চন্দ্র বিভাজন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
বিষয়বস্তু যোগ
Moheen (আলোচনা | অবদান)
+
১ নং লাইন:
{{About|একটি ইসলামের ইতিহাস বিষয়|বিভাজন সংশ্লিষ্ট চাঁদের গঠনের তত্ত্বসমূহের|চাঁদের উৎপত্তি#পরিবর্ধন}}
[[চিত্র:Mohammed Splits the Moon.jpg|thumb|right|[[মুহাম্মদ]] চন্দ্র বিভাজন নির্দেশ করেছেন। একটি ফার্সি ভবিষ্যৎবাণী গ্রন্থ [[ফালনামা]] থেকে অজানা ষোড়শ শতাব্দীর জলরঙ। মুহাম্মদ ডান দিকে অবগুণ্ঠিত ব্যক্তিত্ব।]]
{{মুহাম্মাদ}}
 
'''চন্দ্র বিভাজন''' বা '''চন্দ্র দ্বিখণ্ডন''' ({{lang-ar|انشقاق القمر}})) হল [[ইসলামের নবী]] [[মুহাম্মাদ]] কর্তৃক প্রদর্শিত মুসলিম আখ্যানের একটি [[মুহাম্মাদের অলৌকিক ঘটনাসমূহ|অলৌকিক]] ঘটনা।{{r|ব্রিটানিকা}} এ সম্পর্কে ইসলামি গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]], সূরা [[সূরা আল-ক্বামার|আল-ক্বামারের]] {{cite quran|৫৪|১–২|style=nosup|expand=no}} আয়াত থেকে উদ্ভুত হয়েছে এবং [[শানে নুযূল|শানে নুযূলের]] (ওহির প্রেক্ষাপট) মতো [[মুসলিম]] আখ্যানের দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু মুসলিম ভাষ্যকার, বিশেষত মধ্যযুগে এই ঘটনাটিকে মুহাম্মদের দ্বারা [[চাঁদ|চাঁদের]] শারীরিক বিভাজন হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে [[ইসলামি পরকালবিদ্যা|বিচারের দিনে]] ঘটবে এমন ঘটনা হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন।
৪২ ⟶ ৪৩ নং লাইন:
==সূরা আল-ক্বামারের বিষয়বস্তু ==
নবুয়াত প্রাপ্তির পর আল্লাহ’র রাসুল মুহাম্মাদ আল্লাহ’র একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য যখন মক্কার মানুষদের আহবান করছিলেন, তখন তাকে ক্রমবর্ধমান প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তাঁর আহবানের বিরূদ্ধে মক্কার কাফেররা যে হঠকারী পন্থা অবলম্বন করে আসছিলো এ সূরায় সে বিষয়ে তাদেরকে সাবধান করে দেয়া হয়েছে। কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার যে খবর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিচ্ছিলেন তা যে সত্যিই সংঘটিত হতে পারে এবং তার আগমনের সময়ে যে অত্যন্ত নিকটবর্তী — চন্দ্র খণ্ডিত করে দেওয়ার বিস্ময়কর ঘটনা তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ। চন্দ্রের মত একটি বিশাল উপগ্রহ তাদের চোখের সামনে বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছিলো। তার দুটি অংশ পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি আরেকটি থেকে এত দূরে চলে গিয়েছিলো যে প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি খণ্ডকে পাহাড়ের এক পাশে অপর খণ্ডটিকে অপর পাশে দেখতে পেয়েছিলো। তারপর দুটি অংশ মুহূর্তের মধ্যে আবার পরস্পর সংযুক্ত হয়েছিলো। বিশ্ব ব্যবস্থা যে অনাদি, চিরস্থায়ী ও অবিনশ্বর নয়, বরং তার ধ্বংস ও ছিন্নভিন্ন হতে পারে এটা তার অকাট্য প্রামাণ। বড় বড় তারকা ও গ্রহরাজি ফেটে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে পারে, একটি আরেকটির ওপর আছড়ে পড়তে পারে এবং কিয়ামতের বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে কুরআনে তার যে চিত্র অংকন করা হয়েছে তার সব কিছুই যে ঘটতে পারে, শুধু তাই নয় বরং এ ঘটনা এ ইংগিতও দিচ্ছিলো যে, বিশ্ব ব্যবস্থা ধ্বংস ও ছিন্নভিন্ন হওয়ার সূচনা হয়ে গিয়েছে এবং কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার সময় অতি নিকটে এসে পড়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিকটির প্রতিই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেনঃ “তোমরা দেখো এবং সাক্ষী থাকো”। কিন্তু কাফেররা এ ঘটনাকে যাদুর বিস্ময়কর কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করলো এবং তা না মানতে বদ্ধপরিকর রইল। এ হঠকারিতার জন্য তাদেরকে এ সূরায় তিরস্কার করা হয়েছে। বক্তব্য শুরু করতে গিয়ে বলা হয়েছে যে, এসব লোক যুক্তিতর্কও মানে না, ইতিহাস থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করেনা; স্পষ্ট নিদর্শনাদি চোখে দেখেও বিশ্বাস করে না। এরা কেবল হাশরের দিনের একচ্ছত্র অধিপতির দিকে ছুটে যেতে থাকবে।
 
==আরও দেখুন==
*bbb[[চেরামন পেরুমল উপকথা]]
*[[মুহাম্মাদের অলৌকিক ঘটনাসমূহ]]
*[[মদিনার পূর্বে মুহাম্মাদ]]
*[[অলৌকিকতার ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি]]
*[[চাঁদের খাঁজ]]
 
==তথ্যসূত্র==
৭৭ ⟶ ৮৫ নং লাইন:
*{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=মরিসন |প্রথমাংশ=রবার্ট জি |শিরোনাম=The Portrayal of Nature in a Medieval Qur’an Commentary |ইউআরএল=https://www.jstor.org/stable/pdf/1596214.pdf?seq=1|ভাষা=ইংরেজি |প্রকাশক=স্টুডিয়া ইসলামিকা |বছর=২০০২ |সূত্র=harv}}
 
{{চাঁদ}}
==আরও দেখুন==
{{প্রবেশদ্বার|মুহাম্মাদ|চাঁদ}}
*[[মুহাম্মাদের অলৌকিক ঘটনাসমূহ]]
*[[অলৌকিকতার ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি]]
* কোরআনে বর্ণিত সমুদ্র বিদীর্ণকরণে [[ইসলাম ধর্মে মোজেস|মুসার ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি]]
*[[মদিনার পূর্বে মুহাম্মাদ]]
*bbb[[চেরামন পেরুমল উপকথা]]
*[[চাঁদের খাঁজ]]
 
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামেরমুহাম্মাদের ইতিহাসঅলৌকিক ঘটনাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:চাঁদচন্দ্র পুরাণ]]