বাঘা যতীন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Martin Urbanec (আলোচনা | অবদান)
2401:4900:314E:72A9:0:3D:BF88:A701-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে LimeTiger06-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৫ নং লাইন:
১৮৯৫ সালে এন্ট্রান্স পাস করে তিনি কলকাতা সেন্ট্রাল কলেজে (বর্তমানের [[ক্ষুদিরাম বোস সেন্ট্রাল কলেজ]]) ভর্তি হন। কলেজের পাশেই [[স্বামী বিবেকানন্দ]] বাস করতেন। বিবেকানন্দের সংস্পর্শে এসে যতীন দেশের স্বাধীনতার জন্য আধ্যাত্মিক বিকাশের কথা ভাবতে শুরু করেন। এসময়ে [[প্লেগ]] রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। বিবেকানন্দের আহবানে যতীন তার বন্ধুদের দল নিয়ে এই রোগে আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত হন।
 
[[স্বামী বিবেকানন্দ|স্বামী বিবেকানন্দের]] পরামর্শে যতীন শরীরচর্চার জন্য অম্বু গুহের কুস্তির আখড়ায় যোগ দেন। সেখানে তার সাথে সেসময়ের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের দেখা হয়। এদের একজন [[শচীন বন্দোপাধ্যায়|শচীন বন্দোপাধ্যায়ের]] সাথে পরিচয়ের সূত্রে তিনি শচীনের পিতা [[যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণের]] সাক্ষাৎ পান। যোগেন্দ্রনাথ তখনকার ইউরোপের [[মাৎসিনি]], [[গারিবল্ডি]] প্রমুখ ইতালীয় বিপ্লবীদের জীবনের আলেখ্য রচনা করেছিলেন।
 
কলেজ পাঠের সঙ্গে সঙ্গে যতীন অ্যাটকিনসন সাহেবের স্টেনো টাইপিংয়ের ক্লাসে ভর্তি হন। সদ্য প্রচলিত টাইপরাইটার ব্যবহার করার এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মোটা মাইনের চাকুরি পাওয়া সম্ভব ছিলো। ঔপনিবেশিক মনোবৃত্তিতে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠে ইস্তফা দিয়ে যতীন ১৮৯৯ সালে মজঃফরপুর চলে যান। সেখানে তিনি ব্যারিস্টার কেনেডীর সেক্রেটারি হিসাবে কাজে যোগ দেন। ভারতের জন্য মজুদ অর্থ দিয়ে ইংরেজ সরকার সৈন্যবাহিনী মোতায়েন করছে সাম্রাজ্য রক্ষার স্বার্থে, তার বিরুদ্ধে কেনেডি কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে বক্তৃতা মারফৎ এবং তার সম্পাদিত ত্রিহুত কুরিয়ার পত্রিকায় প্রচারণা চালাতেন।<ref name="bimanbehari">বিমান বিহারী মজুমদার্‌ "Militant Nationalism in India", কলকাতা, ১৯৬৬, পৃঃ ১১১।</ref> [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তিভোগী এই ভারত প্রেমিক ব্যারিস্টার কেনেডি ছিলেন [[মোগল সাম্রাজ্য|মোগল সাম্রাজ্যের]] উপরে মৌলিক গবেষণার জন্য বিখ্যাত। দুর্ভাগ্যক্রমে কেনেডি'র স্ত্রী ও কন্যার জীবননাশ ঘটে [[ক্ষুদিরাম বসু]] ও [[প্রফুল্ল চাকী|প্রফুল্ল চাকীর]] বোমায়। কেনেডির উৎসাহে মজঃফরপুরের তরুণদের জন্য যতীন ফুটবল ও অ্যাথলেটিক ক্লাব গড়ে তুলেন।
৪৫ নং লাইন:
 
== সশস্ত্র আন্দোলনে ==
১৯০৩ সালে যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণের বাড়িতে [[অরবিন্দ ঘোষ|শ্রী অরবিন্দের]] সাথে পরিচিত হয়ে যতীন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। সরকারী নথিপত্রে যতীন পরিচিত হন শ্রী অরবিন্দের দক্ষিণহস্ত হিসাবে।<ref name="gobwb">"Terrorism“Terrorism in Bengal"Bengal”, Government of West Bengal, 1995, Vol. V, p. 63 (Sealy's report)</ref> অরবিন্দ ঘোষের সংস্পর্শে এসে যতীন শরীর গঠন আখড়ায় গাছে চড়া, সাঁতার কাটা ও বন্দুক ছোঁড়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। যুগান্তর দলে কাজ করার সময় নরেনের (এম.এন রায়) সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং অচিরেই একে-অপরের আস্থাভাজন হন।
 
== দেশপ্রেমিক, প্রতিবাদী ও কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গী ==
৬০ নং লাইন:
 
== সামরিক অফিসারের সাথে মারামারি ==
১৯০৭ সালে বিশেষ কর্ম-দায়িত্ব নিয়ে হুইলারের সচিবদের সংগে যতীন সপরিবারে [[দার্জিলিং|দার্জিলিংয়ে]] স্থানান্তরিত হলেন। সমস্ত উত্তর বাংলার মতো এখানেও যতীন "অনুশীলন"-এর সক্রিয় শাখা স্থাপন করেছিলেন। ১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসে ক্যাপ্টেন মার্ফি ও লেফটেন্যান্ট সমারভিল প্রমুখ চারজন সামরিক অফিসারের সঙ্গে যতীনের মারপিট হয় [[শিলিগুড়ি]] স্টেশনে। চারজনের চোয়াল ভেংগে ধরাশায়ী করে দেবার অপরাধে যতীনের নামে মামলা রুজ্জু হলে সারাদেশে বিপুল হর্ষ জাগে-কাগজে কাগজে এই নিয়ে লেখালেখির বহর দেখে সরকার চাপ দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে। ঠাট বজায় রাখতে ম্যাজিস্ট্রেট যতীনকে শাসিয়ে দেন, '''"এমনটি“এমনটি আর যেন না ঘটে!"''' দর্পভরে যতীন জবাব দেন: '''"নিজের“নিজের সম্মান বা দেশবাসীর সম্মান বাঁচাতে যদি প্রয়োজন হয়, এমনটি যে আবার করব না, এ শপথ আমি করতে অপারগ।"'''অপারগ।”<ref>Two Great Indian Revolutionaries, Uma Mukherjee, 1966, p. 166</ref>
 
হুইলার একদিন ঠাট্টা করে যতীনকে জিজ্ঞাসা করেন:, "আচ্ছা“আচ্ছা, একা হাতে ক'টা লোককে আপনি শায়েস্তা করতে পারেন?" হেসে যতীন বলেন, '''"ভাল“ভাল মানুষ হয় যদি, একটাও নয়; দুর্বৃত্ত হলে যতগুলি খুশি সামলাতে পারব।"'''পারব।”
 
== দৃঢ়চেতা মনোভাবী ও সমাজ সংস্কারক ==