হেমন্ত মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ, অনুবাদ
৫২ নং লাইন:
 
১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতিনাট্যগুলোর উদীয়মান এবং প্রধান পুরুষ কণ্ঠ ছিলেন; যেমন, ''বাল্মিকী প্রতিভা'', ''শ্যামা'', ''শাপমোচন'', ''চিত্রাঙ্গদা'' এবং ''চণ্ডালিকা''। ওই গীতিনাট্যগুলোতে প্রধান নারী কণ্ঠ হিসেবে থাকতেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯২৪-২০০০) এবং সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪-২০১০), তিনি [[রবীন্দ্র সংগীত]] শিল্পীত্রয়ীর অংশ ছিলেন, যাঁরা জনপ্রিয় এবং শ্রদ্ধাষ্পদ ছিলেন। এঁদের বলা হোত 'হেমন্ত-কণিকা-সুচিত্রা' এবং সঙ্গে ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস, এই শিল্পী চতুষ্টয় ধারাবাহিকভাবে রবীন্দ্র গ্রন্থনার বহুশ্রুত প্রদর্শক ছিলেন। অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়, [[চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়]], [[সাগর সেন]], সুমিত্রা সেন এবং ঋতু গুহ ছিলেন সেই সময়কার রবীন্দ্র সংগীতের অন্যান্য প্রধান শিল্পী।
 
 
==পরবর্তী কর্মজীবন==
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের দশকে হিন্দি চলচ্চিত্রে হেমন্তর নামমাত্র অবদান ছিল। তিনি তার নিজের প্রডাকশন্সে নিজের মতো সংগীত রচনা করতেন, কিন্তু তার মধ্যে কোনো চলচ্চিত্র কিংবা তার সংগীত সফলতা পায়নি। যাইহোক, বাংলায় তিনি রবীন্দ্র সংগীত, চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্রের বাইরের গানের বিশিষ্ট শিল্পী ছিলেন। তাঁর সংগীত দশক জুড়ে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় ছিল। তার মধ্যে কয়েকটা হলো: ''যদি জানতে চাও তুমি...'' (১৯৭২), ''একগোছা রজনীগন্ধা...'', আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা...'', ''সেদিন তোমায় দেখেছিলাম ...'' (১৯৭৪), ''খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার...'' (''স্ত্রী'', ১৯৭১), ''কে জানে ক-ঘণ্টা...'' (''সোনার খাঁচা'', ১৯৭৪), ''যেওনা দাঁড়াও বন্ধু...'' (''ফুলেশ্বরী'', ১৯৭৫) এবং চলচ্চিত্রের অবস্থা অনুযায়ী সুন্দরভাবে প্রযুক্ত জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতগুলো। একটা খুব জনপ্রিয় এবং উচ্চাঙ্গের উদাহরণ হলো ''দাদার কীর্তি'' (১৯৮০) চলচ্চিত্রে ''চরণ ধরিতে দিয়োগো আমারে...''। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে হেমন্ত তাঁর নিজের প্রযোজিত ''অনিন্দিতা'' চলচ্চিত্রে [[চলচ্চিত্র পরিচালক]] হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এটা বক্স অফিসে খুব ভালো ফল দিতে পারেনি। যাইহোক, এর মূল উপজীব্য ছিল ''দিনের শেষে ঘুমের দেশে...'' তার এই শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত। ওই একই বছরে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক কনরাড রুকসের ডাকে হেমন্ত হলিউডে গিয়েছিলেন। <nowiki>https://en.m.wikipedia.org</nowiki> › wiki
 
হেমন্ত [[কনরাড রুকস|কনরাড রুকসের]] [[সিদ্ধার্থ (১৯৭২ চলচ্চিত্র)|সিদ্ধার্থ]] চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক। তিনি ওই চলচ্চিত্রে নেপথ্য গায়ক হিসেবে [[''ও নদীরে...'' (সংগীত এবং কণ্ঠ তাঁর ''নীল আকাশের নীচে'' থেকে)]] গেয়েছেন। হেমন্ত হলিউডে নেপথ্য গায়ক হিসেবে গান করা প্রথম ভারতীয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকার হেমন্তকে মেরিল্যান্ড, বাল্টিমোরের নাগরিকত্ব দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন; তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়া প্রথম ভারতীয় গায়ক। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলার দুজন প্রধান সংগীতকার [[নচিকেতা ঘোষ]] এবং [[রবিন চট্টোপাধ্যায়]], যাঁরা ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দশকের প্রথমদিক থেকে হেমন্তের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতেন, তাঁদের জীবনাবসান হয়েছিল। একই সঙ্গে ''ফুলেশ্বরী'', ''রাগ অনুরাগ'', ''গণদেবতা'' এবং ''[[দাদার কীর্তি]]'' ইত্যাদি চলচ্চিত্রে হেমন্ত সংগীত পরিচালনা করায় তাঁকে বাংলার প্রধান সংগীত পরিচালকরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের দশক এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দশকে [[সলিল চৌধুরী|সলিল চৌধুরীর]] সঙ্গে হেমন্ত যেসব কাজ করেছিলেন ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তার মধ্যে থেকে কিছু পুনরায় রেকর্ড করেছিলেন। এই অ্যালবামের নাম হলো ''লেজেন্ড অফ গ্লোরি, ভল্যুম ২'', হেমন্তের বয়সের ছাপ এবং শ্রান্ত কণ্ঠ সত্ত্বেও রেকর্ডটা ভাল বাণিজ্যিক সাফল্য পেয়েছিল।
 
== সঙ্গীতযাত্রা ==
শৈলেশ দাসগুপ্তর সাহায্যে হেমন্তর প্রথম গান করেন ১৯৩৫ সালে। প্রথম গান ''আমার গানেতে এল নবরূপী চিরন্তন'' রেকর্ড করেন। এ গানটি সেরকম জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এরপর ১৯৩৭ সালে তিনি গ্রামোফোন রেকর্ড Columbia লেবেলে ''জানিতে যদি গো তুমি'' ও ''বলো গো বলো মোরে'' গানগুলো করেন। গান দুটো নরেশ ভট্টাচার্যের লেখা ও শৈলেশ দাসগুপ্তর সুর করা। এরপর থেকে প্রতি বছর তিনি গ্রামোফোন কঃ অব ইন্ডিয়ার জন্য গান রেকর্ড করেছেন। ১৯৪০ সালে সঙ্গীতপরিচালক কমল দাসগুপ্ত হেমন্তকে দিয়ে ফাইয়াজ হাস্মির কথায় ''কিতনা দুখ ভুলায়া তুমনে'' ও ''ও প্রীত নিভানেভালি'' গাওয়ান। প্রথম ছায়াছবির গান তিনি গেয়েছেন "নিমাই সন্ন্যাস" ছবির জন্যে।
 
তিনি [[কনরাড রুকস]]- এর চলচিত্র [[সিদ্ধার্থ (১৯৭২-এর চলচিত্র)|সিদ্ধার্থ]] এর সঙ্গীত পরিচালক। প্রায় দেড়শোটি বাংলা ছবিতে সুর দিয়েছেন,গান গেয়েছেন ।
চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আইপিটিএ-র সঙ্গে যুক্ত। ১৯৫১ সালে তিনি মুম্বাই যাত্রা করেন এবং পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকেই বলিউডের প্রথম সারীর সঙ্গীত পরিচালক।