সূর্য সেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
ট্যাগ: তথ্য অপসারণ মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
37.111.227.165-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Salim Khandoker-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৬০ নং লাইন:
পরিকল্পনা অনুসারে কাজের জন্য কয়েকটা দল গঠন করা হয়। সূর্য সেনের দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৫ জন, অম্বিকা চক্রবর্তীর ১৫ জন, [[অনন্ত সিং]] এবং গণেশ ঘোষের ২২ জন, নির্মল সেনের ৬ জন। এই দলগুলোর মধ্যে আবার উপদল ছিল।<ref>DO AND DIE: The Chittagong Uprising: 1930-34, Manini Chatterjee, Page 73, 1999, Penguin Books, India</ref> ইতোমধ্যেই চলছিলো অস্ত্র সংগ্রহ এবং বোমা তৈরির কাজ।
 
=== চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন ও জালালাবাদ যুদ্ধ ===
{{মূল নিবন্ধ|চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন}}
১৮ এপ্রিল ১৯৩০, শুক্রবার রাত ৮টা বিদ্রোহের দিন হিসাবে ঠিক হয়। পরে তা দশটা করা হয়।<ref name='সূর্য সেনের সোনালি স্বপ্ন৯৯'>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ১ = পাল | প্রথমাংশ১ = রুপময় | শিরোনাম = সূর্য সেনের সোনালি স্বপ্ন | প্রকাশক = দীপায়ন | বছর = ১৯৮৬ | অবস্থান = কলকাতা | পাতাসমূহ = ৯৯ | সংগ্রহের-তারিখ = 2010-09-26}}</ref> চারটা বাড়ি হতে চারটা দল আক্রমণের জন্য বের হয়। সে রাতেই ধুম রেলস্টেশনে একটা মালবহনকারী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়। একদল বিপ্লবী আগে থেকেই রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে নেয়। এর ফলে চট্টগ্রাম সমগ্র বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।<ref>DO AND DIE: The Chittagong Uprising: 1930-34, Manini Chatterjee, Page 84, 1999, Penguin Books, India</ref> অন্য একটি দল চট্টগ্রামের নন্দনকাননে টেলিফোন এবং টেলিগ্রাফ অফিস আক্রমণ করে। হাতুড়ি দিয়ে তারা সব যন্ত্রপাতি ভেঙ্গে দেয় এবং পেট্রোল ঢেলে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়।<ref name="স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম৯৬">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম | লেখক=পূর্ণেন্দু দস্তিদার | বছর=২০০৯ | প্রকাশক=অনুপম প্রকাশনী | অবস্থান=ঢাকা | পাতাসমূহ=৯৬}}</ref> আরেকটি দল পাহাড়তলীতে অবস্থিত চট্টগ্রাম রেলওয়ে অস্ত্রাগার দখল করে নেয়। উন্নতমানের রিভলবার ও রাইফেল গাড়ীতে নিয়ে অস্ত্রাগারটি পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানো হয়। তবে সেখানে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি।<ref>DO AND DIE: The Chittagong Uprising: 1930-34, Manini Chatterjee, Page 94, 1999, Penguin Books, India</ref> সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী বিপ্লবীরা দামপাড়ায় পুলিশ রিজার্ভ ব্যারাক দখল করে নেয়। এই আক্রমণে অংশ নেয়া বিপ্পবীরা দামপাড়া পুলিশ লাইনে সমবেত হয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। মিলিটারি কায়দায় কুচকাওয়াজ করে সূর্য সেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।<ref>শতবর্ষের সন্ত বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী, অলকা নন্দিতা, পৃ ৩৪, ২০১০, বাতিঘর, চট্টগ্রাম</ref> সূর্য সেন অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।<ref name="স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম১০৫">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম | লেখক=পূর্ণেন্দু দস্তিদার | বছর=২০০৯ | প্রকাশক=অনুপম প্রকাশনী | অবস্থান=ঢাকা | পাতাসমূহ=১০৫}}</ref> তিনি তার ঘোষণায় বলেন: <blockquote><div style="padding-center:2em;font-size:1em">"'''The great task of revolution in India has fallen on the Indian Republican Army. We in Chittagong have the honour to achieve this patriotic task of revolution for fulfilling the aspiration and urge of our nation. It is a matter of great glory that today our forces have seized the strongholds of Government in Chittagong…The oppressive foreign Government has closed to exist. The National Flag is flying high. It is our duty to defend it with our life and blood'''".<ref>THE CHITTAGONG REVOLT 1930-34, Dr. Suniti Bhushan Qanungo, Appendix IV, 1994, Kanungopara, Chittagong</ref> </blockquote> চট্টগ্রাম সম্পূর্ণরুপে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত ছিল চারদিন। কিন্তু এরমধ্যে বিপ্লবীদের খাদ্যসংকট দেখা দিল এবং সূর্য সেন সহ অন্যদের কচি আম, তেঁতুল পাতা, কাচা তরমুজ এবং তরমুজের খোসা খেয়ে কাটাতে হয়।<ref name="স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম১১০">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম | লেখক=পূর্ণেন্দু দস্তিদার | বছর=২০০৯ | প্রকাশক=অনুপম প্রকাশনী | অবস্থান=ঢাকা | পাতাসমূহ=১১০}}</ref> সূর্য সেন সহ ছয়জন শীর্ষস্থানীয় বিপ্লবীকে ধরার জন্য ইংরেজ সরকার ৫০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল বিপ্লবীরা যখন জালালাবাদ পাহাড়ে (চট্টগ্রাম সেনানিবাসের পাহাড়) অবস্থান করছিল সে সময় সশস্ত্র ইংরেজ সৈন্যরা তাদের আক্রমণ করে। দুই ঘণ্টার প্রচন্ড যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর ৭০ থেকে ১০০ জন এবং বিপ্লবী বাহিনীর ১২ জন শহীদ হন।<ref name="স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম১২২">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম | লেখক=পূর্ণেন্দু দস্তিদার | বছর=২০০৯ | প্রকাশক=অনুপম প্রকাশনী | অবস্থান=ঢাকা | পাতাসমূহ=১২২}}</ref> এঁরা হচ্ছেন, [[নরেশ রায়]], [[ত্রিপুরা সেনগুপ্ত]], [[বিধুভূষণ ভট্টাচার্য]], [[হরিগোপাল বল]], [[মতিলাল কানুনগো]], [[প্রভাসচন্দ্র বল]], [[শশাঙ্কশেখর দত্ত]], [[নির্মল লালা]], জিতেন দাসগুপ্ত, [[মধুসূদন দত্ত (বিপ্লবী)|মধুসূদন দত্ত]], [[পুলিনচন্দ্র ঘোষ]], এবং [[অর্ধেন্দু দস্তিদার]]।<ref>ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, ''জেলে ত্রিশ বছর'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪,পৃষ্ঠা ১৯৪-১৯৫।</ref> জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধে অংশ নিয়ে পলায়ন করতে সক্ষম হলেও পরবর্তীকালে পুলিসের আক্রমণে দুজন শহীদ হন, এঁরা হচ্ছেন [[অপূর্ব সেন]] এবং [[জীবন ঘোষাল]]।
 
=== সূর্য সেনকে ধরার ব্যর্থ অভিযান ===