হেমন্ত মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪১ নং লাইন:
 
==কর্মজীবনে সাফল্য==
১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দশকের মাঝামাঝি হেমন্ত একজন গায়ক ও সুরকার হিসেবে তাঁর অবস্থান মজবুত করেছিলেন। বাংলায় তিনি [[রবীন্দ্র সংগীত|রবীন্দ্র সংগীতের]] একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পী ছিলেন এবং সম্ভবত পুরুষ গায়কদের মধ্যে খুবই অগ্রগণ্য বিবেচ্য ছিলেন। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের মার্চে কলকাতায় দেবব্রত বিশ্বাসের (১৯১১-১৯৮০) সম্মানে হেমন্ত এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন; ওই অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস নিঃসংকোচে বলেছিলেন যে, হেমন্ত হচ্ছে রবীন্দ্র সংগীতকে জনপ্রিয় করে তোলার 'দ্বিতীয় নায়ক', প্রথম জন হলেন কিংবদন্তি পঙ্কজ কুমার মল্লিক। রবীন্দ্রসঙ্গীত আর রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে হেমন্তকুমার তাঁর আত্মকথা "আনন্দধারা" এক জায়গায় লিখেছেন-
{{ উক্তি |" সারা পৃথিবীর গানের সুরকে আয়ত্ত করে নতুন সুর সৃষ্টি করলেন রবীন্দ্রনাথ । সেই সুরের আলপনাকে বাংলা গানে ছিটিয়ে দিলেন । হয়ে গেল এক অপূর্ব সৃষ্টি । সর্বযুগের, সর্বকালের সৃষ্টি । এতবড়ো সুরকার আজও জন্মায়নি কোন দেশে। এই বুড়ো পৃথিবীকে ইচ্ছে হয় জিজ্ঞাসা করি, বয়েস অনেক হল। রবীন্দ্রনাথের মতো এমন সর্বতোমুখী প্রতিভা আর দেখেছে একটা ।}}<ref name = "আনন্দধারা">হেমন্ত মুখোপাধ্যায়,অভীক চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত,সপ্তর্ষি প্রকাশন,কলকাতা{{আইএসবিএন |978-938270-654-0}}</ref> মুম্বইতে নেপথ্য গায়নের পাশাপাশি হেমন্ত সুর সৃষ্টিকারীর একটা ঘরানা গড়ে তুলেছিলেন। তিনি ''[[নাগিন (১৯৫৪ চলচ্চিত্র)|নাগিন]]'' (১৯৫৪) নাম এক হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্যে সুর সৃষ্টি করেছিলেন, যেটা ওই চলচ্চিত্রে সংগীতের জন্যেই বড়ো সাফল্য এসেছিল। নাগিনের গানগুলো ধারাবাহিকভাবে দু-বছর তালিকা-শীর্ষে অবস্থান করেছিল এবং ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে হেমন্তর মর্যাদাপূর্ণ [[ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সংগীত নির্দেশনা পুরস্কার]] লাভে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে দিয়েছিল। ঠিক ওই বছরই তিনি বাংলা চলচ্চিত্র ''[[শাপমোচন|শাপমোচনের]]'' জন্যে সংগীত প্রস্তুত করেন, যেখানে অভিনেতা [[উত্তম কুমার|উত্তম কুমারের]] জন্যে নেপথ্য কণ্ঠে চারখানা গানও গেয়েছিলেন। এটা নেপথ্য গায়ক-নায়ক হিসেবে হেমন্ত-উত্তম জুটির এক লম্বা মেলবন্ধনের শুরুয়াত ছিল। তাঁরা দুজনে পরবর্তী দশক জুড়ে [[পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র|বাংলা চলচ্চিত্র]] জগতে ভীষণ জনপ্রিয় গায়ক-নায়ক জুটি ছিলেন।<br>
 
১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শেষ দিকে হেমন্ত অসংখ্য বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্যে গান গেয়েছিলেন এবং সুর দিয়েছিলেন, অসংখ্য রবীন্দ্র সংগীত এবং চলচ্চিত্রের বাইরের গান রেকর্ড করেছিলেন। যার মধ্যে প্রায় সবই, বিশেষ করে বাংলা গান অত্যধিক জনপ্রিয় হয়েছিল। ওই সময়কালকে তাঁর কর্মজীবনে সাফল্যের শীর্ষবিন্দু হিসেবে ভাবা হয় এবং যেটা মোটামুটি এক দশক স্থায়ী ছিল। তিনি [[নচিকেতা ঘোষ]], [[রবিন চ্যাটার্জী]], [[সলিল চৌধুরী]] প্রমুখ বাংলার বিশিষ্ট সংগীত নির্দেশকের সুরে গান গেয়েছেন। বেশ কিছু নামকরা চলচ্চিত্রে হেমন্ত সুর সৃষ্টি করেছেন; তার মধ্যে আছে: বাংলায় ''[[হারানো সুর]]'', ''[[মরুতীর্থ হিংলাজ]]'', ''[[নীল আকাশের নীচে]]'', ''[[লুকোচুরি]]'', ''স্বরলিপি'', ''[[দীপ জ্বেলে যাই]]'', ''[[শেষ পর্যন্ত]]'', ''কুহক'', ''দুই ভাই'', ''[[সপ্তপদী (১৯৬১ চলচ্চিত্র)|সপ্তপদী]]'' এবং হিন্দিতে ''[[জাগৃতি]]'', ''[[এক হি রাস্তা (১৯৫৬ চলচ্চিত্র)|এক হি রাস্তা]]''।