ত্রিপুরসুন্দরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
123.108.244.145-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Nahian-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৬ নং লাইন:
থাকে। মহাদেব তার তপস‍্যায় তুষ্ট হয়ে বর প্রার্থনা করতে বলেন। সে তখন বর প্রার্থনা করে যে, তার প্রতিদ্বন্দীর অস্ত্রের আঘাতে সে যেন আবদ্ধ না হয় এবং সে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর অর্ধ বল হরণ করে নিজের বল বৃদ্ধি করতে পারে। মহাদেব তাঁকে বরদান করেন এবং সাথে ষাট হাজার বছর রাজত্ব করার বর দেন। মহাদেব তখন প্রস্থান করলেন। সে বিস্মিত ও শঙ্কিত হল। পরে সব ভুলে গেল। ব্রহ্মা সকল কিছুর সাক্ষী ছিলেন। তিনি হতাশ হন এবং তাকে ভণ্ড ভণ্ড বলতে লাগলেন।কারণ, সে ধর্মচ‍্যুত হয়েছিল। তার মধ‍্যে আসুরিক প্রবৃত্তি দেখা দেয়। তাই তার নাম হয় ভণ্ডাসুর। কামদেবের অবশেষ ভস্ম থেকে তার দুই ভাই বিশুক্র ও বিশঙ্গের জন্ম হয়। পড়ে থাকা ভস্ম তিনশ' অক্ষৌহিণী সেনায় পরিণত হয়। শুক্রাচার্য সবকিছু শুনে তাদের গুরুর দ্বায়িত্ব পালন করেন।তিনি দৈত‍্যপ্রকৌশলী ময়কে মহেন্দ্র পর্বতের উপর এক পুরী নির্মাণ করতে বলেন। যার নাম হয় শোণ‍্যক পুরী। শুক্রাচার্য প্রতি ঘরে নিয়মিত যজ্ঞানুষ্ঠানের, বেদাধ‍্যয়ন ও তপস‍্যার পরামর্শ দেন।তিনি ভণ্ডাসুরকে শোণ‍্যক পুরের রাজা,বিশুক্র ও বিশঙ্গকে যুবরাজ পদে অভিষিক্ত করেন। ভণ্ডাসুরের সন্মোহিনী,কুমুদিনী,চিত্রাঙ্গী ও সুন্দরী নামে চারজন স্ত্রী ছিলেন। ভণ্ডাসুর তাদের থেকে ত্রিশজন পুত্র প্রাপ্ত হন।
 
একবার ভণ্ডাসুর তার ভাই ও অন‍্যান‍্য রাক্ষসদের নিয়ে বায়ুরূপ নিয়ে ত্রিলোকের সকল স্বর্গের দেবতা, মর্ত‍্যের মানুষ ও পাতালের নাগেদের দেহে প্রবেশ করে তাদের দেহ থেকে বীর্য, রস সহ অন‍্যান‍্য তরল পদার্থ শোষণ করে ও তাদের রূপ হরণ করে কুরূপ, নপুংসক ও শক্তিহীন করে তোলেন। তাদের মধ‍্যে আর একে অপরের প্রতি প্রেমভাব রইল না। তারা তখন ব্রহ্মাকে নিয়ে বিষ্ণুর কাছে গেলেন। বিষ্ণু ছিলেন যোগনিদ্রায় মগ্ন। পরে তারা বিষ্ণুর স্তব করে করে তাকে জাগরিত করে। বিষ্ণু তখন তাদের পরম পুরুষ মহাশম্ভুর তপস‍্যা করতে বলেন। তপস‍্যায় তুষ্ট হয়ে মহাশম্ভু দেবী আদি পরাশক্তিকে নিয়ে আবির্ভুতা হন। মহাশম্ভু ছিলেন মেঘের মতো কৃষ্ণবর্ণ। তার দক্ষিণ হস্তে শূল ও বামহস্তে নরকপাল। অন‍্যদিকে দেবী আদি পরাশক্তি ছিলেন চন্দ্রমার মতো কোমলাভা। তার হস্তে ছিল পুস্তক ও অক্ষমালা।মহাশম্ভু তখন বললেন যে তিনি সব অবগত। মহাপ্রলয় থেকে মহাশম্ভু ও অবন্তর প্রলয় থেকে বিষ্ণু রক্ষা করেন। তখন ভণ্ডাসুর সৃষ্ট কামপ্রলয় থেকে স্বয়ং আদি পরাশক্তি ললিতা ত্রিপুরসুন্দরী উদ্ধার করবেন। দেবতাদের তিনি দেবী ললিতার শরণাপন্ন হতে বলেন। দেবতারা কী করবেন তা জানতেন না।তখন তারা পুনরায় মহাশম্ভুর স্তব করেন। মহাশম্ভু তাদের মহাত‍্যাগ করতে বলেন। তিনি স্বয়ং হবেন যজ্ঞের হোতা এবং তার চিদাগ্নি হবে যজ্ঞের অগ্নি। শুষ্ক জল সমুদ্র হবে যজ্ঞের হোম কুণ্ড এবং অবশেষ ছয় সমুদ্র হবে যজ্ঞের ঘৃত। পঞ্চ সৃষ্টির সকল প্রাণী ও অগ্নি ব‍্যতীত বাকি পঞ্চতত্ত্ব হবে যজ্ঞাহুতি। অবশেষে দেবগণ সে যজ্ঞাগ্নিতে প্রবেশ করলে দেবী ললিতা চক্ররাজ রথে আবির্ভুত হবেন ও ভণ্ডাসুরকে নিধন করে কাম দেবকে পুনর্জীবীত করবেন। অবশেষে আরম্ভ হল সেই যজ্ঞের । দেবগণ সেই হোমকুণ্ডে প্রবেশ করলেন।অবশেষে হোমকুণ্ড হতে দেবী ললিতা চক্ররাজ রথে আরূঢ় হয়ে আবির্ভুত হলেন। তিনি পুনরায় সৃষ্টি কার্য সম্পাদন করলেন। দেবী নিজের থেকে কামেশ্বর শিবকে সৃষ্টি করলেন।দেবীর ইচ্ছাশক্তি হতে পাশ, অঙ্কুশ, পঞ্চ পুষ্পবাণ ও ইক্ষুধনু উৎপন্ন হল। দেবীর ভ্রূ হতে দণ্ডবিধি, কেশ হতে অন্ধকার, নিশ্বাস হতে বেদ, ত্রিনয়ন হতে চন্দ্র, সুর্য ও অগ্নি, থুতনি হতে বেদাঙ্গ, তার বচন হতে কবিত্ব ও ক্রিড়াসকল, স্তন হতে পর্বত ও ঘাড়ের তিনটি রেখা হতে শাস্ত্রসমূহ, দেবীর করতল হতে সন্ধ্যা ও দশটি নখ হতে বিষ্ণুর দশ অবতার উৎপন্ন করলেন। দেবীর বুদ্ধি হতে শ‍্যামলা ও অহং হতে বারাহী দেবী আবির্ভুতা হলেন। দেবীর অঙ্কুশ হতে আবির্ভুতা হন দেবী সম্পতকরী ও পাশ থেকে অশ্বরোধা। দেবীর গণ্ডদেশ হতে আবির্ভুতা হন নকুলেশ্বরী দেবী ও হৃদয় হতে বালা দেবী। দেবীর কুণ্ডলিনী শক্তি হতে দেবী গায়ত্রী আবির্ভুতা হন। মহাযুদ্ধে দেবী ললিতা নারায়ণাস্ত্র ও পাশুপতাস্ত্র প্রয়োগে ভণ্ডাসুরের সৈন‍্য ও কামেশ্বরাস্ত্র প্রয়োগে ভণ্ডাসুরকে উদ্ধার করলেন। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও ইন্দ্রাদি দেবগণের অনুরোধে দেবী ললিতা কামদেবকে পুনর্জীবিত করে নিজ ধামে চলে গেলেন।
 
== সাহিত্যে ত্রিপুরসুন্দরী ==