ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Imran Shorif Shuvo (আলোচনা | অবদান)
অতিরিক্ত ফাঁকা স্থান অপসারণ করা হয়েছে
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Imran Shorif Shuvo (আলোচনা | অবদান)
বিবিধ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৫৪ নং লাইন:
==বিজ্ঞান অনুষদ==
[[চিত্র:Curzon Hall Main Building.A.M.R.jpg|right|thumb|কার্জন হল - মূল ভবন]]
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিজ্ঞান অনুষদ এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত এই তিনটি বিভাগ নিয়ে এই অনুষদ যাত্রা শুরু করে। বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে কয়েকটি কেন্দ্র আছে। এগুলো হলঃ বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ, সেমি কন্ডাক্টরসেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার, রিনিউয়েবল এনার্জি রিসার্চ সেন্টার, ব-দ্বীপ গবেষণা কেন্দ্র, দু্র্যোগ গবেষণা প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র।<ref>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:২১</ref>
 
===পদার্থ বিজ্ঞান===
[[File:Department of Physics , University of Dhaka .jpg|thumb|কার্জনহলের মূল ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ]]
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বারটি বিভাগের একটি হল পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ। প্রায় জন্ম লগ্নেইজন্মলগ্নেই এই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] তরুণ শিক্ষক ও প্রতিভাবান বিজ্ঞানী [[সত্যেন্দ্রনাথ বসু]]। দেশ বিভাগের সময় অধিকাংশ কৃতী শিক্ষক এই বিভাগ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। তারপরও পরবর্তীকালে তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান, [[নিউক্লীয় পদার্থ বিজ্ঞান]], কঠিনাবস্থার পদার্থ বিজ্ঞান, জৈব ও চিকিৎসা পদার্থ বিজ্ঞান, [[সৌর শক্তি|সৌরশক্তি]], [[ভূ-পদার্থ বিজ্ঞান]], [[আবহাওয়াবিজ্ঞান|আবহাওয়া বিজ্ঞান]] ও লেজার পদার্থ বিজ্ঞানে ক্রমে ক্রমে সক্রিয় গবেষকের কর্মকাণ্ডে এই বিভাগ বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান বিভাগে পরিণত হয়েছে এবং এর অবদান ও সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে।<ref name=autogenerated13>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৪৫</ref>
 
===গণিত===
১৯২১ সালে প্রখ্যাত গণিতবিদ অধ্যাপক ভূপতিমোহন সেন ও ডঃ নলিনীমোহন বসুর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে পূর্ব বাংলা সরকারের সচিবালয় ভবনের কক্ষে এবং কিছু কাল কার্জন হলের পশ্চিম দোতালায়দোতলায় গণিত বিভাগ অবস্থিত ছিল। তারপর বর্তমান প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নীচতলার পূর্বদিকের অর্ধাংশে বিভাগটি সাময়িক অবস্থিত ছিল। এরপর একই ভবনের তিন তলার পশ্চিম দিকের অর্ধেক অংশ গণিত বিভাগকে দেওয়া হয়। সর্বশেষ, ১৯৬৫ সালে সায়েন্স অ্যানেক্স ভবনের তিন তলা গণিত বিভাগের জন্য ঠিক করা হয়। ১৯৭৪-৭৫ শিক্ষাবর্ষে এম.ফিল. কোর্স এবং ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদী সমন্বিত সম্মান কোর্স চালু হয়। বর্তমানে এ বিভাগের শিক্ষকের সংখ্যা ৩৬ জন এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫৯৩ জন।<ref name=autogenerated13 /> বর্তমানে এই বিভাগের সকল কর্মকান্ড মুজিবর রহমান গণিত বিভাগে চালু আছে।
 
===রসায়ন===
[[File:Department of chemistry, University of Dhaka .jpg|thumb|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ।]]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ বাংলাদেশের একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বিভাগ। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথেই এই বিভাগের শুরু। সম্মান, স্নাতক, এম.ফিল. ও পি.এইচ.ডি শলসহ বর্তমানে এই বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৪৫০ জন ও শিক্ষক ৫১ জন। এই বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক [[মোকাররম হোসেন খোন্দকার|মোকাররম হোসেন খোন্দকারের]] নামানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ''মোকাররম হোসেন খোন্দকার বিজ্ঞান ভবন'' নির্মিত হয়েছে। বিজ্ঞানী মোকাররম হোসেনের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে [[মার্চ ১২]], ১৯৮১ থেকে বিজ্ঞান ভিত্তিক স্মারক বক্তৃতা চালু হয়, যা আজও অব্যাহত রয়েছে। এই বিভাগে প্রাক্তন ছাত্র কর্তৃক বিভাগের ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য দুইটি অভ্যন্তরীণ বৃত্তি প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হল যথাক্রমে ''ফাতেমা-তামিজউদ্দিন স্কলারশিপ'' এবং ''আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী মেমোরিয়াল আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ''।<ref name=autogenerated16>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা:৪৬</ref>
 
===পরিসংখ্যান===
৭১ নং লাইন:
 
===জৈবরাসায়নিক পদার্থবিদ্যা এবং প্রযুক্তি===
কার্জন হল ভবনের পূর্ব পার্শ্বের নিচতলায় দুইটি এবং দোতলায় একটি কক্ষে মোট ১৫০০ বর্গফুট জায়গায় এ বিভাগের কার্যক্রম চলছে। অধ্যাপক [[খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী]] এর প্রথম চেয়ারপার্সন হিসাবে যোগদানের মধ্যদিয়ে বিভাগটির কার্যক্রম ৩ নভেম্বর ২০০৮ সালে শুরু হয়। নিজস্ব প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান তৃতীয় বিশ্ব তথা সমগ্র বিশ্বের বঞ্চিত সাধারণ জনগণের কাছে সহজলভ্য করে দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এ বিভাগ তার গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিভাগ মূলত: প্রায়োগিক এবং উদ্দেশ্যমূলক গবেষণার উপর জোর দিচ্ছে। বর্তমানে পিএইচডি ও এম ফিল কার্যক্রম চলছে। বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের যে কোন শাখা থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী এ বিভাগে ভর্তি হবার যোগ্য। অবশ্য তা নির্ভর করবে বিভাগের গবেষণার বিষয়বস্তুর অগ্রাধিকার, তত্ত্বাবধায়ক এবং ছাত্রের পারস্পরিক পছন্দের সম্মিলনের উপর।
 
===তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান===