সাবাশ বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:১৯৯১-এ প্রতিষ্ঠিত যোগ
বানান
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৭ নং লাইন:
 
== স্থাপত্য তাৎপর্য ==
স্বাধীনতার জ্বলন্ত প্রমাণকে ধরে রাখার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য সাবাশ বাংলাদেশ। ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র –শিক্ষক- কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বলিষ্ঠ সাহসী ভূমিকা ছিল। সে সময় এমন ঘটনার আর্বতআবর্ত সৃষ্টি হয় যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলই তাতে জড়িয়ে পড়েন এবং [[শহীদ শামসুজ্জোহা|অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা]] শাহাদাৎ বরণশাহাদাৎবরণ করেন।<ref name="risingbd.com">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |লেখক=শাহিনুর খালিদ |শিরোনাম= মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়|ইউআরএল= https://risingbd.com/campus-news/324312|কর্ম= risingbd.com|অবস্থান= |তারিখ= ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯|সংগ্রহের-তারিখ= May 7, 2020}}</ref> এরপর ১৯৭১ সালের ২৫মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে বাঙ্গালীবাঙালি জাতীয়তাবাদ নিশ্চিহ্ন করার যে ব্যর্থ প্রয়াসের সূচনা করে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও আক্রান্ত হয়। কয়েকদিনের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে দল রাজশাহীতে সক্রিয় ছিল তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে স্থানীয় ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। রাজশাহী শহর তৎকালীন ই.পি.আর. নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বিপুল অংশ শহরে প্রবেশ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ঘাটিঘাঁটি স্থাপন করে। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবপূর্ণ অবদান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাদের বিতাড়িত করতে শাহাদৎ বরণশাহাদৎবরণ করেন অধ্যাপক [[হবিবুর রহমান]], অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আক্ষদুলআবদুল কাউয়ুম, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও ছাত্র।
 
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক শিক্ষক-ছাত্র শহীদ হওয়ায় এর স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ হয় সিনেট ভবনের দক্ষিণে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে শিল্পী নিতুন কুন্ডুর উপাস্থপনায়উপস্থাপনায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়।<ref name="odhikar.news">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |লেখক=নুরুজ্জামান খান |শিরোনাম= হাজারো শহীদের রক্তের পূণ্যভূমি রাবি ক্যাম্পাস|ইউআরএল= https://www.odhikar.news/education/34821|কর্ম= odhikar.news|অবস্থান= |তারিখ= ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮|সংগ্রহের-তারিখ= May 7, 2020}}</ref> নির্মাণ কাজ শেষে হলে এর ফলক উম্মোচন করেন শহীদ জননীশহীদজননী [[জাহানারা ইমাম]]।<ref name="cri.cn"/> ভাস্কর্যে স্থান পেয়েছে তরুণ কবি [[সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্যের]] কবিতার কয়েকটি লাইন। যা হলো
 
{{pull quote|1=সাবাস বাংলাদেশ<br />এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়<br />জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার<br />তবু মাথা নোয়াবার নয়।}}
 
লেখক বায়েজিদ আহমেদ এর মতে ''বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের যে প্রতীকিপ্রতীকী ভাস্কর্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রকাশভঙ্গীরপ্রকাশভঙ্গির সরলতা, গতিময়তা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তেজস্বী প্রকাশ এবং নন্দনতাত্ত্বিক দিক থেকে এই ভাস্কর্যটি অনবদ্য।''<ref>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, লেখক- বায়েজিদ আহমেদ, পৃষ্ঠা নং ৬৪-৬৫</ref>
 
==চিত্রশালা==