আবদুল হামিদ খান ভাসানী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mzz Tanmay (আলোচনা | অবদান) সম্প্রসারণ ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
২৪ নং লাইন:
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর [[সিরাজগঞ্জ জেলা|সিরাজগঞ্জের]] ধানগড়া পল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী শারাফত আলী। হাজী শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলীর পরিবারে ৪ টি সন্তানের জন্ম হয়। একটি মেয়ে ও তিনটি ছেলে। মোঃ আব্দুল হামিদ খান সবার ছোট। তার ডাক নাম ছিল চেগা মিয়া। ছেলে-মেয়ে বেশ ছোট থাকা অবস্থায় হাজী শারাফত আলী মারা যান। কিছুদিন পর এক মহামারীতে বেগম শারাফত ও দুই ছেলে মারা যায়। বেঁচে থাকেন ছোট শিশু আব্দুল হামিদ খান।
পিতৃহীন হামিদ প্রথমে কিছুদিন চাচা ইব্রাহিমের আশ্রয়ে থাকেন। ওই সময় ইরাকের এক আলেম ও ধর্ম প্রচারক নাসির উদ্দীন বোগদাদী সিরাজগঞ্জে আসেন। হামিদ তার আশ্রয়ে কিছুদিন কাটান। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কিছুদিন পূর্বে ১৮৯৩ সালে তিনি [[জয়পুরহাট]] জেলার পাঁচবিবি উপজেলার জমিদার শামসুদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর বাড়িতে যান। সেখানে তিনি মাদ্রাসার মোদাররেসের কাজ করেন এবং জমিদারের ছেলে-মেয়েকে পড়ানোর দায়িত্ব নেন। ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সাথে [[আসাম]] গমন করেন। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। ইসালামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭-এ দেওবন্দ যান। দুই বছর সেখানে অধ্যয়ন করে আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশবন্ধু [[চিত্তরঞ্জন দাস]] ময়মনসিংহ সফরে গেলে তার ভাষণ শুনে ভাসানী অণুপ্রাণিত হন।<ref name="ds">
=== ১৯৩০-১৯৫৯ ===
১৯৩১-এ সন্তোষের [[কাগমারী সম্মেলন|কাগমারী]]<nowiki/>তে, ১৯৩২-এ সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলায় ও ১৯৩৩-এ [[গাইবান্ধা জেলা|গাইবান্ধায়]] বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন। ১৯৩৭-এ মওলানা ভাসানী কংগ্রেস ত্যাগ করে [[মুসলিম লীগ|মুসলিম লীগে]] যোগদান করেন। সেই সময়ে আসামে '[[লাইন প্রথা]]' চালু হলে এই নিপীড়নমূলক প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন। এসময় তিনি "আসাম চাষী মজুর সমিতি" গঠন করেন এবং ধুবরী, গোয়ালপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৯৪০ সালে [[আবুল কাশেম ফজলুল হক|শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের]] সঙ্গে [[মুসলিম লীগ|মুসলিম লীগের]] [[লাহোর]] সম্মেলনে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে মাওলানা ভাসানী আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫-৪৬ সালে আসাম জুড়ে বাঙালিদের বিরুদ্ধে "[[বাঙ্গাল খেদাও]]" আন্দোলন শুরু হলে ব্যাপক দাঙ্গা দেখা দেয়। এসময় বাঙালিদের রক্ষার জন্য ভাসানী বারপেটা, গৌহাটিসহ আসামের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ান। [[পাকিস্তান]] আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে
১৯৫০ সালে সরকার কর্তৃক রাজশাহী কারাগারের [[খাপরা ওয়ার্ড]] এর বন্দীদের উপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে [[ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার|ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে]] অনশন ধর্মঘট পালন করেন এবং ১৯৫০ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে [[১৯৫২|১৯৫২-র]] ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলার বার লাইব্রেরি হলে তার সভাপতিত্বে অণুষ্ঠিত এক সভায় [[সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ]] গঠিত হয়। [[রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন|রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে]] সহযোগিতার কারণে গ্রেফতার হয়ে ১৬ মাস কারানির্যাতনের শিকার হন। অবশ্য জনমতের চাপে ১৯৫৩ সালের ২১ এপ্রিল মওলানা ভাসানীকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়।<ref name=tds/> পূর্ববঙ্গের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৯৫৩ সালের ৩ ডিসেম্বর [[কৃষক-শ্রমিক পার্টি]]র সভাপতি [[আবুল কাশেম ফজলুল হক|শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক]] এবং [[হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী|হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীকে]] সঙ্গে নিয়ে [[যুক্তফ্রন্ট]] নামক নির্বাচনী মোর্চা গঠন করেন। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিপুল বিজয় অর্জন করে এবং পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদে ২৩৭ টির মধ্য ২২৮ টি আসন অর্জনের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। [[আবুল কাশেম ফজলুল হক|ফজলুল হকের]] নেতৃত্বে সরকার গঠন করার পর ২৫শে মে ১৯৫৪ মওলানা ভাসানী [[বিশ্ব শান্তি সম্মেলন|বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে]] যোগদানের উদ্দেশ্যে [[সুইডেন|সুইডেনের]] রাজধানী স্টকহোমে যান এবং সেখানে বক্তব্য প্রদান করেন।<ref name="petercusters.nl">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.petercusters.nl/file/4 |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ নভেম্বর ২০০৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110423032635/http://www.petercusters.nl/file/4 |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ এপ্রিল ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ৩০ মে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে গভর্নরের শাসন জারি করে এবং মওলানা ভাসানীর দেশে প্রত্যাবর্তনের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেন। ১১ মাস [[লন্ডন]], [[বার্লিন]], [[দিল্লী]] ও [[কলকাতা|কলকাতায়]] অবস্থান করার পর তার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলে [[১৯৫৫|১৯৫৫-র]] ২৫ এপ্রিল দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। পূর্ব বাংলায় খাদ্যজনিত দুর্ভিক্ষ রোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৫০ কোটি টাকা আদায়ের দাবিতে [[১৯৫৬|১৯৫৬-র]] ৭ মে ঢাকায় অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। সরকার দাবি মেনে নিলে ২৪ মে অনশন ভঙ্গ করেন। একই বছর ১২ সেপ্টেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে [[আওয়ামী লীগ-রিপাবলিকান পার্টির কোয়ালিশন সরকার]] গঠিত হলে মাওলানা ভাসানী সরকারের পররাষ্ট্রনীতির বিরোধিতা করে নিরপেক্ষ নীতি অবলম্বন করার জন্য সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করেন।
|