কুসুম্বা মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
সম্প্রসারণ
৩৯ নং লাইন:
}}
 
'''কুসুম্বা মসজিদ''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[নওগাঁ জেলা|নওগাঁ জেলার]] মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামের একটি প্রাচীন মসজিদ। কুসুম্বা দিঘির পশ্চিম পাড়ে, পাথরের তৈরি ধুসর বর্ণের মসজিদটি অবস্থিত। বাংলাদেশের পাঁচ টাকার নোটে এই মসজিদের ছবি দেওয়া আছে।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bd-pratidin.com/last-page/2015/05/01/78420|শিরোনাম=নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=১ মে ২০১৫|ওয়েবসাইট=[[বাংলাদেশ প্রতিদিন]]|ভাষা=|সংগ্রহের-তারিখ=2020-06-20}}</ref>

== ইতিহাস ==
মসজিদের প্রবেশদ্বারে বসানো ফলকে মসজিদের নির্মাণকাল লেখা রয়েছে [[হিজরি সাল|হিজরি]] ৯৬৬ সাল(১৫৫৮-১৫৬৯খ্রিষ্টাব্দ)।<ref name="KKEid">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কুসুম্বা মসজিদ |লেখক=ফুরিদুল করিম |ইউআরএল= |বিন্যাস=প্রিন্ট |সংবাদপত্র=''অন্য কোনোখানে'', A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ |প্রকাশক= |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ |পাতা=১৪ |পাতাসমূহ= |at= |সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ |ভাষা=বাংলা}}</ref> আফগানি শাসনামলের শুর বংশের শেষদিকের শাসক [[গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহ|গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের]] আমলে<ref name="KKEid" /> ''সুলায়মান'' নামে একজন এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মসজিদের তিনটি গুম্বজ নষ্ট হয়েছিল। পরে সেগুলো [[বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর|প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর]] সংস্কার করেন।<ref name=":0" /> পরবর্তীতে ২০১৭ সালে মসজিদের চতুর্দিকে এবং পূর্বপার্শ্বে অবস্থিত দিঘির পাড়ে ফুলের বাগান নির্মান, আলোকসজ্জার কাজ করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/bogra-edition/2017/10/11/228299.html|শিরোনাম=বদলে যাচ্ছে কুসুম্বা মসজিদের চত্বর {{!}} উত্তরাঞ্চল সংবাদ {{!}} The Daily Ittefaq|ওয়েবসাইট=archive1.ittefaq.com.bd|সংগ্রহের-তারিখ=2019-01-24}}</ref>
 
==অবস্থান==
৪৬ ⟶ ৫১ নং লাইন:
== বিবরণ ==
মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৫৮ফুট, প্রস্থে ৪২ফুট। দুই সারিতে ৬টি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের গায়ে রয়েছে লতাপাতার নকশা। প্রাচীর ঘেরা মসজিদটির প্রধান ফটকে প্রহরী চৌকি ছিল। মসজিদটিতে ইটের গাঁথুনি, সামান্য বাঁকানো কার্ণিশ এবং সংলগ্ন আটকোণা বুরুজ। এগুলো থেকে মসজিদের স্থাপত্যে বাংলা স্থাপত্যরীতির প্রভাব পাওয়া যায়।<ref name="KKEid"/> মসজিদের মূল গাঁথুনি ইটের হলেও এর সম্পূর্ণ দেয়াল এবং ভেতরের খিলানগুলো পাথরের আস্তরণে ঢাকা। মসজিদের স্তম্ভ, ভিত্তি মঞ্চ, মেঝে ও দেয়ালের জালি নকশা পর্যন্ত পাথরের। মসজিদটি আয়তাকার এবং এতে রয়েছে তিনটি বে এবং দুটি আইল। এর পূর্বপ্রান্তে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণে একটি করে প্রবেশপথ। মসজিদের কেন্দ্রীয় মিহরাবটি পশ্চিম দিকের দেয়ালের থেকে আলাদা। পশ্চিম দেয়ালের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং মাঝামাঝি প্রবেশপথ বরাবর দুটো মিহরাব রয়েছে যা মেঝের সমান্তরাল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/72868799|শিরোনাম=Sultans and mosques : the early Muslim architecture of Bangladesh|শেষাংশ=Hasan, Perween.|তারিখ=2007|প্রকাশক=I.B. Tauris|অবস্থান=London|আইএসবিএন=9781845113810|oclc=72868799}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ghosh|প্রথমাংশ=Nihar|তারিখ=2003|শিরোনাম=Islamic Art of Mediaeval Bengal Architectural Embellishments|প্রকাশক=Suchetana|oclc=56368557}}</ref> উত্তর-পশ্চিম কোণের বে-তে মিহরাবটি একটি উঁচু বেদীর উপর বসানো। মোট মিহরাব আছে ৩টি, যার সবগুলো কালো পাথরের তৈরি। মসজিদটির সম্মুখে ২৫.৮৩ একের আয়তনের একটি বিশাল জলাশয় রয়েছে। মিহরাবে আঙ্গুরগুচ্ছ ও লতাপাতার নকশা খোদিত রয়েছে।<ref name="KKEid"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.naogaon.gov.bd/|শিরোনাম=নওগাঁ জেলা|ওয়েবসাইট=www.naogaon.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=2019-11-06}}</ref>
 
মসজিদের ভিতরে উত্তর-পশ্চিম কোনের স্তম্ভের উপর একটি উঁচু আসন আছে। ধারনা করা হয়, এই আসনে বসেই তৎকালীন কাজী/বিচারকরা এলাকার বিভিন্ন সমস্যার বিচার কার্য পরিচালনা করতেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.naogaon.gov.bd/site/tourist_spot/94cffc32-1ab1-11e7-8120-286ed488c766/কুসুম্বা%20মসজিদ,%20মান্দা|শিরোনাম=কুসুম্বা মসজিদ, মান্দা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=জাতীয় তথ্য বাতায়ন|ভাষা=|সংগ্রহের-তারিখ=2020-06-20}}</ref>
 
==কিভাবে যাওয়া যায়==