আরামবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MD AZIZUR RAHAMAN (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: থাম্ব == আরামবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি ০...
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৩:৪২, ১৪ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চিত্র:Frontend-page-1584449319-DIT.jpg

আরামবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি ০১/০১/১৯৬৯ ইং সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ০১/০১/১৯৭২ ইং সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এর পর ০১/০১/১৯৭৪ ইং সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে ০১/০৬/১৯৮৪ ইং সালে এম,পি,ও ভুক্ত হয়। বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে বিদ্যালয়টিতে ০৮/১০/২০০২ ইং সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভোকেশনাল শাখার স্বীকৃতি পায়। বিদ্যালয়টির মোট ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৪৫৫ জন এর মধ্যে ১১০ জন ৬ষ্ট শ্রেনীতে, ১০০ জন ৭ম শ্রেনীতে, ৮০ জন ৮ম শ্রেনীতে, ৮০ জন ৯ম শ্রেনীতে, ৮০ জন ১০ম শ্রেনীতে এবং ভোকেশনাল শাখায় ৯৮ জন ৯ম শ্রেনীতে, ৩৫ জন ১০ম শ্রেনীতে। বিদ্যালয়টিতে কম্পিউটার  সহ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম রয়েছে যেখানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেকক্টরের মাধ্যমে পাঠ দান করা হয়। বিদ্যালয়টি বর্তমানে মোট ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা পরিচালিত। [১]অধ্যক্ষর বাণী

সুশিক্ষিত সাস্কৃতিক মানসিকতার দক্ষ বিবেকবান আলোকিত মানুষ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ০১/০১/১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আরামবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১.৭২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়টি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী  উপজেলাধীন ১ নং সাঁড়াই উনিয়নের আরামবাড়ীয়া গ্রামে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষা কার্যক্রম অনুমোদিত। অতঃপর ২০০২ খ্রিঃ বিদ্যালয় থেকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার অভিলাষে কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন স্বাপেক্ষে ভোকেশনাল শাখা চালু করা হয়েছে এবং এতে তিনটি ট্রেডেছাত্র-ছাত্রী পড়া লেখা করে কৃতিত্ব অর্জন স্বাপেক্ষে  দক্ষতার সাথে জীবিকা নির্বাহ করছে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে পদ্মা নদী বিদ্যালয়টি হতে ৪ (চার) কিলোমিটার দুরে অবস্থিত ছিল। দীর্ঘকাল পদ্মা নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে ২০১২ খ্রীঃ বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে বহু ক্ষয় ক্ষতিসাধন করে। অতঃপর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃর্ক নদীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ২২৬.০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭.৫৮৫ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয় ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে যার ফলে ঐতিহ্যবাহী আরামবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ এলাকাবাসী সুরক্ষিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি পদ্মা নদীর তীরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মণ্ডিত হয়ে মাথা উঁচু করে শোভা বর্ধন করছে। বিদ্যালয় হতে প্রতিবছর উভয় শাখা থেকে এস.এস. সি পরীক্ষায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করছে। বিদ্যালয়টি অত্র এলাকাবাসীর সুশিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতায় সুদক্ষ ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচিত করে জাতির জনকের সুযোগ্যতনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ২০২১ ও ২০৪১ খ্রীঃ ভিশন অর্জনে সহযোগিতা প্রদান করে আসছেন। নদী ভাঙনেরমত ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে শিক্ষক কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে নিরলস ভাবে পাঠদান কার্যক্রম সহ যাবতীয় কার্যক্রম সুচারু রুপে পরিচালনা করায় বিদ্যালয়টি আদর্শ বিদ্যাপিঠ হিসেবে সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছে। এ জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।[১]

  1. "ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরি ও কৃষি কলেজ"www.islamiacademy.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪