হেমন্ত মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ, অনুবাদ
সম্প্রসারণ, অনুবাদ
২৬ নং লাইন:
১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত [[পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র|বাংলা চলচ্চিত্র]] ''[[নিমাই সন্যাস]]'' চলচ্চিত্রে হেমন্ত প্রথম গান গেয়েছিলেন। সংগীত দিয়েছিলেন হরিপ্রসন্ন দাস। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে চলচ্চিত্রের বাইরে বাংলা গানে হেমন্ত নিজে প্রথম সুর দিয়েছিলেন 'কথা কোয়োনাকো শুধু শোনো' এবং 'আমার বিরহ আকাশে প্রিয়া' এই দুটি গানে। এগুলোর কথা লিখেছিলেন অমিয় বাগচি। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত সংগীত পরিচালনায় তিনি ''[[ইরাদা (১৯৪৪ চলচ্চিত্র)]]'' চলচ্চিত্রে প্রথম হিন্দি গানগুলো গেয়েছিলেন। হেমন্তকে শীর্ষস্থানীয় [[রবীন্দ্র সংগীত]] শিল্পী হিসেবে ধরা হয়। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ''[[প্রিয় বান্ধবী]]'' বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর প্রথম রবীন্দ্র সংগীত রেকর্ড করা হয়েছিল।<ref>[https://web.archive.org/web/20171205182037/http://faculty.ist.unomaha.edu/pdasgupta/hemanta/discography/tagore.html Tagore Songs by Hemanta Mukherjee]. faculty.ist.unomaha.edu</ref> গানটা ছিল 'পথের শেষ কোথায়'। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দেই তিনি কলাম্বিয়া লেবেলের অধীনে চলচ্চিত্রের বাইরে প্রথম রবীন্দ্র সংগীত রেকর্ড করেন। গানগুলো ছিল 'আমার আর হবে না দেরি' এবং 'কেন পান্থ এ চঞ্চলতা'। তার আগে তিনি অল ইন্ডিয়া রডিয়ো/আকাশবাণীতে ''আমার মল্লিকাবনে'' রেকর্ড করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রেকর্ডটা বিস্মৃতিতে চলে গিয়েছে।<ref>Debashis Dasgupta, ''Desh'', Bengali weekly magazine from [[Anandabazar Patrika]] Ltd., Calcutta, 11 November 1989. P. 36</ref><!-- গানগুলো ছিল ''প্রাঙ্গণে মোর শিরিষ শাখায়'' এবং ''হে নিরুপমা''।]] {{fact|date=June 2009}} -->
 
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে [[সংগীত পরিচালক]] হিসেবে তাঁর প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র ছিল ''[[অভিযাত্রী]]''। যদিও ওই সময় অনেক গান রেকর্ড করে হেমন্ত প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি বড়ো বাণিজ্যিক সাফল্য পেয়েছিলেন। বাংলায় তাঁর সমসাময়িক পুরুষ সংগীত শিল্পীরা ছিলেন [[জগন্ময় মিত্র]], [[রবিনরবীন মজুমদর]], [[সত্য চৌধুরিচৌধুরী]], [[ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যভট্টাচার্য্য]], [[সুধীরলাল চক্রবর্তী]], [[বেচু দত্ত]]<ref>S. Bhattacharya, ''Amar gaaner swaralipi'', A. Mukherjee Press, Calcutta, 1988. Pp. 82,83,84</ref> এবং [[তালাৎ মাহমুদ]]।<!-- {{fact|date=June 2009}} -->
 
== পরিবার ==
৩৩ নং লাইন:
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে হেমন্ত বাংলা সংগীত শিল্পী [[বেলা মুখোপাধ্যায়|বেলা মুখোপাধ্যায়ের]] (মৃত্যু ২৫ জুন ২০০৯),<ref name=toi>{{cite news |first= |last= |title=Singer passes away |url=http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2009-06-26/kolkata/28201327_1_hunger-strike-sourav-school-school-project |work=[[The Times of India]] |publisher= |date=26 June 2009 |accessdate=21 July 2009}}</ref> সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ''কাশীনাথ'' বাংলা চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক [[পঙ্কজ মল্লিক]] বেলাকে দিয়ে কিছু জনপ্রিয় গান গাইয়েছিলেন কিন্তু বিবাহের পর বেলা আর সংগীত জগতে প্রবেশ করেননি। তাঁদের দুই সন্তান — পুত্র জয়ন্ত এবং কন্যা রাণু। সীমিত সাফল্য নিয়ে রাণু মুখোপাধ্যায় ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শেষে এবং ১৯৭০ খ্রস্টাব্দের দশকের শুরুর দিকে গান গাইতেন। জয়ন্ত ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের দশকের জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী [[মৌসুমী চ্যাটার্জি|মৌসুমী চ্যাটার্জির]] সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
 
==সাফল্য এবং মুম্বই যাত্রা==
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের দশকে হেমন্ত [[ইন্ডিয়ান পীপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন]] (আইপিটিএ) সংস্থার সক্রিয় সদস্য হয়েছিলেন এবং আর এক আইপিটিএ সদস্য - সংগীত রচয়িতা এবং সংগীতজ্ঞ [[সলিল চৌধুরী|সলিল চৌধুরীর]] সঙ্গে অনুষঙ্গ শুরু করেছিলেন। আইপিটিএ সংস্থার অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল [[১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দুর্ভিক্ষ]] এবং এর প্রতিরোধে ব্রিটিশ শাসক ও সম্পদশালী ভারতীয়দের নিষ্ক্রিয়তা।
 
== সঙ্গীতযাত্রা ==
শৈলেশ দাসগুপ্তর সাহায্যে হেমন্তর প্রথম গান করেন ১৯৩৫ সালে। প্রথম গান ''আমার গানেতে এল নবরূপী চিরন্তন'' রেকর্ড করেন। এ গানটি সেরকম জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এরপর ১৯৩৭ সালে তিনি গ্রামোফোন রেকর্ড Columbia লেবেলে ''জানিতে যদি গো তুমি'' ও ''বলো গো বলো মোরে'' গানগুলো করেন। গান দুটো নরেশ ভট্টাচার্যের লেখা ও শৈলেশ দাসগুপ্তর সুর করা। এরপর থেকে প্রতি বছর তিনি গ্রামোফোন কঃ অব ইন্ডিয়ার জন্য গান রেকর্ড করেছেন। ১৯৪০ সালে সঙ্গীতপরিচালক কমল দাসগুপ্ত হেমন্তকে দিয়ে ফাইয়াজ হাস্মির কথায় ''কিতনা দুখ ভুলায়া তুমনে'' ও ''ও প্রীত নিভানেভালি'' গাওয়ান। প্রথম ছায়াছবির গান তিনি গেয়েছেন "নিমাই সন্ন্যাস" ছবির জন্যে।