বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
103.133.172.254 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4319736 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে (mobileUndo)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৯ নং লাইন:
 
==ইতিহাস==
১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে সে বছরের ২৬ এপ্রিল জন্মলাভ করা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের গর্বিত উত্তরসূরি বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। ষাটের দশকের আন্তর্জাতিক মহাবিতর্কে বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্ট আন্দোলনের ভাঙ্গনের মুখে পড়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নেও। সুবিধাবাদ, পশ্চাৎপদ ভ্রান্ত ধারনা, কূপমুন্ডকতা ও লেজুরবৃত্তিক মনোভাব সচেতনভাবে এড়িয়ে ১৯৬৫ সালে যাত্রা শুরু করে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ)। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে সংগঠনের নামকরণ হয় পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন (উল্লেখ্য, পাকিস্তানী শাসন ও পাকিস্তান রাষ্ট্রচেতনাকে সর্বপ্রথম অস্বীকার করে এই সংগঠনই ‘পূর্ব পাকিস্তান’ বাদ দিয়ে ‘পূর্ব বাংলা’ শব্দযুগল সংগঠনের নামে যুক্ত করে)। স্বাধীনতার আগে-পরে বিভিন্ন ভ্রান্ত বিতর্কে বহুধাবিভক্ত হয় বাংলাদেশের প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলন। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে সত্তরের দশকের শেষভাগে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের এসব বহুধাবিভক্ত ধারাকে ঐক্যের মোহনায় মিলিত করার মহান তাগিদ থেকে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই পথ ধরে ১৯৮০ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ঐক্য সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় আন্দোলন, জাতীয় ছাত্রদলের দুইটি অংশ এবং বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন মিলিত যাত্রা শুরু করে। সংগঠনের না ধারন করা হয় “বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী“। পরবর্তীতে এই ঐক্যের ধারাবহিকতায় ১৯৮১ সনে জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের সাথে ঐক্য হয় এবং সংগঠনের নাম “বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী“ অপরিবর্তিত থাকে। ১৯৮৪ সনে ২২ সেপ্টেম্বর বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশের সাথে ঐক্য হলে সংগঠনের নাম পরিবর্তন হয়ে “বাংলাদেশ বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী” নামটি ধারণ করে। ১৯৮৮ সনে ৭ এপ্রিল বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের আরেকটি অংশের সঙ্গে ঐক্যের মধ্যদিয়ে “বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী” নাম ধারণ করে সংগঠনটি। এরপর আরো দুই দফায়; ১৯৮৮ সনে ২১ নভেম্বর জাতীয় ছাত্র সংসদের সঙ্গে এবং ১৯৯২ সনে ২৩-২৪ অক্টোবর গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে ঐক্য হয় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর। সংগ্ঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির নাম ফজলে হোসেন বাদশা।বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান খান আসাদ। ফজলে হোসেন বাদশা বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য।
 
৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (রাকসু) ছাত্রলীগ ও জাসদের বিরুদ্ধে প্যানেল ঘোষণা করে সংগঠনটি। নির্বাচনে ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা ভিপি পদে বিপুল ভোটে জয়ী হন। এই পর্যন্ত ছাত্রমৈত্রীর ১৯টি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ফারুক আহমেদ রুবেল সভাপতি এবং কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।[http://jugobarta.com/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87/] সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট এবং ৩১ সদস্যবিশিষ্ট সাংগঠনিক জেলা কাঠামোর সংখ্যা ৫৪।