শিক্ষক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
2A03:2880:FF:15:0:0:FACE:B00C-এর সম্পাদিত 4311752 নম্বর সংশোধনটি বাতিল, অবিশ্বকোষীয় লেখা, উইকিপিডিয়া কোনো ব্লগ নয়
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
২ নং লাইন:
শিক্ষাদানের মহান ব্রত যার কাজ তাকেই '''শিক্ষক''' বলা হয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিতদেরই শিক্ষক বলা হয়। তবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার কাজে যারা আছেন তাদেরকে শিক্ষক বলা হয় আর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধ্যাপক বলা হয়ে থাকে।
শিক্ষকদের জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়। কেননা একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারী দের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে। শিক্ষার্থীর মানবতাবোধ কে জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদান কে সার্থকই করে তোলেন না, পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করেন। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন।
 
== শিক্ষকের মর্যাদা ও কর্তব্য: প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ==
 
আজও সেই ঘটনা মনে পড়ে, বাদশা আলমগীর যখন দেখলেন শাহজাদা উস্তাদের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে কিন্তু নিজ হাতে কেনো পা ধুইয়ে দিচ্ছেনা তখন তিনি মনে কষ্ট পেলেন। তিনি উষ্টাদকে সভায় ডাকলেন। উস্তাদ মনে করেছে গত কাল শাহজাদাকে দিয়ে কষ্ট করাইছে এই জন্য হয়তো বাদশা শাস্তি দিবেন। উস্তাদ ভয় পেয়ে গেলেন কিন্তু বাদশা যখন বললেন, "আমার সন্তানকে কি বেয়াদব হতে আপনার কাছে দিয়েছি, ছেলে কেন নিজ হাত দিয়ে আপনার পা পরিষ্কার করে দেয়নি?" তখন শিক্ষক উচ্চসরে ধ্বনিত করলেন:-
 
"আজ থেকে চির উন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির;
সত্যি তুমি মহান উদার বাদশা আলমগীর।"
 
কিন্তু আজ আমরা বিভিন্ন লোমহর্ষক ঘটনা দেখতে পাই, কিছুদিন আগে দেখলাম বি এম কলেজের অধক্ষকে রামদা নিয়ে দৌড়ায় সোনার ছাত্ররা। অমুক শিক্ষকের কুপিয়ে হত্যা। এরকম আরো কত কি। এত সাহস কোথায় পেল? কে দিয়েছে এত সাহস? তারা কি জানে না যে শিক্ষক হলো জাতি গড়ার নিপুণ কারিগর। যে মূল তাকে যদি মূল্যায়ন না করি তাইলে উৎপাদন কখনো ভালো হবে না।
 
পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে অন্য সকল পেশার জননী বলা হয়। দল-মত, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে একজন শিক্ষক সমাজের সকল মানুষের কাছে অত্যন্ত মর্যাদা ও সম্মানের পাত্র। কিন্তু আজ দুঃখের বিষয় কিছু শিক্ষক বেশী আলোচিত হচ্ছেন তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য। শিক্ষক সমাজ আজ "প্রাইভেট" "কোচিং" ব্যবসাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। প্রাইভেট না পড়লে তারা "ন্যায্য" "মার্ক" "পায়না"। ক্লাসে সবার সামনে অপমান করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেণীর শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীরা যৌণ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। "অযোগ্য" "ব্যক্তিরা" "রাজনৈতিক" "পরিচয়ে" স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাচ্ছেন। সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও আলোকিত ব্যক্তিরা শিক্ষক হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছেন না। খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় অপকর্ম অবস্থায় বা পরীক্ষায় নকল সহায়তা করার সময় গ্রেপ্তার অমুক শিক্ষক। যাঁরা জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার কথা, সেই শিক্ষকেরা যদি এই রকম নিকৃষ্ট কাজের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে এর চেয়ে হতাশাব্যঞ্জক আর কী হতে পারে ?
 
শিক্ষার্থী অন্যায় করবে এটাই স্বাভাবিক। শিক্ষার্থী যদি সব পারতো তাহলে সে আর শিক্ষকের কাছে আসতো না পড়তে। আর শিক্ষক তার শাসন করবে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু তার একটা ধারা আছে। "সাপও মরবে না লাঠিও ভাঙবে না" এমন ভাবে শাসন করতে হবে। শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ইমাম গাজালি বলেন –
 
الوظيفة الرابعة وهي من دقائق صناعة التعليم أن يزجر المتعلم عن سوء الأخلاق بطريق التعريض ما أمكن ولا يصرح وبطريق الرحمة لا بطريق التوبيخ فإن التصريح يهتك حجاب الهيئة ويورث الجرأة على الهجوم بالخلاف ويهيج الحرص على الإصرار
[إحياء علوم الدين 1/ 57]
 
অর্থাৎ, “শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে উত্তম ও সঠিক পন্থা হলো, শিক্ষার্থীকে খারাপ চরিত্র ও অন্যায় কাজ থেকে দূরে রাখতে চাইলে, শিক্ষক তা ইঙ্গিত ও ইশারার মাধ্যমে বলবে, কিন্তু সরাসরি নিষেধ করবে না। শিক্ষক দয়াপরবশ হয়ে সংশোধনের চেষ্টা করবে, কিন্তু কঠোরতার রাস্তা গ্রহণ করা যাবে না। কারণ, স্পষ্ট ভাষা ভয়ভীতির পর্দা সরিয়ে দেয়, এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধাচরণ করার সাহস যোগায়।”
 
পরিশেষে আমরা সকল শিক্ষককে সন্মান করবো হোক তিনি প্রাইমারি এর শিক্ষক। হযরত আলী রা. বলেন, "যার থেকে একটি অক্ষর শিখেছি আমি তার কেনা গোলাম।" শিক্ষকের সাথে কখনো খারাপ ব্যাবহার করবো না। তাইলে আমরা কখনো সফল হতে পারবো না।
 
[[আবদুল্লাহ আল মারুফ]]
 
[[ছাত্র]]
 
[[চর মাদ্রাজ ফাজিল মাদরাসা]]
 
== তথ্যসূত্র ==