পূর্ব পাকিস্তান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
119.30.45.100 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4294928 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে (mobileUndo)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৭৪ নং লাইন:
=== পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণ ===
 
==='''ক)''' অর্থনৈতিক'''সামাজিক বৈষম্য''' ===''':'''
 
*ধর্মীয় ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য : পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের ইসলামী সামাজিক ব্যবস্থা চালু থাকলেও ইসলাম সম্পর্কে দুই অংশের জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির বেশ পার্থক্য ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের ধর্মীয় জীবন ছিল অনেকটা উদারনৈতিক ও মানবতাবাদী । কিন্তুুু পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল অনেকটা রক্ষণশীল ও গোড়া ।
 
*অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানী পুঁজিপতিদের প্রাধান্য :
 
বাঙালি বুর্জোয়া ও পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্প উদ্যোক্তা পূর্ব পাকিস্তানে আইনগতভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমঅধিকারী হলেও সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ ছিল অসম। বাঙালি শিল্পোদ্যোক্তাদের অপেক্ষাকৃত দুর্বল অবস্থাথার কারণ ছিল ঋণ পাওয়া ও শেয়ার বিক্রয় প্রশ্নে বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিনিয়োগকারী সংস্থার উপর নির্ভরশীলতা । স্যার এসব প্রতিষ্ঠান ছিল ও বাঙালি পুঁজিপতিদের কর্তৃত্বাধীন ।
 
*সামাজিক অবকাঠামো গত বৈষম্য :
 
পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানের সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নের দিক থেকেও পিছিয়ে ছিল । গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে , কৃষি , চিকিৎসা , বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রের ১৬টির মধ্যে ১৩টিরই অবস্থান ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের।
 
'''খ)''' '''সাংস্কৃতিক বৈষম্য''' ''':'''
 
*সাংস্কৃতিক দূরত্বের ব্যাপকতা : পাকিস্তানের দুটি অংশ শুধু যে ভৌগলিক দিক থেকে ভিন্ন অবস্থানের ছিল তা নয় , দুই অংশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান ছিল ব্যাপক সাংস্কৃতিক দূরত্ব । তাঁদের ভাষা ছিল স্বতন্ত্রত্র , পোশাক-পরিচ্ছদ ছিল ভিন্ন । তাদের আহার্যও ছিল ভিন্ন । এমনকি তারা দেখতেও এক রকম ছিল না ।
 
*ভাষাগত দ্বন্দ্ব : পাকিস্তানের উভয় অংশের মধ্যে যোগাযোগের কোন সাধাারণ ভাষা ছিল না । সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালীদের ভাষা পশ্চিম পাকিস্তানে অপরিচিত ছিল । অপরপক্ষে , পূর্ব বাংলায় পশ্চিম পাকিস্তানের এলিট ভাষা উর্দুুতে কথা বলার মতো মানুষ ছিল খুবই নগণ্য ।
 
*বাঙালির সংস্কৃতি চর্চাই প্রতিবন্ধকতা : স্বৈরাচারী আইয়ুব খান ক্ষমতায় এসে রোমান হরফে বাংলা লেখার জন্য 'ভাষা সংস্কার কমিটি' গঠন করেন এবং এর অব্যবহিত পরে ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান পালনে বাধা দেন । ১৯৬৭ সালে বেতার রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
 
*উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার অপচেষ্টা : দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভাষা কে উপেক্ষা করে ২১ মার্চ ১৯৪৮ সালের জনসভায় এবং ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণে পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংসের অপপ্রয়াস চালান ।
 
'''গ) অর্থনৈতিক বৈষম্য''' ''':'''
 
পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল। মোট জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ থাকত পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য।<ref>পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত চতুর্থ মেয়াদী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার জন্য উপদেষ্টা প্যানেলের রিপোর্ট।</ref>
{| style="width:50%; allign:center;" border="1"
১৩২ ⟶ ১৫৫ নং লাইন:
|}
 
*অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত বৈষম্য : পশ্চিম পাকিস্তানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৪% জনসমষ্টি বাস করলেও সেখানে জাতীয় সম্পদের ৭৫% বরাদ্দ করার ফলে ওই অঞ্চলে একদিকে যেমন আয় বৃদ্ধি পায় , অন্যদিকে তেমন কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পায় ।
=== ভাষা আন্দোলন ===
{{মূল নিবন্ধ|বাংলা ভাষা আন্দোলন}}
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি অনুসন্ধান করে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণমূলক আচরণ। কেবল অর্থনৈতিক শোষণ নয়, বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপরও নিপীড়ন শুরু হয় এবং এর প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় যখন পাকিস্তানের জনক [[মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ]] ঢাকায় এসে ঘোষণা দেন "উর্দু এবং কেবলমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা"। সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীরা এই ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্যে এই আন্দোলন তীব্রতম রূপ ধারণ করে। এদিন পুলিশের গুলিতে মারা যান সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ আরো অনেকে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীকে শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে হয়। আজ পৃথিবীব্যাপী ২১শে ফেব্রুয়ারি [[আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস]] হিসেবে পালিত হয়।
 
*আঞ্চলিক বিনিয়োগ বৈষম্য : ১৯৫০ এর দশকের পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মোট বিনিয়োগের ২১% থেকে ২৬% । ১৯৬০ এর দশকে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩২% থেকে ৩৬% । অন্যদিকে , রাজস্ব ও উন্নয়ন খাত মিলে পশ্চিম পাকিস্তানে বিনিয়োগ করা হয় প্রথম দশকে ৭৪%থেকে ৭৯% এবংং দ্বিতীয় দশকে ৬৪%থেকে ৬৮% ।
=== সামরিক বৈষম্য ===
 
*মাথাপিছু গড় আয়ে বৈষম্য : দেশের দুই অংশের জনগণের মাথাপিছুুু গড় আয়়ে সুস্পষ্টট পার্থক্য বিদ্যমান ছিল । ১৯৬৪-৬৫ অর্থবছরের পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মাথাপিছু গড় আয় ছিল ২৮১ টাকা । অন্যদিকে , পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের মাথাপিছু গড়় আয় ছিল ৪১২ 💰।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে [[বাঙালি জাতি|বাঙালিরা]] অবহেলিত ছিল। পাকিস্তানি সশস্ত্রবাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ ছিলেন বাঙালি এবং এঁদের মধ্যে অধিকাংশই প্রযুক্তিগত বা ব্যবস্থাপনার পদে ছিলেন। খুব অল্প সংখ্যক বাঙালি অফিসার আদেশদানকারী পদ লাভের সুযোগ পেতেন। পশ্চিম পাকিস্তানিরা বিশ্বাস করত বাঙালিরা পশতুন বা পাঞ্জাবিদের মত "সাহসী" নয়। পাকিস্তানের বাজেটের একটি বিশাল অংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ থাকলেও পূর্ব পাকিস্তান এর সুফল সামান্যই পেত। ১৯৬৫ সালে কাশ্মীর নিয়ে [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫|ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ]] পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি আরো বাড়িয়ে দেয়।
 
*শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য : পূর্ব পাকিস্তানের ১৯৪৯-৫০ সালে শিল্পক্ষেত্রে উপাদানের হার ছিল মোট উপাদানের ৯.৪% এবং ১৯৬৯-৭০ সালে তা উন্নীত হয় ২০% এ । কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্পায়িত খাত ১৯৪৯-৫০ সালে ১৪.৭% থাকলেও সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশে ।
 
*সম্পদ পাচার :পূর্ব পাকিস্তান থেকে নগদ ও পণ্য প্রচুর সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানের স্থানান্তরিত হয় । অর্থনীতির ভাষায়় একে সম্পদ পাচার বলে । এক হিসাবে দেখা যায় , প্রতিবছর প্রায় ৩,০০০ মিলিয়ন রুপি বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হয় ।
 
*আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শোষণ : পাকিস্তানের বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে ছিল । অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য পশ্চিম পাকিস্তানের কেন্দ্রীভূত দপ্তর থেকে পরিচালিত হতো । ফলের বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা সর্বদা পশ্চিম পাকিস্তানের দখলে ছিল ।
 
'''ঘ) পাকিস্তানিদের রাজনৈতিক বৈষম্য ও অসমতা :'''
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের যাত্রা শুরুর পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলা ভীষণ রকমের রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হতে থাকে । রাষ্ট্রভাষা কে কেন্দ্র করে সর্বপ্রথম যে রাজনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টির প্রয়াস নেওয়া হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল বানচাল ও ক্ষমতা হস্তান্তরের অনীহার মধ্য দিয়ে তা একটি রাজনৈতিক সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ।
 
=== রাজনৈতিক অসমতা ===
জনসংখ্যার দিক দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তর অংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তান কুক্ষিগত করে রাখে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্ষমতার বণ্টন পূর্ব পাকিস্তানের অনুকূল হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তান '''এক ইউনিট তত্ত্ব''' নামে এক অভিনব ধারণার সূত্রপাত করে, যেখানে সমগ্র পশ্চিম পাকিস্তান একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের ভোটের ভারসাম্য আনা। মজার ব্যাপার হল বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পাঞ্জাব প্রদেশ প্রস্তাব করে পাকিস্তানে সরাসরি জনসংখ্যার বণ্টনের ভিত্তিতে ভোট অনুষ্ঠিত হোক, কারণ পাঞ্জাবিরা ছিল সিন্ধি, পশতুন, বালুচ বা পাকিস্তানের অন্য যেকোন গোত্রের তুলনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ।
 
১৫৩ ⟶ ১৮২ নং লাইন:
* ২৫শে মার্চে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
 
'''ঙ) শিক্ষাখাতে বৈষম্য''' ''':''' পাকিস্তানের জন্মের আগে পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানের প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল । কিন্তু পাকিস্তানের জন্মের পরের দুই দশকে(১৯৪৭-৬৭) পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায়় পিছিয়ে পড়়ে । কারণ এই সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমেছে , আর পশ্চিম পাকিস্তানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় চার গুণ ! শুধুু যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগত বৈষম্যে ছিল তা নয় ; বরং দুই পাকিস্তানের শিক্ষাখাতে ব্যয় বরাদ্দেও বিপুল বৈষম্য বিদ্যমান ছিল ।
=== ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় ===
 
'''চ) সামরিক বৈষম্যঃ'''
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভোলার ঘূর্ণিঝড় পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে, সেই সাথে জোয়ারের কারণে প্রায় ৩,০০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়। প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও এটিকে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ [[ঘূর্ণিঝড়|হারিকেন]] হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও জরুরি ত্রাণকার্য পরিচালনায় গড়িমসি করে। ঘূর্ণিঝড়ের পরও যারা বেঁচে ছিল তারা মারা যায় খাবার আর পানির অভাবে। ঘূর্ণিঝড়ের এক সপ্তাহ পরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান স্বীকার করেন যে, সরকার দুর্যোগের ভয়াবহতা বুঝতে না পারার কারণেই ত্রাণকার্য সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষগুলোর প্রতি পাকিস্তান সরকারের এমন নিষ্ঠুরতা দেখে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ২৪ নভেম্বর এক সভায় [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী|মাওলানা ভাসানী]] পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অদক্ষতার অভিযোগ তোলেন এবং অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা একটি দেশে গৃহযুদ্ধের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
 
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে [[বাঙালি জাতি|বাঙালিরা]] অবহেলিত ছিল। পাকিস্তানি সশস্ত্রবাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ ছিলেন বাঙালি এবং এঁদের মধ্যে অধিকাংশই প্রযুক্তিগত বা ব্যবস্থাপনার পদে ছিলেন। খুব অল্প সংখ্যক বাঙালি অফিসার আদেশদানকারী পদ লাভের সুযোগ পেতেন। পশ্চিম পাকিস্তানিরা বিশ্বাস করত বাঙালিরা পশতুন বা পাঞ্জাবিদের মত "সাহসী" নয়। পাকিস্তানের বাজেটের একটি বিশাল অংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ থাকলেও পূর্ব পাকিস্তান এর সুফল সামান্যই পেত। ১৯৬৫ সালে কাশ্মীর নিয়ে [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫|ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ]] পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি আরো বাড়িয়ে দেয়।
 
== বাংলাদেশের অভ্যুদয় ==