ওয়ার্ধা জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Asmita comp (আলোচনা | অবদান) "Wardha district" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
১৮:১০, ১ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ওয়ার্ধা জেলা পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক জেলা। এই জেলা নাগপুর বিভাগের একটি অংশ। ওয়ার্ধা শহরটি জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর। হিঙ্গনঘাট এবং ওয়ার্ধা জেলার প্রধান শহর।২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জেলাটির জনসংখ্যা ১,৩০০,৭৭৪ জন, যার মধ্যে ২৬.২৮% জনসংখ্যা শহরে বসবাস করেন।
ওয়ার্ধা জেলা | |
---|---|
মহারাষ্ট্রের জেলা | |
মহারাষ্ট্রের মধ্যে ওয়ার্ধা জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মহারাষ্ট্র |
বিভাগ | নাগপুর বিভাগ |
সদর শহর | ওয়ার্ধা |
তালুক | ১. ওয়ার্ধা, ২. দেওলি, ৩. সেলু, ৪. আরভি ৫. আষ্টি ৬. করঞ্জ ৭. হিঙ্গনঘাট, ৮. সমুদ্রপুর. |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | ওয়ার্ধা লোকসভা কেন্দ্র |
আয়তন | |
• মোট | ৬,৩১০ বর্গকিমি (২,৪৪০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৩,০০,৭৭৪ |
• জনঘনত্ব | ২১০/বর্গকিমি (৫৩০/বর্গমাইল) |
জনমিতি | |
• ভারতে_সাক্ষরতা | 78.37% |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+05:30) |
ভারতীয় সড়ক ব্যবস্থা | জাতীয় সড়ক ৪৪ (ভারত), জাতীয় সড়ক ৭ (ভারত) |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১০৬২.৮ মিমি |
ওয়েবসাইট | http://wardha.gov.in/ |
ইতিহাস
ওয়ার্ধা জেলার ইতিহাস সুপ্রাচীন কাল থেকে প্রবাহিত। এটি মৌর্য, শুঙ্গ, সাতবাহন এবং বাকাটক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রভাপুর বা আধুনিককালের পাভনার এক সময় বাকাটক রাজবংশের রাজধানী ছিল মনে করা হয়। বাকাটকরা ছিলেন গুপ্ত সাম্রাজ্যের সমসাময়িক।দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কন্যা প্রভাবতীগুপ্তের বিয়ে হয়েছিল বাকাটক শাসক দ্বিতীয় রুদ্রসেনের সাথে। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শতাব্দী অবধি রাজত্বকাল চলছিল। তাদের রাজ্য পশ্চিমে আরব সাগর থেকে পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তরে নর্মদা নদী থেকে দক্ষিণে কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
.
পরবর্তীকালে, ওয়ার্ধা চালুক্য, রাষ্ট্রকূট, যাদব, দিল্লি সুলতানি, বাহামনি সালতানাত, বেরার, গোন্ড এবং মারাঠা সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। প্রায় ১৮৫০ এর দশকে ওয়ার্ধা, (তখন নাগপুরের একটি অংশ) ব্রিটিশদের হাতে যায়। ব্রিটিশ ভারতে ওয়ার্ধা সেন্ট্রাল প্রভিন্সের অন্তর্গত ছিল। ওয়ার্ধা সেবাগ্রামের একটি ভগিনী শহর, এবং উভয় শহরই ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, বিশেষত ১৯৩৪ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভা এবং মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমের সদর দফতর হিসাবে।
বর্তমানের ওয়ার্ধা জেলাটি ১৮৬২ সাল পর্যন্ত নাগপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীকালে এটি প্রশাসনিক সুবিধার্থে পৃথক করা হয় এবং পুলগাঁওয়ের কাছে কাওথা জেলা সদর ছিল। ১৮৬৪ সালে, জেলা সদরটি পালকওয়াড়ি গ্রামে স্থানান্তরিত হয় যা ওয়ার্ধা শহর হিসাবে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল।
জনমিতি
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৩,৮৬,০১২ | — |
১৯১১ | ৪,৬০,৭৭৫ | +১৯.৪% |
১৯২১ | ৪,৬৩,৬৯৬ | +০.৬% |
১৯৩১ | ৫,১৬,২৬৬ | +১১.৩% |
১৯৪১ | ৫,১৯,৩৩০ | +০.৬% |
১৯৫১ | ৫,৩৮,৯০৩ | +৩.৮% |
১৯৬১ | ৬,৩৪,২৭৭ | +১৭.৭% |
১৯৭১ | ৭,৭৯,৫৬২ | +২২.৯% |
১৯৮১ | ৯,২৬,৬১৮ | +১৮.৯% |
১৯৯১ | ১০,৬৭,৩৫৭ | +১৫.২% |
২০০১ | ১২,৩৬,৭৩৬ | +১৫.৯% |
২০১১ | ১৩,০০,৭৭৪ | +৫.২% |