তামবোরা পর্বত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
সংশোধনে - ''প্রীতম''
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{Infobox mountain|name=তামবোরা পর্বত|photo=Caldera Mt Tambora Sumbawa Indonesia.jpg|photo_caption=১৮১৫ সালের মহাঅগ্নূৎপাতে গঠিত তামবোরা পর্বতের আকাশ হতে গৃহিত আলোকচিত্র|elevation_m=2722|elevation_ref=|prominence_m=2722|prominence_ref=|listing=[[Ultra prominent peak|Ultra]] <br /> [[Ribu]]|map=Indonesia|map_size=300|map_caption=Location in Indonesia|label_position=right|location=[[Sumbawa]], [[Lesser Sunda Islands]], [[Indonesia]]|lat_d=8|lat_m=14|lat_s=48|lat_NS=S|long_d=117|long_m=57|long_s=30|long_EW=E|coordinates_ref=>|region_code=ID|topo=|type=[[Stratovolcano]]/[[Caldera]]|age=57,000 years|last_eruption=1967 ± 20 years|first_ascent=|easiest_route=}}'''তামবোরা পর্বত''' একটি সক্রিয় স্তরীভূত কোণ আকারের [[আগ্নেয়গিরি]] যা ইন্দোনেশিয়ার সুমবাওয়া দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। সুমবাওয়ার উত্তর ও দক্ষিণে ভুগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের উচ্চভাগ অবস্থিত, এবং এর নিচের টেকটোনিক প্লেটের অন্তক্রিয়ার ফলেই তামবোরা পর্বতের উৎপত্তি। তামবোরা পর্বতের উচ্চতা প্রায় ৪,৩০০ মিটার (১৪,১০০ ফিট)<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Great Tambora Eruption in 1815 and Its Aftermath|শেষাংশ=Stothers|প্রথমাংশ=Richard B|প্রকাশক=Science|বছর=1984|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=1191–1198}}</ref> যা একে অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম সুউচ্চ শৃঙ্গে পরিনত করে। এর ভেতরের ম্যাগমা চেম্বার কয়েক দশক ধরে পুর্ণ হতে থাকে, এবং ১০ এপ্রিল ১৮১৫ তে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায়।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Sedimentological events in Saleh Bay, off Mount Tambora|শেষাংশ=Degens, Buch|প্রথমাংশ=E.T, B|প্রকাশক=Netherlands Journal of Sea Research|বছর=1989|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=399–404}}</ref> এর ফলে অগ্নুৎপাত ঘটে। অগ্নুৎপাতের আগ্নেয় বিস্ফোরক মানদণ্ড (volcanic explosivity index) ছিলো ৭। এটির ছিলো ১৮০ খ্রীষ্টাব্দের লেক ট্যুপো অগ্নুৎপাতের পর একমাত্র সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত আগ্নেয় বিস্ফোরক মানদণ্ডে ৭ মাত্রার অগ্নুৎপাত।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Climatic, environmental and human consequences of the largest known historic eruption: Tambora volcano (Indonesia) 1815|শেষাংশ=Oppenheimer|প্রথমাংশ=Clive|প্রকাশক=Progress in Physical Geography|বছর=2003|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=230–259}}</ref> (তবে ধারণা করা হয় ৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দের পায়েকটু পর্বতের অগ্নুৎপাত অগ্নেয় বিস্ফোরক মানদণ্ডে ৭ মাত্রার হতে পারে)। তামবোরা পর্বতের সর্বশেষ অগ্নুৎপাত ঘটে ১৯৬৭ সালে, যা আগ্নেয় বিস্ফোরক মানদণ্ডে ০ মাত্রার ছিলো।
 
তামবোরা আগ্নেয়গিরির ১৮১৫ সালের অগ্নুৎপাত ইতিহাসের সব থেকে বৃহৎ অগ্নুৎপাত যার নিঃসরণ আয়তন ছিলো ১৬০ বর্গ কিলোমিটার। বিস্ফোরনের শব্দ ২০০০ কিলোমিটার (১২০০ মাইল) দূরবর্তী সুমাত্রা দ্বীপেও শুনা গিয়েছিলো। ভারী আগ্নেয় ছাই বোর্নিও, সুলাওয়েসি, জাভা ও মালুকু দ্বীপপুঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছিল। অগ্নুৎপাতের নিঃসরণের ফলে নির্গত বর্জ্য পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ভূমির উর্বরতা নষ্ট করে দেয়, ফলে খাদ্যাভাব ও বিভিন্ন রোগে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তামবোরা আগ্নেয়গিরির ১৮১৫ সালের অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ৭১০০০ মানুষের প্রাণহানী ঘটে, যার মধ্যে ১১০০০–১২০০০ সরাসরি অগ্ন্যুৎপাতে মারা যায়,<ref name=":0" /> বাকিরা পরবর্তীতে খাদ্যাভাব ও বিভিন্ন রোগে প্রাণ হারান। মৃতের সংখ্যা ৯২০০০ বলে বহুল প্রচলিত হলেও তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Victims from volcanic eruptions: a revised database|শেষাংশ=Tanguy, Scarth, Ribière, Tjetjep|প্রথমাংশ=J-C, A, C, W. S.|প্রকাশক=Bulletin of Volcanology|বছর=১৯৯৮|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=137–144}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.nationalgeographic.com/2015/04/150410-tambora-volcano-eruption-climate-change-famine-earth-science/|শিরোনাম=Volcanic Eruption That Changed World Marks 200th Anniversary|তারিখ=2017-04-10|সংগ্রহের-তারিখ=2017-03-17}}</ref>