ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RUBEL SHAIKH (আলোচনা | অবদান) সংশোধন |
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
||
১২ নং লাইন:
কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক কুলদা রায় বলেন তিন ধরনের লোকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন।<ref name="রায় ২০১১">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=কুলদা |প্রথমাংশ1=রায় |শিরোনাম=ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা ও রবীন্দ্রনাথ {{!}} মতামত |ইউআরএল=https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/4252 |ওয়েবসাইট=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |সংগ্রহের-তারিখ=১২ মে ২০২০ |তারিখ=৯ ডিসেম্বর ২০১১}}</ref> প্রথম শ্রেণি হল পশ্চিমবঙ্গের একদল মুসলমান, যারা মনে করেছিল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের কোন লাভ নেই, বরং এতে পূর্ব বঙ্গের মুসলমানরাই সুবিধা ভোগ করবে। দ্বিতীয় শ্রেণি হল পশ্চিমবঙ্গের সেই সকল মুসলমান, যারা পূর্ব বঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব আরোপ করেন। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে মুসলমানদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বাজেটের পরিমাণ কমে যাবে এবং অর্থের অভাবে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তৃতীয় শ্রেণি ছিল পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়, যারা মনে করেছিল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]]ের বরাদ্দকৃত বাজেট কমে যাবে।<ref name="রায় ২০১১"/><ref name="পারভীন ২০১৮"/>
[[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] বিরোধিতা সম্পর্কে সৈয়দ আবুল মকসুদ তাঁর 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা' বই এ লিখেছেন "শ্রেণীস্বার্থে রবীন্দ্রনাথও ছিলেন [[লর্ড কার্জন|কার্জনের]] ওপর অতি ক্ষুব্ধ। কার্জনের উচ্চশিক্ষাসংক্রান্ত মন্তব্যের তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কলকাতার হিন্দু সমাজে। তাতে রবীন্দ্রনাথও অংশগ্রহণ করেন। তিনি যে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন,তাতে কিছু ছিল যুক্তি, বেশির ভাগই ছিল আবেগ এবং কিছু ছিল ক্ষোভ"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গবেষক তৌহিদুল হক বলছিলেন " ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যে তিন শ্রেণীর মানুষ বিরোধিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে আমরা রবীন্দ্রনাথকে তৃতীয় কাতারে রাখতে চাই। কারণ তারা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উচ্চবর্ণের কিছু হিন্দু সমাজ। তাঁদের সাথে বিশেষ করে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় আর রাজনীতিক সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর সাথে রবীন্দ্রনাথের একাধিকবার বৈঠক,আলোচনা হয়েছে শিলাইদহ যাওয়ার আগেও।এ থেকে আমরা অনুধাবন করতে চাই সেখানে পূর্ববঙ্গের সার্বিক উন্নতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। তবে এরও কোন স্পষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই"। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-44609891 |শিরোনাম=ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করেছিলেন যারা |লেখক=ফারহানা পারভীন |তারিখ=১ জুলাই ২০১৮ |ওয়েবসাইট= বিবিসি বাংলা | সংগ্রহের-তারিখ= ১৪ জুন ২০২০}}</ref>
যাই হোক, [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠার সময় পূর্ব বঙ্গের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও শিক্ষাবিদ নানাপ্রকার প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ঢাকার নবাব [[খাজা সলিমুল্লাহ|নবাব স্যার সলিমুল্লাহ]]। কিন্তু, হঠাৎ করে ১৯১৫ সালে নবাব সলিমুল্লাহের মৃত্যু ঘটলে [[সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী|নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী]] এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অন্যান্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন [[আবুল কাশেম ফজলুল হক]]। পূর্ব বঙ্গের হিন্দুরাও এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সমর্থন দেন, তন্মধ্যে অন্যতম ছিলেন ঢাকার বালিয়াটির জমিদার। তার পিতা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে [[জগন্নাথ হল]]ের নামকরণ করা হয়।<ref name="রায় ২০১১"/><ref name="পারভীন ২০১৮"/>
|