ভি. এম. মুদ্দিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আরও দেখুন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি! |
IqbalHossain (আলোচনা | অবদান) বানান সংশোধন: পরবর্তীতে → পরবর্তীকালে , বেশী → বেশি, পরিষ্কারকরণ |
||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ক্রিকেটার
| name = ভি. এম. মুদ্দিয়া
| image = ভি. এম. মুদ্দিয়া.jpg
১২ নং লাইন:
| heightft =
| heightinch =
| family =
| batting = ডানহাতি
৬৯ নং লাইন:
}}
'''ভেঙ্কটাপ্পা মুসন্দ্রা মুদ্দিয়া''' ({{অডিও|Venatappa_Muddiah.ogg|উচ্চারণ}}; জন্ম: ৮ জুন, ১৯২৯ - মৃত্যু: ১ অক্টোবর, ২০০৯) তৎকালীন [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] ব্যাঙ্গালোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।<ref>{{
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে হায়দ্রাবাদ, মহীশূর ও [[Services cricket team|সার্ভিসেস দলের]] প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে [[অফ ব্রেক]] কিংবা মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন '''ভি. এম. মুদ্দিয়া'''।
৭৬ নং লাইন:
মহীশূরের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ভি. এম. মুদ্দিয়া মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় ও মহীশূর রাজ্য বি দলের পক্ষে খেলার মাধ্যমে পাদপ্রদীপে চলে আসেন। ব্যাঙ্গালোরের মলেশ্বরম মিডল ও হাই স্কুল ও সেন্ট্রাল কলেজে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এরপর, মলেশ্বরম জিমখানা ও ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন সিসি’র পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন।
১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত ভি. এম. মুদ্দিয়া’য় [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। মিডিয়াম পেস বোলিং করলেও
১৯৫১-৫২ মৌসুমে মহীশূরের সদস্যরূপে বোম্বের বিপক্ষে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। রঞ্জী ট্রফির সেমি-ফাইনালে মহীশূরের সংগ্রহ ছিল ১৭০। [[Mumbai cricket team|বোম্বে দল]] প্রথম দিন শেষে ১৬৩/১ তুলে। সারারাত বৃষ্টি পড়ে ও দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হলে আট ওভার বোলিং করে ছয় উইকেট দখল করেন। ফলশ্রুতিতে, বোম্বে দল ২০৫ রানে গুটিয়ে যায়। তবে, ঐ খেলায় মহীশূর দল ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। এছাড়াও, ১৯৬১-৬২ মৌসুমে [[Jammu and Kashmir cricket team|জম্মু ও কাশ্মীরের]] বিপক্ষে ৫/২ লাভ করেছিলেন।
রঞ্জী ট্রফিতে ২১.০০ গড়ে ১২৩টি [[উইকেট]] পান। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে সার্ভিসেসের সদস্যরূপে [[Eastern Punjab cricket team|ইস্টার্ন পাঞ্জাবের]] বিপক্ষে [[হ্যাট্রিক]] করেন।
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্টে]] অংশগ্রহণ করেছেন ভি. এম. মুদ্দিয়া। ১২ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে দিল্লিতে সফরকারী [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া দলের]] বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৬০ তারিখে কানপুরে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্টে খুব কমই ভূমিকা রেখেছেন ভি. এম. মুদ্দিয়া।
[[Indian cricket team in England in 1959|১৯৫৯]] সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে ভারত দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এ সফরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রিশ উইকেট লাভ করেন; কিন্তু, কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি তিনি। অবশেষে, ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় আর। কিন্তু, উইকেটবিহীন অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করতে হয়েছিল।
এর এক বছর পর [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তানের]] বিপক্ষে আরেকটি টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ ঘটে তার। ১/৬২ ও ২/৪০ পান। প্রথম ইনিংসে [[মুশতাক মোহাম্মদ]] এবং দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান - [[হানিফ মোহাম্মদ]] ও [[ইমতিয়াজ আহমেদ|ইমতিয়াজ আহমেদকে]] বিদেয় করেন। তবে, [[ওয়ালিস ম্যাথিয়াস|ওয়ালিস ম্যাথিয়াসের]] ক্যাচটি শর্ট-লেগ অঞ্চলে দণ্ডায়মান [[পলি উমরিগড়]] তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন। নিচেরসারির কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনায় সচেষ্ট ছিলেন। দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রান তুলেন। তন্মধ্যে, নবম উইকেট জুটিতে পলি উমরিগড়ের সাথে ৬১ রান যুক্ত করেছিলেন।
[[English cricket team in India, Pakistan and Ceylon in 1961–62|১৯৬১-৬২]] মৌসুমে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল ভারত, পাকিস্তান ও সিলন গমন করে। সফররত দলটির বিপক্ষে আরেকটি খেলার সুযোগ পান তিনি। উত্তর অঞ্চলের সদস্যরূপে ৬/৭১ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। সবকটি উইকেটই দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানদের ছিল। তবে, সিরিজের চতুর্থ টেস্টের পূর্বক্ষণে সার্ভিসেস দলের সদস্যরূপে এমসিসি’র বিপক্ষে তেমন ভালো খেলা উপহার দিতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, তাকে দলে নেয়া হয়নি।
৯৬ নং লাইন:
== ব্যক্তিগত জীবন ==
১৯৪৮ সালে [[ভারতীয় বিমানবাহিনী|ভারতীয় বিমানবাহিনীতে]] যোগদান করেন। তবে, বিমানচালনায় তিনি অনুপযোগী ঘোষিত হন। বিমানবাহিনী থেকে চলে আসার পর ১৯৫১-৫২ মৌসুমে [[Karnataka cricket team|মহীশূর দলের]] প্রতিনিধিত্ব করেন। পরের বছর তাকে আইএএফ কর্তৃক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার হিসেবে পুণরায় চাকুরী দেয়া হয়। উইং কমান্ডার পদবী নিয়ে ১৯৭৯ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৮০ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন। কর্ণাটক সরকার তার অনুকূলে {{
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। মালতী নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার সন্তান সেনাবাহিনীর লেফট্যানেন্ট কর্নেল পদবীধারী।
|