কার্তিক (দেবতা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
৪৩ নং লাইন:
===পাল বাড়ির ঐতিহাসিক তিন কার্তিক ===
 
বর্ধমান(পশ্চিম বর্ধমান) জেলায় গৌরবাজার ( পান্ডবেশ্বর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে) নামে এক গ্রামে বিগত ১৬৬ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে বলে অনুমান। এই পুজোর বিশেষত্ত হল তিনটি কার্তিক,-
বড় কার্তিক, মেজো কার্তিক, ছোটো কার্তিক।
অনেকের কাছে বিষয়টা অদ্ভুত এবং কৌতূহলের, যেকৌতূহলের। পুজো হলে তো একটি কার্তিক এর হবে এখানে একই ঠাকুরের তিনটি মূর্তিমূর্তির কেনো?,উত্তর লুকিয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়।
বিঘা বিঘা জমি,বর্ধমান রাজাদের তত্ত্বাবধানে পাল দের জমিদারি তখন রমরমা। সারা গ্রাম থেকে আশে পাশের গ্রামে পালে দের জমিদারি ছিল বিশেষ।
জানা যায় আনুমানিক ১৮৫৩ সাল নাগাদ জমিদার জয় নারায়ণ পাল, শ্যামপাল, লক্ষী নারায়ণ পাল
এর কোনো সন্তান জন্ম না হওয়ায়, তারা চরম চিন্তায় ছিলেন।
অনেক উপায় অবলম্বন করেও কোনও সুরাহা হয় নি।
তখন এক রাত্রে স্বপন আদেশেস্বপ্নাদেশে জয় নারায়ণ পাল দেখেনজানতে পারেন যে নিস্বারথ কার্তিক পুজো করতে হবে তাদের তিন ভাই কে। তবেই তাদের শুন্যশুণ্য‌ কোল আলো হবে।
তাই তারা তিন ভাই মিলে অভিনব ভাবে মন্দির তৈরি করে একসাথে তিনটি কার্তিক পূজা করা শুরু করেন।
এবং তারপরে আনুমানিক ১৮৫৭ সালে লক্ষী নারায়ণ পালের এক পুত্র সন্তান লাভ হয় ধজাধারি পাল, এবং আরো দুই ভাই এর একটি করে কন্যা সন্তান লাভ হয়।
সেই সৌভাগ্যবসত পরম্পরা অনুযায়ী পুজো করে আসছেন বংশধরেরা এবং এই সন্তান না হওয়ার অন্ধকার এই বংশকে আর এসে ঘিরে ধরেনি। এই পুজো আজও বর্তমান।