ক্ষেত্র গুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
 
বানান সংশোধন: সরকারী → সরকারি , পরিষ্কারকরণ
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{Infobox person
| name = ক্ষেত্র গুপ্ত
| image =
৫ নং লাইন:
| caption = ক্ষেত্র গুপ্ত
| birth_date = ১৭ জানুয়ারি, ১৯৩০
| birth_place = [[পিরোজপুর ]] , [[ বরিশাল]] [[বৃটিশ ভারত]],বর্তমানে [[বাংলাদেশ]]
| death_date = ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০ (বয়স ৮০)
| death_place = [[কলকাতা]], [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[ভারত]]
| alma mater = [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]]
| occupation = অধ্যাপক, সমালোচক ও প্রাবন্ধিক
| nationality =[[ ভারতীয়]]
| awards = [[বিদ্যাসাগর পুরস্কার]]<br>[[নজরুল স্মারক পুরস্কার]]<br>[[মধুসূদন পুরস্কার]]<br>[[সুকুমার সেন স্বর্ণপদক]]
|parents = মৃন্ময় গুপ্ত (পিতা)<br>সরযূবালা দেবী(মাতা)
|spouse = জ্যোৎস্না গুপ্ত
|children = প্রচেত গুপ্ত
}}
 
'''ক্ষেত্র গুপ্ত '''({{lang-en| Kshetra Gupta }})( জন্ম :- ১৭ জানুয়ারি, ১৯৩০ - মৃত্যু :- ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০ ) একজন বাঙালি অধ্যাপক,সমালোচক ও প্রাবন্ধিক । <ref name = "সংসদ"> অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি-২০১৯ পৃষ্ঠা ১০২,১০৩, {{আইএসবিএন|978-81-7955-292-6}}</ref>
 
==জন্ম ও শিক্ষা জীবন==
 
অধ্যাপক ক্ষেত্র গুপ্তর জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের বরিশালের পিরোজপুরে। পিতা মৃন্ময় গুপ্ত ও মাতা সরযূবালা দেবী । বাল্যকাল থেকেই ক্ষেত্র গুপ্ত পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন । পিরোজপুর সরকারীসরকারি বিদ্যালয় থেকে ডিভিশন্যাল বৃত্তি পেয়ে ম্যাট্রিক পাশ করেন । দেশভাগের পর তাঁর পিতার সঙ্গে [[পশ্চিমবঙ্গ |পশ্চিমবঙ্গে]] এসে[[ বারাসত| বারাসতে ]] বসবাস শুরু করেন । ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে এম.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। প্রায় সব ক-টি পত্রেই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ৬ টি স্বর্ণ পদক ও ১ টি রৌপ্যপদক লাভ করেন । 'মধুসূদনের কবি-আত্মা ঔ কাব্যশিল্প' শীর্ষক প্রবন্ধ রচনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি পান। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস: শিল্পরীতি' গ্রন্থে র জন্য [[রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডি.লিট উপাধি পান।
==কর্মজীবন ও সাহিত্যকর্ম==
 
১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন । পরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে সিটি কলেজে যোগ দেন । ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে লেকচারার পরে রিডার এবং বিদ্যাসাগর অধ্যাপক হিসাবে বাংলা বিভাগের প্রধান হন। এছাড়াও তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেছেন । কিছুদিন [[ বাংলাদেশ| বাংলাদেশের]][[ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ও রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেছেন এবং এভাবে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন । ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অফ ফোকলোর' এর সভাপতি ছিলেন । অধ্যাপক ক্ষেত্র গুপ্ত মূলতঃ, ছিলেন অন্যতম সাহিত্য সমালোচক । সম্পূর্ণ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে বঙ্কিমচন্দ্র, মধুসূদন, তারাশঙ্কর, মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র প্রমুখ বিখ্যাত সাহিত্যিকের রচনাসমূহের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণে যে বিশ্লেষণ করেছেন তাতে বাংলা সাহিত্য সমালোচনায় এক নতুন ধারা প্রবর্তিত হয়ছে। তাঁর রচিত বহু গ্রন্থ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের সহায়ক গ্রন্থ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে।
তাঁর এরূপ প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা শতাধিক । তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল-
 
৪০ নং লাইন:
==সম্মাননা==
সাহিত্যকীর্তির জন্য তাঁর প্রাপ্ত বহু পুরস্কারের উল্লেখযোগ্য [[এশিয়াটিক সোসাইটি]] থেকে 'সুকুমার সেন স্বর্ণপদক', পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের 'বিদ্যাসাগর পুরস্কার', বাংলাদেশের [[ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়| ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের]] 'নজরুল স্মারক পুরস্কার', রেনেসাঁস একাডেমির 'মধুসূদন পুরস্কার' এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'আশুতোষ ভট্টাচার্য লোকসাহিত্য পুরস্কার' প্রভৃতি ।
 
==মৃত্যু==