নাগরখানা খন্ডযুদ্ধখণ্ডযুদ্ধ ও সরকারি টাকা লুঠেরলুটের মামলায় মাস্টারদা [[সূর্য সেন]], [[অনন্ত সিং]]<nowiki/>হ, অম্বিকা চক্রবর্তীর হয়ে মামলা পরিচালনা করে তাদের মুক্ত করেন। বিপ্লবী [[প্রেমানন্দ দত্ত]]<nowiki/>কে পুলিশ ইনস্পেকটর প্রফুল্ল রায় হত্যা মামলায় নির্দোষ সাব্যাস্তসাব্যস্ত করা তার অপর কৃতিত্ব। বস্তুত চট্টগ্রাম বিদ্রোহের বহু সৈনিককে তিনি ফাঁসির হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন আইনের সাহায্যে। ফৌজদারী বিষয়ে তার সমকক্ষ আইনজ্ঞ ও বাগ্মী ভারতে কমই ছিল। জালিয়ানওয়ালাবাগে রাজদ্রোহমূলক বক্তৃতা দেওয়ার পরে কারারুদ্ধ হন এবং মুক্তি পেয়ে বিলেতে যান। চট্টগ্রামে পুলিশি অত্যাচার ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিলেতে গিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করেন। তার দেওয়া তথ্য, ছবি ইত্যাদির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার নেলসন অপসারিত হন। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ক্রেগ অবসর নিতে বাধ্য হন। হান্টার বিলেতে পালান, পুলিশ সুপার স্যুটার আত্মহত্যা করেন। ফলত সরকারের রোষানল তার ওপর পড়ে। কমিশনার টেগার্ট তখন বিলেতে ছিলেন। তিনি সরকারকে জানান যতীন্দ্রমোহন অহিংসবাদী নন। তিনি সশস্ত্র বিপ্লবীদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগকারী ও মদতদাতা। পুলিশ দেশে ফেরার সংগেসঙ্গে সংগেসঙ্গে বোম্বাই বন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করে যারবেদা জেল ও পরে [[দার্জিলিং]] এ অন্তরীনঅন্তরীণ করে পাঠায়। অসুস্থ হয়ে পড়লেও উপযুক্ত চিকিতসারচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে দেয়নি পুলিশ।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=চট্টগ্রাম সশস্ত্র বিপ্লবে দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহনের ভূমিকা|শেষাংশ=প্রসাদ দাস মুখোপাধ্যায়|প্রথমাংশ=সূর্যসেন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম|প্রকাশক=সূর্যসেনা প্রকাশনী|বছর=১৯৯৫|আইএসবিএন=|অবস্থান=বহরমপুর|পাতাসমূহ=৭৪, ৭৫}}</ref>