ম্যাগনা কার্টা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
মুস্তাফিজুর রহমান সিয়াম-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 103.78.224.108-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
শুধু 'প্রতিষ্টা' বানানটা ঠিক করে 'প্রতিষ্ঠা' করেছি।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Magna Carta (British Library Cotton MS Augustus II.106).jpg|thumb|ম্যাগনা কার্টা]]
'''ম্যাগনা কার্টা''' [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] একটি চুক্তি যা ১২১৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়। ঐতিহাসিকভাবে ম্যাগনা কার্টা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে একে বর্তমান সাংবিধানিক শাসনের সূচনা বলা যেতে পারে। ১১৮৮ সালে রাজা দ্বিতীয় হেনরি সব অস্থাবর সম্পত্তির উপর কর ধার্য করেন। কেননা, যুদ্ধের বিপুল ব্যয়ভার রাজার উপর এমন চাপ সৃষ্টি করেছিল যে, অতিরিক্ত কর ধার্য করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। অন্য দিকে তার পুত্রদ্বয় রিচার্ড ও জন ছিলেন স্বৈরাচারী। বিশেষ করে রাজা জনের স্বেচ্ছাচারমূলক কাজের জন্য ভূস্বামীগণ অতিষ্ঠ হয়ে রাজার ক্ষমতা সংকোচনের জন্য সচেষ্ট হয়ে ওঠেন। ১২১৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা জন সামন্তদের চাপে পড়ে রাজার অধিকার সংক্রান্ত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির কারণে রাজা কেও হতে হয়েছিলো নিয়মের অধীন। ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক ইতিহাসে ম্যাগনা কার্টা প্রতিষ্টাপ্রতিষ্ঠাé অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এর শর্ত গুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে, রাজা প্রতিনিধি স্থানীয় লোকদের অনুমোদন ছাড়া কারো স্বাধীনতায় বা সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। এই চুক্তির সুপ্রভাব শুধু ইংল্যান্ডেই নয়, অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষমতা লিপ্সু রাজা সহজেই এই চুক্তি তে স্বাক্ষর করতে চান নি। কিন্তু সকল সামন্ত মিলে রাজা জন কে [[লন্ডন|লন্ডনের]] কাছে এক দ্বীপে বন্দি করে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। এই চুক্তি বিচার বিভাগকেও অনেকটা নিরপেক্ষ করছিলো।
ইংল্যান্ডের সংবিধান বলতে নির্দিষ্ট কোনো দলিল নেই। এই দলিলটি সে দেশের অন্যতম সাংবিধানিক দলিল। প্রজাদের অধিকার ও রাজার ক্ষমতা হ্রাসের যৌক্তিক এ দলিল পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্রসহ বহুদেশে মানবাধিকার ও জনগণের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে। পরবর্তীকালে এই ম্যাগনা কার্টার ওপর ভিত্তি করেই ভারতীয় সংবিধান রচিত হয়েছে।