আক্কেলপুর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ |
|||
৪৫ নং লাইন:
আক্কেলপুর জয়পুরহাট জেলার একটি উপজেলা। এটি ১৯৭২ সালের আগে অব্দি বগুড়া জেলার একটি রেলস্টেশন হিসেবে পরিচিত ছিল।
আক্কেলপুর উপজেলার নামকরণ নিয়ে দুইটি জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। কিছু মানুষ মনে করেন যে এখানে আক্কেল কাজি নামক এক ধনাঢ্য ব্যক্তি বসবাস করতেন এবং তার নামানুসারে এই স্থানের নামকরন হয়েছে আক্কেলপুর, তবে প্রসিদ্ধ মতানুসারে রাজশাহীর পীরে কামেল হযরত শাহ মখদুম রূপোস (রহঃ) ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তুলশীগঙ্গা নদী হয়ে মাঝেমাঝে আক্কেলপুর এর হাস্তাবসন্তপুর এলাকায় আসতেন। তিনি এখানকার মানুষের বুদ্ধিমত্তাতে মুগ্ধ হয়ে তাদের নাম দেন আক্কেলমান্দ, ফারসি ভাষাতে যার অর্থ বুদ্ধিমান এবং পুর একটি প্রত্যয় যার অর্থ নগর, আবাস এবং দুর্গ। ভারতের সর্বপ্রাচীন গ্রন্থ ঋগ্বেদে শব্দটি নগর এবং বাসস্থান অর্থে প্রায় ৩০ বার ব্যবহৃত হয়েছে। এই আক্কেলমান্দ এবং পুর শব্দের সমন্বয়ে কালক্রমে আক্কেলপুর নামের প্রচলন হয়।{{cn}}
ইসলামী বিশ্বকোষ প্রথম খন্ডের ১৯০ পৃষ্ঠায় বলা আছে যে, হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) যখন এলাকায় আসতেন তখন লোকজন বলাবলি করত যে, "চল আমরা মখদুম সাহেবের নিকট আকল (জ্ঞান)
আক্কেলপুর উপজেলার মানুষ একটু টেনে কথা বলেন। এখানে বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব দেখা যায়। আক্কেলপুর উপজেলা বিশেষ করে জয়পুরহাট জেলা এবং পুরো রাজশাহী বিভাগ এবং ভারত ও বাংলাদেশের পদ্মা এবং মহানন্দা উপত্যকা এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের ভাষাকে বরেন্দ্রী ভাষা বলে। এটি ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের সদস্য বাংলা ভাষার একটি উপভাষা। বিশিষ্ট ভাষাবিদ ডক্টর সুকুমার সেনের
যেমন- আম > রাম, রস > অস।
গৌণকর্মে 'কে', 'ক' বিভক্তি দেখা যায়।
৫৫ নং লাইন:
আক্কেলপুর একসময় বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ১৯৭২ সালে আদমদীঘি থানার পাঁচটি ইউনিয়ন যথাক্রমে রুকীন্দীপুর, সোনামুখী, গোপীনাথপুর, তিলকপুর এবং রায়কালী নিয়ে আক্কেলপুর থানা গঠিত হয়ে। সে সময় আক্কেলপুর রেলগেটের নিকট স্থানীয় ব্যবসায়ী ফজর উদ্দিন আকন্দ সাহেবের ভাড়া বাসায় প্রথমে পুলিশ স্টেশন চালু হয়। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের আওতায় জয়পুরহাট জেলার উপজেলায় উন্নীত করা হয়। সে সময় তুলসীগঙ্গা নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় ৯ একর জায়গা জুড়ে এর প্রশাসনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়।
রুকীন্দীপুর ইউনিয়ন এবং সোনামুখী ইউনিয়ন এর কিছু অংশ নিয়ে আক্কেলপুর কে ১৯৯৯ সালে পৌরসভা
== ভাষা ও সংষ্কৃতি ==
জয়পুরহাট জেলায় প্রায় ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার আদিবাসী তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংষ্কৃতি বৈশিষ্ট্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। যাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মুন্ডা সম্প্রদায়ের পাহান গোত্রের লোকজন বসবাস করে আক্কেলপুর উপজেলায়। এবং স্বভাবতই তাদের ভাষাও বাংলা ভাষা থেকে আলাদা এবং সংষ্কৃতিও ভিন্ন। তবে তাদের মধ্যে বাংলা ভাষারও প্রচলন দেখা যায়। আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা, মকিমপুর, তিলকপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে পাহান সম্প্রদায় বসবাস করে।
আক্কেলপুর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। তাদের কথার মাঝে বাংলার আঞ্চলিকতা প্রাধান্য পায়। আক্কেলপুর উপজেলা বিশেষ করে জয়পুরহাট জেলা এবং পুরো রাজশাহী বিভাগ এবং ভারত ও বাংলাদেশের পদ্মা এবং মহানন্দা উপত্যকা এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের ভাষাকে বরেন্দ্রী ভাষা বলে। এটি ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের সদস্য বাংলা ভাষার একটি উপভাষা। বিশিষ্ট ভাষাবিদ ডক্টর সুকুমার সেনের
অপ্রত্যাশিত স্থানে 'র' আগম বা লোপ।
|