আলাপ:প্রধান পাতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
মাওলানা মাহমুদুল হাসান-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Nahian-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৪৩ নং লাইন:
 
::{{re|আফতাবুজ্জামান}} ধন্যবাদ। <span style="white-space:nowrap;">&mdash;<span style="background:#bf00ff;color:white;">&nbsp;কুউ&nbsp;</span><span style="background:#ff00bf;color:white;">&nbsp;পুলক&nbsp;</span>[[User talk:Kupulak|✉]]</span> ০৩:০১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (ইউটিসি)
 
পীর সাহেব মধুপুর দা: বা: এর সংক্ষিপ্ত জীবনী==তথ্যসূত্র==https://abnaulhamid.com/
 
জন্ম ও শিক্ষা জীবনঃ
নাম: পীরে কামেল আলহাজ হজরত মাওলানা আবদুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর)
পিত: মনোরুদ্দীন (রহ:)
ঠিকানা: গ্রাম: মধুপুর, ডাকঘর: রাজানগর, উপজেলা: সিরাজদিখান, জেলা: মুন্সীগঞ্জ।
 
 
বাতিল ও তাগুতী শক্তির মহা আতঙ্ক, সত্য কথনে আপোষহীন, দ্বীনে হকের নিরলস কর্মী, রাহবরে শরীয়ত ও তরীকত, পীরে কামেল আলহাজ হজরত মাওলানা আবদুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর) উনিশ শতকে পঞ্চাশের দশকে বিক্রমপুরের (মুন্সীগঞ্জ জেলার) সিরাজদিখান থানাধীন রাজানগর ইউনিয়নে মধুপুর গ্রামের এক আদর্শ ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মনোর”দ্দীন (রহ:) ছিলেন খুবই সাধারণ লোক। মা ছিলেন পরহেজগার ও তাহাজ্জুদগুজার নারী। ছয়বার হজ্জে বাইতুল্লাহর সুযোগ হয়েছে। শৈশব থেকে থেকে আজ হওয়া পর্যন্ত লেখা-পড়া, আমল-আখলকের সার্বিক দেখাশোনা তার মা-ই করেছেন। হররত নিজেও বলেন, “আমার গড়ে তুলতে আমার পীর ও মুর্শিদের যেমন অবদান। তেমনি আমার মায়েরও বিরাট ভূমিকা আছে।” ১৪৩৭ হিজরির ৫ রমযানুল মুবারক রাত পৌনে তিনটায় তাঁর মা ইন্তিকাল করেন। আল্লাহ্ তাঁর কবরকে নূর দিয়ে ভরে দিন। আমিন!
শৈশব থেকেই তিনি উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। অনর্থক খেলা-ধূলার প্রতি তাঁর বিশেষ কোনো আগ্রহ ছিলো না। লেখা পড়ার প্রতি তাঁর ছিলো প্রবল আকর্ষণ। কিন্তু অল্প বয়সে বাবা মারা গেলে ছাত্র জীবনে তাকে অনেক কষ্ট সইতে হয়েছে। হজরতের প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গ্রামের দক্ষিণ মধুপুর শরীয়তুল্লাহ্ বেপারী জামে মসজিদের মক্তব থেকে শুর” হয়। ওখানে তাঁর উস্তাদ ছিলেন বিশিষ্ট বুযুর্গ হযরত মাওলানা আলী আজম সাহেব (রহ:) ও মুন্সী আবদুল কাদের সাহেব (রহ:)।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হলে উচ্চ শিক্ষা অর্জনে শ্রদ্ধেয় উস্তাদ আলী আজম সাহেব (রহ:) এর পরামর্শে ছুটে যান সুদূর নোয়াখালী। ভর্তি হন চাটখিল থানাধীন কেশুরবাগ গ্রামে আশরাফিয়া মাদরাসায়। ওখানেও বিশিষ্ট বুযুর্গ হজরত মাওলানা সাঈদুর রহমান সাহেব (রহ:) এর তত্তাবধানে সুনামের সাথে চার বছর পড়াশুনার পর সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্যে ভর্তি হন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের দেওবন্দী সিলসিলার সুপ্রসিদ্ধ মাদরাসা দার”ল উলুম আল হুসাইনিয়া ওলামা বাজারে। ওখানে দীর্ঘ ছয় বছর যুগশ্রেষ্ঠ উস্তাদদের স্নেহের ছায়াতলে থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদীস শেষ করেন।
 
মাদরাসা প্রতিষ্ঠা:
১৯৭০ সালে পড়াশোনা শেষ করে টানা দেড় বছর আল্লাহর রাস্তায় সময় লাগানোর পর ছয় মাস কাকরাইলে অবস্থান করেন। তাবলিগের অনেক মুরব্বি তাকে কাকরাইলে মুকিম হতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু হজরতের প্রিয় উস্তাদ ও মুর্শিদ ওলামা বাজারের হজরত পড়াশোনা শেষ করে বিদায়ের সময় মাদরাসার খেদমতে লেগে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মুর্শিদের পরামর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজ এলাকায় দক্ষিণ মধুপুর মসজিদ সংলগ্ন মক্তবে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে মাদরাসা শুরু করেন। এখানেই তিনি তার শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন। প্রায় চার বছর মাদরাসা ওখানেই ছিলো। একেতো মাদরাসায় জায়গা কম আবার আশপাশের বাড়িঘর খুব ঘিঞ্জি। তাদের এতোদিনের বসত। মাদরাসার জন্যে তাদের সরানোটা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। একারণে নিজ পীর ও মুর্শিদের পরামর্শে ইছামতি নদীর তীরে বিশাল অনেকটা জায়গা নিয়ে মাদরাসা সরিয়ে আনেন। নতুন জায়গায় মাদরাসা স্থাপনের সময় বরকত স্বরূপ মাটির প্রথম মুষ্টি আমীরে শরীয়ত ও তরীকত কুত্বুল আলম হজরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ:) এর হাতে রাখা হয়। পরবর্তী মুষ্টি রাখা হয় হজরতের নিজের শায়খ ওলামা বাজারের হজরতের হাতে। প্রিয় শায়েখ ও মুর্শিদ আবদুল হালীম সাহেব (রহ:) এর নামানুসারে মাদ্রাসার নাম রেখেছেন “জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মধুপুর”।
হজরতের শায়েখ ও মুর্শিদের মনে এ মাদরাসার প্রতি গভীর ভালোবাসা। এজন্য সবসময় তিনি এর উন্নতির দোয়া করতেন। আমৃত্যু প্রতিবছর হজরত মাদরাসার বার্ষিক মাহ্ফিলে এসেছেন। ১৯৯০ সালে এক বিশেষ কারণে আসতে পারেননি।
হজরতের প্রতিষ্ঠিত [http://জামি’আ%20হালীমিয়া%20মধুপুরে www.rahabar24.com] ওলামা বাজারের শায়েখসহ দেশ-বিদেশের বহু ওলামা-মাশায়েখ এসেছেন।
 
বাতিল প্রতিরোধ
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,
“তোমাদের কেউ যদি অন্যকে অন্যায় কাজ করতে দেখে তবে সে যেনো তা হাত দিয়ে ফেরায়। যদি হাত দিয়ে না ফেরাতে পারে তবে যেনো মুখে নিষেধ করে। যদি তাও না পারে তবে সে যেনো তাকে মন দিয়ে ঘৃণা করে। এটাই ঈমানের সবচেয়ে নিচুস্তর।”
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসে বুঝা যায় অন্যায় দেখলে সাধ্য অনুযায়ী এর প্রতিবাদ করতে হবে। এজন্য যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা আল্লাহর অবাধ্যতা দেখলে সইতে পারেন না। ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান হয়ে তা প্রতিরোধে ঝাপিয়ে পড়েন। আমাদের পূর্বপুর”ষরাও ছিলেন এমন। এর জন্যে তারা জেল-জুলুম আর নির্যাতন-নিপীড়ন সয়েছেন। অত্যচারের স্টীম র”লার তাদের বির”দ্ধে চালানো হয়েছে। তবুও তারা অন্যায়ের সামনে কখনো মাথা নোয়ান নি। তাদের পথে চলা এক বীর পুর”ষের নাম আবদুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর)। জীবনের শুর” থেকে এ পর্যন্ত কখনো কোনো বাতিলের সামনে মাথা নোয়ান নি। আপোষ করেন নি কোনো অপশক্তির সাথে। বাতিল যতো শক্তিরূপেই সামনে এসেছে। ঈমানী শক্তি নিয়ে তিনি এর মোকাবিলা করেছেন। হজরত জীবনে অনেক বাতিলের মোকাবিলা তকরেছেন।
"প্রধান পাতা" পাতায় ফেরত যান।