শিবচন্দ্র দেব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:হুগলী জেলার ব্যক্তি যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৯ নং লাইন:
[[কোন্নগর|কোন্নগরে]] ম্যালেরিয়া জ্বর দেখা দিলে তারই প্রযত্নে সরকার একটি চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারী স্থাপন করেন৷ সেজন্য একটি বাড়ি ডিসপেন্সারীর ব্যবহারের জন্য বিনা ভাড়াতে দেন৷ ওই ডিসপেন্সারীর দ্বারা কোন্নগরবাসীর মহোপকার সাধিত হয়েছিল৷ ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কিঞ্চিত হ্রাস পেলে ১৮৮১ সালে সরকার ওই ঔষধালয়টি তুলে দেন৷ ১৮৮৩ সালে শিবচন্দ্র দেব নিজ খরচায় কোন্নগরে একটি ঔষধালয় স্থাপন করেন৷ এখানে প্রতিদিন সকালে দরিদ্রদের বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হত৷ তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে ছিলেন৷
 
==ব্রাহ্মসমাজ==
==ব্রাম্ভসমাজ==
শিবচন্দ্র দেবের জীবনচরিত থেকে জানা যায় যৌবনকালে তিনি যখন [[হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও|ডিরোজিওর]] শিষ্যদলভুক্ত ছিলেন, তখন থেকেই প্রাচীন ধর্মের থেকে তার বিশ্বাস চলে যায় এবং অন্তরে অন্তরে [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] হন৷ কিন্তু চাকুরী সূত্রে বহুবছর নানাস্থানে ভ্রমণ করার কারণে এই অন্তরের বিশ্বাস অন্তরেই থেকে যায়৷ সেই অনুযায়ী কাজ করার কোনো সুযোগ হয় নি৷ ১৮৪৩ সালে [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] যখন [[ব্রাম্ভসমাজব্রাহ্মসমাজ|ব্রাম্ভসমাজেব্রাহ্মসমাজ]] যোগ দিয়ে একে বলশালী করে তোলে এবং [[অক্ষয়কুমার দত্ত]] যোগ্যতার সাথে [[''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'']] সম্পাদিত করতে থাকেন, তখন, ১৮৪৪ সালে, তিনি এই পত্রিকার গ্রাহক হয়ে পরব্রম্ভের চর্চা করতে থাকেন৷ সেইসময় তিনি [[বালেশ্বর]] থেকে বদলি হয়ে [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরে]] ডেপুটি কালেক্টর হয়ে আসেন৷
 
ব্রাম্ভধর্মের প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধি হওয়ায় ১৮৪৬ সালে তিনি [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরে]] [[ব্রাম্ভসমাজ]] প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে ব্রাম্ভধর্ম প্রচার করতে থাকেন৷ ১৮৫০ সালে কলকাতার সন্নিকটস্থ আলিপুরে যখন ডেপুটি কালেক্টর হয়ে আসেন, তার কিছু পরেই তিনি বিধিপূর্বক ব্রাম্ভধর্ম গ্রহণ করে আদি ব্রাম্ভসমাজের সদস্য হিসাবে যোগ দেন৷ কেবল তাই নয়, তিনি তার স্ত্রী-পুত্রকে ব্রাম্ভধর্মের আশ্রয়ে আনতে ব্যগ্র হন এবং তাতে কৃতকার্য হন৷