সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৩০ নং লাইন:
'''গান্ধীদর্শন'''- বেঙ্গল কেমিক্যালে সতীশচন্দ্রের ব্যস্ততার মাঝে তখন একদিকে নতুন নতুন উদ্ভাবনা তথা সন্ধানের চিন্তা আর অন্যদিকে অন্তহীন জিজ্ঞাসা - দরিদ্র দেশবাসীর সমস্যার সমাধান কিভাবে? অশান্ত মনের এমন মানসিক অবস্থায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কোকনদ অধিবেশনের শিল্পপ্রদর্শনীতে যোগ দিতে গিয়ে প্রথম গান্ধী দর্শন হল তাঁর । বেঙ্গল কেমিক্যালে গবেষণা ছেড়ে গান্ধীজির নির্দেশিত স্বরাজের পথে সর্বক্ষণের কর্মী হওয়ার আন্তরিক বাসনা ব্যক্ত করেন। কিন্তু গান্ধীজির উপদেশ মত বেঙ্গল কেমিক্যালে থেকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কাজ চালিয়ে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও তার ফসল গরীব দেশবাসীর পর্ণকুটিরে পৌঁছেছেন দিতে লিপ্ত হলেন। সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করে কর্মীদের দিয়ে চরকায় সুতা কাটানো, তাঁত চালানো ও কাপড় বোনার কাজ শুরু করলেন। আচার্য আর দুই শিষ্য মিলে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালালেন খদ্দরের উপর রং প্রণালী নিয়ে । বিজ্ঞানের গবেষণাগার তখন চরকা ও কুটির শিল্পের গবেষণাগারে ও কর্মশালায় পরিণত হল।
'''খাদি প্রতিষ্ঠান''' - কিন্তু তাতেও তাঁর মনের তৃপ্তি মিলছে না যখন, গান্ধীজির কাজে তিনি সপরিবারে রাতের অন্ধকারে বেঙ্গল কেমিক্যালের বাসভবন ছেড়ে চলে গেলেন সোদপুরে। 'ফায়ারকিং' আবিষ্কারক-বিজ্ঞানীর প্রাপ্য দু'লক্ষ টাকা দিয়ে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তুললেন 'খাদি প্রতিষ্ঠান'। ঘরে ঘরে চরকা পৌঁছে দিতে স্বল্প মূল্যের বাঁশের
'''গবেষক লেখক সতীশচন্দ্র''' - নিজের অধীত বিদ্যায়, জ্ঞানে ও উদ্ভাবনে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন - তাঁর রচিত দু'টি খণ্ডে প্রকাশিত
* 'খাদি ম্যানুয়েল'
৫৯ নং লাইন:
দীর্ঘকাল তিনি 'রাষ্ট্রবাণী' নামে ইংরাজী ও বাংলা ভাষায় দু'টি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা ও প্রকাশনা করেছেন।
'''অহল্যাভৃমি উদ্ধার প্রকল্প''' - কর্মযোগীদের সাধারণত সাধনার শেষ থাকে না। রসায়নবিদ্যায় গবেষণা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে, সুদীর্ঘ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এক বিস্ময়কর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন তিনি । ৮৬ বৎসর বয়সে [[বাঁকুড়া]],[[বীরভূম]], [[ পুরুলিয়া |পুরুলিয়ার]] প্রস্তরখণ্ডময় ঊষর ভূমিকে সুফলা করার লক্ষ্যে বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামে নতুন কর্মক্ষেত্র স্থাপন করলেন। প্রকৃতিকে কাজে লাগাবেন মানুষের কল্যাণে । এখানকার বিস্তীর্ন অঞ্চলের চিরপতিত কাঁকূড়ে জমিতে নব-ভগীরথ ধরণীর সুপ্ত প্রস্রবনে সিক্ত করে উর্বর সুফলা করার এক অবিশ্বাস্য সাধনায় লিপ্ত হলেন, সফলও হলেন। বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামে তৈরি হল তাঁর কৃষি খামার ।
==সম্মাননা==
|