মহাত্মা গান্ধী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ 2409:4066:11E:CD90:940:6D7:563A:BAD6-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 2402:3A80:1F63:66D1:E6C4:76EF:5A41:FD9-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
অনুবাদ সংশোধন, বানান সংশোধন,রচনাশৈলী সংশোধন, শৈলী সংশোধন |
||
৯ নং লাইন:
| birth_place = [[পোরবন্দর]], [[গুজরাট]], {{পতাকা|ব্রিটিশ ভারত}}<br/>[ বর্তমানে: [[পোরবন্দর]], [[গুজরাট]], {{পতাকা|ভারত}} ]
| death_date = ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮ (৭৮ বছর)
| death_place = [[
| office = [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস#ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি বা প্রেসিডেন্টের তালিকা|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি]]
| term = ১৯২৪-১৯২৫
৩৪ নং লাইন:
| signature = চিত্র:মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী.jpg
}}
'''মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী''' ({{lang-gu|મોહનદાસ કરમચંદ ગાંધી}} {{অডিও|Hi-Mohandas Karamchand Gandhi pronunciation 1.oga|উচ্চারণ}})(মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী) বা '''মহাত্মা গান্ধী''' (২রা [[অক্টোবর]], [[১৮৬৯]] - ৩০শে [[জানুয়ারি]], [[১৯৪৮]]) একজন অন্যতম ভারতীয় [[রাজনীতিবিদ]], [[ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের]] অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন [[সত্যাগ্রহ]] আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে
গান্ধী ভারতে এবং বিশ্ব জুড়ে ''মহাত্মা'' <ref group="টীকা">[[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] তাঁকে এই উপাধিটি দিয়েছেন</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/37448787|শিরোনাম=The Oxford Hindi-English Dictionary|শেষাংশ=McGregor, R. S. (Ronald Stuart)|তারিখ=1997|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=Oxford [England]|আইএসবিএন=0-19-864339-X|oclc=37448787}}</ref>(''মহান আত্মা'') এবং ''বাপু'' (''বাবা'') নামে পরিচিত। [[ভারত সরকার]] সম্মানার্থে তাকে ভারতের [[জাতির জনক]] হিসেবে ঘোষণা করেছে <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.indianexpress.com/news/gandhi-not-formally-conferred-father-of-the-nation-title-govt/973101/|শিরোনাম=Gandhi not formally conferred 'Father of the Nation' title: Govt - Indian Express|ওয়েবসাইট=archive.indianexpress.com|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-19}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://timesofindia.indiatimes.com/india/Constitution-doesnt-permit-Father-of-the-Nation-title-Government/articleshow/16961980.cms|শিরোনাম=Constitution doesn't permit 'Father of the Nation' title: Government {{!}} India News - Times of India|শেষাংশ=Oct 26|প্রথমাংশ=PTI {{!}} Updated:|শেষাংশ২=2012|ওয়েবসাইট=The Times of India|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-19|শেষাংশ৩=Ist|প্রথমাংশ৩=9:25}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thehindu.com/todays-paper/tp-miscellaneous/tp-others/crusade-with-arms/article27999691.ece|শিরোনাম=Crusade with arms|তারিখ=2000-02-01|কর্ম=The Hindu|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-19|ভাষা=en-IN|issn=0971-751X}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ndtv.com/india-news/10-year-olds-rti-on-father-of-the-nation-title-for-gandhi-474827|শিরোনাম=10-year-old's RTI on 'Father of the Nation' title for Gandhi|ওয়েবসাইট=NDTV.com|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-19}}</ref>। ২রা অক্টোবর তার জন্মদিন ভারতে ''[[গান্ধী জয়ন্তী]]'' হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। [[২০০৭]] সালের ১৫ই [[জুন]] [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘের]] সাধারণ সভায় ২রা অক্টোবরকে ''[[আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস]]'' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ এ দিবস পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.un.org/News/Press/docs/2007/ga10601.doc.htm| শিরোনাম=General Assembly adopts texts on day of non-violence,...| কর্ম=un.org|প্রকাশক=[[জাতিসংঘ]]| তারিখ=15 June 2007| সংগ্রহের-তারিখ=2007-07-01}}</ref>
একজন শিক্ষিত ব্রিটিশ [[আইনজীবী]] হিসেবে [[দক্ষিণ আফ্রিকা|দক্ষিণ আফ্রিকায়]] নিপীড়িত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে গান্ধী প্রথম তাঁর অহিংস শান্তিপূর্ণ নাগরিক আন্দোলনের মতাদর্শ প্রয়োগ করেন। ভারতে ফিরে আসার পরে তিনি কয়েকজন দুঃস্থ কৃষক এবং দিনমজুরকে সাথে নিয়ে বৈষম্যমূলক কর আদায় ব্যবস্থা এবং
মহাত্মা গান্ধী সমস্ত পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ এবং সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং একটি স্বায়ত্তশাসিত আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। তার নিজের পরিধেয় কাপড় ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় [[ধুতি]] এবং [[শাল]], যা তিনি নিজেই চরকায় বুনতেন। তিনি সাধারণ নিরামিষ খাবার খেতেন। শেষ জীবনে
== প্রাথমিক জীবন ==
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/613205934|শিরোনাম=Mohandas Gandhi|শেষাংশ=Todd, Anne M.|তারিখ=2004|প্রকাশক=Chelsea House|অবস্থান=Philadelphia|অন্যান্য=Marty, Martin E., 1928-|আইএসবিএন=978-0-7910-7864-8|oclc=613205934}}</ref> [[১৮৬৯]] সালের ২ রা [[অক্টোবর]] <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=FauJL7LKXmkC&hl=en|শিরোনাম=Gandhi: The Man, His People, and the Empire|শেষাংশ=Gandhi|প্রথমাংশ=Rajmohan|তারিখ=2008-03-10|প্রকাশক=University of California Press|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-520-25570-8}}</ref> [[পোরবন্দর|পোরবন্দরের]] হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/40199852|শিরোনাম=Responses to 101 questions on Hinduism|শেষাংশ=Renard, John, 1944-|তারিখ=1999|প্রকাশক=Paulist Press|অবস্থান=New York|আইএসবিএন=0-8091-3845-X|oclc=40199852}}</ref> তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের [[দেওয়ান]] (প্রধান মন্ত্রী)। মা পুতলিবা করমচাঁদের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পুতলিবা
[[চিত্র:Gandhi and Kasturbhai 1902.jpg|left|thumb|240px|গান্ধী এবং তাঁর স্ত্রী [[কস্তুরবা গান্ধী|কস্তুরবা]] (১৯০২)]]
[[১৮৮৩]] সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধী তার বাবা মায়ের পছন্দে [[কস্তুরবা গান্ধী|কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে]] (''কাস্তুবাই'' নামেও পরিচিত ছিলেন) বিয়ে করেন। তাদের চার পুত্র সন্তান জন্মায় যাদের নাম [[হরিলাল গান্ধী]], (জন্ম [[১৮৮৮]]) [[মনিলাল গান্ধী]], (জন্ম [[১৮৯২]]) [[রামদাস গান্ধী]] (জন্ম [[১৮৯৭]]) এবং [[দেবদাস গান্ধী]] (জন্ম [[১৯০০]]) সালে। মহাত্মা গান্ধী
১৮ বছর বয়সে [[১৮৮৮]] সালের ৪ঠা [[সেপ্টেম্বর]] ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য [[ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন|ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে]] যান। রাজকীয় রাজধানী [[লন্ডন|লন্ডনে]] তার জীবন যাপন ভারতে থাকতে তার মায়ের কাছে করা শপথ দ্বারা প্রভাবিত ছিল। জৈন
{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=}}<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.adisikha.com/mahatma-gandhi-biography-bengali/|শিরোনাম=মহাত্মা গান্ধীর জীবনী Mahatma Gandhi Biography in Bengali » Adi Sikha|তারিখ=2019-09-22|ওয়েবসাইট=Adi Sikha - আদি শিখা|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-23}}</ref>
৫৪ নং লাইন:
== দক্ষিণ আফ্রিকার গণঅধিকার আন্দোলন [[(১৮৯৩]]-১৯১৪) ==
[[চিত্র:Gandhi South-Africa.jpg|right|thumb|200px|১৮৯৫ সালে [[দক্ষিণ আফ্রিকা|দক্ষিণ আফ্রিকায়]] গান্ধী]]
গান্ধীজি দাদা আব্দুল্লা এন্ড সন্সের আইনজীবী হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। দক্ষিণ আফ্রিকা গান্ধীর জীবনকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করে দেয়। এখানে তিনি ভারতীয় ও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সাধারণভাবে প্রচলিত বৈষম্যের শিকার হন। একদিন ডারবানের আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট তার পাগড়ি সরিয়ে ফেলতে বলেন। গান্ধী তা অগ্রাহ্য করেন এবং আদালত কক্ষ থেকে ক্ষোভে বেরিয়ে পড়েন। তাকে প্রথম
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের ভোটাধিকার ছিল না। এই অধিকার আদায়ের বিল উত্থাপনের জন্য তিনি আরও কিছুদিন দেশটিতে থেকে যান। বিলের উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হলেও এই আন্দোলন সেদেশের ভারতীয়দেরকে
১৯০৬ সালে ট্রান্সভাল সরকার উপনিবেশের ভারতীয়দের নিবন্ধনে বাধ্য করানোর জন্য একটি আইন পাশ করে। ১১ই [[সেপ্টেম্বর]] [[জোহানেসবার্গ|জোহানেসবার্গে]] সংঘটিত এক গণ প্রতিরোধে গান্ধী সবাইকে এই আইন বর্জন করতে বলেন। তিনি বলেন, আইন না মানার কারণে তাদের উপর যে অত্যাচার করা হবে দরকার হলে তা মেনে নেবেন, কিন্তু আইন মানবেন না। এই পরিকল্পনা কাজে দেয়, এবং ৭ বছর ব্যাপী এক আন্দোলনের সূচনা ঘটে। এ সময় আইন অম্যান্য করা, নিজেদের নিবন্ধন কার্ড পুড়িয়ে ফেলা সহ বিভিন্ন কারণে অনেক ভারতীয়কে
== ভারতের রাজনীতি ==
৬৭ নং লাইন:
গান্ধীর প্রথম অর্জন আসে ১৯১৮ সালের চম্পারন বিক্ষোভ এবং খেদা সত্যাগ্রহের মাধ্যমে।
জমিদারের লাঠিয়ালদের মাধ্যমে অত্যাচারিত হয়েও তারা নামেমাত্র ক্ষতিপূরণ পায় যা তাদের তীব্র দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেয়। গ্রামগুলোকে অতিরিক্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর করে রাখা হয় এবং মদ্যপান ও অস্পৃশ্যতা ছিল ব্যাপক। মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মাঝে ব্রিটিশ একটি শোষণমূলক কর চালু এবং তা বাড়াবার চেষ্টা করে। এতে পরিস্থিতি প্রচণ্ড অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। খেদা এবং গুজরাটেও একইরকম অবস্থা ছিল। গান্ধী সেখানে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার বহুদিনের সমর্থক ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের একত্রিত করেন। তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ চালিয়ে গ্রামের মৃত্যুর হার এবং গ্রামবাসীদের ভয়াবহ
কিন্তু তার মূল প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, যখন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রদেশ ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। জেলের বাইরে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এছাড়াও পুলিশ স্টেশন ও আদালতে এসে তারা গান্ধীর মুক্তি দাবি করতে থাকে যা আদালতকে নীরবে মেনে নিতে হয়। গান্ধী জমিদারদের বিরুদ্ধে সুসংগঠিত বিক্ষোভ ও আন্দোলনের নেতৃত্ব দান করেন এবং জমিদাররা ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশে কৃষকদের আরও বেশি ক্ষতিপূরণ এবং চাষাবাদের বিষয়ে তাদের আরো নিয়ন্ত্রণ প্রদানে রাজি হয়। তারা খাজনার হার বৃদ্ধি বর্জন এবং দূর্ভিক্ষ শেষ হবার পূর্ব পর্যন্ত তা সংগ্রহ করা স্থগিত করে। এই বিক্ষোভ চলাকালেই জনগণ গান্ধীকে বাপু (পিতা) এবং মহাত্মা (মহৎ হৃদয়)<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/8914563|শিরোনাম=Reweaving the web of life : feminism and nonviolence|অবস্থান=Philadelphia, PA|অন্যান্য=McAllister, Pam.|আইএসবিএন=0-86571-016-3|oclc=8914563}}</ref> উপাধি দান করে। খেদায় ব্রিটিশদের সাথে সমঝোতার সময় কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করেন [[সর্দার প্যাটেল]]। তিনি খাজনা আদায় বন্ধ এবং সকল বন্দীদের মুক্তি দান করেন। এর ফলে গান্ধীর সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
== অসহযোগ ==
অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীর অস্ত্র ছিল অসহযোগ এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ। পাঞ্জাবের [[জালিয়ানওয়ালাবাগ|জালিয়ানওয়ালাবাগে]] সাধারণ মানুষের উপরে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক সংগঠিত [[জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড|হত্যাকাণ্ডের]] ফলে জনসাধারণ ক্ষুব্ধ হয়ে যায় এবং সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। গান্ধী ব্রিটিশ সরকারের কৃতকর্ম এরং ভারতীয়দের প্রতিশোধপরায়ণ আচরণ উভয়েরই নিন্দা করেন। তিনি একটি লিখিত বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিটিশ নাগরিকদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং বিশৃঙ্খলার সমালোচনা করেন। তার এই পদক্ষেপ প্রাথমিক পর্যায়ে দলের ভিতরে অসন্তোষের জন্ম দিলেও গান্ধীর একটি আবেগীয় বক্তৃতার পর তা গৃহীত হয়। বক্তৃতায় তিনি মূলনীতিগুলোর বর্ণনা দিয়ে বলেন সবরকম বিশৃঙ্খলাই অমঙ্গলজনক এবং সমর্থনযোগ্য নয়। <ref>R. Gandhi, ''Patel: A Life'', p. 82.</ref> এই হত্যাকাণ্ড এবং গণবিক্ষোভের পর গান্ধী পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন এবং সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ লাভের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা শেষ পর্যন্ত [[স্বরাজ]] বা
[[চিত্র:Sabarmati Ashram.jpg|thumb|left|300px|[[সবরমতী আশ্রম]], গুজরাটে গান্ধীর বাড়ী]]
[[১৯২১]] সালের ডিসেম্বরে মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নির্বাহী হন। তার নেতৃত্বে কংগ্রেস স্বরাজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন সংবিধান গ্রহণ করেন। সদস্য চাঁদা দিতে রাজি হওয়া যে কোন ব্যক্তির জন্য দলের সদস্যপদ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। নিয়মানুবর্তিতা উন্নতির জন্য বিভিন্ন
“অসহযোগ” ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সাফল্য লাভ করে। উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী এ আন্দোলনে সমাজের সকল স্তরের লোক অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনটি চরমে আরোহণ করামাত্র অপ্রত্যাশিত ভাবে উত্তর প্রদেশের [[চৌরি চৌরা]]য়
== স্বরাজ ও লবণ সত্যাগ্রহ ==
[[চিত্র:Gandhi at Dandi 5 April 1930.jpg|thumb|200px|গান্ধী লবণ কুচকাওয়াজের শেষে ৫ এপ্রিল ১৯৩০ তারিখে ড্যাণ্ডিতে।]]
গান্ধী ১৯২০ এর দশকের বেশির ভাগ সময় নীরব থাকেন। এ সময় তিনি [[স্বরাজ পার্টি]] এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মাঝে বাধা দূর করার চেষ্টা করেন। অস্পৃশ্যতা, মদ্যপান, অবজ্ঞা এবং
গান্ধী কলকাতা কংগ্রেসে ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ভারতকে ডোমিনিয়নের মর্যাদা দেবার দাবি জানান, অন্যথায় নতুন অহিংস নীতির পাশাপাশি পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্যের হুমকি দেন। গান্ধী এর মাধ্যমে তরুণ নেতাজী [[সুভাষ চন্দ্র বসু]] এবং [[জওহরলাল নেহরু]]র দর্শন সঞ্চালন করেন যারা অবিলম্বে স্বাধীনতার পক্ষপাতী ছিলেন। এই সিদ্ধান্তে তিনি দু'বছরের বদলে একবছর অপেক্ষা
হাজার হাজার ভারতীয় তার সাথে হেঁটে সাগরের
গান্ধী পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাকে সম্পূর্ণরূপে তার অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পদ্ধতিটি অবশ্য সফল হয়নি। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা [[বি আর আম্বেদকার|বি আর আম্বেদকারের]] প্রচেষ্টার ভিত্তিতে
▲গান্ধী পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাকে সম্পূর্ণরূপে তার অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পদ্ধতিটি অবশ্য সফল হয়নি। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা [[বি আর আম্বেদকার|বি আর আম্বেদকারের]] প্রচেষ্টার ভিত্তিতে সরকারী নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করে। এর প্রতিবাদে গান্ধী ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ দিনের অনশন পালন করেন এবং এতে সরকার বাধ্য হয়ে দলিত ক্রিকেটার ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা [[পালওয়াঙ্কার বালু]]র মধ্যস্থতায় আরও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা প্রদান করে। এরপরই গান্ধী হরিজন ("''ঈশ্বরের সন্তান''") নাম দেওয়া দলিত, অস্পৃশ্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এক নতুন অগ্রযাত্রার সূচনা করেন। ১৯৩৩ সালের ৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন।<ref>R. Gandhi, ''Patel: A Life'', pp. 230–32.</ref>
▲ সালের গ্রীষ্মে তাকে হত্যার জন্য তিনটি ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয়।
কংগ্রেস পার্টি ফেডারেশন স্কিমের ক্ষমতা মেনে নিয়ে নির্বাচনে
== হত্যাকাণ্ড ==
৯৮ ⟶ ৯৬ নং লাইন:
[[চিত্র:Gandhis ashes.jpg|thumb|left|230px|[[রাজঘাট এবং অন্যান্য স্মারক|রাজঘাট]]: আগা খান প্রাসাদে গান্ধীর দেহভস্ম (পুনে, ভারত)।]]
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি নতুন দিল্লীর বিরলা ভবন ([[বিরলা হাউস]]) মাঝে রাত্রিকালীন পথসভা করছিলেন। তার হত্যাকারী [[নাথুরাম গডসে]] ছিলেন একজন হিন্দু মৌলবাদী যার সাথে চরমপন্থী "হিন্দু মহাসভার" যোগাযোগ ছিল। "হিন্দু মহাসভা" [[পাকিস্তানী]]দের অর্থ সাহায্য দেবার প্রস্তাব করে ভারতকে
"বন্ধু ও সহযোদ্ধারা, আমাদের জীবন থেকে আলো হারিয়ে গেছে এবং সেখানে শুধুই অন্ধকার এবং আমি ঠিক জানি না আপনাদের কী বলব, কেমন করে বলব। আমাদের প্রেমময় নেতা যাকে আমরা ''বাপু'' বলে থাকি, আমাদের
গান্ধীর ইচ্ছানুযায়ী, তার দেহভস্ম বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রধান নদী যেমন: [[নীলনদ]], [[ভোলগা]], [[টেমস নদী|টেমস]] প্রভৃতিতে ডুবানো হয়। সামান্য অংশ ডঃ ভি এম নোলের (পুনের একজন সাংবাদিক ও প্রকাশক) পক্ষ থেকে [[পরমহংস যোগানন্দ]]কে
== গান্ধীর মূলনীতি ==
=== সত্য ===
গান্ধী তার জীবনকে সত্য অনুসন্ধানের বৃহৎ উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, এবং নিজের উপর নিরীক্ষা চালিয়ে তা অর্জন করেছিলেন। তিনি তার আত্মজীবনীর নাম দিয়েছিলেন ''দি স্টোরি অফ মাই এক্সপেরিমেণ্টস উইথ ট্রুথ'' যার অর্থ সত্যকে নিয়ে আমার নিরীক্ষার গল্প। গান্ধী বলেন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ছিল নিজের অন্ধকার, ভয় ও নিরাপত্তাহীনতাকে কাটিয়ে ওঠা। গান্ধী তার বিশ্বাসকে প্রথম সংক্ষিপ্ত করে বলেন, ঈশ্বর হল সত্য। পরবর্তীতে তিনি তার মত বদলে বলেন, সত্য হল ঈশ্বর। এর অর্থ সত্যই হল ঈশ্বরের ক্ষেত্রে গান্ধীর দর্শন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
=== অহিংসা ===
১১৪ ⟶ ১১২ নং লাইন:
ছোট থাকতে গান্ধী পরীক্ষামূলকভাবে মাংস খান। এটি হয়ত তার জন্মগত কৌতূহল ও তার বন্ধু শেখ মেহতাবের কারণে হয়েছে। নিরামিষভোজন এর ধারণা হিন্দু ও জৈন ধর্মে গভীরভাবে বিদ্যমান এবং তার স্থানীয় রাজ্য [[গুজরাট|গুজরাটে]] বেশির ভাগ হিন্দুই ছিলেন নিরামিষভোজী। [[গান্ধী-নেহরু পরিবার|গান্ধী পরিবার]]ও এর ব্যতিক্রম ছিল না। লন্ডনে পড়তে যাবার আগে গান্ধী তার মা পুতলিবাই এবং চাচা বেচারজির কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি মাংস খাওয়া, মদ্যপান এবং নারীসঙ্গ থেকে বিরত থাকবেন। তিনি এই প্রতিজ্ঞা পালন করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি একটি দর্শন লাভ করেছিলেন। গান্ধী পরবর্তী জীবনে একজন পূর্ণ নিরামিষভোজী হয়ে ওঠেন। তিনি নিরামিষভোজনের উপর "দি মোরাল বেসিস অফ ভেজিটেরিয়ানিজম" বইটির পাশাপাশি এ বিষয়ের উপর বেশ কিছু নিবন্ধ লেখেন। এই লেখাগুলো কিছু কিছু ছাপা হয় লন্ডনের নিরামিষভোজী সংগঠন ''লন্ডন ভেজিটেরিয়ান সোসাইটি''র প্রকাশনা ''দি ভেজিটেরিয়ান'' এ। গান্ধী এ সময় অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সঙ্গলাভ করেন এবং লন্ডন ভেজিটেরিয়ান সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. জোসেফ ওল্ডফিল্ড এর বন্ধু হয়ে ওঠেন।
হেনরি স্টিফেনস সল্টের লেখা ও কাজের পাঠক ও সমঝদার হয়ে ওঠা গান্ধী নিরামিষ খাওয়ার পক্ষে আন্দোলনকারীদের সাথেও মাঝে মাঝে যোগ দেন। [[লন্ডন]] থেকে ফেরার পর গান্ধী নিরামিষ খাবার ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করেন। গান্ধীর মতে, নিরামিষ শুধু শরীরের চাহিদাই মেটাবে না, এটি মাংসের প্রয়োজন মিটানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যও
=== ব্রহ্মচর্য ===
গান্ধীর ষোল বছর বয়সে তার বাবা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গান্ধী তার বাবার অসুস্থতার পুরো সময় তার সাথে থাকেন। একরাতে গান্ধীর চাচা এসে তাকে বিশ্রাম নেবার সুযোগ করে দেন। তিনি তার শোবার ঘরে ফিরে যান এবং কামনার বশবর্তী হয়ে তার স্ত্রীর সাথে প্রণয়ে লিপ্ত হন। এর সামান্য পরেই একজন কর্মচারী এসে তার পিতার মৃত্যুসংবাদ জানায়। তিনি এ ঘটনাটিকে দ্বিগুণ লজ্জা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এই ঘটনাটি গান্ধীকে ৩৬ বছর বয়সে বিবাহিত থাকা অবস্থায় একজন [[ব্রহ্মচারী]] হতে বাধ্য করে।<ref>[http://www.time.com/time/time100/poc/magazine/mohandas_gandhi12b.html Time magazine people of the century]</ref>
এই সিদ্ধান্তের পেছনে ব্রহ্মচর্যের দর্শন তাকে ব্যাপকভাবে প্ররোচিত করে, যা আদর্শগত ও বাস্তবগত পবিত্রতার চর্চা করে। গান্ধী ব্রহ্মচর্যকে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ এবং আত্মোপলব্ধির পন্থা হিসেবে দেখতেন। গান্ধী তার আত্মজীবনীতে তার শৈশবের স্ত্রী
=== বিশ্বাস ===
গান্ধী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার সারা জীবন ধরে
{{উক্তি|হিন্দুবাদ আমাকে পরিপূর্ণভাবে তৃপ্ত করে, আমার সম্পুর্ণ সত্ত্বাকে পরিপূর্ণ করে...। যখন সংশয় আমাকে আঘাত করে, যখন হতাশা আমার মুখের দিকে কড়া চোখে তাকায় এবং যখন দিগন্তে আমি একবিন্দু আলোও দেখতে না পাই, তখন আমি [[ভগবত গীতা]]র দিকে ফিরে তাকাই এবং নিজেকে শান্ত করার একটি
[[চিত্র:Gandhi Smriti.jpg|thumb|right|250px| নয়া দিল্লীতে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর বাসভবন ''গান্ধী স্মৃতি''।)]]
<!--attribution required: see image description page at http://en.wikipedia.org/wiki/image:Gandhi Smriti.jpg-->
গান্ধী [[গুজরাটি ভাষা]]য় "ভগবত গীতা"র উপর ধারাভাষ্য লেখেন। গুজরাটি পাণ্ডুলিপিটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন মহাদেব দাসী। তিনি একটি অতিরিক্ত সূচনা এবং ধারাভাষ্য যোগ করেন। এটি গান্ধীর লিখিত একটি ভূমিকাসহ প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে।<ref>Desai, Mahadev. The Gospel of Selfless Action, or, The Gita According To Gandhi. (Navajivan Publishing House: Ahmedabad: First Edition 1946). Other editions: 1948, 1951, 1956.</ref><ref>A shorter edition, omitting the bulk of Desai's additional commentary, has been published as: Anasaktiyoga: The Gospel of Selfless Action. Jim Rankin, editor. The author is listed as M.K. Gandhi; Mahadev Desai, translator. (Dry Bones Press, San Francisco, 1998) {{আইএসবিএন|1-883938-47-3}}.</ref>
গান্ধী বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি ধর্মের মূলে আছে সত্য ও প্রেম (করুণা, অহিংসা এবং [[সোনালী শাসন]])। তিনি একজন ক্লান্তিহীন সমাজ সংস্কারক ছিলেন এবং সব ধর্মের
{{উক্তি|যদি আমি খ্রিস্টান ধর্মকে নিখুঁত এবং শ্রেষ্ঠতম ধর্ম হিসেবে মেনে নিতে না পারি, তবে হিন্দু ধর্মকেও সেভাবে মেনে নিতে পারি না। হিন্দুধর্মের ত্রুটিগুলি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যদি অস্পৃশ্যতা হিন্দু ধর্মের অংশ হয় তবে, এটি একটি পচা অংশ বা আঁচিল। বেদবাক্যগুলোকে ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত উক্তি বলার কারণ কি? যদি এগুলো অনুপ্রাণিত হয় তবে বাইবেল বা কোরান কেন
যখনি আমরা নৈতিক ভিত্তি হারিয়ে ফেলি, আমরা ধার্মিক হওয়া থেকে ক্ষান্ত হই। নৈতিকতা হারিয়ে ধার্মিক হওয়া বলতে কিছু নেই।
পরবর্তী জীবনে তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তিনি হিন্দু
{{উক্তি|হ্যাঁ, আমি তাই। এ ছাড়াও আমি একজন খ্রিস্টান, একজন মুসলিম, একজন বৌদ্ধ এবং একজন ইহুদি।}}
[[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ও গান্ধীর ভিতরে
=== সরলতা ===
গান্ধী প্রবলভাবে বিশ্বাস করতেন যে, সামাজিক কাজে নিয়োজিত একজন ব্যক্তি অবশ্যই সাধারণ জীবন যাপন করবে যেটা তার মতে তাকে ব্রহ্মচর্যের পথে নিয়ে যাবে । তাঁর সরলতার সূচনা ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাপিত পশ্চিমা জীবনাচরণ ত্যাগ করার মাধ্যমে। তিনি এটিকে "
=== পোশাক ===
১৯৩১ সালে গান্ধী লন্ডনে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে গেলে তাকে দেখে চার্চিল আশঙ্কাগ্রস্ত হয়ে বলেছিলেন তার বমি আসছে, গান্ধীর অর্ধনগ্ন ফকিরের পোশাক দেখে নয়, বরঞ্চ এটা দেখে যে ওই রকমের পোশাকধারী একজন আইন-অমান্য আন্দোলন
গান্ধীর জামাকাপড়ের কমতি দেখে ওই সময়েই গান্ধীকে দেখতে যাওয়া তার অনুরাগী অভিনেতা [[চার্লি চ্যাপলিন]] বলেন, শীতের দেশে গান্ধী ওই পোশাকে এসে নিজেকে এমনভাবে আলোচিত করে না-তুললেও পারতেন৷<ref>Charles Chaplin, My Autobiography, New York, 1964, pp 343-44</ref> পরিধেয় নিয়ে গান্ধী নিজে অবশ্য মোটেই বিব্রতবোধ করেন নি,
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী</ref> ঐ বেশেই তিনি গোলটেবিল বৈঠকের সদস্যদের জন্য বাকিংহাম প্যালেসে সম্রাট পঞ্চম জর্জের দেওয়া রাজকীয় অভ্যর্থনায় যোগ দিয়েছেন এবং নিজের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে সম্রাটের সঙ্গে
== লেখালেখি ==
গান্ধী ছিলেন
গান্ধীর বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তার আত্মজীবনী, সত্যের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার গল্প (The Story of My Experiments with Truth), দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রাম নিয়ে “দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যাগ্রহ (Satyagraha in South Africa),
১৯৬০ এর-এর দশকে ভারত সরকার গান্ধীর রচনাবলী (The Collected Works of Mahatma Gandhi) প্রকাশ করে। প্রায় শতাধিক খন্ডে প্রকাশিত এই রচনাবলীতে প্রায় ৫০,০০০ পাতা আছে। ২০০০ সালে এর একটি
=== গান্ধী বিষয়ক বই ===
বেশ কয়েকজন জীবনীকার গান্ধীর জীবনী রচনার কাজ করেছেন। এর মধ্যে দুইটি রচনা
== অনুসারী ও প্রভাব ==
অনেক রাজনৈতিক নেতা ও আন্দোলনকে গান্ধী প্রভাবিত করেছেন। আমেরিকার [[নাগরিক অধিকার আন্দোলন]]-এর অন্যতম নেতা [[মার্টিন লুথার কিং]] ও [[জেসম লওসন]] গান্ধীর অহিংস নীতির আলোকে নিজেদের কর্মপন্থা ঠিক করতেন। <ref>[http://sfgate.com/cgi-bin/article.cgi?file=/chronicle/archive/2003/01/20/ED163673.DTL COMMEMORATING MARTIN LUTHER KING JR.: Gandhi's influence on King]</ref> দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও [[বর্ণবাদ]] বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা [[নেলসন মেন্ডেলা]]ও গান্ধীর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছন।<ref name="Mandela-2000">[[Nelson Mandela]], [http://www.time.com/time/time100/poc/magazine/the_sacred_warrior13a.html The Sacred Warrior: The liberator of South Africa looks at the seminal work of the liberator of India], ''Time Magazine'', Jan. 3, 2000.</ref> এই তালিকায় আরো আছেন [[খান আবদুল গাফফার খান]] <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=A pacifist uncovered — Abdul Ghaffar Khan, Pakistani pacifist |ইউআরএল=http://findarticles.com/p/articles/mi_m1295/is_2_66/ai_83246175/print |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ মে ২০১২ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://archive.is/20120524200747/findarticles.com/p/articles/mi_m1295/is_2_66/ai_83246175/print |আর্কাইভের-তারিখ=২৪ মে ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> , [[স্টিভ বিকো]] ও [[অং সান সু চি|অং সান সু চী]] <ref>[http://www.tribuneindia.com/2004/20040222/spectrum/book1.htm An alternative Gandhi]</ref>
গান্ধীর জীবন ও শিক্ষা অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। এদের অনেকে পরবর্তী সময়ে গান্ধীকে তাদের শিক্ষাগুরু হিসাবে বর্ণনা করেছেন। আবার অনেকে সারাজীবন গান্ধীর আদর্শ প্রচার করেছেন। ইউরোপে [[
এছাড়া ব্রিটিশ গায়ক [[জন লেনন]] অহিংসা নিয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে গান্ধীকে উল্লেখ করতেন। <ref>[http://www.rollingstone.com/news/story/8898300/lennon_lives_forever Lennon Lives Forever]. Taken from ''rollingstone.com''. Retrieved on [[May 20]], [[2007]].</ref> ২০০৭ সালে এক সম্মেলনে আমেরিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট তার ওপর গান্ধীর প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। <ref>[http://www.exchange4media.com/Cannes/2007/fullstory2007.asp?section_id=13&news_id=26524&tag=21387&pict=2 Of Gandhigiri and Green Lion, Al Gore wins hearts at Cannes] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120111115931/http://www.exchange4media.com/Cannes/2007/fullstory2007.asp?section_id=13&news_id=26524&tag=21387&pict=2 |তারিখ=১১ জানুয়ারি ২০১২ }}. Taken from ''exchange4media.com''. Retrieved on [[23 June]] [[2007]].</ref>
১৬৯ ⟶ ১৬৭ নং লাইন:
== সমালোচনা ==
দক্ষিণ আফ্রিকায় লেখা গান্ধীর কিছু নিবন্ধ বিতর্কিত।
==টীকা==
|