রঘুনাথ শিরোমণি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.1 |
|||
২২ নং লাইন:
| পুরস্কার =
}}
'''রঘুনাথ শিরোমণি''' (IAST: Raghunātha Śiromaṇi) (আনু. ১৪৭৭ – ১৫৪৭<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=0lG85RD9YZoC&pg=PA463&dq=Raghunatha+Shiromani&cd=3&redir_esc=y&hl=en#v=onepage&q&f=false|শিরোনাম=A History of Indian Logic: Ancient, Mediaeval and Modern Schools|শেষাংশ=Vidyabhusana|প্রথমাংশ=Satis Chandra|তারিখ=1988|প্রকাশক=Motilal Banarsidass Publishe|
== শিক্ষাজীবন ==
ছোটবেলায় মাত্র চার বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটলে তাঁর মা খুব কষ্ট করে তাকে লালন পালন করেন। সেই সময় ছেলের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির পরিচয় পেলে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি মায়ের আদেশে [[বাসুদেব সার্বভৌম|বাসুদেব সার্বভৌমের]] কাছে শিক্ষা গ্রহণের জন্য যায়। রঘুনাথ শিরোমণি [[বাসুদেব সার্বভৌম|বাসুদেব সার্বভৌমের]] শিষ্য ছিলেন বলে জানা যায়। ছাত্রাবস্থায় [[বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ|ব্যঞ্জনবর্ণ]] পাঠ কালেই তিনি খুব তাড়াতাড়ি ব্যাকরণ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করেন। সার্বভৌম তাঁকে ব্যাঞ্জনবর্ণ শেখানোর সময় রঘুনাথ ''‘ক’''-এর পর ''‘খ’'' হয় কেন?, দুটি ''‘জ’'',দুটি ''‘ন’'', দুটি ''‘ব’'' এবং তিনটি ''‘শ’'' কেন হয় এই প্রশ্ন করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। পরবর্তীকালে তিনি পক্ষধর মিশ্রের কাছে ন্যায়শাস্ত্র শিখতে মিথিলায় যান। ছোটবেলায় পোকার কামড়ে তাঁর একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ায়<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/logical-studies-were-discussed-in-that-cowshed-1.552309|শিরোনাম=ন্যায়শাস্ত্র পড়া হত হরি ঘোষের গোয়ালে|শেষাংশ=অশ্বঘোষ|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|ভাষা=bn|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200614171100/https://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/logical-studies-were-discussed-in-that-cowshed-1.552309|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-০৬-১৪|সংগ্রহের-তারিখ=2020-06-14|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> তাঁর অপর নাম ''‘কানভট্ট’'' শিরোমণি ছিল বলে অনেকে মনে করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=5f5VtwAACAAJ&dq=rupamanjari+by+narayan+sanyal&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwiy1Y3I14HqAhXHR30KHRB_CAoQ6AEIKDAA|শিরোনাম=Rupamanjari|শেষাংশ=Sanyal|প্রথমাংশ=Narayan|তারিখ=1990|প্রকাশক=Dey's|
মতান্তরে, রঘুনাথ শিরোমণি পক্ষাধরের ছাত্র ছিলেননা। মিথিলার নৈয়ায়িক পক্ষধর মিশ্র ন্যায়চর্চার সভা আয়োজন করলে নবদ্বীপের নৈয়ায়িক হিসেবে মধ্যমণি [[বাসুদেব সার্বভৌম|বাসুদেব সার্বভৌমের]] নিমন্ত্রণ আসে। বাসুদেব নিজে সেই বিচার সভায় না গিয়ে রঘুনাথ শিরোমণি সহ তাঁর আরও দুই শিষ্যকে মিথিলায় পাঠান।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.289387|শিরোনাম=Biswakosh Vol.16|শেষাংশ=Basu|প্রথমাংশ=Nagendranath|তারিখ=1905}}</ref> সেখানে গিয়ে তাঁরা পরিচয় দেয়- {{cquote|কুশদ্বীপ-নলদ্বীপ-নবদ্বীপ-নিবাসিনঃ।<br/>তর্কসিদ্ধান্ত-সিদ্ধান্ত-শিরোমণি মনীষিণঃ।।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.356006|শিরোনাম=Bangalir Saraswat Abadan Part. 1|শেষাংশ=Bhattacharjya|প্রথমাংশ=Dineshchandra|তারিখ=1951}}</ref>}} মিথিলার নৈয়ায়িকগণ এবং রঘুনাথেরা তর্কযুদ্ধ শুরু করলে মিথিলাপক্ষ বিপর্যস্ত হয়ে যায়। তখন পক্ষধর তর্কে অংশগ্রহণ করলেও রঘুনাথের যুক্তির জালে আটকে যান। স্বভাব কবি পক্ষধর তখন ক্ষিপ্ত হয়ে শ্লেষাত্মক শ্লোক রচনা করে আক্রমণ করেন- ''বক্ষোজপানকৃৎ কাণ ! সংশয়ে জাগ্রতি স্ফুটং। সামান্যলক্ষণা কম্মাদকম্মাদবলুপ্যতে।।''<ref name=":1" /> তখন ন্যায়াধিক বিচারক তর্কযুদ্ধ সমাপ্ত করে ঘোষণা করেন মৈথিলী বৃদ্ধ পণ্ডিত পরাজিত হয়েছেন, কারণ তাঁর যুক্তিতর্ক নৈব্যক্তিক নয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=5f5VtwAACAAJ&dq=rupamanjari+by+narayan+sanyal&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwiy1Y3I14HqAhXHR30KHRB_CAoQ6AEIKDAA|শিরোনাম=Rupamanjari|শেষাংশ=Sanyal|প্রথমাংশ=Narayan|তারিখ=1990|প্রকাশক=Dey's|
== কর্মজীবন ==
|