হেমন্ত মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩৫ নং লাইন:
==সাফল্য এবং মুম্বই যাত্রা==
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের দশকে হেমন্ত [[ইন্ডিয়ান পীপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন]] (আইপিটিএ) সংস্থার সক্রিয় সদস্য হয়েছিলেন এবং আর এক আইপিটিএ সদস্য - সংগীত রচয়িতা এবং সংগীতজ্ঞ [[সলিল চৌধুরী|সলিল চৌধুরির]] সঙ্গে অনুষঙ্গ শুরু করেছিলেন। আইপিটিএ সংস্থার অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল [[১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দুর্ভিক্ষ]] এবং এর প্রতিরোধে ব্রিটিশ শাসক ও সম্পদশালী ভারতীয়দের নিষ্ক্রিয়তা।<br>
হেমন্ত ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সলিল চৌধুরির কথায় ও সুরে চলচ্চিত্রের বাইরে একটা গান ''গাঁয়ের বধূ'' রেকর্ড করেন। দু-পিঠের ৭৮ আরপিএম ছ-মিনিটের ওই ডিস্ক রেকর্ডে বাংলার ভিন্ন গতির এক আবেগমথিত প্রচলিত কাঠামোকে নিবদ্ধ করেছিল। এই গান এক উন্নত এবং মমতাময়ী গ্রাম্য নারীর জীবন ও পরিবারকে সরল শান্ত মনোরম করে ফুটিয়ে তুলেছিল এবং কীভাবে দুর্ভিক্ষের দৈত্য ও আসন্ন দারিদ্র্যের দ্বারা বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই গান হেমন্ত এবং সলিলকে পূর্ব ভারতে এক অভাবনীয় জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল, এককথায়, হেমন্তকে তাঁর সমসাময়িক পুরুষ গায়কদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। পরবর্তী কয়েক বছরে হেমন্ত এবং সলিল জুটি অনেক গান উপহার দিয়েছিল। প্রায় এই সমস্ত গানেই জনপ্রিয়তার প্রমাণ ছিল।<ref>[http://faculty.ist.unomaha.edu/pdasgupta/hemanta/articles/salilobi.html Salil Chowdhury's obituary<!-- Bot generated title -->]</ref>
 
হেমন্ত ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সলিল চৌধুরির কথায় ও সুরে চলচ্চিত্রের বাইরে একটা গান ''গাঁয়ের বধূ'' রেকর্ড করেন। দু-পিঠের ৭৮ আরপিএম ছ-মিনিটের ওই ডিস্ক রেকর্ডে বাংলার ভিন্ন গতির এক আবেগমথিত প্রচলিত কাঠামোকে নিবদ্ধ করেছিল। এই গান এক উন্নত এবং মমতাময়ী গ্রাম্য নারীর জীবন ও পরিবারকে সরল শান্ত মনোরম করে ফুটিয়ে তুলেছিল এবং বর্ণিত হয়েছিল কীভাবে দুর্ভিক্ষের দৈত্য ও আসন্ন দারিদ্র্যের দ্বারা বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই গান হেমন্ত এবং সলিলকে পূর্ব ভারতে এক অভাবনীয় জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল, এককথায়, হেমন্তকে তাঁর সমসাময়িক পুরুষ গায়কদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। পরবর্তী কয়েক বছরে হেমন্ত এবং সলিল জুটি সমাজকে অনেক গান উপহার দিয়েছিল। প্রায় এই সমস্ত গানেই জনপ্রিয়তার প্রমাণ ছিল।<ref>[http://faculty.ist.unomaha.edu/pdasgupta/hemanta/articles/salilobi.html Salil Chowdhury's obituary<!-- Bot generated title -->]</ref>
একই সময়কালে হেমন্ত বাংলা চলচ্চিত্রে সুরসৃষ্টির জন্যে বরাত পেতে শুরু করেন। তার মধ্যে কয়েকটা ছিল পরিচালক [[হেমেন গুপ্ত|হেমেন গুপ্তের]] জন্যে। কয়েক বছর পর হেমেন যখন [[মুম্বই]] যান, [[ফিল্মিস্তান]] স্টুডিয়োর ব্যানারে তাঁর পরিচালনায় ''আনন্দমঠ'' নামে প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্রে সুরসৃষ্টির জন্যে হেমন্তকে ডাকেন। ওই ডাকে সড়া দিয়ে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে হেমন্ত মুম্বই পাড়ি দেন এবং ফিল্মিস্তান স্টুডিয়োতে যোগ দেন। ''[[আনন্দ মঠ]]'' (১৯৫২) চলচ্চিত্রের সংগীত মাঝারি সাফল্য পেয়েছিল। সম্ভবত, এই চলচ্চিত্র থেকে খুবই উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে [[লতা মঙ্গেশকর|লতা মঙ্গেশকরের]] গাওয়া ''বন্দে মাতরম'' গানটায় হেমন্ত একটা কুচকাওয়াজের সুরারোপ করেছিলেন। ''আনন্দমঠ''-এর পর ''শর্ত'' চলচ্চিত্রের মতো কয়েকটা ফিল্মিস্তান চলচ্চিত্রে হেমন্ত পরবর্তী কয়েক বছরে সুরসৃষ্টি করেছিলেন, যে গানগুলো মাঝারি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। একই সঙ্গে হেমন্ত মুম্বইতে [[নেপথ্য গায়ক]] হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।<ref>[http://www.screenindia.com/old/fullstory.php?content_id=17266 Hemant Kumar: That velvet touch ]</ref> অভিনেতা [[দেব আনন্দ|দেব আনন্দের]] জন্যে নেপথ্য গায়ক হিসেবে তাঁর গান [[শচীন দেব বর্মন]] সুরারোপিত ''[[জাল (১৯৫২ চলচ্চিত্র)|জাল]]'' ("''য়েহ রাত, য়েহ চাঁদনি ফির কাঁহা...''"), ''হাউস নম্বর ৪৪'' ("''চুপ হ্যায় ধরতি, চুপ হ্যায় চাঁদ সিতারে...''"), ''[[সোলবা সাল]]'' ("''হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা...''"), ''ফান্টুস'' ("''তেরি দুনিয়া মে জীনে সে...''"), এবং ''বাত এক রাত কি'' ("''না তুম হামে জানো...''") খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল এবং এভাবে চলতে থাকে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যান্য কয়েকজন নায়কের জন্যে নেপথ্য গায়কের কাজ করেছিলেন; যেমন, প্রদীপ কুমার (''নাগিন'', ''ডিটেকটিভ''), সুনীল দত্ত (''দুনিয়া ঝুঁকতি হ্যায়'') এবং ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শেষদিকে বিশ্বজিতের জন্যে (''বিস সাল বাদ'', ''বিন বাদল বরসাত'', ''কোহরা'') এবং ধর্মেন্দ্রের জন্যে (''অনুপমা''); তিনি এই সমস্ত চলচ্চিত্রের জন্যে সুরসৃষ্টি করেছিলেন।
 
একই সময়কালে হেমন্ত বাংলা চলচ্চিত্রে সুরসৃষ্টির জন্যে বরাত পেতে শুরু করেন। তার মধ্যে কয়েকটা ছিল পরিচালক [[হেমেন গুপ্ত|হেমেন গুপ্তের]] জন্যে। কয়েক বছর পর হেমেন যখন [[মুম্বই]] যান, [[ফিল্মিস্তান]] স্টুডিয়োর ব্যানারে তাঁর পরিচালনায় ''আনন্দমঠ'' নামে প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্রে সুরসৃষ্টির জন্যে হেমন্তকে ডাকেন। ওই ডাকে সড়া দিয়ে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে হেমন্ত মুম্বই পাড়ি দেন এবং ফিল্মিস্তান স্টুডিয়োতে যোগ দেন। ''[[আনন্দ মঠআনন্দমঠ]]'' (১৯৫২) চলচ্চিত্রের সংগীত মাঝারি সাফল্য পেয়েছিল। সম্ভবত, এই চলচ্চিত্র থেকে খুবই উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে [[লতা মঙ্গেশকর|লতা মঙ্গেশকরের]] গাওয়া ''বন্দে মাতরম'' গানটায় হেমন্ত একটা কুচকাওয়াজের সুরারোপ করেছিলেন। ''আনন্দমঠ''-এর পর ''শর্ত'' চলচ্চিত্রের মতো কয়েকটা ফিল্মিস্তান চলচ্চিত্রে হেমন্ত পরবর্তী কয়েক বছরে সুরসৃষ্টি করেছিলেন, যে গানগুলো মাঝারি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। একই সঙ্গে হেমন্ত মুম্বইতে [[নেপথ্য গায়ক]] হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।<ref>[http://www.screenindia.com/old/fullstory.php?content_id=17266 Hemant Kumar: That velvet touch ]</ref> অভিনেতা [[দেব আনন্দ|দেব আনন্দের]] জন্যে নেপথ্য গায়ক হিসেবে তাঁর গান [[শচীন দেব বর্মন]] সুরারোপিত ''[[জাল (১৯৫২ চলচ্চিত্র)|জাল]]'' ("''য়েহ রাত, য়েহ চাঁদনি ফির কাঁহা...''"), ''হাউস নম্বর ৪৪'' ("''চুপ হ্যায় ধরতি, চুপ হ্যায় চাঁদ সিতারে...''"), ''[[সোলবা সাল]]'' ("''হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা...''"), ''ফান্টুস'' ("''তেরি দুনিয়া মে জীনে সে...''"), এবং ''বাত এক রাত কি'' ("''না তুম হামে জানো...''") খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল এবং এভাবে চলতে থাকে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যান্য কয়েকজন নায়কের জন্যে নেপথ্য গায়কের কাজ করেছিলেন; যেমন, প্রদীপ কুমার (''নাগিন'', ''ডিটেকটিভ''), সুনীল দত্ত (''দুনিয়া ঝুঁকতি হ্যায়'') এবং ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শেষদিকে বিশ্বজিতের জন্যে (''বিস সাল বাদ'', ''বিন বাদল বরসাত'', ''কোহরা'') এবং ধর্মেন্দ্রের জন্যে (''অনুপমা''); তিনি এই সমস্ত চলচ্চিত্রের জন্যে সুরসৃষ্টি করেছিলেন।
 
==কর্মজীবনে সাফল্য==