ভূমেন্দ্র গুহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎মৃত্যু: বানান
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৫ নং লাইন:
 
==কাব্যকৃতি==
তাঁর পদ্য লেখার শুরু উত্তর কৈশোরে যদিওবাযদিও সঞ্জয় ভট্টাচার্যের “পূর্বাশা” পত্রিকায় ১৯৫২’র মাঝামাঝি একটি কবিতা মুদ্রণের মধ্য দিয়ে তাঁর কবিজীবনের অভিষেক হয়েছিল মনে করতেন কবি ভূমেন্দ্র গুহ। পঞ্চাশ দশকের শুরুতে তাঁর কবিতা লেখার গোড়াপত্তন হলেও প্রথম কবিতা সংকলন “যম” প্রকাশিত হয়েছিল অনেক পরে, ১৯৯৪-এ। এবম্বিধএবংবিধ দীর্ঘ ব্যবধান যে কারো পক্ষে কৌতূহলোদ্দীপক। শ্রেষ্ঠ কবিতা’র কবিতাগুলোর রচনাকাল উল্লেখ করা হয়েছে এই ভাবে: ১৯৫৫-৫৮ খ্রিস্টাব্দ এবং ১৯৯০-২০০৪ খ্রিস্টাব্দ। ২০০৫ পর্যন্ত এই কালপরিধিতেই তিনি কবিতা লেখায় সক্রিয় থেকেছেন এমতরূপএরকম অনুমান করা চলে। অর্থাৎ ১৯৫৯ থেকে ১৯৮৯ এই টানা তিরিশ বছরবছর হয়তো ব্যতিক্রম কিছু ছিল, কেননা দেখা যাচ্ছে শ্রেষ্ঠ কবিতা’য় ষাট দশকের কবিতাও একআধটি আছেআছে। ভূমেন্দ্র গুহ কবিতার টেবিল থেকে নিজেকে দূরস্থদূরে রেখেছিলেন। তাঁর জীবিকাজীবনের সঙ্গে এ সময়টি মিলিয়ে নেয়া যায়। এই দীর্ঘ বিরতিদীর্ঘবিরতি তাঁর আদি কবি সত্বাকেকবিসত্তাকে অক্ষূণœঅক্ষুণ্ন রেখেছিল কতটুকু সে প্রশ্ন অসঙ্গত হবে না। তবে ইত্যবসরে তিনি একটি কাব্যভাষা খুঁজে পেয়েছিলেন যাকে উত্তর-জীবনানন্দীয় কাব্যভাষা বলে চিহিœতচিহ্নিত করা যায়। অন্যদিকে বিষয়বস্তুর নির্বাচনে তিনি উত্তর-জীবনানন্দীয় কবিদের মতই নিবিড় আত্মজৈবনিকতার মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন স্বস্তিময় আরাধনা:
“ভেবে দেখেছি কী হতে চেয়েছিলুম, কী হতে পারতুম, কী হতে পারতুম না,
অর্থাৎ আকাক্সক্ষাআকাঙ্ক্ষা, আকাক্সক্ষাতেইআকাঙ্ক্ষাতেই বানিয়ে নিচ্ছিলুম নিজেকে, নৌকার দাঁড়ে
অভিভাবিকা ছিল--তার শীতল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নামে-নামে যে-সব ডাকনাম--
পুড়ে-যাওয়া মরুভূমিটি বুদ্বুদে-বুদ্বুদে ষোলো-আনা গর্ভবতী হবে;
তখনও সে থাকবে সেখানে সেই জলের মতন যে অপরাধী পাপী কিন্তু অচ্ছোদ।”
যারা জীবনান্দের খোঁজখবর রাখেন তাঁরা জানেন, ’৯০এর দশক থেকে শুরু ক’রে জীবনানন্দ আর ভূমেন্দ্র গুহ নাম দুটি অবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনতিতরুনঅনতিতরুণ ভূমেন্দ্র্রভূমেন্দ্র গুহ সেই পঞ্চাশের শুরুতেই জীবনানন্দকে খুব বড় কবি বলে মান্য করেছিলেন। হয়তো জীবনানন্দের কাব্যভাষা তাঁকে কিছুটা আকর্ষণও ক’রেকরে থাকবে। তাঁর নিজের কোন কোন কবিতায় সে প্রমাণ তো আছে; কোনটির কাঠামোতে প্রত্যক্ষ ছিল জীবনানন্দ’র প্রগাঢ় ছায়াপাত:
<blockquote>
চোখে যে গড়াবে জল, সে-রকম সাহসিক নই,
সেই চোখ যা এখন বিস্তীর্ণ আকাশ খুঁজে দেখে:
নক্ষত্রেরা আছে কি না মৃতপ্রায় দিকের সন্ধানে;
আরেকটু হেঁটে গেলে ভোর হবে, প্রথম প্রত্যূষাপ্রত্যুষা;
জনৈক মৃতের ছবি দেয়ালে আয়নায় রাখা হবে।
মধ্য রাত পার হলে দুইটি বছর, মানে কাল
দুই দিকে চ’লে যাচ্ছে, যাচ্ছে আমাদের প্রেম যেন;
পিঁপড়ের মতন পায়ে দুঃখ বাসা বাঁধছে হৃদয়ে।
হেঁটে যাচ্ছিঅন্ধকারযাচ্ছি অন্ধকার, অন্ধকার পথের দু’পাশে
যে সব শ্মশান আছে শুভ্রতায় ভুলে যাচ্ছি তা-ও;
এখন বিকেল, আর সামান্য প্রভেদ মেনে নিলে
অন্ধকার মাঝামাঝি দীর্ঘশ্বাসটুকু:
যা গিয়েছে তার থেকে রাত্রিটিকে খুলে নিয়ে এসে
দেখেছি যে, এই মাত্র কব্জির নিকটে রক্ত নাচে;
অবশেষে এইটুকু বিশ্বাস জমাই ইহকালে;
সে-সময় জানো তুমি যদি না অসত্য ব’লে থাকো।</blockquote>
 
পরিণত বয়সে কেমন কবিতা লিখতেন ভূমেন্ত্র গুহ, তা নিচের উদ্ধৃতি থেকে বোঝা যাবে:
<blockquote>“তুমি আমাকে প্রেমের কথা বলবে, আমি কামনা করতে থাকি, এবং গোপন অপরাধে নিঃশেষিত হয়ে যাই। পরিবর্তে তোমার দেবীর মতো দু’টি হাত আমার উদ্বুদ্ধ শরীরটিকে খুঁজে নেয়, আমি দেখি। তুমি তোমার অনাগত একমাত্র সন্তানটির কথা গভীর উদ্বেগের ভিতর উচ্চারণ করো। তার জন্য পূজাবেদীটিরপূজাবেদিটির সর্বাঙ্গে ধান রাখো, ফুল রাখো, বিল্বপত্র রাখো, কদলীখ- রাখো, ততোধিক রাখো প্রচুর নবীন দূর্বাঘাসের আচ্ছাদন, যাতে আমি তোমার তৃণাস্তীর্ণ মৌল বেদীটিকেবেদিটিকে পদ্মপাতার ভঙ্গিমায় ঠিক চিনে নিতে পারি। তুমি আমার জন্য সমুদ্রমন্থনের আনুষঙ্গিক বিষপানের স্মৃতি পুনর্জীবিত ক’রেকরে তোলে।”</blockquote><ref>[http://www.kaliokalam.com/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%BE/ কবি ভূমেন্দ্র গুহ : একটুখানি পরিচিতি]</ref>
 
==প্রকাশনা==