বাংলার শাসকগণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Farhan Tanvir Apurva (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Farhan Tanvir Apurva (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৫ নং লাইন:
}}
নিচে প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত বৃহত্তর বাংলা বা বঙ্গ অঞ্চলের শাসকগণের একটি তালিকা দেয়া হল। ঐতিহাসিক দলিলপত্র থেকে স্পষ্ট যে বাংলা মূলত অঙ্গদের অধীনে ছিল। পরবর্তীতে এর অধিকাংশ এলাকা মগধ সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। মগধ সাম্রাজ্যের পতনের পর বাংলা কিছুকাল নৈরাজ্যে পতিত হয়, অতঃপর হর্ষবর্ধনের ঘোরশত্রু শশাঙ্ক এখানে রাজত্ব করেন। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর অঞ্চলটিতে আবারও নৈরাজ্য বিরাজ করে এবং প্রায় এক শতক ধরে স্থানীয় গোত্রে গোত্রে ও রাজায় রাজায় লড়াই চলতে থাকে। রাজা গোপাল ও পালরাজবংশের পত্তনের মধ্য দিয়ে এই নৈরাজ্যের অবসান ঘটে এবং বাংলা এক ঐতিহাসিক স্বর্ণযুগে প্রবেশ করে। পালদের পতনের পর সেন রাজবংশের উত্থান ঘটে। সেন রাজবংশীয় চতুর্থ রাজা ছিলেন [[লক্ষন সেন।]] তার জীবনের শেষ দিকে দিল্লী সালতানাতের দুর্দান্ত সেনাপতি [[ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী]] লক্ষনাবতী রাজ্যের রাজধানী গৌড়ে সতেরজন মুসলিম সিপাহী নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ সিপাহীদের পেছনে রেখে নিজেই একাকী রাজপ্রাসাদে হামলা করেন। হামলার আকস্মিকতায় রাজকীয় শান্ত্রীরা হকচকিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় বৃদ্ধ রাজা লক্ষন সেন স্ত্রী তন্দ্রাদেবীকে নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে বসেছিলেন। হামলার আওয়াজে তিনি পরিস্তিতি বুঝতে পেরে মুখের খাবার ফেলে রেখে রাজপ্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে নিজ স্ত্রীকে নিয়ে পলায়ন করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিক্রমপুরে রাজত্ব করেন। ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী [[লক্ষনাবতী রাজ্য]] বিজয় করেন এবং বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেন। সতরশত শতকে মোঘল সুলতানদের শাসন সমাপ্তির মধ্য দিয়ে ভারতে গৌরবময় মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে এবং একই সাথে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন শাষক [[নবাব সিরাজদ্দৌলা]]'র সাথে ইংরেজদের যুদ্ধে পলাশি প্রান্তরে [[মীরজাফরের]] বিশ্বাস ঘাতকতার মধ্য দিয়ে অতঃপর [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] বাংলাকে পদানত করতে সক্ষম হয় এবং দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ রাজ পুনরায় বাংলাকে বিভাজন করে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ ও পশ্চিম বঙ্গ সৃষ্টি করলে তা [[বঙ্গভঙ্গ]] নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। কিন্তু হিন্দু নেতাদের সহিংস আন্দোলনের চাপে পুর্ববঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতিতে [[ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়া]] বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।পরবর্তীতে মুসলিম লীগ ও ভারতীয় কংগ্রেস এর যৌথ প্রচন্ড আন্দোলনে বৃটিশ রাজ ভারতকে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হয়। তবে হিন্দু মুসলিম দুই জাতি তথা দ্বিজাতী তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগ করে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করা হয়। এই বিভাজনে পাকিস্তানের দুটি অংশের মধ্যে মুসলিম জনাধিক্যের বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানে পরিনত করা হয় এবং বাংলার হিন্দু জনাধিক্য অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাথে সংযুক্ত করা হয়। পাকিস্তানের পান্জ
ঞ্জাবী প্রশাসন পরবর্তী চব্বিশ বছর পূর্ব পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক ভাবে বঞ্চনার শিকার করে রাখলে বাঙালী অবিসংবাদী নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালীরা স্বাধিকার আন্দোলন শুরু করলে পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা অন্দোলনে পর্যবসিত হয়। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব-পাকিস্তান পাকিস্তান থেকে বিযুক্ত হয়ে বাংলাদেশ হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে। সতরশতসতেরশত শতকে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার যে স্বাধিনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ১৯৭১ তার পুনঃ উদয় হয়। সেই বাংলাদেশ এখন স্বগর্বে অর্থনৈতিক ভাবে সম্মুখে অগ্রসরমান।
 
== প্রাচীন রাজবংশ ==