও লাশের পাহাড় তৈরি হবে।”
 
 
দাঙ্গা পীড়িত এলাকায় অপরিসীম নৈঃশব্দ্য বিরাজ করছে
ব্রহ্মপুরীর ভীত বাসিন্দারা জানাচ্ছেন সামনের গলিতে পড়ে থাকা ধ্বংসস্তুপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কি পরিমাণ অগ্নিকাণ্ড ও হিংসা হয়েছে উক্ত এলাকায়।
 
২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল এগারো নাগাদ দেখা গেল, পুরো এলাকা জুড়ে একটা অদ্ভুত অস্বস্তিকর নৈঃশব্দ্য বিরাজ করছে।
 
এলাকায় সব জায়গায় শুধুই পোড়া জিনিসে ভর্তি। সব দোকান মোটামুটি বন্ধ। রাস্তায় কোনও স্থানীয় মানুষকে দেখা যাচ্ছে না। কেবল খাকি ইউনিফর্ম পড়া পুলিসকেই দেখা যাচ্ছে।
 
দুপুরবেলায় দেখা গেলে এলাকায় কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। গলিতে দেখা গেল একটা জটলা দেখা যাচ্ছে, সেখানে ফিসফিস করে কথা বলছে। কিছু টোটো রিকশা চলছে বটে, কিন্তু ছয় নম্বর গলি পর্যন্ত তাদের যাতায়াত।
 
এক নম্বর গলির একেবারে সামনেই পুড়ে যাওয়া বাইকের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে।
 
স্থানীয় বাসিন্দা সনু বললেন, “আপনারা এখানে এসেছেন, এটাই বড় কথা। এখানে অদ্যাবধি কেউ আসেনি। আমাদের লোককে মারা হয়েছে।”
 
সনুই আমাদের ‘খজুর গলিতে’ অবস্থিত বিনোদের বাড়ীতে নিয়ে গেলেন।
 
সেখানে দাঁড়ানো দুই মহিলা আমাদের এলাকা ত্যাগ করতে বললেন। তারা বললেন, আমাদের উপস্থিতি তাদের কাছে অস্বস্তিকর। কিন্তু নীতিন বললেন, “আসুন আসুন।”
 
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মাথাভরতি ব্যান্ডেজ বাঁধা নীতিন বললেন, কাল রাতে কি হয়েছিল, “এই ধরুন রাত দশ বাজে। আমার বাবা কল্যাণ মেডিক্যাল স্টোরে যাবেন বলে তৈরি হচ্ছিলেন। আমি বললাম, বাবা আমিও তোমার সাথে যাব। কল্যাণ মেডিক্যাল স্টোর বেশী দূরে নয় – গলি বেরোলেই। তা আমরা বাইকে করে ওষুধ কিনলাম। তারপর যখন ফিরব, তখন দেখি একটা বড় পাথর আমার মাথায় লাগল, আমি ভারসাম্য হারালাম। সঙ্গে সঙ্গেই বাইক থেকে পড়ে গেলাম। তারপরই চৈতন্য হারালাম। কতক্ষণ চৈতন্য হারিয়েছিলাম বলতে পারব না।” তিনি থামলেন।
 
নীতিন বললেন, তিনি যখন চৈতন্য ফেরত পেলেন, তখন দেখলেন, সেখানে ৩০-৪০ জন দাঁড়িয়ে আছে। “তাদের দেখেই বুঝলাম এরা সব মোহমেদান (মুসলিম)। এদের হাবভাব দেখে বুঝলাম আমাদের মারতেই এসেছে।”
 
“তারপর কোনও কথাবার্তা ছাড়াই আমাদের ওপর লাঠি চালাতে শুরু করল। পাশাপাশি আমাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়াও হচ্ছিল। যন্ত্রণায় আমরা চোখ বুজে ফেললাম।”
 
নীতিন বললেন, তিনি কোনওরকমে পালাতে পেরেছিলেন। পালাতে পালাতেই দেখেন তার সাধের বাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। নীতিন বললেন, তার চেনা কিছু লোক বিনোদের ডেডবডি রাস্তার ধারে ফেলতে দেখেছেন।
 
নীতিন বললেন, “আমি আশপাশের দরজায় নক করেছিলাম, কিন্তু কেউই দরজা খোলেনি। সম্ভবত তারা দরজা খুলতেও ভয় পাচ্ছিল। সব জায়গা থেকেই আমাকে লক্ষ্য করে পাথর ধেয়ে আসছিল।”
 
নীতিন বললেন, “সৌভাগ্যক্রমে একজন প্রতিবেশী আমাকে দেখতে পেয়ে স্কুটিতে চাপিয়ে শাস্ত্রী পার্কের জগ প্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গেলেন।”
 
“আমি যখন বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, ডাক্তার বললেন, এত কিছুক্ষণ আগেই মারা গেছেন। তখন মাঝরাত হয়ে গেছে। আমার মাথায় তখন বেশ কয়েকটা সেলাই পড়েছে।”
 
বিনোদ কুমারের আত্মীয় বলতে ছিল তার স্ত্রী মধু, এক পুত্র ও এক কন্যা। জনৈক মোহম্মদ হানিফ জানালেন, এলাকায় বিনোদ কুমারের কোনও আত্মীয় নেই বললেই চলে।
 
বিনোদের পরিবার আমাদের জানালেন তারা এখনও পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট পাননি।
 
“আমি সর্বস্ব হারালাম, আমার কোনও অভিভাবক রইল না।” বলছিলেন নীতিন। তিনি এক বছর আগেই বিবাহ করেছেন, তার একটি ছেলেও আছে।
 
নীতিন জানালেন, কে বা কারা তাদের ভিডিও তুলেছেন, তা জানেন না। “আমি আজ বিকেলেই প্রথম ভিডিও দেখলাম। আমি জানি না কে ভিডিও তুলেছে। সম্ভবত আমাদের কোনও প্রতিবেশীই ভিডিওটা তুলেছে। কেন আমাদের সাহায্য না করে শুধু ভিডিও তুলল, বুঝতে পারছি না। কোনও উদ্দেশ্য আছে হয়তো।”
 
এক নং গলি থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরে নীতিনের বাড়ী দাঁড়িয়ে। তিনি বললেন, তিনি মোটেই জানতেন না, এলাকা এত অশান্ত হয়ে গেছে। “আমি যদি জানতাম এরকম হচ্ছে, আমি মোটেই বাইরে বেরুতাম, বাবাকেও বেরুতে দিতুম না। এরকম দাঙ্গার মত পরিস্থিতিতে কেউ বাইরে যায়?”
 
নীতিন পরিষ্কার বললেন, তাদের ওপর এই বিনা প্ররোচনায় আক্রমণের একমাত্র কারণ বাইকের হেডলাইটের ওপর থাকা জয় শ্রীরাম স্টিকার থাকা। আর আক্রমণকারীরা এক নং গলিতে ঢুকে হামলা করার কারণ একটাই – গলির ১০০% বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
 
নীতিন বললেন, “আমি তাদের সবাইকেই ফেজ টুপি পড়ে থাকতে দেখেছি।” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “তারা কি স্থানীয় নাকি বহিরাগত?” তখন নীতিন বললেন, “এদের সাথে আখাড়ে ওয়ালে গলি বা কল্যাণ গলির কোনও সম্পর্ক আছে মনে হয়না। বহিরাগত হোক বা স্থানীয়, তাতে কিছু আসে যায় না। এরা হামলাকারী এটাই আসল কথা।”
 
আমরা আগেই লক্ষ্য করেছিলাম গোকুলপুরীর ডানদিক ও বাঁদিক জুড়ে যে ব্রহ্মপুরী এলাকা রয়েছে, তার বাসিন্দারা প্রত্যেকেই হিন্দু। আবার ব্রহ্মপুরীর বাঁদিকে যে এলাকা আছে চৌহান বাঙ্গর নামে, সেটা সম্পূর্ণ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা।
 
নীতিন অভিযোগ করলেন, তারা আক্রান্ত হবার পর অন্তত ৩০-৪০ বার জাফরাবাদ থানায় ফোন করেছিলেন, কিন্তু কেউই একবারও ফোন তোলেনি।
 
নীতিন বলেন, “আমি আম্বুলেন্সকেও ফোন করেছিলাম, কিন্তু সেখান থেকেও সাড়া পাইনি। এখনও পর্যন্ত এফআইআর করার সুযোগ পাইনি।”
 
 
বাড়ী পুড়ছে, বাসিন্দারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছেন
এক নং গলির ঠিক ডানদিকে ৬৭ বছর বয়স্ক সুশীল শর্মা তার ৬০ বছর বয়স্কা স্ত্রী উমাকে নিয়ে বাড়ীতে থাকেন। এই পরিবার নাতিনাতনিদের নিয়ে বাড়ীর দ্বিতলে থাকেন। প্রথম তলা পারকিং লট হিসাবে ব্যবহার করেন।
 
২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে একতলায় আগুন জ্বালানো হয়। সেখানে থাকা দুটি গাড়ী ও দুটি বাইক সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেখানে অবস্থিত ইলেকট্রিক মিটারও ভস্মীভূত হয়ে যায় এবং পুড়ে যাওয়া তার আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি।
 
“কাল মাঝরাতের পর বড় বড় ইট আর পাথর কোথা থেকে কে জানে, আমাদের বাড়ী লক্ষ করে পড়তে লাগল। আমরা দৌড়তে দৌড়তে একতলায় এসে দেখলাম আমাদের গাড়ী ও বাইক সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে।” সুশীল শর্মা বললেন।
 
“সব জায়গায় আগুন ধরে যাচ্ছিল। আমরা অসহায় ভাবে দেখছিলাম সেই অগ্নিকাণ্ড। পাশাপাশি পাথর পতনের শব্দ হচ্ছিল। আমরা আত্মরক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে দোতলায় পালালাম। তারপর একটা মই নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ীতে পালিয়ে গেলাম।” সুশীল থামলেন।
 
“দেখুন! দেওয়াল আমার উচ্চতার প্রায় দ্বিগুণ উঁচু! তাও আমাকে এই বয়সে মই দিয়ে বেয়ে উঠে অন্য জায়গায় চলে যেতে হয়েছে।” উমা বলে উঠলেন।
 
আমরা সর্বত্র বড় বড় পাথর দেখতে পাচ্ছিলাম। সাথে ইটও। ওয়াশ বেসিন ভেঙ্গে চুরমার। দেওয়ালে ফাটল ধরেছে।
 
শর্মা দম্পতি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন এভাবে প্রাণে বেঁচেছেন বলেন। সাথে এও জানালেন, তারা জানেন বিনোদ কুমার তাদের বাড়ীর সামনেই মারা গিয়েছেন।
 
“আমরা তার শোচনীয় মৃত্যুর সংবাদ শেষ রাতে পেয়েছিলাম। আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না। সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছি না।” শর্মা দম্পতি বললেন।
 
তাদের বাড়ী এই মুহূর্তে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। “আমি ইলেকট্রিক অফিসকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছি। কিন্তু এউ সাড়া দেননি। দেখুন তারগুলো বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে।” সুশীল শর্মা বললেন।
 
“আমি নাতিনাতনিদের প্রতিবেশীদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাদের পরীক্ষা সামনেই। এই অবস্থায় পড়ায় মন বসানো যায় না, বুঝতেই পারছেন।”
 
সুশীল বললেন, তাদের বাড়ীর সামনে বাজারে অবস্থিত একটি অলঙ্কারের দোকানে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। বলা বাহুল্য দোকানদার ধর্মে হিন্দু।
 
“সাড়া রাত ধরে কোনও পুলিস দেখতে পাইনি। মুসলিমরা যা খুসি তাই করে গেছে।”
 
পরের দিন অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তাদের বাড়ী থেকে কিছুটা দূরে ডানদিকে অবস্থিত একটি মুসলিম মালিকানাধীন দোকানে লুটপাটের পর আগুন লাগানো হল, তখন কোথা থেকে পুলিস চলে এলো। “এখন তারা কেমন ঘুরছে দেখতেই পাচ্ছেন। অথচ কাল সারারাত এদের টিকিটারও খোঁজ মেলেনি।” সুশীল বিরক্ত ভাবে বললেন।
 
শর্মা দম্পতির বাড়ী থেকে ডানদিকে ঘুরলেই দেখা যায় সেই কুখ্যাত অগ্নিদগ্ধ বাইক। এখানেই বিনোদ খুন হয়েছিলেন। এটাই কল্যাণ গলি।
 
কিছুদুর এগোতেই আমরা কয়েকটা বৃদ্ধ লোককে চেয়ারে বসে থাকতে দেখলাম। তাদের সাথে কয়েকটা কচি যুবকও ছিল। “এরা আমাদের এলাকা পাহারা দিচ্ছেন।” মোহম্মদ শফিক বলে উঠলেন। তিনি এখানেই থাকেন।
 
বিনোদের কথা উঠতেই দেখা গেল এরা কেউই বিনোদকে চেনেন না। এই বক্তব্যে কতখানি সত্যি, কতখান মিথ্যা আছে কে জানে? তারা বললেন, “আমরা কিছি জানি না। আমরা ওকে চিনিনা।”
 
তারা স্বীকার করলেন তারা কাল রাতে কিছু গণ্ডগোল হচ্ছিল টের পাচ্ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর সংবাদ আজ সকালের আগে পাননি। “এই দেখুন, আজ সকালেই আমাদের একটা দোকানও পুড়ে গেছে।” একজন আমাদের আঙ্গুল তুলে দেখালেন।
 
এদেরই একজন আফজল সিদ্দিকি বললেন, কিছুদিন আগেই তিনি বহুজন সমাজবাদী পার্টির টিকিটে মিউনিসিপাল কাউন্সিলের ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু জিততে পারেন নি। তিনিই বললেন, “দেখুন পুরো ঘটনা বহিরাগত সমাজবিরোধীরা করেছেন। আমাদের কেউই এতে জড়িত নয়।”
 
সিদ্দিকি পুরো দাঙ্গার জন্য বিজেপিকে দায়ী করলেন, তিনি কপিল মিশ্রকেও ছাড়লেন না যিনি এবার কারওয়াল নগরে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। কপিল মিশ্রের ভাষণের পরেই এসব হচ্ছে তাঁর মতে।
 
“দেখুন, আমাদের মেয়েরা শান্তিপূর্ণ ভাবে শাহীনবাগে ও জাফরাবাদে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। কেনই বা কপিল মিশ্র কেন হিংসার হুমকি দিলেন? তিনিই এই হিংসার জন্য একমাত্র দায়ী।”
 
সিদ্দিকি এও জানালেন যে, “যারা দাঙ্গা করছিল, তারা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছিল। অথচ পুলিস তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছিল।” তিনি চিৎকার করে বললেন, “আমরা পুলিসকে বিশ্বাস করি না।” দেখলাম বাকিরাও তার কথায় মাথা নাড়ল সম্মতির সুরে।
 
আমরা যখন কল্যাণ গলি ছেড়ে আবার ব্রহ্মপুরী এলাকায় ফিরলাম, তখন একজন পুলিস আমাদের দিকে এগিয়ে বললেন, “দেখুন বিকেল পাঁচটা বেজে গেছে। আপনারা চলে যান। পরিবেশ কিন্তু ভাল না।”
 
আমরা লক্ষ্য করলাম, সেখানে কোনও টোটো রিকশা দেখা যাচ্ছে না। আমরা অগত্যা হেঁটেই গোকুলপুরীর দিকে পাড়ি দিলাম। সেখানে ৪৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপির কাউন্সিলার কে কে আগরওয়ালের অফিসে ঢুকলাম।
 
এই ব্রহ্মপুরী এলাকাই দিল্লির সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। দাঙ্গার আগুনে এই জায়গাই সবচেয়ে বেশী পুড়েছে। সেখানে আমরা কল্যাণ গলিতে সিদ্দিকির মুখে যা যা অভিযোগ করেছেন কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে তার সত্যতা জানতে চাইলাম। সেই ইন্টার্ভিউ এখানে দেওয়া হল –
 
MUNICIPAL COUNCILLOR OF BRAHMAPURI, DELHI – WORST AFFECTED IN YESTERDAY'S DIRECT ACTION NIGHT OF MURDERS & ARSON – TELLS ME THAT @KAPILMISHRA_IND IS BEING BLAMED IN A COORDINATED ATTACK TO ONCE AGAIN SHIELD THE REAL PERPETRATORS.
LISTEN TO HIM AND TELL ME IF HE IS AT ALL WRONG. PIC.TWITTER.COM/SULWRGHVUA
 
— SANJEEV NEWAR संजीव नेवर (@SANJEEVSANSKRIT) FEBRUARY 25, 2020
 
আগরওয়াল আমাদের অভিযোগ শুনেই উত্তেজিত হয়ে গেলেন। তিনি সব অভিযোগ খারিজ করে দিলেন।
 
“সব অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। ভাল করে শুনুন, মিশ্রজি বলেছিলেন তিন দিনের মধ্যে শাহীনবাগ ও জাফরাবাদ ধরনা তুলে নিতে, নইলে দিল্লির লোক সে কাজ করে দেবে। মিশ্র হিংসাত্মক কিছুই বলেন নি। এই দাঙ্গার পেছনে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি আছে। তারাই মুসলিমদের মিথ্যা বুঝিয়ে দাঙ্গায় প্ররোচনা দিয়েছেন।”
 
আমরা আগরওয়ালের অফিস থেকে বেরুতেই দেখলাম সেই পুলিস আমাদের দিকে আসছেন; যাকে একটু আগে কল্যাণ গলির কাছে দেখেছিলাম।
 
“আপনারা শীগগির চলে যান। এখানে আমরাই শুধু থাকব।”
 
===২৭ ফেব্রুয়ারি ===
[[চিত্র:Delhi Riot 2020.jpg|thumb|শিববিহারে পোড়া দোকান]]
৩২৫ ⟶ ১৭৬ নং লাইন:
দিনে অন্য একটি হত্যার সাথে, মৃতের সংখ্যা ৪২ -এ পৌঁছায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে বলে ধরে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা ৬০ বছর বয়সের এক নেকড়া সংগ্রহকারীকে আক্রমণ করা হয় এবং মাথায় আঘাতের কারণে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা জান। [৮৪] ]
===২৯ ফেব্রুয়ারি===
দিনটিতে কোনও নতুন সহিংসতার ঘটনা পুলিশে রিপোর্ট করা হয়নি, কিছু দোকান আবার চালু হওয়ার সাথে দাঙ্গা শেষ হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://timesofindia.indiatimes.com/city/delhi/situation-returning-to-normal-in-riot-hit-northeast-delhi-some-shops-reopen/articleshow/74418181.cms|শিরোনাম=Situation returning to normal in riot-hit northeast Delhi, some shops reopen|তারিখ=Feb 29, 2020|ওয়েবসাইট=The Times of India|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-04}}</ref> সামাজিক মিডিয়াতে উত্তেজক সামগ্রী পোস্ট করা লোকজনের বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা দায়ের করা হয়।<ref name="ToI29FebEnd" /> [[রবি শঙ্কর]] ব্রহ্মপুরীর মতো দাঙ্গা-আক্রান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://timesofindia.indiatimes.com/city/delhi/situation-peaceful-but-tense-in-delhi-sri-sri-ravi-shankar-visits-riot-hit-areas/articleshow/74426342.cms|শিরোনাম=Situation peaceful but tense in Delhi; Sri Sri Ravi Shankar visits riot-hit areas|তারিখ=Mar 1, 2020|ওয়েবসাইট=The Times of India|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-04}}</ref>নিউজ পোর্টাল অপইন্ডিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দাঙ্গাবিধ্বস্ত কারওয়াল নগর পর্যবেক্ষণ করার এবং সেখানে গিয়ে দেখে এসেছে মুসলিমরা সেখানে কিরকম বীভৎস দাঙ্গা বাঁধিয়ে এসেছে।
টুইটারে অনুপম কে সিংহ লিখেছেন:
 
Anupam K Singh 🇮🇳
@anupamnawada
एक ग़रीब कुम्हार, जिसके दीये फोड़ डाले गए। वही दीये,जो दीपावली में आपकी घरों की शोभा बढ़ाते हैं।
 
मुस्लिम दंगाई भीड़ ने उस ग़रीब की महीनों की मेहनत बर्बाद कर दी। एक पुलिसकर्मी ने बताया वो रोते-बिलखते घूम रहा था।
 
स्थान:शिव विहार, दिल्ली (@OpIndia_in)#DelhiAgainstJehadiViolence
 
2:52 PM - Feb 29, 2020 · New Delhi, Indi
আমরা যখন কারওয়াল নগরের ‘ভগবান শিব চৌক’ এলাকায় পৌঁছলাম, দেখলাম সেখানে রাস্তা ও বাড়ী জুড়ে ইট ও বড় বড় পাথর ছড়িয়ে রয়েছে। জায়গার অবস্থা দেখেই মনে হচ্ছিল সেখানে যেন দাঙ্গা নয়, বুঝিবা গৃহযুদ্ধ চলছিল। আমরা খেয়াল করে দেখলাম, সেখানে বেছে বেছে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাতেই বেশী দাঙ্গা হয়েছে। এবং হিন্দু বাড়ী, দোকান ইত্যাদিতে আক্রমণ চালিয়েছে মুসলিমরা। একটি হিন্দু প্রধান ডিআরপি স্কুল পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, হিন্দু মালিকানাধীন দোকানপাটও বীভৎস অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে। দেখলাম একজন কুম্ভকার অঝোরে কাঁদছেন, তার কয়েক মাসের পরিশ্রম দাঙ্গার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে বলে। সেখানে চায়ের দোকানগুলো দেখলে মনে হবে যেন সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের কোনও দোকান বুঝি।
 
আমরা যখন শিব বিহার চৌকে পৌঁছলাম, সেখানেও দেখলাম এক জিনিস। হিন্দু প্রধান রাজধানী ডিআরপি স্কুল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষোভের সাথে জানালেন, উক্ত স্কুলে ৩০০ মুসলিম দাঙ্গাবাজ এসেছিল স্কুলে আগুন লাগাতে। তিনিই জানালেন, ঐ এলাকার উল্টোদিকে অবস্থিত কোনও মুসলিম অধ্যুষিত স্কুল বা দোকানে কিন্তু কিছুই হয়নি।
 
আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর দাবির সত্যতা বিচার করতে গিয়ে দেখলাম, লোকটা মিথ্যা বলেনি। বাস্তবিকই মুসলিম এলাকায় অবস্থিত স্কুল, রাস্তা বা দোকানপাট সব একেবারে অক্ষত অবস্থায় আছে। কিন্তু উল্টোদিকে হিন্দু প্রতিষ্ঠানগুলো একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। আমরা একটি হিন্দু দোকানে ঢুকে খাবারের অর্ডার দিলাম। সেখানে দাঙ্গার সংবাদ নিলাম। হিন্দু দোকানদার চা ও বিস্কুট দিতে দিতে ক্ষোভের সুরে বললেন, “জানেন, আমাদের বাড়ী, দোকান লক্ষ্য করে মুসলিম মেয়েরা তাদের বাড়ীর ছাদ থেকে মশাল, আগুন ছুঁড়ছিল? তারা গুলতি দিয়ে পেট্রোল বোমাও অবধি ছুঁড়ে মেরেছে। শুধু আমাদের নয়, পুলিশ বলুন, মিলিটারি বলুন; কাউকেই আক্রমণ করতে ছাড়েনি।”
 
এরপর আমরা আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী পেলাম, যিনি মুসলিমদের দ্বারা হিন্দু ‘প্রোগ্রম’ হতে দেখেছেন। হিন্দুরাও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা প্রতিরোধ গড়েছে বটে, কিন্তু অপ্রস্তুত থাকার কারণে সংখ্যায় বেশী থেকেও তারা বেশি মার খেয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, মুসলিম বাড়ীগুলি যেহেতু হিন্দু বাড়ীর ছেয়ে বেশী উচ্চতায় অবস্থান করছিল; তাই তারা আক্রমণ ও আত্মগপন করার সুযোগও বেশী পেয়েছে। একজন হতভাগ্য হিন্দু দোকানদার দীনেশ মুনশি প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে মারা গেছে। ঐ হিন্দু প্রত্যক্ষদর্শী আক্ষেপের সুরে বললেন, এতকিছুর পরেও হিন্দুরা দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়া মুসলিমদের উদ্ধার করেছে। এতকিছু দেখার পরেও দাঙ্গাবাজরা শান্ত হবার বদলে হিন্দুদের আক্রমণ করতে ভোলেনি। তারা লাগাতার আক্রমণ করেই গেছে।
 
আমরা দেখলাম হিন্দুদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে। তারা আমাদের পরিষ্কারই বললেন, তাদের তো অভিযুক্তদের কাছেই থাকতে হবে, তাদের বিরুদ্ধে বললে পরেরদিন তাদের জীবিত অবস্থায় পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
 
যখন আমরা পুলিশ বাহিনীকে জিজ্ঞাসা করলাম, যখন এলাকায় এসব হচ্ছিল তারা নীরবে সব দেখে যাচ্ছিল কেন? তখন আমাদের অবাক করে পুলিশ বাহিনী বললেন, উপর মহল থেকে গুলি চালানোর আদেশ পাইনি তাই।
 
আমরা অবাক হয়ে গেলাম।
 
===১ মার্চ ===
১ মার্চ, আরও তিনটি মৃতদেহ পাওয়া যায়, দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে উন্নীত হয়। দু'জনের মৃতদেহ ভাগীরথী বিহার খালে পাওয়া যায় এবং অন্যটি গোকালপুরীর খালে পাওয়া যায়।<ref name="1 March NDTV">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Three More Bodies Found In Violence-Hit Part Of Delhi, Overall Deaths 46 |ইউআরএল=https://www.ndtv.com/india-news/three-more-bodies-found-in-violence-hit-part-of-delhi-overall-deaths-46-2188081 |সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2020 |কর্ম=NDTV.com |তারিখ=1 March 2020}}</ref> জাফরাবাদের মুসলিম ও হিন্দু বাসিন্দারা মিলে একটি শান্তি মিছিলের আয়োজন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.indiatoday.in/india/story/delhi-violence-groups-spread-peace-message-in-jafrabad-1651438-2020-03-02|শিরোনাম=Delhi violence: Groups spread peace message in Jafrabad|তারিখ=March 2, 2020|প্রথমাংশ=Ram|শেষাংশ=Kinkar Singh|ওয়েবসাইট=India Today|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-04}}</ref>
 
==সাংবাদিকদের উপর হামলা==
দাঙ্গা চলাকালীন সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানোর বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি মৌজপুর অঞ্চলে রিপোর্ট করার সময় ''জেকে ২৪x৭ নিউজ''-এর এক সাংবাদিককে গুলি করা হয়।<ref name="journolists">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=One journalist shot at, two other reporters attacked by mob in Delhi riots |ইউআরএল=https://www.thenewsminute.com/article/one-journalist-shot-two-other-reporters-attacked-mob-delhi-riots-118905 |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |কর্ম=The News Minute |তারিখ=25 January 2020}}</ref> ক্যামেরাম্যানের সাথে একজনএনডিটিভির দুজন সাংবাদিক ওই এলাকার একটি মসজিদে আগুন জ্বালানোর দৃশ্যধারণ করার সময় জনতা ছত্রভঙ্গ করে। এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে আরও আক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য ওই গণমাধ্যম দলের একজন মহিলা সাংবাদিককে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং জনতাকে বোঝাতে হয়েছিল যে সাংবাদিকরা অমুসলিম"হিন্দু" ছিল।বেশছিল।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=NDTV's Saurabh Shukla Shares How A Delhi Mob Attacked NDTV Crew |ইউআরএল=https://www.youtube.com/watch?v=fXoZvLkd70E |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |কর্ম=The NDTV |তারিখ=25 February 2020}}</ref>

২৫ ফেব্রুয়ারি, [[দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া]]র একজন ফটো সাংবাদিককে হিন্দু সেনা সদস্যরা আগুন ধরিয়ে দেওয়া একটি ভবনের ছবি তুলতে গিয়ে তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। এই দলটি "কপালে তিলক" দেওয়ার চেষ্টা করে এবং দাবি করেছিল যে এটি "তার কাজকে আরও সহজ করে তুলবে" কারণ দাঙ্গাকারীরা তাকে হিন্দু হিসাবে চিহ্নিত করতে পারবে। তারা অগ্নিকাণ্ডে ভবনের ছবি তোলায় তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে এবং হিন্দু হওয়ার প্রমাণ হিসাবে তার খতনা করা আছে কি না তা দেখানোর জন্য তাকে তার প্যান্ট খুলে নেওয়ার হুমকি দেয়।<ref name="journolists" /> পরে এই প্রতিবেদকের সাথে অন্য একজন দাঙ্গাকারীর দেখা হয়, যিনি তাকে তার ধর্ম প্রমাণ করার দাবি করেন।<ref name="journolists" />

বেশ কয়েক জন সাংবাদিক দাঙ্গারীদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা টুইটারে শেয়ার করেন। ''টাইমস নাউ''য়ের এক সাংবাদিক টুইট করেন যে তিনি সিএএ এর বিরোধীসমর্থিত এবং ডানপন্থী বিক্ষোভকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। তিনি বলেছিলেন যে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর জন্য তাকে পাথর ও লাঠি বহনকারী জনতার কাছে অনুরোধ করতে হয়।<ref name="journolists" /> রয়টার্স,<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Ghosal |প্রথমাংশ১=Devjyot |শিরোনাম=Eventually, as the violence continued, it got too hot to work, and we pulled out. |ইউআরএল=https://twitter.com/DevjyotGhoshal/status/1231980528536080384 |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |প্রকাশক=Twitter |তারিখ=24 February 2020}}</ref> ইন্ডিয়া টুডে,<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Pandey |প্রথমাংশ১=Tanushree |শিরোনাম=This is a riot! Protesters from both sides heckling & thrashing media persons. |ইউআরএল=https://twitter.com/TanushreePande/status/1231916334784475137 |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |এজেন্সি=Twitter |তারিখ=24 February 2020}}</ref> সিএনএন-নিউজ ১৮<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Bose |প্রথমাংশ১=Adrija |শিরোনাম=The walk from Jaffrabad to Maujpur wasn't one bit easy. We were heckled and abused. |ইউআরএল=https://twitter.com/adrijabose/status/1232236663084081153 |সংগ্রহের-তারিখ=25 February 2020 |এজেন্সি=Twitter |তারিখ=25 February 2020}}</ref> এর সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন যে তাদের উপর নির্যাতন ও লাঞ্ছনা করা হয়।<ref name="journolists" />
 
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে যে কারাওয়াল নগরে সহিংসতার নথিভুক্ত করা তার এক ফটোগ্রাফারের একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার পরে জনতা তাকে হুমকি দেয় এবং গালি দেয় এবং তাঁর ক্যামেরায় মেমরি কার্ডটি জব্দ করে। তারা তার অফিসিয়াল পরিচয়পত্রের জন্য জিজ্ঞাসা করে এবং তাকে এলাকাটি ছেড়ে দেওয়ার আগে এটির একটি ছবি নেয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=HT photographer's motorcycle burnt |ইউআরএল=https://www.hindustantimes.com/india-news/ht-photographer-s-motorcycle-burnt/story-naQGBnDnWXnUwX0rSnmA6K.html |সংগ্রহের-তারিখ=26 February 2020 |কর্ম=The Hindustan Times |তারিখ=25 February 2020}}</ref>
৩৭৮ ⟶ ২০৮ নং লাইন:
* বীর সিং; ড্রাই ক্লিনার<ref name=":426" />
* আশফাক হুসেন; ইলেট্রিশিয়ান<ref name=":426" />
* মহতাব<ref>[https://thewire.in/communalism/delhi-riots-identities-deceased-confirmed Identities of 12 People Killed in Delhi Riots Confirmed]</ref>
* মহতাব<ref>
বুন্দেল সিংহ/ref>
-->